ছাত্রজীবনে চাইলে যা খুশি করা যায়। যখন ইচ্ছা ঘুম থেকে ওঠা যায়। ক্লাস বাঙ্ক দিয়ে চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া যায়। আকস্মিক পরিকল্পনায় দূর-বহুদূরে চলে যাওয়া যায় ট্যুরে। পছন্দের কোনো বই পড়তে পড়তে কিংবা কোনো টিভি সিরিজ বিঞ্জ ওয়াচ করতে করতে পুরোটা রাত কাটিয়ে দেয়া যায়। কিংবা আর কিছু না হোক, মোবাইলটা হাতে নিয়ে যতক্ষণ খুশি ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল তো করাই যায়।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ছাত্রজীবনে যে কাজের সাথেই যুক্ত থাকা হোক না কেন, নিজেকে দেয়ার মতো অনেক সময়ই পাওয়া যায়। সেই সময়ে নানা রকম চিন্তাভাবনা করা যায়, বিভিন্ন সৃজনশীল ধারণার উদ্ভব ঘটানো যায়, এবং সেসব ধারণার বাস্তবায়নও করা যায়। এই সবকিছুই সম্ভব, কারণ ছাত্রজীবনে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পুরোপুরি ঘড়ি ধরে চলা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত থাকে না। তাদের জন্য এমন কোনো রুটিন নির্ধারিত থাকে না, যেটি তাদেরকে অনুসরণ করতেই হবে। তাই কখনো-সখনো নিজের সৃজনশীলতাকে উসকে দেয়ার অবকাশ পাওয়াই যায়।
কিন্তু কর্মজীবনে ঢুকে পড়ার পর অনেক কিছুই বদলে যায়। তখন জীবন একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে যায়। সপ্তাহের অন্তত পাঁচদিন নিজের কাজে ডুবে থাকতে হয়। সপ্তাহান্তে যে সময়টুকু পাওয়া যায়, সেটুকুও ব্যয় করতে হয় সাংসারিক নানা খুঁটিনাটি কাজে, কিংবা সারা সপ্তাহের ধকলের পর একটু বিশ্রাম নিতে। লম্বা যে ছুটিগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যয় হয় নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা, কিংবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে নিয়ে কোথাও ট্যুরে গিয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসায়।
এভাবে হয়তো কাজ, আর কাজের ফাঁকে ক্ষণিকের বিনোদনের মাধ্যমে কর্মজীবীদের জীবনটা মোটামুটি ভালোভাবেই কেটে যেতে থাকে। কিন্তু কোথাও একটা কি তাদের সৃষ্টিশীল মননে মরচে পড়ে যেতে শুরু করে না? কর্মজীবনে কাজের ব্যস্ততা থাকুক বা না থাকুক, মনের মধ্যে তো সবসময়ই কাজের চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। সেই সাথে যোগ হয় অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তাও। এমনকি ছুটিতে বাসায় বসে থাকলে, পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটালে, কিংবা বন্ধুদের সাথে ট্যুরে গেলেও পিছু ছাড়ে না এসব চিন্তা ও দুশ্চিন্তা। ফলে নিজের জন্য সেই অবকাশটুকু পাওয়াই যায় না, যখন সম্পূর্ণ একাকী নিজের সাথে কিছুটা সময় কাটানো যাবে, নিজের সৃষ্টিশীল মনটাকে ডানা মেলার সুযোগ করে দেয়া যাবে, এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন কোনো পরিকল্পনার নীলনকশা তৈরি করা যাবে।
একজন সৃষ্টিশীল মানুষের জীবনে এর থেকে বড় ট্র্যাজেডি আর কিছুই হতে পারে না। যে মানুষগুলোর মাথায় আগে সবসময় নিত্যনতুন ধারণা কিলবিল করত, কর্মজীবনে ঢুকে তারাই কি না নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকে! কিন্তু এ থেকে বাঁচার কি কোনো উপায় নেই? অন্য সব কিছু ঠিক রেখেও কি নিজের আপন সৃজনশীল সত্ত্বাটিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব না? নিশ্চয়ই সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন জনজীবনের ভিড় ও কোলাহল থেকে বেরিয়ে এসে, নির্জন কোথাও সম্পূর্ণ একাকী কিছুটা সময় কাটানো।
নিজের সৃষ্টিশীলতাকে বাঁচিয়ে তোলার নিমিত্তে এমনই একটি ধারণার জন্ম দিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী বিল গেটস। তার ধারণাটির নাম হলো ‘থিঙ্ক উইক’। এখানে এমন একটি সপ্তাহের কথা বোঝানো হচ্ছে, যখন গেটস নিজের বিক্ষিপ্ত মনকে কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যে অন্য সবকিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্টের কোনো এক জঙ্গলের মাঝে একটি গোপন দোতলা কেবিনে গিয়ে সময় কাটাতেন।
১৯৮০’র দশকে প্রথম নিজের জন্য এই নিয়মটি চালু করেছিলেন গেটস। তখন বছরে দুবার করে এমন থিঙ্ক উইক কাটাতেন তিনি। হেলিকপটার বা সি-প্লেনে চড়ে চলে যেতেন সেই গোপন কেবিনটিতে, এবং তারপর আধুনিক সভ্যতা থেকে নিজেকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে নিতেন। পরিবার, বন্ধু কিংবা মাইক্রোসফটের কর্মচারী, কারো সাথেই যোগাযোগ রাখতেন না তিনি। সম্পূর্ণ নীরবে-নিভৃতে তিনি সাতটি দিন কাটাতেন শুধু পড়া, ভাবা ও নিজেকে সময় দেয়ার কাজে। দিনে প্রায় ১৮ ঘণ্টার মতো তিনি ব্যয় করতেন এই কাজগুলোতেই।
গেটস অবশ্য একদমই নিঃসঙ্গ থাকতেন না। ওই কেবিনে থাকতেন একজন কেয়ারটেকার কাম বাবুর্চিও। তার দায়িত্ব ছিল গেটসকে দুই বেলা খুবই সাধারণ মানের খাবারের জোগান দেয়া, এবং সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে ডায়েট অরেঞ্জ ক্রাশও। দ্বিতীয়টি কাজ করত গেটসের চিন্তাশীল মস্তিষ্কের জ্বালানী হিসেবে।
কী পড়তেন ও চিন্তা করতেন গেটস? প্রধানত তিনি পড়তেন প্রচুর পরিমাণে সংবাদপত্র ও বই। সংবাদপত্রের প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক সংবাদগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিতেন তিনি। তবে বইয়ের ব্যাপারে কোনো বাছবিচার ছিল না। এই হয়তো তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে পড়ছেন তো খানিক বাদেই গণিত নিয়ে। এছাড়া তার সাথে থাকত মাইক্রোসফটের কর্মীদের লেখা বিশাল প্রতিবেদনের স্তূপ। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেসব প্রতিবেদন পড়তেন তিনি, আর চিন্তা করতেন, এসব প্রতিবেদনে যেসব ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে সেগুলো আসলেই কতটা বাস্তবসম্মত। পেন্সিল কামড়াতে কামড়াতে ভেবে চলতেন তিনি, এবং প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে নিজের মতামত কিংবা নতুন কোনো ধারণা মাথায় এলে তা নোট করে রাখতেন তিনি।
১৯৯৫ সালে এমন একটি থিঙ্ক উইকে বসেই গেটস রচনা করেছিলেন তার বিখ্যাত মেমো “The Internet Tidal Wave“। মাইক্রোসফটের এক সিনিয়র স্টাফকে পাঠানো সেই মেমোটিই নির্ধারণ করে দিয়েছিল ইন্টারনেটের গতি-প্রকৃতি, এবং অবদান রেখেছিল মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে। এছাড়া থিঙ্ক উইক থেকে গেটস পেয়েছিলেন মাইক্রোসফটের ট্যাবলেট পিসিসহ আরো নানা উদ্ভাবনী ধারণা। এখনো মাঝেমধ্যেই তিনি যান থিঙ্ক উইকে।
সুতরাং থিঙ্ক উইকের মতো একটি ব্যতিক্রমী ধারণাও যে বাস্তবসম্মত এবং কাজের লাগার মতো, বিল গেটসই তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। তিনি যে মাইক্রোসফটের মতো বিশাল একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থেকেও নিজের সৃজনশীলতাকে হারিয়ে ফেলেননি, বরং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধারণার উদ্ভাবন করে গেছেন, এজন্য থিঙ্ক উইক অবশ্যই কৃতিত্বের দাবিদার।
এখন অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, “আমার তো গেটসের মতো কোনো গোপন দোতলা কেবিন নেই, নিজস্ব রাঁধুনিও নেই, আর বিশাল কোনো প্রতিষ্ঠানও নেই যেখানকার কর্মীদের প্রতিবেদন রিভিউয়ের প্রয়োজন পড়বে। তাহলে আমার এমন থিঙ্ক উইকের কী দরকার!”
কিন্তু থিঙ্ক উইক কাটাতে যে বিল গেটসের মতো বিশাল কোনো ব্যক্তিত্ব হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনি যদি একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হন, এবং এটি উপলব্ধি করেন যে, কর্মজীবনের নিষ্পেষণে আপনি আপনার সৃষ্টিশীল মনকে ঠিকমতো চিন্তা করার সুযোগ করে দিতে পারছেন না, তাহলে আপনিও চাইলেই পারেন বছরে অন্তত এমন একটি থিঙ্ক উইক কাটাতে, যখন আপনি একদম একাকী-নিঃসঙ্গ অবস্থায়, জাগতিক সকল দুর্ভাবনাকে পেছনে ফেলে সময়টা কেবলই নিজের মতো করে কাটাবেন।
এমন একটি থিঙ্ক উইক যে শুধু আপনাকে চিন্তাশীল মস্তিষ্কের সলতেয় আগুন ঢালবে, তা-ই কিন্তু নয়। এটি আপনার ক্লান্ত-শ্রান্ত জীবনকে আরো নানাভাবেই সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। যেমন:
ফোকাস বৃদ্ধি: যেকোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে প্রয়োজন যথাযথ ফোকাসের। দৈনন্দিন জীবনে এমন ফোকাস পাওয়া খুবই কঠিন। কর্মস্থলে বস থেকে শুরু করে সহকর্মীদের তাড়নায় আপনার পক্ষে নিজের চিন্তার ফোকাস ঠিক রাখা খুবই কঠিন। আবার পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর সময়ও তাদের সাথে তাল দিয়ে চলতে গিয়ে নিজের চিন্তাকে অগ্রসর হতে দেয়া সম্ভব হয় না। তাই এমন একটি থিঙ্ক উইকে একলা থেকে আপনি সর্বোচ্চ ফোকাসের সাথে কোনো কিছু চিন্তা করতে পারেন, যার দরুণ আপনি দারুণ একটা কিছুর উদ্ভাবন করে ফেলতেই পারেন।
নতুন পরিবেশে নতুন ধারণা: গণ্ডিবদ্ধ জীবনে থাকতে থাকতে আপনার চিন্তাভাবনাগুলোও হয়তো সব একই রকম হয়ে গেছে। সবসময় যা দেখছেন, যা শুনছেন, তার বাইরে আপনি কিছুতেই বের হতে পারছেন না। অর্থাৎ আপনার পারিপার্শ্বিক পরিবেশই আপনার চিন্তাশক্তিকে প্রভাবিত করছে, নতুন কোনো ধারণা তৈরি থেকে আপনাকে আগলে রাখছে। কিন্তু নতুন কোনো পরিবেশে গিয়ে সম্পূর্ণ একা একা সেখানে কিছুদিন কাটালে এবং গভীরভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করলে আপনার মনে নতুন অনেক ধারণারও উদ্রেক ঘটতে পারে।
প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্য লাভ: আপনি যদি থিঙ্ক উইকের জন্য এমন একটি জায়গা বেছে নেন, যেখানে প্রচুর গাছপালা আছে, পাখি আছে, ফুল আছে, সেই সাথে আছে পাহাড় কিংবা সমুদ্রও, তাহলে শহুরে যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুদিনের জন্য আপনি প্রকৃতির কাছাকাছি চলে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে আপনার অস্থির হৃদয় যেমন শান্ত হবে, তেমনই প্রকৃতির স্নিগ্ধতা আপনার যাবতীয় দুশ্চিন্তা দূরীকরণেও সাহায্য করবে।
শারীরিক উন্নতি: থিঙ্ক উইক পারে মনের পাশাপাশি আপনার শারীরিক উন্নতিও ঘটাতে। নতুন কোনো এলাকায় গিয়ে যদি আপনি প্রতিদিন ভোরে বেরিয়ে পড়েন আশেপাশে কী আছে তা ঘুরে দেখতে, তাহলে একদিকে যেমন নির্মল বাতাসে আপনি বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবেন, তেমনই হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে আপনার হালকা ব্যায়ামও হয়ে যাবে, শহরে যে সুযোগটি হয়তো আপনি পান না। সেই সাথে যদি আরো কিছু শরীরচর্চাও আপনি করেন, তাহলে আপনার শরীর আরো বেশি চাঙ্গা হয়ে যাবে, যা দিনের বাকি সময়গুলোতে আপনার চিন্তার গতিকে আরো সচল করে দেবে।
নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার: দিনের পর দিন একই রকম কাজ করতে গিয়ে আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন, আপনি কে, আপনার সক্ষমতাই বা কতটা। আপনি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন অন্যের দৃষ্টি ও মন্তব্য অনুযায়ী নিজেকে মূল্যায়ন করতে। আসলেই যে আপনি কে, সেই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে পারে একটি থিঙ্ক উইক। যখন আপনি নতুন কোনো পরিবেশে গিয়ে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে থাকতে পারবেন, আপনার আশেপাশে কেউ থাকবে না আপনাকে দিক-নির্দেশনা দিতে বা পদে পদে আপনার ভুল ধরতে, আপনাকে বিচার করতে, তখন আপনি নিজের ব্যক্তিসত্তাকে নতুন রূপে আবিষ্কার করতে পারবেন। তখন আপনি যা যা করবেন, সব শুধু নিজের জন্যই করবেন, অন্য কাউকে দেখাতে নয়। এভাবে আপনি নিজের রুচিবোধ ও পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কেও ধারণা পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা
থিঙ্ক উইক ধারণাটির নানা রকম প্রয়োগ কিন্তু আমরা প্রায়ই দেখতে পাই। যেমন- কোনো নতুন উপন্যাসের প্লট খুঁজতে লেখকরা চলে যান শহর ছেড়ে দূরে নির্জন কোথাও একা থাকতে। আবার অনেক সিরিয়াস অভিনেতাকে দেখা যায় আসন্ন চলচ্চিত্রে তিনি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করবেন, সেই চরিত্রের সাথে একাত্ম হওয়ার লক্ষ্যে কিছুদিনের জন্য কোথাও গিয়ে একা বাস করছেন। তাদের এই কাজগুলো আমাদের কাছে এখন আর তেমন অদ্ভুত লাগে না, কারণ আমরা এই ব্যাপারটির সাথে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি যে সৃজনশীল মানুষদের নিজ কাজের জন্য প্রস্তুত হতে কিছুটা সময় একা থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, শুধু কি তারাই সৃজনশীল, যারা বই লেখেন বা অভিনয় করেন? মোটেই না। যেকোনো কাজেই সৃজনশীলতার প্রয়োজন হয়। হোক তা নয়টা-পাঁচটার চাকরি, কিংবা কোনো ক্ষুদ্র উদ্যোগ। আর এসব কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে, কিংবা রিচার্জ করে নিতেও নিজের সাথে কিছুটা সময় কাটানো জরুরি। তাই আপনি যে পেশাজীবীই হন না কেন, নিজের সৃজনশীলতাকে ঝালিয়ে নিতে বছরে অন্তত একটি থিঙ্ক উইক আপনি কাটাতেই পারেন।
বিল গেটস সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন এই বইগুলো
১) দ্য লাইফ অ্যান্ড বিজনেস লেসন অব বিল গেটস
২) বিল গেটস (দ্যা গ্রেটেস্ট এনট্র্যাপ্রেনার অব সফটওয়্যার)
বিশ্বের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/