ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ: এক পতঙ্গভূক উদ্ভিদের গল্প

সৃষ্টির শুরু হতে যেদিন পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই শুরু হয়েছে তাদের বৈচিত্র্যময়তার। পুরো পৃথিবীব্যাপী নানা জাতের নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে যাদের সঠিক সংখ্যা জানাও মানুষের পক্ষে অসম্ভব। বেঁচে থাকার জন্য এসকল উদ্ভিদ ও প্রাণী খাবারের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সব প্রাণী পুষ্টির জন্য একই প্রকার খাবারের উপর নির্ভর করে না।

খাবারের ভিত্তিতে প্রাণিজগৎকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ ১) তৃণভোজী, যারা পুষ্টির জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল, ২) মাংসাশী, যারা পুষ্টির জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল এবং ৩) সর্বভূক, যারা উভয় প্রকার খাদ্যই ভক্ষণ করে।

প্রায় সকল উদ্ভিদেরই পুষ্টি গ্রহণ পদ্ধতি একই রকম হয়ে থাকে। অর্থাৎ এরা মাটিস্থ পানি ও খনিজ লবণ এবং বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইডকে কাজে লাগিয়ে খাবার প্রস্তুত করে। কিন্তু কেমন হবে যদি কোনো উদ্ভিদ পুষ্টির জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল হয় অর্থাৎ সহজে বলতে গেলে প্রাণীদের ভক্ষণ করে? কথাটা অবাস্তব মনে হলেও পৃথিবীতে এমন উদ্ভিদ আছে যাদের মাংসাশী উদ্ভিদ (Carnivorous plants) বলে এবং এদের মধ্যে ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ (Venus Flytrap, Dionaea Muscipula) একটি অন্যতম উদ্ভিদ। আজকের লেখায় থাকছে রহস্যময় এই পতঙ্গভূক উদ্ভিদ (Insectivorous Plants)  সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপের ফাঁদে আটকে পড়া পতঙ্গ

উদ্ভিদ পরিচিতি ও বর্ণনা

ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ মূলত দ্বিবীজপত্রী (Dicotyledones) উদ্ভিদ হলেও কিছু কিছু প্রজাতি একবীজপত্রী (Monocotyledones) হয়ে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে এদের ৬টি বর্গের ৯টি গোত্রের মোট ৫৯৫টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ উদ্ভিদ হতে ভিন্ন কিছু শারীরতত্ত্ব এবং বৈশিষ্ট্যময় অভিযোজনিক ক্ষমতার জন্য চার্লস রবার্ট ডারঊইন তাঁর ‘Insectivorous Plants’ নামক রচনায় একে ‘পৃথিবীর সবথেকে অদ্ভুত উদ্ভিদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যদিও তিনি এর অদ্ভুত খাদ্যগ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু কোনো সঠিক ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেন নি।

একটি প্রাপ্তবয়স্ক উদ্ভিদে ৪ থেকে ৭টির মতো পাতা থাকে

এদের পাতা মূলত দুই অংশে বিভক্ত- (১) সালোকসংশ্লেষণে সক্ষম, চ্যাপ্টা, হৃদপিণ্ড সদৃশ অংশ এবং (২) দুটি চ্যাপ্টা লোব (Lobe) যারা পাতার মধ্যশিরা বরাবর একসঙ্গে যুক্ত থাকে। বলা যায় লোব সদৃশ দুটি পাতা একসাথে মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ পাতা তৈরী করে। লোবের ভেতরের পৃষ্ঠে এন্থোস্যায়ানিন নামক পিগমেন্ট থাকে ফলে তা লাল বর্ণ ধারণ করে এবং এই পৃষ্ঠ মিউসিলেজ নিঃসরণ করে। লোব দুটির মাঝে একটি ভাঁজ থাকে এবং এদের কিনারা জুড়ে থাকে ট্রিগার নামক কিছু সংবেদনশীল সুতাসদৃশ অংশ। এই ট্রিগার পাতার ফাঁদে আটকা পড়া শিকারকে পালিয়ে যেতে প্রতিরোধ করে।

লোবের ভেতরের পৃষ্ঠ লালবর্ণের যা অসংখ্য ট্রিগার ধারণ করে।

প্রজনন পদ্ধতি

গ্যামেট (Gametophytic) এবং স্পোর (Sporophytic) উভয় পদ্ধতিতেই ফ্লাইট্র্যাপের বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক উদ্ভিদ পাতা হতে বেশ কিছুটা উপরে লম্বা ডাঁটাযুক্ত ফুল ধারণ করে। কারণ এর ফলে পরাগায়নরত পতঙ্গগুলো পাতার ফাঁদে আটকা পড়ে না। ফুল হতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু বীজ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এই বীজ থেকে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয়।

এই উদ্ভিদের রাইজোম হতেও নতুন উদ্ভিদ পাওয়া যায়। সাধারণত এদের পাতার সংখ্যা চারটি থেকে সর্বোচ্চ সাতটির মতো হয়ে থাকে। যখন এর পাতার সংখ্যা বেড়ে যায় তখন মূল উদ্ভিদ হতে বিভক্ত হয়ে আরেকটি উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়। আবার পাতাকে মাটিতে ফেলে রাখলেও এর কিনারা হতে নতুন উদ্ভিদ জন্ম নিতে পারে।

ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপের বীজ

খাদ্যগ্রহণ ও পুষ্টিব্যবস্থা

অন্যান্য উদ্ভিদের মতোই ফ্লাইট্র্যাপ মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ অর্থাৎ পুষ্টি এবং বায়ু থেকে প্রয়োজনীয় গ্যাসীয় উপাদান সংগ্রহ করে। কিন্তু বাস্তবে এই পুষ্টি এই উদ্ভিদের জন্য অপ্রতুল এবং এরা মাটি ও বায়ু থেকে খুব কম পরিমাণ পুষ্টিই সংগ্রহ করে থাকে। কারণ এরা পুষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রকার পতঙ্গের উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ এরা প্রাণিজ পুষ্টির উপরই নির্ভর করে।

ফ্লাইট্র্যাপের খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া খুব মজার। পতঙ্গকে আকৃষ্ট করতে এরা একপ্রকার সুগন্ধী রস উৎপাদন করে এবং এই সুগন্ধের প্রলোভনে পতঙ্গ এগিয়ে যায় তার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে। যখন কোনো বাহ্যিক বস্তু বা প্রাণী (যেমন পতঙ্গ) একের অধিক ট্রিগার স্পর্শ করে বা একটি ট্রিগারে একাধিকবার স্পর্শ করে, তখন আকস্মিকভাবে লোব দুটি ভাঁজ হয়ে যায় এবং ভেতরে থাকা পতঙ্গ লোবের এই ফাঁদে আটকা পড়ে।

ট্রিগার এতই সংবেদনশীল যে, স্পর্শ করার প্রায় এক সেকেন্ডের দশ ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যেই লোবের এই ফাঁদ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু উদ্ভিদের পুষ্টি সচেতনতা এখানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ যদি পতঙ্গটি খুব ছোট হয় তখন লোব দুটি আস্তে আস্তে বন্ধ হয় যেন পতঙ্গটি বেরিয়ে যেতে পারে। এর কারণ এই যে ক্ষুদ্র পতঙ্গ থেকে খুব কম পরিমাণ পুষ্টিই পাওয়া যায়। তবে কোনো পতঙ্গ না হয়ে যদি কোনো জড় পদার্থ (যেমন পাথরের টুকরা) এই ফাঁদে প্রবেশ করে তাহলে ফাঁদটি ১২ ঘন্টার মধ্যেই আবার খুলে যায়।

বন্ধ হয়ে যাওয়া ফাঁদের ভেতর আটকে পড়া পতঙ্গ

যখন খাদ্যবস্তু হিসেবে কোনো পতঙ্গ ফাঁদের ভেতর বন্দী হয় তখন লোবের গায়ে অবস্থিত সিলিয়া নামক আঙ্গুলসদৃশ অভিক্ষেপগুলো পতঙ্গকে আটকে রাখে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফাঁদটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ফাঁদটি একটি বায়ুরোধী প্রকোষ্ঠের মতো কাজ করে যা ব্যাকটেরিয়াকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না।

কিন্তু যদি পতঙ্গ আকারে বড় হয়ে যায়, তখন ফাঁদ সহজে এবং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হতে পারে না। ফলে পতঙ্গটি বেরিয়ে আসতে পারে। এতে করে ব্যাকটেরিয়া ভেতরে প্রবেশ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো সিলিয়াকে আক্রমণ করে এবং পাতাকে পঁচিয়ে ফেলে। পরিশেষে আক্রান্ত পাতাটি ঝরে যায়।

ফাঁদের তুলনায় বৃহৎ পতঙ্গ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে

কিন্তু যদি খাদ্যবস্তুটি স্বাভাবিক আকারের হয়, তখন ফাঁদটি সহজে বন্ধ হয়ে যায় এবং লোবপৃষ্ট হতে পাচকরস নিঃসৃত হয়। এই রসের প্রভাবে পতঙ্গের কোমল ও অভ্যন্তরীণ অংশ গলিত, দ্রবীভূত হয়ে পুষ্টি সরবরাহ করে। পতঙ্গের বহিরাবরণ বা কঠিন অংশগুলো উদ্ভিদ হজম করতে পারে না। প্রায় পাঁচ থেকে বারো দিনের মধ্যে পরিপাকক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং পাতাটি পুনরায় উন্মুক্ত হয় নতুন পতঙ্গের অপেক্ষায় । কঠিন ও অপাচনযোগ্য অংশগুলো পরে বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যায় বা বায়ু প্রবাহের দ্বারা উড়ে যায়। লোব হতে এন্টিসেপ্টিক রসও ক্ষরিত হয় যা মৃত পতঙ্গটিকে প্রায় ১২ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত ও জীবাণুমুক্ত রাখে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে যদি কেউ উদ্ভিদটিকে খাওয়াতে কোনো মৃত পতঙ্গ এর পাতার ফাঁদে দেয়, তাহলে লোবগুলো বন্ধ না-ও হতে পারে। কারণ জীবন্ত পতঙ্গের নড়াচড়ার কারণেই লোবের ট্রিগার বন্ধ হয় এবং লোব ভাঁজ হয়ে যায়। যেহেতু মৃত পতঙ্গ নড়াচড়া করতে অক্ষম, সেহেতু লোব বন্ধ হতে পারে না। তবে মৃত পতঙ্গটিকে যদি নাড়াচাড়া করা হয় তখন ফাঁদ বন্ধ হতেও পারে।

এই অদ্ভুত প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

ফ্লাইট্র্যাপের এরূপ সংবেদনশীলতার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। কারণ এই উদ্ভিদের কোনো স্নায়ুতন্ত্র নেই, নেই কোনো মাংসপেশী বা রগ। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণামতে একপ্রকার তরলচাপের প্রভাবে লোবে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয় এবং এই তড়িৎপ্রবাহের কারণেই লোব বন্ধ হয়ে যায়। লোবের ট্রিগারগুলো ‘মেকানোসেন্সর’ (Mechanosensor) হিসেবে কাজ করে যা যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। পতঙ্গের নড়াচড়ার কারণে ট্রিগারে যে চাপের সৃষ্টি হয় তা তড়িৎশক্তি হিসেবে পাতার মধ্যশিরা বরাবর প্রবাহিত হয়। এর ফলে বিশেষ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রপথে লোবের অভ্যন্তরীণ কোষ থেকে পানি বহিঃস্থ কোষে প্রবাহিত হয় যা লোবে রসস্ফীতির সৃষ্টি করে। রসস্ফীতির কারণেই লোবগুলো বন্ধ হয়ে যায়, অর্থাৎ ফাঁদ আটকে যায়।

ট্রিগার, যা মেকানোসেন্সর হিসেবে কাজ করে

অনেকের কাছে উদ্ভিদে এই তড়িৎ সিগন্যাল তৈরী হওয়া উদ্ভট মনে হতে পারে। কিন্তু মৌলিক পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান এর তত্ত্বমতে সব উদ্ভিদের কোষেই তড়িৎ সিগন্যাল উৎপন্ন হয়। যখন কোষঝিল্লী বিভিন্ন ঘনত্বের আয়নসমূহ পৃথক করে তখন সেখানে তড়িৎবিভবের সৃষ্টি হয়। এর ফলে তড়িৎপ্রবাহেরও সৃষ্টি হয় যা কোষঝিল্লীর ভেদ করে বেরিয়ে আসে। কোষঝিল্লীর বিশেষ প্রোটিন চ্যানেল এই প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। মূলত কোষঝিল্লীর ভেতরে ও বাইরে নিয়ন্ত্রিত আয়ন প্রবাহকেই বলে তড়িৎ সিগন্যালিং যা প্রত্যেক উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষে ঘটে থাকে।

আবার ‘অম্লবৃদ্ধি’ তত্ত্ব অনুযায়ী (Acid Growth Theory) লোবের বহিঃস্থ কোষ এবং পাতার মধ্যশিরা বরাবর হাইড্রোজেন আয়নের (H+) প্রবাহের কারণে এর pH কমে যায় এবং একইসাথে কোষের অতিরিক্ত উপাদানসমূহ কমে যায়। এর ফলে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় লোবের সংকোচন ও প্রসারণ সম্ভব হয়।

কোথায় পাওয়া যায়?

মাংসাশী উদ্ভিদ সারাবিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও ফ্লাইট্র্যাপ কেবল আমেরিকার উত্তর ও দক্ষিণ ক্যরোলাইনার স্যাঁতসেঁতে জলাভূমি অঞ্চলেই পাওয়া যায়। সাধারণত যেসব পরিবেশে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস মাত্রা কম, সেসব পরিবেশে এরা জন্মায়। উল্লেখ্য নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস উদ্ভিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হয় এ কারণেই ফ্লাইট্র্যাপ বিকল্প পুষ্টির উৎস হিসেবে প্রাণীর প্রতি নির্ভর করে। অবশ্য একে সফলতার সাথেই পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে জন্মানো গেছে। ভ্রমণকারীরা ভালো লাগার কারণে এই উদ্ভিদগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় সংগ্রহ করে যা আজ তাদের বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে গ্রীন হাউজের ভেতর এই উদ্ভিদের চাষ করা হয়।

এরা একক বা কলোনি আকারে বাস করতে পারে

বিকল্প ঔষধ

ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপের নির্যাস বাজারে আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে পাওয়া যায় যা ‘কার্নিভরা’ (Carnivora) নামক একটি পেটেন্টকৃত ঔষধের মূল উপাদান। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে মানুষের বিভিন্ন রোগ; যেমন এইচআইভি (HIV), ক্রোন রোগ (Crohn’s Disease) এবং চর্ম ক্যান্সারের (Skin Cancer) চিকিৎসায় বিকল্প ঔষধ হিসেবে ফ্লাইট্র্যাপের নির্যাস কার্যকরী হবে। যদিও এখনো এর কোনO সঠিক মেডিক্যাল ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে মাংসাশী উদ্ভিদের কথা শুনলে অনেকেই অবাক হয়ে যান। কিন্তু প্রকৃতি যে আসলেই রহস্যময় সেটা সবার অজানাই থেকে যায়। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৫০০ প্রজাতির মাংসাশী উদ্ভিদ আছে যাদের খাদ্যতালিকায় ক্ষুদ্র পতঙ্গ থেকে বৃহৎ মাকড়সা পর্যন্ত তালিকাবদ্ধ। তবে মানুষের অতিরিক্ত কৌতুহলজনিত কারণে এইসকল বিচিত্র উদ্ভিদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

(Venus: রোমান দেবী যাকে ভালোবাসার দেবী বলা হয় (Venus De Milo)। Dionaea: গ্রীক দেবী আফ্রোদিতি। Muscipula: ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ ‘ইঁদুরের ফাঁদ’। Mechanosensor: একপ্রকার সেন্সর যা যান্ত্রিক শক্তিকে শনাক্ত করতে পারে এবং প্রয়োজনে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে।)

 

তথ্যসুত্র

১) botany.org/bsa/misc/carn.html

২) science.howstuffworks.com/life/botany/venus-flytrap.htm

৩) scienceline.org/2010/03/how-does-a-venus-flytrap-work/

৪) bioweb.uwlax.edu/bio203/s2007/knoblauc_kris/

৫) en.wikipedia.org/wiki/Venus_flytrap

Related Articles

Exit mobile version