মার্কিন মদদে মোসাদ্দেকের পতন এবং ইরানের দুঃখ

১৯৫১ সালে ইরানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক। এর আগেও দুইবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোসাদ্দেক ইরানের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত ছিলেন।

৩৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইরানের তেল সম্পদকে জাতীয়করণ করেন তিনি। এতে করে মোসাদ্দেক সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত হয় ব্রিটেন। কেননা সে সময় ইরানের তেল সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রিটিশদের।

মোহাম্মদ মোসাদ্দেক; Image Source: Northeastern Illinois University

মোসাদ্দেক দেশীয় সম্পদকে জাতীয়করণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণ করেছেন ঠিকই। কিন্তু ইরানের তৎকালীন রাজা (শাহ) মোহাম্মদ রেজা পাহলভীর সঙ্গে সম্পর্ক-স্থাপন করেননি কিংবা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে বসতেও চাননি।

ওদিকে ইরানের তেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিটেন তখন বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য কামনা করে। এই ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানে মোসাদ্দেক বিরোধী অভ্যুত্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নেমে পড়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

মূলত শাহের সঙ্গে মোসাদ্দেকের বিরোধিতাকে পুঁজি করেই পরপর দুইবার ইরানে সরকার-বিরোধী অভ্যুত্থানের বীজ বপন করে সিআইএ। শাহের সমর্থকদের দিয়ে তেহরান-সহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে অবরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তারা।

দ্বিতীয় দফায় ইরানের মোসাদ্দেক-বিরোধী গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছিল এবং ১৯৫৩ সালের আগস্টে রেজা শাহ এক বিশেষ ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেককে বহিষ্কার করেন। মোসাদ্দেক সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ইরানে রেজা শাহের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একই সময় দেশটিতে মার্কিন হস্তক্ষেপও শুরু হয়।

তেহরানে অভ্যুত্থান; Image Source: AFP VIA GETTY IMAGES

মূলত বর্তমান সময়ে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যে দ্বন্দ্ব বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে, তার সুন্দর শুরুটা ঠিক ১৯৫৩ সালে মোসাদ্দেকের পতনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছিল। শাহ সর্বক্ষমতা নিজের হাতের মুঠোয় পাওয়ার বিনিময়ে বৈদেশিক বাণিজ্য এবং তেল সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দিতে থাকেন।

যদিও এই সুবিধা বেশিদিন ভোগ করতে পারেনি দেশটি। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের মধ্যদিয়ে শাহের পতন ঘটে এবং আয়াতুল্লাহ খোমেনি দেশটির সর্বক্ষমতা অর্জন করেন। আর ঠিক তখনই দুই দেশের দ্বন্দ্বের কুৎসিত রূপ প্রকাশ্যে আসে।

টাইম ম্যাগাজিনে মোহাম্মদ মোসাদ্দেক; Image Source: TIMES

নানারকম প্রতিকূলতা ফেরিয়ে দেশটি পশ্চিমাদের থাবা থেকে নিজেদের তেল সম্পদকে মুক্ত করেছিল ঠিকই, কিন্তু ইতোপূর্বেই তারা মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের মতো শাসককে নিজেদের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল।

১৯৫৩ সালে মোসাদ্দেককে পদচ্যুত করে জেলে বন্দী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন শাহ। পরবর্তীতে জেল থেকে ছাড়া পেলেও গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। আর এমন গৃহবন্দী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯৬৭ সালে তেহরানের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেক। তাকে উৎখাতের ঘটনাটিকে গণতন্ত্রের পথে ইরানের অগ্রযাত্রায় অন্যতম বড় আঘাত হিসেবে দেখে ইরানের শিক্ষিত সমাজ।

আজ আমরা মোসাদ্দেকের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা, গণঅভ্যুত্থানে সিআইএর ভূমিকা সম্পর্কে জানব।

উত্থান

মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক ১৮৮২ সালের ১৬ জুন তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তার পুত্র হওয়ার সুবাদে মোসাদ্দেকের ছেলেবেলা কেটেছিল অভিজাত পরিবেশে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনে তিনি সুইজারল্যান্ডের লসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ল ডিগ্রি অর্জন করেন। ইউরোপে শিক্ষাজীবনের ইতি টেনে মোসাদ্দেক ১৯১৪ সালে দেশে ফেরেন এবং একটি প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন।

মোহাম্মদ মোসাদ্দেক; Image Source: Foriegn Policy

প্রাদেশিক গভর্নর হিসেবে সফলতা অর্জন করায় ১৯২১ সালে রেজা খানের অধীনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্জন করেন তিনি। অতঃপর স্বল্প সময়ের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও নিযুক্তি ছিলেন মোসাদ্দেক।

এরই মাঝে ১৯২৩ সালে ইরানের পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু ১৯২৫ সালে রেজা খান যখন ইরানের শাহ হিসেবে নিযুক্ত হন, তখন তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। এরপর অবসর গ্রহণে বাধ্য হয়ে শেষমেশ সাধারণ জীবনযাপনই বেছে নেন মোসাদ্দেক।

১৯৪১ সালে রেজা খানের পতনের পর আবারও পার্লামেন্টে ফেরেন মোসাদ্দেক। সে সময় উত্তর ইরানে তেল উত্তোলনের জন্য সোভিয়েত অনুদান প্রত্যাখ্যানে ইরানের পার্লামেন্টে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

একইভাবে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রিত তেলের খনি সমূহকে দখল মুক্ত করার উদ্যোগও হাতে নেন। তার আপোসহীন ভূমিকা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে বড়সড় বিপ্লব সৃষ্টি করে; যা তাকে দিন দিন ইরানের রাজনীতিতে সফলতার সুউচ্চ আসনের দিকে ধাবিত করছিল।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তেহরানে উচ্ছ্বাসিত মোসাদ্দেক; Image Source: Elise Swain/The Intercept; photo: AP

অতঃপর ইরানে অবস্থিত ব্রিটিশ মালিকানাধীন অ্যাংলো ইরানি তেল কোম্পানিগুলোকে জাতীয়করণের উদ্যোগ হাতে নেন মোসাদ্দেক। বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে পার্লামেন্টে তিনি তেলসম্পদ জাতীয়করণের গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হন।

১৯৫১ সালের মার্চ মাসে পার্লামেন্ট নতুন প্রস্তাবটি মেনে নেয় এবং ইরানের তেল সম্পদ জাতীয়করণের পক্ষে ভোট দেয়। তখন ইরানের শাহ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু পার্লামেন্টের পূর্ণ সমর্থন মোসাদ্দেকের পক্ষে থাকায় ইরানের শাহ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে বাধ্য হন।

মোসাদ্দেক বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে সিআইএ’র ভূমিকা

তেল সম্পদ জাতীয়করণের প্রথম পদক্ষেপে বিপাকে পড়ে ইরান। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটি। সেকালে ব্রিটেন ছিল ইরানি তেলের বৃহত্তম বাজার।

ব্রিটিশদের উৎখাতের পর নতুন তেলের বাজার সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইরানের শাহের সঙ্গে মোসাদ্দেকের দ্বন্দ্ব দিন দিন বাড়তেই থাকে। এমন পরিস্থিতে ইরানে নিজেদের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গোপনে শাহ, অর্থাৎ মোহাম্মদ রেজা পাহলভীকে হাত করে ব্রিটেন এবং তাদের সাহায্যকারী সিআইএ।

রেজা শাহ এবং থিওডোর রুজভেল্ট; Image Source: 
DW

ইরানে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজব্যবস্থা এবং রাজনীতি প্রচলনের চেষ্টা চালানোয় মোসাদ্দেক যেমন খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, ঠিক তেমনি বৃহৎ একটি অংশ তার এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল। বিরোধী পক্ষের লোকেরা ছিল একাধারে সাম্প্রদায়িক, অন্যদিকে শাহের মদদপুষ্ট।

সিআইএ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোসাদ্দেক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এক করতে অর্থ বিনিয়োগ শুরু করে। জেনে রাখা ভালো যে, ব্রিটেন এবং সিআইএ এই গোপন মিশনটি পরিচালনা করেছিল শুধুমাত্র রেজা শাহকে পুনরায় ইরানের সকল ক্ষমতার কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য। অন্যদিকে, রেজা শাহ চেয়েছিলেন মোসাদ্দেককে পদচ্যুত করে বিশেষ ক্ষমতাবলে দেশ শাসন করতে।

মোসাদ্দেক-বিরোধী অভ্যুত্থানে সিআইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন কেরমিট রুজভেল্ট। তিনি ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের নাতি। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সিআইএ শাহের সমর্থকদের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের স্বল্প অর্থে অভ্যুত্থানে অংশ নিতে প্ররোচিত করে। ১৯৫৩ সালের আগস্টে মাত্র চার দিনের মাথায় দুই দফায় অভ্যুত্থান পরিচালনা করে সিআইএ।

কেরমিট রুজভেল্ট; Image Source: AP

সিআইএ’র স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোসাদ্দেককে হটানোর এই ষড়যন্ত্রে তারা ইরানি প্রশাসনকেও ব্যবহার করেছিল। দেশটির সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের অর্থায়নে অনেক বিশ্লেষক যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান।

প্রথমত সিআইএ’র এজেন্টরা সামরিক বাহিনীর বিশেষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে খুঁজে বের করে নিজেদের পরিকল্পনা জানাতেন। সামরিক বাহিনীর লোকদের আকৃষ্ট করতে এই পুরো ঘটনার পেছনে রেজা শাহ রয়েছেন বলে আশ্বস্ত করা হতো। মূলত বিপথগামী কর্মকর্তাগণ তখন কোনোভাবেই বোঝেননি যে, তারা সিআইএ’র এজেন্টদের খপ্পরে পড়েছেন।

১৯৫৩ সালের মার্চে তেহরানে নিযুক্ত সিআইএ’র এজেন্টরা নিশ্চিত করেন শাহ সমর্থিত একদল সেনাসদস্য সরকার-বিরোধী অভ্যুত্থান পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে। সাথে সাথে মার্কিন প্রশাসন ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের সিদ্ধান্ত নেয়। উদ্দেশ্য ছিল, যে কোনো মূল্যে মোসাদ্দেককে উৎখাত করা।

এই কাজে সিআইএ’কে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল ফাজলুল্লাহ জাহেদী। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি নিজেই রেজা শাহকে হটিয়ে ইরানের ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে চেয়েছিলেন। একই সময় শাহকে সাহস যোগাতে তার বোন প্রিন্সেস আশরাফকে ফ্রান্স থেকে ইরানে নিয়ে আসে সিআইএ’র এজেন্টরা।

অভ্যুত্থান চলাকালীন তেহরানের রাজপথ; Image Source:
AP

১৯৫৩ সালের জুন মাসে ব্রিটিশ এজেন্টরা সিআইএ’র সঙ্গে বৈরুতে সর্বশেষ সাক্ষাত শেষে অভ্যুত্থান সফল করার মূল কাজে নেমে পড়েন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বপ্রথম সাধারণ মুসলিম কমিউনিটিতে মোসাদ্দেক-বিরোধী মনোভাব তৈরিতে মনোযোগী হয় তারা। মসজিদ এবং ধর্মীয় নেতাদের বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয় তখন। ফলে প্রায় সর্বস্তরে মোসাদ্দেক সরকারের বিরোধিতা স্পষ্ট হয়।

একই সঙ্গে জাতীয় পত্রিকাগুলোকে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে বাধ্য করে সিআইএ। এতে করে দেশটির ছোট শহর এবং মফস্বলের মানুষ সত্য-মিথ্যা সংবাদের পার্থক্য বুঝতে পারেননি। অন্যদিকে, তেহরানের প্রায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক কর্মীই অর্থের বিনিময়ে শাহের সমর্থনে অভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিল।

আগস্টের ১৫ তারিখ প্রথম অভ্যুত্থানের পর মোসাদ্দেক জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন। কিন্তু এর মধ্যে তার ইম্পেরিয়াল গার্ডদের ব্যারাকে ফেরার নির্দেশনা আসায় তিনি বুঝতে পারেন, তার পতন সুস্পষ্ট। মোসাদ্দেকের সমর্থন দেওয়া কর্মকর্তাগণ শাহ-সমর্থিত সেনাদের হাতে আটক হন।

যদিও পরদিন রেডিও তেহরান প্রচার করে, সরকার-বিরোধী অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে। এমতাবস্থায় এই অভিযানে সিআইএ’র প্রধান হিসেবে নিযুক্ত কেরমিট রুজভেল্ট তেহরানে অবস্থিত মার্কিন অ্যাম্বাসি থেকে বের হয়ে জেনারেল ফাজলুল্লাহ জাহেদীকে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করেন। মূলত জেনারেল জাহেদী সিআইএ’র সঙ্গে প্রতারণা করে মোসাদ্দেকের জায়গায় দখল করতে চেয়েছিল।

মোসাদ্দেক-বিরোধীদের অগ্নিসংযোগ; Image Source:
CNN

অতঃপর ১৭ আগস্ট রেজা শাহ বাগদাদে বসে মোসাদ্দেককে পদচ্যুত করার ঘোষণা দেন। যদিও পরবর্তীতে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক দাবি করেন ঐ ঘোষণা পত্রটিও সিআইএ’র এজেন্টদের তৈরি। আর এর সপক্ষে যথাযথ প্রমাণও রয়েছে।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে মোসাদ্দেকের পতন ঘটে এবং রেজা শাহ ইরানের সকল ক্ষমতা এক হাত করে নেন। দীর্ঘদিন জেল খেটে পরবর্তীকালে গৃহবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করেন মোসাদ্দেক। ২০১৩ সালে সিআইএ আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মধ্যদিয়ে মোসাদ্দেক-বিরোধী অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে নেয়।

গৃহবন্দী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক; Image Source: Leuven Pageperso

ইরানের সর্বশেষ গণতান্ত্রিক শাসক মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের এমন অপ্রত্যাশিত পতন এখন অবধি ইরানের মানুষের স্পষ্ট দুঃখ। মাত্র ২ বছরের মধ্যে তিনি ইরানে যতটুক সুখ্যাতি পেয়েছিলেন, দেশটির আর কোনো শাসকই তেমনটি অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু তার দেশপ্রেম তাকে ইরানের মজলিস থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। মোসাদ্দেকের পর ইরানের শাহ ইরানকে কতটুকু দিয়েছেন- সেটি অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু তার পতন সরাসরি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে এটি পুরোপুরি স্পষ্ট।

This Bengali article is about the Iranian nationalist Prime Minister Muhammad Mossadegh. The Iranian military, with the support and financial assistance of the United States government, overthrows the government of Mohammad Mosaddeq and reinstates the Shah of Iran.

Featured Image Source: Popular Resistance.Org

Related Articles

Exit mobile version