আমরা অনেক সময়েই অফিস বা বন্ধুদের আড্ডায় এমন মানুষ দেখেছি যারা নিজের সম্পর্কে বেশ উঁচু ধারণা রাখে। কোনো বিষয়ে আলোচনা শুরু হলেই দেখা যায়, এ ধরনের লোকেরা বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে জ্ঞান জাহির করছে। যদিও তাদের জানাশোনায় বিস্তর অভাব রয়েছে, কিন্তু তারা নিজেদেরকে বিশেষজ্ঞের মতো করে প্রকাশ করে; তা আড্ডায়ই হোক, চায়ের দোকানে কিংবা রেস্টুরেন্টেই হোক। অনভিজ্ঞ বা স্বল্পজ্ঞানী কারো এভাবে নিজেকে জাহির করা বেশ বিরক্তিকরই বটে, আর আজকাল সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এরকম আচরণ খুঁজতে গেলে কোনো অভাব পাওয়া যাবে না। অনেক সময়ে তারা নিজেদেরকে বিশেষজ্ঞ দাবি করতেও পিছপা হয় না। এই আচরণের একটি নাম রয়েছে: ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট।
এটা কোনো রোগ বা মানসিক অসুস্থতা নয়। এটা একধরনের বুদ্ধিগত ভ্রান্তি যা সব মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু মাত্রায় পাওয়া যায়। এমনকি ধারণা করা হয়, মানুষের বুদ্ধিমত্তার বয়স যতটুকু, এই ভ্রান্তিও ঠিক ততকাল ধরেই মানব মস্তিষ্কে বিরাজ করছে। তবে, মনোবিজ্ঞানে এটা নিয়ে পড়ালেখা ও গবেষণা শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি।
ডেভিড ডানিং ও জাস্টিন ক্রুগার নামের দুইজন মনোবিজ্ঞানী সক্রেটিস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দার্শনিকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ব্যাপারে চিন্তাগুলো তথ্য-উপাত্ত আকারে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। জ্ঞান সম্পর্কে সক্রেটিস বেশ বিখ্যাতভাবেই বলেছিলেন,
একমাত্র সত্য জ্ঞান হচ্ছে এটা জানা যে তুমি কিছুই জানো না।
পরে, চার্লস ডারউইন এই কথাটিকে ভিন্ন আঙ্গিকে বলেছেন,
অজ্ঞতা জ্ঞানের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেয়।
সহজ ভাষায়, অযোগ্য লোক নিজের আসল সামর্থ্যের তুলনায় নিজেকে অনেক বেশি যোগ্য মনে করে। এই ব্যাপারটি পরীক্ষা করার জন্যে ডানিং ও ক্রুগার বিভিন্ন বিষয়ের উপরে মানুষের কুইজ নিয়েছিলেন। প্রতিটি কুইজের পরে আবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ঠিক কতজন মানুষের তুলনায় তারা ভালো পরীক্ষা দিয়েছে। এবং ডানিং এই পরীক্ষাটির ফলাফলে আশ্চর্য হয়েছিলেন, যদিও তার হাইপোথিসিসের সাথে তা মিলে গিয়েছিল। যেসব মানুষ পরীক্ষায় সবচেয়ে খারাপ করেছিল তারাই নিজেদের যোগ্যতাকে বাড়াবাড়ি রকমের বেশি বলে ভাবছিল। গড়ে যে দশ শতাংশ নাম্বার পেয়েছিল সে নিজেকে ৭০ শতাংশ নাম্বারধারীর র্যাংকে অবস্থান দিয়েছিল। এমনকি অনেকে বিশেষজ্ঞের মতোও কথা বলছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, তারা বিশ্বাসই করছিল যে, তারা ঐ বিষয়গুলোতে বিশেষজ্ঞ। ডানিং ও ক্রুগারের এই পরীক্ষাটি কমপক্ষে এক ডজন বিষয়ের উপরে চালানো হয়েছিল। যেমন: ব্যাকরণ, যৌক্তিক সিদ্ধান্ত, গাণিতিক দক্ষতা, দাবা, সার্জনদের মেডিক্যাল জ্ঞান ইত্যাদি। পরবর্তীতে, ১৯৯৯ সালের একটি পেপারে তারা নিজেদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন।
অযোগ্য লোকদের কাজ শুধুমাত্র ভুলে ভরপুরই নয়, তারা সঠিকভাবে নিজেদের সামর্থ্য মূল্যায়ন করতেও অক্ষম। একই কারণে আমরা অনেক সময়েই ভেবে থাকি যে, আমরা আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার উপযুক্ত। বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের জ্ঞান ও সামর্থ্যকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করে এবং নিজেদের কাজের প্রকৃতি উপলদ্ধি করতে অসমর্থ। গবেষকরা এই ব্যাপারটিকে চিন্তা করার সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যারা স্বল্পজ্ঞানের অধিকারী তারা একটি দ্বৈত সমস্যার শিকার: তারা ভুল উপসংহারেও পৌঁছায়, আবার তাদের অযোগ্যতা তাদের উপসংহারটি ‘ভুল’ তা বুঝার ক্ষমতাটুকুও কেড়ে নেয়।
ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট একজন মানুষের বিশ্বাস, সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং কার্যক্রমের উপরে বেশ বড় প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিজ্ঞানের একটি কুইজে পুরুষ ও নারী সমানরকমের পারদর্শিতা দেখালেও নারীরা নিজেদেরকে সেখানে অবমূল্যায়ন করছিল। তাদের বিশ্বাস ছিল, পুরুষের তুলনায় তাদের বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রয়োগের সামর্থ্য কম। এই বিশ্বাসের কারণেই তারা বিজ্ঞান সংক্রান্ত পড়ালেখা ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে অনীহা দেখায়।
ডানিং ও ক্রুগার ব্যাখ্যা করেছেন, ‘ডুয়েল বার্ডেন’ থেকেই এই মনস্তাত্ত্বিক ভ্রান্তিটির জন্ম। ডুয়েল বার্ডেন হচ্ছে, কোনো ব্যাপারে একইসাথে অযোগ্য হওয়া এবং যোগ্যতা মূল্যায়নে অসমর্থ হওয়া। মানুষের অযোগ্যতা তাদের নিজেদের যোগ্যতা মাপার মানসিক ক্ষমতাটুকুও কেড়ে নেয়। ফলস্বরূপ, এ ধরনের মানুষেরা নিজেদের দক্ষতাকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করে, নিজের ও অন্যদের আসল দক্ষতা মূল্যায়নে, নিজের ভুল চিহ্নিত করা ও তা শোধরানোর জায়গাগুলোতে ব্যর্থ হয়। ডানিং চিহ্নিত করেছেন, কোনো কাজে দক্ষ হওয়ার জন্যে যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, একই ব্যাপারগুলো সেই কাজে একজনের পারদর্শিতা বিচার করতে প্রয়োজন হয়। এই কারণেই, কারো এই জায়গাগুলোতে অভাব থাকলে সে শুধুমাত্র অযোগ্যই নয়, নিজের দক্ষতার প্রতি মূর্খতাও প্রদর্শন করে।
ডানিং-ক্রুগার ইফেক্টের ফলে একই প্রসঙ্গের আরো কিছু সমস্যা দেখা যায়। নিজের দৃষ্টিকোণের বাইরে গিয়ে অন্যের জায়গা থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে কোনো ব্যাপার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকে না। মানুষ বেশিরভাগ সময়েই নিজের সীমিত দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু বিচার করে। এই সীমিত দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ ও জ্ঞানী মনে হয়। এই কারণে নিজের আসল সামর্থ্য উপলদ্ধি করতে গেলে আমরা ভুল করে ফেলি।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, কোনো বিষয়ে সামান্য জ্ঞান অনেক সময়েই মানুষকে ভুল বিশ্বাসের পথে পরিচালিত করে যে, সে যা জানার রয়েছে তার সবটুকুই জেনে গেছে। এই নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি পুরনো প্রবাদও রয়েছে- অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।
স্বল্পজ্ঞান ডানিং-ক্রুগার ইফেক্টের ফলে কাউকে বিশেষজ্ঞ ভাবাতে পারে। তাছাড়াও, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে আমরা মানসিকভাবে অনেকগুলো শর্টকাট পদ্ধতি অনুসরণ করি যার ফলে বিভিন্নরকমের ভ্রান্তির সম্মুখীন হই। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে আমরা সবধরনের বিষয়েই প্যাটার্ন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিদিনের পৃথিবীতে আমরা যে তথ্য-উপাত্তের সম্মুখীন হই তা অত্যন্ত বিসদৃশ, সেখানে প্যাটার্ন খুঁজতে গেলে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ সময়ে ভুলের শিকার হতে হবে। এই ভুলগুলোই আমাদের সিদ্ধান্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় অনেক ধরনের প্রভাব ফেলে। ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট এরকমই অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্তের ফল।
দূর্ভাগ্যক্রমে, ডানিং ক্রুগার ইফেক্টে আমরা সবাই-ই কমবেশি আক্রান্ত। কারণ হচ্ছে, আমরা যতই জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ হই না কেন, কোনো না কোনো বিষয়ে আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দুইয়েরই স্বল্পতা রয়েছে। কেউই একসাথে সব বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারে না।
বাস্তবতা হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিতভাবে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। যারা কোনো ব্যাপারে সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ তারা অন্য যে ব্যাপারে অভিজ্ঞ নন, সেখানে নিজের ‘বিশেষজ্ঞ’ আত্মবিশ্বাস ব্যবহার করে ফেলেন। এভাবে ভুলভাবে নিজের বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রতিভাবান বিজ্ঞানী লেখালিখির ব্যাপারে অদক্ষ হতে পারেন। তার নিজের এই অদক্ষতাকে চিহ্নিত করতে হলে ব্যাকরণ ও রচনা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে তাকে। যেহেতু এই জ্ঞান তার মধ্যে নেই, তাই নিজের অদক্ষতাও তিনি চিহ্নিত করতে পারবেন না। কিন্তু যেহেতু তিনি বিজ্ঞানের একজন বিশেষজ্ঞ, এই পাণ্ডিত্যের আত্মবিশ্বাস তিনি ভুলক্রমে লিখালিখির কাজে বহন করে নিয়ে যেতে পারেন।
তবে, একটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে, ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট কোনোভাবেই কম বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়। এই ইফেক্টটি সম্পর্কে যতই সচেতনতা বেড়েছে একে ততই ‘বোকা’র সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যকে বিচার করা আমাদের জন্যে অনেক সহজ কিন্তু আমরা কখনো চিন্তা করি না যে একই ব্যাপার আমাদের ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
অযোগ্য লোকদের ব্যাপারে ডানিং-ক্রুগার ইফেক্টের ক্রিয়া সর্বাধিক দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে তাহলে এর প্রভাব কেমন? ডানিং এবং ক্রুগার খুঁজে পেয়েছেন যে, যারা সবচেয়ে বেশি জানেন তাদের ব্যাপারে ডানিং-ক্রুগার ইফেক্টের ক্রিয়া বিপরীত দেখা যায়। অন্যদের তুলনায় নিজেদের পাণ্ডিত্যের ব্যাপারটিতে নিজেদেরকে তারা অবমূল্যায়ন করে থাকেন। তারা জানেন যে, তারা গড় মানুষদের তুলনায় ভালো কিন্তু ঠিক কতোটুকু ভালো সে ব্যাপারে তাদের একটি বড় বিভ্রান্তি থেকে যায়। এখানে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা অন্য সব মানুষদেরকে সাধারণত ভালো বোদ্ধা মনে করার প্রবণতা দেখান।
স্বাভাবিকভাবেই এরপরে যে প্রশ্নটি মাথায় উকি দিতে পারে তা হচ্ছে, এই ভ্রান্তিটির মাত্রা কোনোভাবে কমানো বা এড়ানো যায় কিনা। এমন কোনো অবস্থান কি আছে যেখানে গিয়ে অসমর্থ লোকেরা নিজেদের অদক্ষতার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল হবে? এই ব্যাপারে ডেভিড ডানিং বলেছেন,
We are all engines of misbelief.
যদিও সব মানুষই এই ভ্রান্তিপ্রবণ হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের মন এবং চিন্তা কীভাবে কাজ করে থাকে সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান এই ভুলটি শোধরানোর একটি প্রথম ধাপ হতে পারে। কোনো ব্যাপারে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান যতোই বৃদ্ধি পেতে থাকে, মানুষ ততই নিজের জ্ঞান ও সামর্থ্যের অভাবটি বুঝতে পারে। এভাবে ততই নিজের ব্যাপারে তার ধারণা বাস্তবতার কাছাকাছি আসে। এরপরে, যখন সে ঐ বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠে, তখন আবার তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে উঠতে থাকে। এই ভ্রান্তিটি এড়ানোর ক্ষেত্রে এটা একটা উপায় হতে পারে।
যেকোনো বিষয়ে শুরুতেই ভেবে নিতে হবে যে, বিষয়টির ব্যাপ্তি অনেক বড় এবং আপনার সেই ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। এটা ভেবে নিয়ে জ্ঞান অনুসন্ধান করা অব্যাহত রাখতে হবে। যতই জানাশোনা বাড়বে, সে বিষয়ের গভীরে পৌঁছবেন, ততই বুঝতে পারবেন আপনার ঠিক কতোটুকু জানার বাকি রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় নিজেকে বিশেষজ্ঞ ভাবার প্রবণতাটুকু অনেক কমানো যায়।
আরেকটি সহজ কৌশল হলো, নিজের ব্যাপারে অন্যদের গঠনমূলক সমালোচনা মনোযোগ দিয়ে শোনা। বন্ধু বা কলিগদেরকে এরকম সমালোচনা করার জন্য উৎসাহিত করতে পারলে আরো ভালো হয়। অনেক সময়েই এ ধরনের সমালোচনা হজম করা বেশ কষ্টকর হয়, কিন্তু তাতে অন্যেরা নিজের সামর্থ্যের ব্যাপারে কেমন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে সে ব্যাপারে জানা যায়। এতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসটুকু কেটে যাওয়ার পথ সুগম হয়।
অনুসন্ধান এবং অন্যদের ফিডব্যাক নেওয়ার পাশাপাশি আপনি ঠিক কোন ব্যাপারগুলো জানেন বলে ভেবে থাকেন সেগুলো চিহ্নিত এবং যাচাই করা আরেকটি উপায় হয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ, নিজেকে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে, এভাবে ‘কনফার্মেশন বায়াস’ নামক আরেকটি ভ্রান্তির ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কনফার্মেশন বায়াস শুধু সেই তথ্যগুলোতেই আমাদেরকে মনোযোগ আকর্ষণ করে যা আমাদের পূর্ববর্তী বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। তবে একটি উপায় হলো, নিজের বিশ্বাস এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করা। এই চ্যালেঞ্জে ব্যর্থ হওয়ার পরেও লেগে থাকার মতো দৃঢ় মানসিকতা রাখতে হবে। তাই, এমন তথ্যগুলো খুঁজে বের করুন যেগুলো আপনার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।
ডানিং-ক্রুগার ইফেক্ট আপনার সিদ্ধান্ত ও আচরণকে প্রভাবিত করে, তাই এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জীবনযাপনের স্টাইলই বদলে যেতে পারে। অন্যদের মধ্যে এই ভ্রান্তিটি খুঁজে পাওয়া সহজ হলেও মনে রাখতে হবে, এটা সবাইকেই প্রভাবিত করে। যে ব্যাপারগুলো এই মানসিক ভ্রান্তিটির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সেগুলো খুঁজে বের করতে পারলে নিজের মধ্যে এই ভ্রান্তিটি চিহ্নিত করা অনেক সহজ হয়ে দাঁড়াবে। এভাবে জ্ঞানার্জনের পথে, জীবন যাপনের স্টাইলে বিশাল রকমের পরিবর্তন আনা সম্ভব।