জ্যাসনের বিজয়
জাহাজে ফিরে এসে আর্গোন্যাটসরা আলোচনায় বসলেন। ফ্রিক্সাসের এক ছেলে আর্গাস জ্যাসনকে বললেন একমাত্র মিডিয়ার সহায়তা ছাড়া এইটিস যে কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন তা করা সম্ভব না। মিডিয়া দেবী হেক্টেটের একজন সেবিকাই শুধু নন, তিনি দেবীর আশীর্বাদে জাদুবিদ্যাতেও বিশেষভাবে দক্ষ। তার পরামর্শ গৃহীত হলো।
পরদিন খুব ভোরে চ্যালসিওপির সহযোগিতায় দেবী হেক্টেটের মন্দিরে জ্যাসন আর মিডিয়ার দেখা হয়। তারা একে অপরকে মনের কথা জানাল। জ্যাসন প্রতিজ্ঞা করল কলচিস থেকে মিডিয়াকে স্ত্রী করে তবেই সে যাবে। হবু স্বামীর নিরাপত্তার জন্য মিডিয়া তাকে মলমের মতো এক পদার্থ দিল। এই জিনিস গায়ে লাগালে একদিনের জন্য আগুন আর অস্ত্রাঘাত কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এরপর মিডিয়া জ্যাসনকে পরামর্শ দিল তার ঢাল আর বর্শাতে তা মাখিয়ে নেবার জন্য। অন্যান্য বিপদ কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা-ও মিডিয়া জ্যাসনকে বলে দিল।
এদিকে সময় হলে এইটিস পরিবার-পরিজন নিয়ে জ্যাসন কীভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তা দেখতে আসলেন। বিস্তীর্ণ চার একরের মতো পাথুরে জমিতে দাঁড়িয়ে জ্যাসন দেখতে পেল জোয়াল আর লাঙল, তার পাশেই শিরস্ত্রাণের ভেতর রাখা ড্রাগনের অনেক দাঁত। কিন্তু কোথায় সেই ষাঁড়? পশুগুলো খুঁজতে যেতে হবে বলে জ্যাসন যখন ভাবছিল তখনই ভূগর্ভস্থ গোয়াল থেকে আগুন উগরাতে উগরাতে ক্ষিপ্ত জোড়া ষাঁড় বেরিয়ে এল। কালো ধোঁয়াতে ঢেকে গেল চারিদিক। জ্যাসন কিন্তু ঘাবড়াল না। একহাতে ঢাল দিয়ে আগুনের হল্কা আটকে অন্য হাতে সে ষাঁড় দুটিকে এক এক করে কব্জা করে জোয়াল পরিয়ে লাঙলে জুড়ে দিল। এরপর বর্শার খোঁচাতে তাদের বাধ্য করল জমি চষতে। চষা জমিতে এক এক করে প্রত্যেকটি দাঁত পুঁতে দেয়া হলো।
কাজ শেষ করে জ্যাসন বর্শা দিয়ে দুই ষাঁড়কে এমন গুঁতো দিল যে ভয়ে তারা আবার তাদের গোয়ালে ছুটে পালাল। এদিকে জ্যাসনের রোপণ করা দাঁত থেকে উঁকি দিল বর্শার ফলা, সেখান থেকে বেরিয়ে এলো পুরো একটি সেনাবাহিনী। তারা সবাই বর্মাচ্ছাদিত আর অস্ত্রসজ্জিত। জ্যাসন এবারও সাহস হারাল না। মিডিয়ার বলা কথামতো বিশাল এক পাথর তুলে নিয়ে ছুঁড়ে মারল সেই সেনাদের মাঝে। এতে তাদের নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া লেগে গেলে জ্যাসন একে একে তাদের হত্যা করল।
অবশেষে সাফল্য
জ্যাসন তার কাজে সফল হওয়াতে এইটিস ভয়ঙ্কর রেগে গেলেন। তিনি তাকে মিথ্যে আশ্বাস দিলেন যে পরদিন মহাসমাদরে তাকে মেষচর্ম বুঝিয়ে দেয়া হবে। এরপর তিনি নিজের সৈন্যদের নির্দেশ দিলেন সকাল হবার সাথে সাথেই যেন আর্গোন্যাটসদের হত্যা করে জাহাজ পুড়িয়ে দেয়া হয়। মিডিয়া সব জেনে সেই রাতেই আর্গোতে উপস্থিত হয়ে তাদের সতর্ক করে দিল। এরপর জ্যাসনকে নিয়ে অগ্রসর হলো এরিসের বাগানের দিকে। জাদুর প্রভাবে ঘুম পাড়িয়ে দিল প্রহরারত ড্রাগনকে। তারপর গাছের মাথা থেকে জ্যাসন পেড়ে নিল সেই মেষচর্ম, যার জন্য এত রক্তক্ষয়, এত কষ্ট। রাতের অন্ধকারেই মিডিয়া আর মেষচর্ম নিয়ে আর্গো পাল তুলল।
এইটিসের নৌবহরের আক্রমণ
সকাল হলে এইটিস টের পেলেন আর্গো তাকে ফাঁকি কেটে পড়েছে। শুধু তা-ই না, এত সাধের মেষচর্মের সাথে তার ছোট মেয়েকেও নিয়ে গেছে। তিনি রাগে ফেটে পড়লেন। মিডিয়ার ভাই অ্যাবসির্টাস তৎক্ষণাৎ অনেকগুলো জাহাজ সাথে করে বেরিয়ে পড়লেন আর্গোন্যাটসদের উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে কলচিসের সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য। ইস্টার নদীর মুখে তিনি আর্গোকে এক দ্বীপে নোঙর ফেলা অবস্থায় ধরে ফেললেন। চারদিকে শত্রু জাহাজ দিয়ে পরিবেষ্টিত আর্গোকে বাঁচাতে মিডিয়া চাললেন এক কূটচাল। ভাইকে তিনি এমনভাবে বার্তা দিলেন যাতে মনে হয় তাকে জোর করে জাহাজে ধরে আনা হয়েছে। তিনি জানালেন, ভাই যদি দ্বীপে আর্টেমিসের মন্দিরে তার সাথে রাতে দেখা করেন তাহলে তিনি মেষচর্ম তার হাতে তুলে দিতে পারবেন। বোনের ডাকে সরল বিশ্বাসে অ্যাবসির্টাস মন্দিরে এলে জ্যাসন অতর্কিতে তার উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করল। এরপর হাতের মশাল উচিয়ে ধরতেই তার সাথীরা বিপুল বিক্রমে কলচিসের নৌবহরের উপর আঘাত করে সমস্ত জাহাজ ধ্বংস করে দিল।
মিডিয়াকে নিয়ে জাহাজে ফিরতেই ডোডোনার ভবিষ্যৎ বলা ওক কাঠ কথা বলে উঠল। জিউস অ্যাবসির্টাসের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডে ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছেন, এবং একমাত্র দেবী সির্সেই পারেন এই ভয়াবহ পাপ থেকে তাদের মুক্ত করতে। ক্যাস্টর আর পোলাক্সের প্রার্থনা তাদেরকে নিয়ে যাবে সির্সের দ্বীপে, যেখানে তারা পাপমোচন করতে পারবে।
সির্সের দ্বীপ
এরিড্যানাস নদীর ধারে সির্সের দ্বীপে পৌঁছে জ্যাসন আর মিডিয়া জাহাজ থেকে নেমে এলো। খুঁজে বের করল দ্বীপের দেবীকে। তার কাছে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে তারা নতজানু হলো। দেবী অনুচরদের আদেশ করলেন বেদিতে পবিত্র আগুন প্রজ্বলিত করতে। পশু উৎসর্গ দিয়ে আচার অনুষ্ঠান শুরু হলো। অনেক নিয়ম কানুনের পর তিনি তাদের পাপমুক্ত ঘোষণা করলেন, কিন্তু তীব্রভাবে তাদের কৃতকর্মের জন্য ভর্ৎসনা করতে ছাড়লেন না। ক্রন্দনরত মিডিয়াকে নিয়ে জ্যাসন আর্গোতে ফিরে এলেন।
সাইরেন আর সাগরদানোর কবলে
আর্গো এসে পড়ল এমন এক স্থানে যেখানে সাইরেনরা তাদের মনভোলানো কণ্ঠ দিয়ে নাবিকদের টেনে নিয়ে আসত তাদের কাছে। একবার সাইরেনদের কবলে পড়লে কেউ বেঁচে ফিরত না। জ্যাসন আর তার সঙ্গীরাও সাইরেনদের মনহারানো সুরে সব ভুলে গেল। কিন্তু অর্ফিয়াস বিপদ বুঝতে পেরে তার বাদ্যযন্ত্রে তুললেন অপূর্ব সুরলহরি। সঙ্গে সঙ্গে সবাই সংবিৎ ফিরে পেল।দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের একজন আগেই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তবে দেবী অ্যাফ্রোডাইট সেই যুবাকে নিরাপদে নিকটবর্তী এক দ্বীপে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করলেন।
এরপর আর্গো এসে পড়ল এক সংকীর্ণ প্রণালীতে। এখানে একদিকে সাগরদানো চ্যারিবডিস অনবরত সৃষ্টি করে চলছে ঘূর্ণিপাক, অন্যদিকে তার দোসর স্কাইলা সুবিশাল এক পাথরের উপর থেকে হানা দিচ্ছে পারাপাররত যেকোনো জাহাজের উপরে। এই পরিস্থিতিতে হেরা পাঠালেন আরেক দেবী থেটিসকে, তিনি আর্গোন্যাটসদের নিরাপদে প্রণালী পার করে দিলেন।
কলচিসের সর্বশেষ চেষ্টা
রাজা এইটিস কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি। তার পাঠানো একদল সেনা ছুটে আসছিল জ্যাসনের পিছু পিছু।আর্গোন্যাটসরা তখন ফিসাস রাজ্যে, রাজা অ্যালসিওনাস আর রানী এরিটির আতিথ্য গ্রহণ করছে। হঠাৎ করে এইটিসের সেনারা উপস্থিত হয়ে মিডিয়াকে তাদের হাতে তুলে দেবার দাবী জানাল। মিডিয়া রানীর কাছে পূর্বের সব ঘটনা বিবৃত করে কাতরভাবে অনুরোধ করল জ্যাসনের কাছ থেকে তাকে যেন বিচ্ছিন্ন না করা হয়। রানী তার কোথায় অভিভূত হলেন। পরদিন সকালে কলচিসের সেনাদের জানানো হলো মিডিয়া জ্যাসনের বৈধ স্ত্রী, ফলে তাকে কলচিসের কাছে ফিরিয়ে দেবার প্রশ্নই আসে না। সেনারা জানত খালি হাতে ফিরে গেলে এইটিস তাদের আস্ত রাখবেন না। তাই তারা অ্যালসিওনাসের কাছে আবেদন করল যাতে তাদের এই রাজ্যে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়। সেই প্রার্থনা মঞ্জুর করা হলো।
লিবিয়ার অ্যাডভেঞ্চার
আর্গো এসে পড়ল অচেনা এক অঞ্চলে। লিবিয়ার উপকূলে সির্টিসের চোরাবালিতে জাহাজ গেল আটকে। যেদিকে চোখ যায় শুধু ধু-ধু মরুভূমি।মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে সেখানে বিচরণ করছে বিষধর সেসব সাপ, যাদের জন্ম হয়েছিল পার্সেউস কর্তৃক মেডুসার কাটা ধড়ের রক্ত থেকে। বিপদ থেকে উদ্ধারের কোনো রাস্তা দেখতে না পেয়ে আর্গোন্যাটসরা হতাশ হয়ে পড়ল। এই পরিস্থিতিতে লিবিয়ার রানী জ্যাসনের সামনে দেখা দিল। তার পরামর্শে আর্গোন্যাটসরা জাহাজ কাঁধে তুলে এক সিন্ধুঘোটককে অনুসরণ করতে থাকল। বারো দিন অনুসরণ করবার পর সুনীল সাগরের দেখা মিললে আবার আর্গো পানিতে ভাসল।
ট্যালাসের মোকাবেলা
আয়োল্কাসের আগে শেষ যাত্রাবিরতি ক্রিট দ্বীপে। খাবার ও পানি নিতে এখানে নামা জরুরি ছিল। কিন্তু সাগরতীরে দাঁড়িয়ে বিরাট এক ব্রোঞ্জের দানব, ট্যালাস। তার সমস্ত শরীর দুর্ভেদ্য, একমাত্র দুর্বল অংশ ডান পায়ের গোড়ালি। একের পর এক পাথর সে আর্গোর দিকে ছুঁড়ে মারতে থাকলে তারা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এবার মিডিয়া তার জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করল। ফলে ট্যালাস লম্বা হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে গেল। তার ডান পায়ের দুর্বল অংশ আঘাত করল ধারাল এক পাথরে, সেখান থেকে রক্তপাত হয়ে ট্যালস সাগরতীরেই নিহত হলো। এরপর আর্গোন্যাটসরা প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে আবার যাত্রা শুরু করে।
পেলিয়াসের মৃত্যু
বহু বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আয়োল্কাসের বন্দরে ভিড়ল আর্গো। গ্রীসের মানুষের মুখে মুখে ফিরতে লাগল আর্গোন্যাটসদের চমকপ্রদ অভিযানের কাহিনী। আর্গো দিয়ে দেয়া হলো পোসাইডনের জিম্মায়। জ্যাসন তার সুন্দরী স্ত্রী মিডিয়াকে নিয়ে এরপর প্রাসাদের পথ ধরল। এখানে পেলিয়াসের হাতে তুলে দেয়া হলো প্রতিশ্রুত সেই মেষচর্ম। কিন্তু পেলিয়াস সিংহাসন ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখালেন না। ফলে মিডিয়া এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করল। রাজার দুই তরুণী মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করে সে তাদের জাদুর নানা খেলা দেখাল। একবার এক বুড়ো থুত্থুরে মেষ মেরে মিডিয়া সেটা কেটে টুকরো করে কড়াইয়ে চাপিয়ে দিল। এরপর কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করতেই কমবয়সী স্বাস্থ্যবান আরেকটি মেষ সেখান থেকে বেরিয়ে এলো। মিডিয়া পেলিয়াসের কন্যাদের বললেন তাদের বাবাকেও এভাবে যৌবন ফিরিয়ে দেয়া যাবে। সরল দুই রাজকন্যা তাকে বিশ্বাস করে নিজ হাতে পিতাকে হত্যা করল।
জ্যাসনের গল্পের অবসান
পেলিয়াসের হত্যাকাণ্ডের পরে জ্যাসন আর মিডিয়া চলে এলো করিন্থে। এখানে অনেকদিন তারা সুখে-শান্তিতে সংসার করে। তাদের ঘর আলো করে জন্ম নিল তিনটি সন্তান। কিন্তু মিডিয়ার শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে থাকলে জ্যাসন অন্য নারীর দিকে ঝুঁকে পড়ে। করিন্থের রাজকন্যা গ্লসকে তার মনে ধরল। রাজার অনুমতি নিয়ে জ্যাসন গ্লসকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিয়ের ফলে তাদের সন্তানদের রাজকীয় সুবিধা পাওয়ার পথ সুগম হবে, এই বলে জ্যাসন মিডিয়াকে বুঝ দেবার চেষ্টা করল।
মিডিয়া উপরে উপরে সব মেনে নিলেও তার অন্তরে দাউ দাউ করে জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন। সে গ্লসের জন্য এক স্বর্ণখচিত আলখাল্লা উপহার দিল। বাসর রাতে সেই আলখাল্লা দেখেই গ্লস তা পরিধান করে। মিডিয়া এই পোশাকের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে রেখেছিল মারাত্মক বিষ। তাতে নীল হয়ে প্রাণ হারায় গ্লস। শোকে উন্মাদ জ্যাসন সব বুঝতে পেরে উম্মুক্ত তরবারি হাতে বাড়িতে ছুটে এলো। সেখানে পড়ে ছিলে তার তিন সন্তানের প্রাণহীন দেহ। অধিক শোকে পাথর জ্যাসন দেখতে পেল বাতাসের রথে চেপে মিডিয়া উড়ে চলে যাচ্ছে। সব হারিয়ে নিঃস্ব-রিক্ত জ্যাসন ঝাঁপিয়ে পড়ল নিজের তরবারির উপরে, সমাপ্তি ঘটল গ্রীক মিথোলজির অন্যতম এক ট্র্যাজিক বীরের।
শুধুই কি কাল্পনিক কাহিনী
জ্যাসনের ঘটনা কি পুরোটাই বানানো, নাকি কোনো কোনো গ্রীক মিথের মত এটিও কোনো বাস্তব ঘটনার অতিরঞ্জনের ফসল? দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দের রোমান ইতিহাসবেত্তা আপিয়ান দাবী করেন, কলচিসের লোকেরা কীভাবে নদী থেকে স্বর্ণ আহরণ করে সেই কৌশল আয়ত্ত করতে সত্যিই একটি অভিযান চালান হয়েছিল। কলচিসের অধিবাসীরা নদী থেকে পানি ছেঁকে সোনার গুঁড়া তুলতে মেষ চর্ম ব্যবহার করত। জর্জিয়ার ইলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক দল ২০০২-১০ সাল অবধি কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ভানেতি (Svaneti) অঞ্চলে (প্রাচীন কলচিস সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত) খননকাজ চালিয়ে এমন কিছু নিদর্শন পেয়েছেন যা থেকে মনে হয় আজ থেকে ৩,০০০-৩,৫০০ বছর আগে সেখানে জাহাজে করে অভিযাত্রীদের আগমন হয়েছিল। তারা মনে করেন, হয়তো এরাই সেই জ্যাসন আর তার আর্গোন্যাটস দল। তবে স্বর্ণপশমী মেষচর্ম নয়, তাদের লক্ষ্য ছিল নদী থেকে সোনা পাওয়ার পদ্ধতি আয়ত্ত করা।