খুব স্বাভাবিক একটি দিন শুরু হল আপনার। চোখ রগড়ে বিছানা থেকে ওঠার আগেই ফেসবুক, টুইটার ঘাঁটা শেষ। মুহূর্তে জেনে গেলেন আজকে নেটে ঝড় তোলা বিষয় কোনটি, সবচেয়ে মজার ভিডিও কোনটি, সবচেয়ে বাজে খবর কোনটি। ঘুমের জন্য যতটুকু সময় অফলাইনে গেল, সেটা আপনি পুষিয়ে নেন বাকিদিন অনলাইন থেকে।
এই অনলাইনের দুনিয়াটা বেশ মজার। সবাই প্রায় একই রকম জিনিস জানছে, শেয়ার করছে, কথা বলছে। কিন্তু সবকিছুই হচ্ছে একটা আড়াল রেখে। একটি ছদ্মনামের আড়াল, একটি অ্যানিমেটেড অ্যাভাটারের আড়াল। চিন্তা করে দেখলে সেটা কিন্তু বেশ স্বস্তিদায়ক একটা অনুভূতি। বাস্তব জীবনে সাত চড়ে রা না করা ভদ্র আপনি এই জগতে হয়ে যেতে পারেন ক্ষুরধার বক্তা! রাজা-উজির মেরে দিন কাটাতে পারেন। নতুন বন্ধু তৈরি করতে পারেন অথবা মুণ্ডুপাত করতে পারেন যে কারো!
তেমনি একটা সাধারণ দিনের কথা। দেখলেন আজকের সবচেয়ে আলোচিত ভিডিওটি। দেখলেন অমুক তারকা একটি বাজে কথা বলেছে অথবা বাজে কিছু করেছে। ওমনি রিপোস্ট করে সাথে একটা জ্বালাময়ী পোস্ট দিয়ে বসলেন। আর নিচে হ্যাশট্যাগ #Die!
মৃত্যু কামনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে আপনি যারপরনাই আনন্দিত। একটু পর পর দেখলেন আর কে কে গলা মেলাল আপনার সাথে। সবকিছু ঠিক। শুধু সন্ধ্যায় জানতে পারলেন যে তারকার মৃত্যু কামনা করছেন তাকে একটু আগে মৃত পাওয়া গেছে তার ফ্ল্যাটে। মৃত্যুর কারণ অজ্ঞাত। কেউ ধরা পড়েনি এখন পর্যন্ত। শুধু এখানেই শেষ না। অনলাইনে এক রহস্যময় মানুষ আপনাকে জানাচ্ছে, আপনি চাইলেই যে কারো মৃত্যু কামনা করতে পারেন এভাবে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর যে মানুষটা সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে, তাকে মেরে ফেলা হবে।
দারুণ ক্লান্তিকর একঘেঁয়ে জীবনে এ এক নতুন খেলা! বাঘের মুখে নরমাংসের স্বাদ প্রথমবার লাগার মতো। আপনি ভোট দিচ্ছেন, সত্যি সত্যি সে মানুষটা মারা যাচ্ছে আর একটু একটু করে রক্ত মাখছে সবার হাতেই। এরপর? সে মানুষটা না হয় তার পাপের শাস্তি হিসেবে নিয়তির মতো অমোঘ মৃত্যু মাথা পেতে নিচ্ছে, কিন্তু আপনি? আপনার পাপের বোঝা কি একটু একটু করে পূর্ণ হচ্ছে না সেই সাথে? সেটার বিচার কে করবে? আমরা যখন কারো খারাপ চাইতে মরিয়া হয়ে উঠি, সবার সামনে কাউকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এমনকি সাইবার বুলিং করি- তখন কি বুঝি যে এই ছোট্ট ছোট্ট লাইক কিংবা শেয়ার জড়ো হয়ে অনেক বিশাল কিছু হয়ে যায়?
বলা হচ্ছিল ‘ব্ল্যাক মিরর’ টিভি সিরিজের একটি এপিসোডের কথা- Hated in the Nation যার মূলনাম। এখন পর্যন্ত ৪টি সিজন মিলিয়ে বের হয়েছে মোট ১৯টি এপিসোড- ১৯টি ছোট গল্প। ব্ল্যাক মিররকে যদি জীবনের মতো একটি চকলেটের বক্স হিসেবে চিন্তা করি, তবে এটা মিক্স ফ্লেভারের চকলেট বক্স হবে। একেকটা এপিসোডের স্বাদ একেকরকম।
মূলত চার্লি ব্রুকার রচিত এই ব্রিটিশ সিরিজটির ঘরানা যদি বলতে হয় তবে সেটি কয়েকটি বিশেষণের সমন্বয় হবে- সাইফাই, স্যাটায়ার এবং ডার্ক। আগ্রাসী প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে মানবিক বিষয়, মূল্যবোধগুলো শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটার একটি নিরীক্ষা বলা চলে এই সিরিজকে।
সাইফাই জনরার নাম শুনলেই মাথা আসে রোবট, একগাদা অ্যাকশন, মারামারি আর এলিয়েনের কথা। অথচ ব্রুকার তার মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন এখানেই। খুব সাধারণ একটি পরিবেশ আর মানুষজনকে নিয়েই যে দিব্যি তৈরি করা যায় সায়েন্স ফিকশন তা তিনি প্রত্যেকটি পর্বে দেখিয়েছেন।
এই সিরিজ দেখার অভিজ্ঞতার সাথে সাঁতার শেখার অভিজ্ঞতাকে খানিকটা মেলানো যায়। কিছু না জেনেই আপনি প্রথবে ডুব দেবেন এর শান্ত গভীর জলে। আপনি বুঝতে পারবে না কাহিনীর সময়টা কবে, কী করছে সবাই, সব গেজেটও আপনি চিনবেন না। এরকম এক পরিস্থিতিতে আপনি যেটা করবেন সেটা সহজাত। অনুমান করার চেষ্টা করবেন, মনে মনে নিজে একটি কাহিনী সাজাবেন আয়নার ভাঙ্গা টুকরো জোড়া লাগানোর মতো করে। কাহিনী এগোতে থাকবে। আপনি দেখবেন, এতক্ষণ যা যা আন্দাজ করেছেন কিছুই মিলছে না। এরপর আপনি যেটা করবেন সেটাও খুব অনুমেয়। হাল ছেড়ে দেবেন। এতক্ষণ ভেসে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে অবশেষে আপনি স্রোতের সাথে তাল মেলাবেন। কিচ্ছু ভাববেন না, আগে থেকে আন্দাজ করবেন না- কাহিনী যেদিকে যাবে, আপনিও সেদিকে যাবেন। ঠিক সেই মুহূর্তে আপনি ধরতে পারবেন পুরো গল্পটা! আসলে মনটা পানির মতন সহজ করলে ভেসে ওঠাও খুব সহজ!
সিরিজের মোট ১৯টি গল্পের প্রতিটির সময়কাল ভিন্ন, এমনকি পৃথিবীটাই ভিন্ন। কোনোটাতে আপনি দেখতে পাবেন এমন এক পৃথিবী আর সময়, যেখানে মানুষ তার প্রতিটি স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পারে- এমনকি প্রয়োজন মত রিপ্লেও করতে পারে।
অথবা এমন এক সমাজ যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া একটি প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ অংশ মানুষের জীবনে। সবাই রেটিং করছে সবাইকে। পাঁচের মধ্যে যাদের রেটিং ৪ এর উপরে, তারা অভিজাত শ্রেণীর। অনেকটা ফেসবুক সেলিব্রেটির মতো। তবে তফাত হচ্ছে এই সমাজে একটি ১ লাখ ফলোয়ারওয়ালা ব্যক্তির বাস্তব জীবনে কোন কাজে আসে না এই খ্যাতির যা কিছু সবই ভার্চুয়াল। কিন্তু এই সমাজে একটি মনমত বাড়ি কিংবা চিকিৎসা পেতে শুধু যে টাকা থাকা লাগবে তা-ই না, সোশ্যাল রেটিংও ভালো থাকা লাগবে। অনেকটা উবার ড্রাইভারদের মতো অবস্থা। রেটিং ভালো, সবাই আপনাকে সমাদর করবে, আর একটু কালির ছিটা পড়ুক, আপনি হবেন অচ্ছুৎ। তাই প্রাণপণে সবাই চেষ্টা করে ভাল হয়ে থাকার যাতে পয়েন্ট না কমে। বেশ সুন্দর একটা ব্যবস্থা, তাই না? মোরাল পুলিশিং। কিন্তু অন্ধকার দিকটা? মানুষ প্রাণপণে চেষ্টা করতে করতে ধীরে ধীরে শুধু লোক দেখানো কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, প্রচন্ড মেকি হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে রাখছে। গালিগালাজ করছে না কেউ, কাঁদছে না কেউ- অথচ মাঝে মাঝে আমাদের কিন্তু খারাপ অনুভূতি প্রকাশেরও দরকার আছে।
ভাল সাজতে গিয়ে আমরা পড়ছি একেকটা মুখোশ- সেটা তো এখনকার ফেসবুকেও হয়, তাই না? Nosedive এপিসোডটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কিসের দিকে ধাপে ধাপে এগুচ্ছি আমরা।
অথবা ধরুন একটা অফিসের কথাই (USS Callister – S04 E01)। গেম বানান আপনি। কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, অথচ নিজের কাজের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু পাচ্ছেন না। দর্শকের সহানুভূতি উথলে পড়ল আপনার উপর। আহা! বেচারী চুপচাপ একটা মানুষ- অফিসে জনপ্রিয় হতে পারছে না, কেবল একমনে নিজের কাজ করে যাচ্ছে। কাউকে কিচ্ছু বলছেও না। আর বাকিরা? ইশ! মানুষের তো একটু ভদ্রতা থাকে! সবাই মিলে একটা নিরীহ মানুষকে এমন একঘরে করে কেউ রাখে?
এরপর দৃশ্য পরিবর্তন হল। দেখা গেল গোবেচারা গেম ডেভেলপারটি ঠিকই চিনে রাখছে কারা কারা তার সাথে এমন দুর্ব্যবহার করছে। তাদের কফির কাপ, থুতু থেকে সংগ্রহ করছ ডিএনএ স্যাম্পল। এরপর বাসায় গিয়ে তৈরি করছে অনলাইন ক্লোন- নিজের একটা গেমে। অর্থাৎ আপনাকে সারাদিন অফিসে জ্বালায় যে মানুষগুলো সেই মানুষগুলোকে আপনি নিজে সৃষ্টি করে যা ইচ্ছা তাই করতে পারছেন। নিজের বানানো এই গেইমে আপনিই ঈশ্বর। বেশ সুবিধাজনক একটা অবস্থা, না?
এরপর দেখবেন এই নিরীহ গোবেচারাটি ঈশ্বর সমান হয়ে গেলে কেমন নির্দয় হয়ে উঠে! এরকম কি অল্পবিস্তর আমরা সবাই না? ক্ষমতা নেই বলে আজ চুপ থাকি। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো বখাটে ছেলেটা শুধু মেয়েটার ওড়না টান দিয়েই সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু যদি একবার সে অচিন্ত্যনীয় পরিমাণ ক্ষমতা পেয়ে যায়? এরপর কি হবে কেউ বলতে পারে না। ক্ষমতা মানুষের ভেতরের দেবদূতকে যেমন টেনে আনতে পারে, তেমনি পারে ঘুমন্ত দানবকে ডেকে তুলতে।
সমাজ গেল, অফিস গেল, এরপর বাসার ভেতর ঢোকা যাক। Be Right Back (S02 E01) এপিসোডটিতে বলা হয় এক মেয়ের কথা, যে সদ্য তার স্বামীকে হারিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। প্রচন্ড ঘোরের মতো একটা সময়- কী হচ্ছে কিচ্ছু বোঝা যায় না। লাশ কফিনে তোলা হল, মাটি দেয়া হল, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া গেল। সবকিছুর এত ব্যস্ততা যে শোক করারই সময় নেই।
এরপর সব শেষ হল।
মেয়েটি বাসায় ফিরল। একসময় দুজনের খুনসুটিতে যে বাসাটা উচ্ছল থাকতো- সেটা একদম নিশ্চুপ। দর্শক এই সময় মেয়েটির জায়গায় নিজেকে দেখবে। হৃদয়ভাঙ্গার খেলার সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত। কোন এক দুপুরে কি কেউ কারো জন্য নীরবে আর্তনাদ করেনি? সব থেকেও শুধু একজনের জন্য সমস্ত পৃথিবী ফাঁকা কি কারো লাগেনি? হ্যাঁ, এই অভিজ্ঞতাগুলো আছে সবার।
ঠিক এই জায়গায় একটি ছন্দপতন। দর্শক দেখছে গল্পের সেই মেয়েটির হাতে এক অভূতপূর্ব সুযোগ। মৃত্যুর পরও সে কথা বলতে পারবে তার স্বামীর সাথে। কিচ্ছু করতে হবে না, শুধু তার প্রয়াত স্বামীর সব মেসেজ, ইনবক্স ট্রান্সফার করে দিতে হবে একটা সফটওয়্যারে। আর্টিফিশিয়াল একটা ইন্টেলিজেন্স সেটা ঘেঁটে দেখবে, গবেষণা করবে এবং শেষপর্যন্ত এমন একটা সফটওয়্যার বানাবে যা মেয়েটিকে হুবহু তার স্বামীর মতো করে মেসেজ দিবে, কথা বলবে। একই কথা বলার ভঙ্গি, মজা করার ভঙ্গি, একই গলার স্বর। বাহ! বেশ তো! এরকম যদি কিছু সত্যি সত্যি থাকতো!
এরপর ঘটনার দ্রুত পরিবর্তন। মেয়েটির সামনে সুযোগ প্রিয় মানুষটিকে দেখতে পাবার। হুবহু তার স্বামীর মতো দেখতে, শুনতে, বলতে একটি রোবট সে চাইলেই অর্ডার দিতে পারে। দর্শক এই পর্যায়ে দ্বিধান্বিত। মেয়েটির কি উচিত না এখন এগুলো বন্ধ করার? কারণ প্রথম দিকে শোক ভুলবার জন্য সে এরকম কাজ করলেও, এখন একটা রোবট এনে একটু অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে না?
ঠিক এই কাজটাই করে ব্ল্যাক মিরর। মানুষের দৈনন্দিন কিছু, পরম কামনার কিছু পর্দার সামনে এনে মানুষকে দ্বিধাগ্রস্থ করে। ঠিক কি বেঠিক- এই হিসেব মিলাতেই সময় যায়। তাই ব্ল্যাক যতটা না পর্দার চরিত্র নিয়ে কাজ করে, তার থেকেও বেশি করে পর্দার বাইরের মানুষগুলো নিয়ে। ব্ল্যাক মিরর নামটা কিন্তু সেখান থেকেই এসেছে!
কিছু একটা দেখা শেষ হলে টিভি কিংবা ল্যাপটপের পর্দা যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন দর্শক কিন্তু তার প্রতিবিম্ব দেখতে পায় সেখানে- স্থির তাকিয়ে আছে নিজের দিকে। ব্ল্যাক মিরর সিরিজটি ঠিক এরকমই একটা আয়না। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সেটি শেষ পর্যন্ত দর্শককে তার নিজের কথা মনে করিয়ে দেয়।
দর্শক দেখে, ভাবে, তর্ক করে, মনের মধ্যে গেঁথে রাখে এই মানবিক দ্বিধাগুলোকে। কখনোই পুরোপুরি ফুরিয়ে যায় না সেটি। এখানেই ব্ল্যাক মিররের সার্থকতা।
আর সে জন্য এই সিরিজের জনপ্রিয়তা কম নয়, বরং পারদের তুঙ্গে। প্রথম দিকে সিরিজটিতে শুধুমাত্র ব্রিটিশ অভিনেতারা কাজ করলেও, সিজন ২ এর স্পেশাল এপিসোড White Christmas এ অভিনয় করেন মার্কিন অভিনেতা জন হ্যাম। এর কারণ মূলত প্রথম দুই সিজন ব্রিটিশ প্রোডাকশন হাউজ জেপোট্রনের হলেও পরে সিরিজটি হাত বদল হয়ে আসে মার্কিন প্রোডাকশন কোম্পানি নেটফ্লিক্সের কাছে।
দর্শকের কাছে ব্ল্যাক মিররের সমাদর অন্যরকম। পুরো সিরিজটি Rotten Tomatoes -র মতে ৯৬% ফ্রেশ। এছাড়া অধিকাংশ এপিসোডের IMDb রেটিং ৮ এর ঘরে, ৭ এর ঘরে আছে মাত্র তিনটি। সবচেয়ে বেশি রেটিং White Christmas (S02 E04) এর, যা কিনা ৯.২। আর সবচেয়ে কম রেটিং জুটেছে Metalhead (S04 E05) এর কপালে, কিন্তু সেটাও ৬.৮। অবশ্য ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকে সবারই। কারো কারো মতে এই Metalhead থাকবে লিস্টের প্রথম সারিতে। আর সবগুলোর মধ্যে San Jinepuero (S03 E04) জিতে নিয়েছে সিরিজের প্রথম অ্যামি এওয়ার্ড, Outstanding Television Movie এর ছকে।
ব্ল্যাক মিরর আসলে কোনো সময় কাটানোর হালকা সিরিজ না, আবার একশ রকম প্লটলাইন মনে রাখার মতো পরিশ্রমসাধ্য কোনো সিরিজও না। সমাজ, রাজনীতি, পারিবারিক জীবন- কী নেই গল্পগুলোর মাঝে! শুধু যে হতাশা আর প্রযুক্তির কুৎসিত রূপই দেখায় তা না, ব্ল্যাক মিরর আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় সান জুনিপেরো নামের স্বর্গের সাথেও। আশার কথা শোনায় আমাদের, বলে দেয় কোনো প্রযুক্তিই খারাপ না যদি আমরা একটা সীমার মধ্যে সেটাকে ব্যবহার করি।
এভাবে মানুষের মনের গোপন, গভীর যে যায়গাটুকু সেখানে খুব সন্তপর্ণে জায়গা করে নেয় এই সিরিজটি। তাই দেখবেন একদিন আপনি নিজের অজান্তেই এর কাহিনীগুলো চিন্তা করতে করতে হারিয়ে যাবেন অতলে। খুব সুন্দর একটা সময় কাটানোর জন্য তাই এর থেকে ভালো আর কিছু হতেই পারে না।
ফিচার ইমেজ: Netflix