নানা দেশের জাতীয় ফুলের স্বীকৃতি পাওয়ার গল্প

জাতীয় ফুল একটি দেশের পরিচিতি এবং তার স্বাতন্ত্র্যের ভিত্তি নির্ধারণ করে থাকে। বিভিন্ন মানদন্ডের নিরিখে একটি দেশ কোনো একটি ফুলকে সে দেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা প্রদান করে। সরকারি কোনো সিদ্ধান্তে কিংবা সে দেশের জনগণের আনুষ্ঠানিক কোনো মতামতের ভিত্তিতে একটি অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় ফুলকে ওই দেশের জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

সর্বপ্রথম কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া জাতীয় প্রতীক হিসেবে ফুলকে নির্ধারণ করেছিল। বর্তমানে পৃথিবীর বহু দেশেরই ‘জাতীয় ফুল’ জাতীয় প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ফুলের মধ্যে থেকেই বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ বেছে নিয়েছে তাদের জাতীয় ফুল। যেকোনো দেশের জাতীয় ফুল নির্বাচিত হয় সেই দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী। জেনে নিই এমনই কয়েকটি ফুলের কথা, যেগুলো জাতীয় ফুল হিসেবে বিভিন্ন দেশে মর্যাদা পেয়েছে তাদের গুণাবলী, প্রাপ্যতা এবং গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে।

জাপান

বসন্তকালে চেরি ফুলে ছেয়ে থাকে জাপানের বিভিন্ন শহর; Source: Pinterest

চেরি ফুল জাপানের জাতীয় পুষ্প হিসেবে স্বীকৃত। জাপানিদের কাছে এই চেরি ফুলের স্থানীয় নাম সাকুরা। জাপানিরা এই ফুলের প্রতি বিশেষ অনুরাগী। বসন্তকালে এই ফুল যখন ফোটে, তখন তাদের মন আকুল হয়ে ওঠে। এই সময়টায় জাপানের একটি শহর হ্যানমি চেরি ফুলে পুরোটা ঢাকা থাকে। এই চেরি ফুলের প্লাবন দেখার জন্য জাপানীরা ভিড় করে হ্যানমি শহরে আর চেরি ফুলের সৌন্দর্যে আত্মহারা হয়ে পড়ে।

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানীরা এই ফুলের চাষ করে আসছে। প্রত্যেক জাপানী নাগরিক তাদের বাড়ির পাশের উঠোনে কিংবা সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে এই গাছ লাগানোর ঐতিহ্য এখনো মেনে চলে। এই ফুল জাপানীদের জাতীয় জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

এই ফুল তাদের চেতনার শক্তি এবং কর্ম উদ্দীপনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। জাপানী ১০০ ইয়েনের মুদ্রায় চেরি ফুলের প্রতীক খোদাই করা রয়েছে। জাপানি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক এই সাকুরা বা চেরি ফুল। ঐতিহ্যগত জাপানি বস্ত্রগুলোতে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে সাকুরার প্রিন্টের বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়।

স্কটল্যান্ড

থিসল ফুলের সাথে জড়িয়ে রয়েছে স্কটিশদের আত্মরক্ষার ইতিহাস; Source: Dreamstime.com

এখানকার জাতীয় ফুল থিসল। এই ফুলের উৎপত্তিস্থল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। এর গায়ে কাঁটাও আছে। ঐতিহাসিকদের মতে, এই ফুল তার গায়ের কাঁটা দিয়ে স্কটিশদেরকে নরওয়ের সৈন্যদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলো। তৃতীয় আলেকজান্ডারের সময় (১২৪৯- ১২৮৬) নরওয়ের রাজা হাকোনের সৈন্যরা স্কটল্যান্ড আক্রমণ করে। তারা নিঃশব্দে আক্রমণ করার জন্য খালি পায়ে আসে। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে একজন হঠাৎ এই থিসল ফুলে পা পড়ে যায়। ফুলের কাঁটার আঘাতে সে চিৎকার করে উঠে। ফলে আসন্ন বিপদ বুঝতে পেরে স্কটিশরা সাবধান হয়ে যায়। তারপর থেকে এই ফুলটি তাদের আত্মরক্ষার প্রতীক।

নেপাল

হিমালয় কন্যার অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে রডোডেনড্রন ফুলটি; Source: sanjaal.com

হিমালয় কন্যা নেপাল। পাহাড় বেষ্টিত এ দেশটির জাতীয় ফুল উজ্জ্বল লাল রঙের রডোডেনড্রন। ‘রোডোন’ কথাটা গ্রিক শব্দ। এই শব্দের অর্থ ‘রোজ’ মানে গোলাপ ও ‘ডেনড্রন’ মানে গাছ, অর্থাৎ গোলাপ গাছ। একে ‘কিং অফ শ্রাবস’ও বলা হয়। নেপালি ভাষায় এ ফুলকে বলা হয় ‘লালী গুরানস’।

হিমালয়ের আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রায় সময় এই ফুলটিকে ফুটে থাকতে দেখা যায়। প্রজাতির প্রাচুর্যের কারণে হিমালয় অঞ্চলকে এ ফুলের অন্যতম উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধারণা করা হয়। বসন্তকাল রডোডেনড্রন ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার আদর্শ সময়। এ সময় পাহাড়গুলোতে উজ্জ্বল লাল বর্ণের রডোডেনড্রন ফুলে পাহাড় রক্তিম বর্ণ ধারণ করে।

সুইজারল্যান্ড

আভিজাত্য ও স্বচ্ছতার প্রতীক এডেলওয়াইজ সুইজারল্যান্ডের জাতীয় ফুল; Source: NationalPedia

‘এডেলওয়াইজ’ সুইজারল্যান্ডের জাতীয় ফুল হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর জেনেভা ও জুরিখের পুষ্প প্রদর্শনীতে এডেলওয়াইজ ফুলের বিভিন্ন প্রজাতির সমারোহ পুষ্প দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ‘এডেলওয়াইজ’ জার্মান শব্দ, ‘এডেল’ মানে নোবল  ও ‘উয়াইজ’ মানে হোয়াইট। ‘নোবল হোয়াইট’ এর বাংলা আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় অভিজাত সম্প্রদায় ও স্বচ্ছতার প্রতীক। আল্পসের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এই ফুলের সমারোহ দেখা যায়। শোনা যায়, এর উৎপত্তি হিমালয় ও সাইবেরিয়ায়। পাহাড়ের অনেক উপর ফোটে এই ফুল। অপূর্ব সুগন্ধে মাতোয়ারা করে দেয় চারিদিক। কথিত রয়েছে কোনো প্রেমিক তার প্রেমিকাকে এডেলওয়াইজ উপহার দেওয়াই ছিল সেই প্রেমের সার্থকতা।

ভুটান

দুর্লভ প্রজাতির ব্লু পপিকে জাতীয় ফুল হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে ভুটান; Source: pomegranatesandgrapes.com

পূর্ব হিমালয়ের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ভুটানের জাতীয় ফুল ব্লু পপি। বিশ্বের অন্যতম দুর্লভ একটি ফুল। এই দুর্লভ ফুল হিমালয় উপত্যকায় দেখতে পাওয়া যায়। গাছের প্রতিটি কান্ডে ৪-৫টি ফুল ফোটে। আর এই দুর্লভ প্রজাতির ফুলকে ভুটান দিয়েছে জাতীয় ফুলের মর্যাদা।

রাশিয়া

ক্যামোমিলের নানা ওষধি গুণের কারণে জাতীয় ফুলে মর্যাদা দিয়েছে রাশিয়া; Source: The Apricity

বহু বছর ধরে ক্যামোমিল রাশিয়ার জাতীয় ফুল হিসেবে পরিচিত। এই ফুল থেকে একরকম ভেষজ চা তৈরি করা হয়, যা ক্যামোমিল নামেই পরিচিত এবং স্বাস্থ্যকরও। চায়ের সঙ্গে এই ক্যামোমিল ফুল মিশিয়ে খেলে মানসিক চাপ দূর হয়। একইসঙ্গে এটি অন্ত্রের গ্যাস ও পেশীর ব্যথা দূর করতে, ক্যান্সার এবং ক্ষত নিরাময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অস্ট্রেলিয়া

অদ্ভুত সৌন্দর্যমাখা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুল; Source: Amnesty International

গোল্ডেন ওয়াট্ল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুল। এই ফুলের আনাগোনা সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ায় পয়লা সেপ্টেম্বর ওয়াট্ল দিবস হিসেবে পালিত হয়। সাধারণত হলুদ হলেও কিছু প্রজাতি সাদা রঙেরও হয়। সুগন্ধী হওয়ায় এই ফুল পারফিউম, সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

ইংল্যান্ড

ভালোবাসার প্রতীক গোলাপ ফুলকে জাতীয় ফুল হিসেবে বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ড; Source: Urldircom

গোলাপ ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুল। সারা বিশ্বে এই ফুলকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে মানা হয়, যা আধুনিক মানুষের কাছে সৌন্দর্যের প্রতীক ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে সমাদৃত। Rosaceae পরিবারের Rosa গণের এক প্রকারের গুল্ম জাতীয় গাছে গোলাপ ফুল ফুটে থাকে। প্রায় ১০০ প্রজাতির বিভিন্ন বর্ণের গোলাপ ফুল রয়েছে। গোলাপ পাঁপড়ির গড়ন ও বিন্যাসে এক অপরূপ নান্দনিকতা রয়েছে, যা মানুষকে আকৃষ্ট করে। তবে গোলাপের নিজস্ব কোনো গন্ধ নেই। গন্ধ উৎপাদনের ক্ষমতাও নেই গোলাপের। গোলাপী বর্ণ ছাড়াও নানা বর্ণের গোলাপ জন্মে থাকে। এর মাঝে আছে লাল, হলুদ, সাদা, সবুজ ইত্যাদি। এর নানা বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক গুণও আছে। এই ফুল থেকে তৈরি ওষুধ পাকস্থলীর সমস্যা, এমনকি ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা

কিং প্রোটিয়া নামের প্রাচীন এক উদ্ভিদ পরিবারের সদস্যকে জাতীয় ফলের স্বীকৃতি দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা; Source: Go4TravelBlog

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম এক শক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে ‘প্রোটিয়াস’ বলার কারণ দেশটির জাতীয় ফুল প্রোটিয়া। মূলত প্রোটিয়া থেকে এই প্রোটিয়াস শব্দের উৎপত্তি। ফুলটির স্থানীয় নাম ‘কিং প্রোটিয়া’।

এটি অতি প্রাচীন প্রোটিয়াসিয়া উদ্ভিদ পরিবারের সদস্য৷ এই ফুলের ১,৫০০ প্রজাতির মধ্যে ৩৩০টি প্রজাতিই পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। গাছের পাতা ও ফুল বিভিন্ন আকৃতি এবং ফুলের রঙেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। গুচ্ছাকারে এই ফুল ফোটে বলে বাগানে সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে ফুলগুলো টিকে থাকে৷ গাছ থেকে ফুল তুলে আনার পরও সহজে নষ্ট হয় না।

১৭৩৫ সালে গ্রীক দেবতা প্রোটিয়াসের নামানুসারে ফুলটির নাম দেয়া হয় প্রোটিয়া। দেবতা প্রোটিয়াস ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারতেন। দেবতার এই চরিত্রের সাথে ফুলের সাদৃশ্য লক্ষ্য করে ফুলটির নাম প্রোটিয়া দেয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে এই ফুল ফোটে। অনুর্বর মাটিতেও এই গাছ সহজে বেড়ে উঠতে পারে।

ফ্রান্স

বুদ্ধি, বিশ্বাস এবং শৌর্যের প্রতীক ফ্রান্সের জাতীয় ফুল আইরিস; Source: 123Countries.com

ফ্রান্সের জাতীয় ফুল আইরিস। এই ফুলের তিনটি পাঁপড়ি বুদ্ধি, বিশ্বাস এবং শৌর্যের প্রতীক। সাদা থেকে বেগুনি পর্যন্ত রামধনুর সব ক’টি রঙের বাহারই আছে এই ফুলে।

আইরিস’ শব্দটি গ্রীক, এর অর্থ রংধনু। গ্রিক দেবী আইরিশের নামানুসারে এই ফুলের নামকরণ হয়েছে। গ্রিকদের বিশ্বাস, দেবী আইরিস রংধনু ব্যবহার করে চলতে পছন্দ করেন। তিনি ছিলেন ভালোবাসার বার্তাবাহক। তাই আইরিস ফুলকেও বার্তা প্রেরণের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিভিন্ন রঙের আইরিস ফুলের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম বার্তা পাঠানো হয়। নীল আইরিস ফুল আস্থা-বিশ্বাস এবং আশার প্রতীক। আবার সাদা আইরিস পবিত্রতার পরিচয় বহন করে।

নীল, বেগুনি, হালকা গোলাপি এবং কমলা, সাদা এবং হলুদ রঙের হয় আইরিস ফুল। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বেগুনি আইরিস। কালেভদ্রে কালো রঙের আইরিস ফুলও পাওয়া যায়। বিশ্বের নানা স্থানে প্রায় ২০০ ধরনের আইরিস ফুল রয়েছে। আইরিস ফুলের গাছ অনেকটা রজনীগন্ধার মতো। কুন্দ থেকে নতুন চারা হয়। পাতাগুলো হয় লম্বা। প্রায় সব ঋতুতেই এ ফুল ফোটে।

আইরিস ফুল শুধু সৌন্দর্যের দিক থেকেই অতুলনীয় নয়, তার রয়েছে অসাধারণ সব গুণও। এই ফুলের শিকড় ব্যবহৃত হয় ত্বকের চিকিৎসায়। কসমেটিকস তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফুলটির রস।

ভারত

জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সৌভাগ্য, সম্মান ও দীর্ঘ জীবনের প্রতীক পদ্মকে  জাতীয় ফুলের মর্যাদা দিয়েছে ভারত; Source: gl.wikipedia.org

ভারতের জাতীয় ফুল পদ্ম। ইংরেজি নাম লোটাস। বহু বছর ধরে এই ফুল ভারতের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সৌভাগ্য, সম্মান ও দীর্ঘ জীবনের প্রতীক। কাদামাটিতে জন্মানো এ ফুলকে মন ও আত্মার বিশুদ্ধতার প্রতীক হিসেবেও কল্পনা করা হয়। ভারত ছাড়া ভিয়েতনামেরও জাতীয় ফুল পদ্ম। এছাড়া মিশরে এই ফুলকে সূর্যদেবের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। এই ফুলের অনেক বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও আছে। এর থেকে তৈরি ওষুধ কিডনি এবং হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশ

অতি পরিচিত সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল; Source: worldoffloweringplants.com

নদীমাতৃক বাংলাদেশের জাতীয় ফুল সাদা শাপলা। সাদা শুভ্রতার প্রতীক। জলজ প্রস্ফুটিত শাপলা হলো অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক। শাপলা প্রাচুর্য আনে আর বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার মেহনতি মানুষের পুষ্টির প্রধান উপকরণও এটি। অথচ অযত্নে লালিত, নদী-নালা, খালবিল ও জলাশয়ে ফুটে থাকে এই শাপলা। আর তাই দেশ স্বাধীন হবার পরই শাপলাকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হিসেবে মর্যাদা দিতে দু’বার ভাবতে হয়নি তৎকালীন সরকারকে।

খালবিল বা জলাশয়ে যখন শত শত শাপলা ফুটে থাকে আলো করে, তখন মনে হয় যেন তারার মেলা বসেছে। বিভিন্ন রঙ ও আকারের শাপলা ফুলের দেখা পাওয়া যায়। শাপলা জলজ উদ্ভিদ। গাছটির কান্ড মাটির নিচে থাকে, যা শালুক নামে পরিচিত। এর পাতা লম্বা বোঁটাযুক্ত। পাতা পানির উপর ভাসমান থাকে। কান্ড থেকে লম্বা ডাঁটাযুক্ত ফুলের কলি বের হয়। লাল শাপলা ও সাদা শাপলা বেশি দেখা গেলেও নীল রঙের ভিন্ন প্রজাতির শাপলাও কদাচিৎ দেখতে পাওয়া যায়।

ফিচার ইমেজ: scontent-sin6-2.cdninstagram.com

Related Articles

Exit mobile version