Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করে যেভাবে নির্ণয় করবেন বন্ধুর গুণাগুণ!

বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপের মতোই একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে মানুষের সিগনেচার বা স্বাক্ষর। স্বাক্ষর, সই বা দস্তখৎ, যা-ই বলুন না কেন, আপনার স্বাক্ষরটি কিন্তু পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের স্বাক্ষর থেকে ভিন্ন হবার সম্ভাবনাই অনেক বেশি। প্রতিটি মানুষের স্বাক্ষরই অনন্য, যার কিনা অন্য কোনো মানুষের সাথে মিলে যাবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর এজন্যই একজন মানুষের জীবনে স্বাক্ষর এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শৈশবে স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে বয়সকালে বয়স্কভাতার রশিদ পর্যন্ত সর্বত্রই সই করতে হয়। কোনো ব্যক্তির সই হচ্ছে তার দ্বিতীয় চেহারা। জাতীয় পরিচয়পত্রে একবার যে সই করবেন, তা দিয়েই কাজ চালাতে হবে জীবনভর। এক্ষেত্রে স্বাক্ষরকে একজন ব্যক্তির দ্বিতীয় চেহারা বলাটা সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত।

যেভাবে কাজ করে গ্রাফোলজি; image source: myhandwriting.com

তবে স্বাক্ষর সংক্রান্ত আলোচনায় কৌতূহল এনে দিয়েছে ‘গ্রাফোলজি’ তথা হস্তলিপির দ্বারা আচরণ নির্ণয় সংক্রান্ত বিদ্যা। গ্রাফোলজির নানান গবেষণা ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমাদেরকে বলে দেয় কীভাবে আপনার স্বাক্ষর দেখে আপনার মুখ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো বলে দেয়া যাবে। অর্থাৎ, আপনার স্বাক্ষরের গঠন প্রকৃতি ব্যাখ্যা করে পাওয়া যাবে আপনার চারিত্রিক সার্টিফিকেট! স্বাক্ষরের আকার, প্রথম অক্ষরের আকার, বক্রতা, ডটের ব্যবহার, নিম্নরেখার ব্যবহার ইত্যাদি দ্বারা কীভাবে সেই সার্টিফিকেট তৈরি করবেন তা-ই জানা যাক চলুন।

আকার

স্বাক্ষরের আকার কোনো ব্যক্তির প্রকৃতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাক্ষর যত বড় হয়, ধারণা করা হয় ঐ ব্যক্তির আত্মমর্যাদাবোধ তত বেশি হয়! বড় করে স্বাক্ষর করা ব্যক্তি নিজের সাধারণত অন্যদের চেয়ে অধিক আত্মবিশ্বাসী হন। আবার, সামাজিক পদমর্যাদায় উপরের স্তরের মানুষজন সাধারণত বড় করে স্বাক্ষর করে থাকেন! তাছাড়া বড় স্বাক্ষর প্রদানকারী ব্যক্তি তার পরিচিতজনের কাছে অধিক প্রত্যাশা রাখতে ভালোবাসেন। কারো হাতের লেখার চেয়ে স্বাক্ষরের আকৃতি বড় হলে তার সম্বন্ধে এই ধারণাগুলো করতে পারেন।

ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ বড় করে সই করেন; image source: iconspng.com

অন্যদিকে মাঝারি আকৃতির স্বাক্ষর তথা যে স্বাক্ষরের আকৃতি স্বাক্ষরদাতার হাতের লেখার সমান বা প্রায় সমান, তা ঐ স্বাক্ষরকারীর নিজের সম্পর্কে গভীর বোধের প্রতি ইঙ্গিত করে। এক্ষেত্রে স্বাক্ষরকারী তার চারপাশের লোকজন তাকে নিয়ে কী ভাবছে বা তার কর্মকাণ্ড কীভাবে গ্রহণ করছে সে সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন থাকেন। অন্যদিকে নিজের হাতের লেখার চেয়ে ছোট স্বাক্ষর প্রদানকারী ব্যক্তির রয়েছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। এই ব্যক্তি নিজের যোগ্যতা এবং কৃতিত্বের প্রশংসা বা স্বীকৃতি দাবি করেন না বা করতে চান না। এক্ষেত্রে দুটি কারণ থাকতে পারে। তিনি হতে পারেন অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী যিনি কারো স্বীকৃতি বা সমালোচনার ধার ধারেন না। অথবা তিনি হতে পারেন আত্মবিশ্বাসের তলানীতে থাকা একজন মানুষ।

স্বাক্ষরের আধেয়

কোনো ব্যক্তির সইয়ের মধ্যে তার নামের কত অংশ উপস্থিত থাকে তা হতে পারে নির্ধারক। বেশীরভাগ মানুষই সই করতে গিয়ে তাদের প্রথম এবং শেষ, উভয় নামই লিখে থাকেন। কিন্তু যারা তা করেন না, তাদের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনাধীন।

১) যারা কেবল নামের প্রথম শব্দটি দিয়ে স্বাক্ষর করেন, তারা স্বাধীনচেতা হন। এ ধরনের মানুষেরা নিজেকে ভালোবাসেন এবং আত্মনির্ভরশীল হবার চেষ্টা করেন। তাছাড়া নামের প্রথম শব্দ ব্যবহারকারীরা পরিবারের সাথে খুব একটা ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেন না।

২) নামের শেষ শব্দ ব্যবহারকারীরা হন ঠিক উল্টো। তারা পরিবারের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন এবং নির্ভরশীল হন। স্বাধীনভাবে কিছু করার ক্ষেত্রে এই শ্রেণীর মানুষ পিছিয়ে থাকেন।

৩) নামের প্রথম শব্দটির একটি অক্ষর এবং শেষনাম পুরোটা ব্যবহার করে স্বাক্ষর করাও একটি জনপ্রিয় স্টাইল। এই স্টাইল অনুসরণকারীরা জীবনের সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পছন্দ করেন।

৪) আগে শেষ নাম, তারপর প্রথম নাম, এভাবে স্বাক্ষরকারী মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এ ধরনের মানুষ অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ এবং সর্বদা অন্যের স্বার্থ নিজের চেয়ে বড় করে দেখার চেষ্টা করেন।

৫) শুধুমাত্র নামের বিভিন্ন অংশের প্রথম বর্ণগুলো দিয়ে স্বাক্ষর করার স্টাইলটি বেশ প্রচলিত, যেটি নির্দেশ করে স্বাক্ষরদাতার ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা। এই শ্রেণীর মানুষ নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বাইরে আলোচনা করতে পছন্দ করেন না। এক্ষেত্রে একটি উদাহরণ না দিলেই নয়। ব্যক্তিগত বিষয়াবলী মানুষ সবচেয়ে বেশি শেয়ার করে ফেসবুকে। অথচ ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান সিইও মার্ক জাকারবার্গের স্বাক্ষর কিনা বলে তিনি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে ভালোবাসেন!

মার্ক জাকারবার্গের স্বাক্ষর; image source: writeopinions.com

বোধগম্যতা

প্রায়শই একটি কথা শোনা যায়, ডাক্তারদের অনেক বেশি এবং দ্রুত লিখতে হয় বলে তাদের হাতের লেখা দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। এ কথা একেবারেই অমূলক। কেননা লেখার স্পষ্টতার সাথে গতি কিংবা পরিমাণের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক ডাক্তারের হাতের লেখাই স্পষ্ট এবং সহজপাঠ্য হয় যা এর বড় প্রমাণ। দস্তখতের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একদম এক। কেউ দ্রুত স্বাক্ষর করবার জন্য দুর্বোধ্যভাবে লেখে না, বরং স্বাক্ষর দুর্বোধ্য বা বোধগম্য করাটা ব্যক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। স্বাক্ষরের বোধগম্যতার উপর ভিত্তি করে গ্রাফোলজি মানুষের আচরণ নিম্নোক্ত উপায়ে নির্ধারণ করে থাকে।

১) অনেকেই একাধিক স্বাক্ষর ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে যখন কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যবসায়িক চিঠি বা কাগজে দুর্বোধ্য সই ব্যবহার করেন, তখন বুঝতে হবে ঐ ব্যক্তি নিজের সম্বন্ধে বেশি কিছু জানাতে আগ্রহী নন, অথবা নিজেকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন না।

২) যারা একটাই স্বাক্ষর ব্যবহার করেন এবং সেটি অত্যন্ত দুর্বোধ্য হয়, তারা কথায়-কাজে দাম্ভিক হন!

৩) স্বাক্ষরের শেষ শব্দ অধিকতর স্পষ্ট এবং প্রথমটি দুর্বোধ্য হলে বুঝতে হবে স্বাক্ষরদাতা সহজে কারো সাথে মেশেন না। এক্ষেত্রে তিনি বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে যথেষ্ট সময় নিতে চান এবং বন্ধুকে পরখ করে দেখে নিতে চান। তাছাড়া এরকম স্বাক্ষরদাতারা যথেষ্ট আবেগপ্রবণও হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন ওয়ারেন বাফেটের স্বাক্ষরটা দেখেছেন কি?

ওয়ারেন বাফেটের স্বাক্ষর; image source: goldinauctions.com

৪) বিপরীতক্রমে যে ব্যক্তির নামের প্রথম শব্দটি স্পষ্ট এবং শেষেরটি দুর্বোধ্য তিনি অত্যন্ত সহজগম্য এবং বন্ধুবৎসল হন। এ ব্যক্তি নিজে থেকেই বন্ধুত্ব করবার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান।

৫) সম্পূর্ণ বোধগম্য এবং সহজপাঠ্য দস্তখৎ, স্বাক্ষরকারীর উদারমনা চিন্তাভাবনার পরিচায়ক। এই শ্রেণীর মানুষজন তাদের স্বাক্ষরের মতোই সহজাপাঠ্য এবং স্বচ্ছ থাকতে ভালোবাসেন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে এরকম স্বাক্ষর রয়েছে গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের, যিনি কিনা আসলেই খোলা বইয়ের মতো স্বচ্ছ।

৬) বোধগম্য হাতের লেখা আর দুর্বোধ্য স্বাক্ষর দেয়া মানুষগুলো অনেকটা অন্তর্মুখী (ইন্ট্রোভার্ট) হন। এরকম উদাহরণ হতে পারেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক।

৭) হাতের লেখা এবং স্বাক্ষর, উভয়ই যাদের দুর্বোধ্য, তারা সাধারণত রহস্যপ্রিয়। এ শ্রেণীর মানুষজন ইচ্ছাকৃত নিজের ব্যাপারে রহস্য সৃষ্টি করতে ভালোবাসেন এবং সাধারণত নিজেদের প্রকৃত ভাবনা গোপন রাখেন।

৮) দুর্বোধ্য হাতের লেখা আর স্পষ্ট স্বাক্ষর কিন্তু কিছুটা নেতিবাচক ধারণা দেয় লেখক সম্বন্ধে। এক্ষেত্রে লেখক মনোযোগ আকর্ষণ করতে ভালোবাসেন, সেটা যেকোনো উপায়েই হোক!

স্বাক্ষরের অবস্থান

টিম কুকের দুর্বোধ্য স্বাক্ষর; image source: drafthouse.com

কাগজের কোন অবস্থানে আপনি স্বাক্ষর করছেন তা দেখেও আপনার সম্বন্ধে জানা যেতে পারে অনেক কিছু। অবশ্য এক্ষেত্রে কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্র বা অফিশিয়াল ফর্ম বিবেচ্য নয়, কারণ সেগুলোতে স্বাক্ষরের নির্দিষ্ট স্থান থাকে। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে কোনো কাগজে স্বাক্ষর করতে গেলে যখন কেউ বাম দিকে স্বাক্ষর করে, তখন ধরে নিতে হবে তিনি স্মৃতিরোমন্থন করতে পছন্দ করেন, ভবিষ্যতের ভাবনা মাথায় না এনে অতীতেই ডুব দিয়ে থাকতে ভালোবাসেন। আবার স্বাক্ষর যখন হবে ডানদিকে, তখন স্বাক্ষরদাতার বৈশিষ্ট্য হবে একেবারেই বিপরীত। তিনি অতীত নিয়ে মোটেও ভাববেন না, বরং সর্বদা সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রাখবেন। তবে স্বাক্ষর যখন চলে আসবে খাতার মাঝখানে, তখন ব্যাখ্যাটাও খুব সহজেই মিলিয়ে নিতে পারবেন। এখানে স্বাক্ষরদাতা সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে পছন্দ করেন!

বক্রতা এবং অভিমুখ

স্বাক্ষরের বক্রতা এবং অভিমুখ উক্ত স্বাক্ষরকারীর হাতের লেখার সাথে তুলনা করে বেশ কিছু গুণগত তথ্যাদি পাওয়া যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তির হাতের লেখার চেয়ে স্বাক্ষর অধিক তীর্যক হয় এবং তা উর্ধ্বগামী হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তি হবেন আশাবাদী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী। বিপরীতক্রমে, স্বাক্ষর নিম্নগামী হলে স্বাক্ষরদাতা হবেন নৈরাশ্যবাদী। তবে উভয়ক্ষেত্রেই ব্যাখ্যাটি না মেলার এবং বিপরীত হবারও সুযোগ রয়েছে। তবে যাদের স্বাক্ষর হস্তাক্ষরের মতোই একেবারে সরলরেখায় যায়, তারা জীবনে অধিক স্থির হয়ে থাকেন কিংবা হবার চেষ্টা করেন। সবকিছুতে মধ্যমপন্থা অবলম্বনের একটি ঝোঁক থাকে এই শ্রেণীর মাঝে। বক্রতার উদাহরণ দিতে গেলে সবার আগে অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোসের স্বাক্ষর চলে আসবে। বেজোসের উর্ধ্বমুখী স্বাক্ষর তার সম্পর্কে সঠিক তথ্যটিই জানায় আমাদের।

ল্যারি পেজের সহজপাঠ্য স্বাক্ষর; image source: commons.wikimedia.org

অলঙ্করণ

অধিকাংশ মানুষের মধ্যে নিজের স্বাক্ষরকে নানাভাবে সাজিয়ে স্টাইলিশ করে তোলার প্রবণতা দেখা যায়। দাগ কাঁটা, নিম্নরেখা ব্যবহার করা, অতিরিক্ত ডট দেয়া সহ নানা উপায়ে দস্তখতকে সাজিয়ে তোলা যায়। সে উপায়গুলো আবার ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে।

১) পুরো স্বাক্ষরটিকে মাঝখান থেকে কেটে দেয়া একটি বিশেষ স্টাইল যা নেতিবাচক অর্থ বহন করে। এই স্বাক্ষরদাতা আত্মসমালোচনাকারী এবং নিজেকে নিয়ে অসন্তুষ্ট।

২) স্বাক্ষরের নীচে আন্ডারলাইন বা নিম্নরেখা ব্যবহার আরো বেশি নেতিবাচক অর্থপূর্ণ। যিনি এভাবে স্বাক্ষর করেন, তিনি সাধারণত আত্মবিশ্বাস হারিয়ে মাথা গোজার ঠাই খুঁজতে থাকেন। কর্তব্যে অনীহা এবং নিজের দায়িত্ব অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়েই তিনি নিশ্চিন্ত থাকতে ভালোবাসেন। আবার একই ব্যাপার অনেকসময় বিপরীত অর্থও প্রকাশ করে। স্বাক্ষরের নীচে নিম্নরেখা টানা ব্যক্তিটি আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুরও হতে পারেন! উদাহরণ চাই? পেপসিকোর বর্তমান সিইও ইন্দ্রা নোয়ির স্বাক্ষরটিই দেখুন তাহলে।

৩) স্বাক্ষরে বৃত্তের ব্যবহার অনেকটা আত্মরক্ষামূলক মনোভাবের পরিচায়ক। এক্ষেত্রে স্বাক্ষরদাতা আপনজনের কাছে সুরক্ষা আশা করে থাকেন।

৪) স্বাক্ষরের শেষে ফুলস্টপ বা ডটের ব্যবহার আত্মসর্বস্বতার পরিচায়ক। এরূপ স্বাক্ষরকারী যেকোনো ঘটনায় নিজেকেই শেষ কথা ভাবতে ভালোবাসেন!

৫) স্বাক্ষরের শেষে উল্লম্ব রেখা টেনে দেয়া সাধারণত অন্তর্মুখী মানুষের কাজ। এরা বাইরের জগতের সাথে একটি অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করে রাখেন এবং সে দেয়ালের ভেতরে নিজের ব্যক্তিগত জগতে বসবাস করতে ভালোবাসেন।

৬) স্বাক্ষরের নীচে দুবার নিম্নরেখা টেনে দেয়া স্বাক্ষরকারীর প্রচারাভিমুখিতার নির্দেশক। এক্ষেত্রে স্বাক্ষরকারী নিজের কৃতিত্ব সবাইকে জানাতে ভালোবাসেন।

৭) স্বাক্ষরের শেষে দুটি ডটের ব্যবহার দুবার নিম্নরেখা ব্যবহারের মতোই এবং একই অর্থ প্রকাশ করে।

৮) স্বাক্ষরের প্রথম বর্ণটি বড় হাতের কিংবা বেশ বড় করে লেখা উদ্ধত, অহংকারী মনোভাবের পরিচায়ক।

৯) স্বাক্ষরের প্রথম বর্ণটি অন্যান্যগুলোর চেয়ে অধিকতর ছোট হওয়া নম্রতা এবং বিনয়ের পরিচায়ক।

বিভিন্ন স্টাইলের সই; image source: 123RF.com

সবশেষ বলে রাখা ভালো যে, স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করে কোনো ব্যক্তির আচরণ নির্ধারণ ধ্রুব নয় এবং তা সকল ক্ষেত্রে না-ও মিলতে পারে। তবে নিঃসন্দেহে স্বাক্ষর দেখে কোনো ব্যক্তি সম্বন্ধে অল্পবিস্তর ধারণা করতে পারাটা মন্দ নয়। তাহলে আপনিও আপনার এবং আপনার বন্ধুদের স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করে দেখুন গ্রাফোলজি আপনার ব্যাপারে কতটা সত্য বলতে পারছে।

ফিচার ছবি: martinasclassesgoldcoast.com

Related Articles