মুনির সাহেবের বাসায় ছোটখাটো আনন্দোৎসব চলছে। একটা সরকারি চাকরি করেন তিনি। স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে সংসার। ছেলে দুটো স্কুলে পড়ছে, মেয়েটা এসএসসি দিয়েছে এবার। মাত্রই রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেটাই এ বাসায় আনন্দের কারণ। গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তিথি। এর মধ্যেই নানাজনের নানা পরামর্শ পাওয়া গেছে তাকে কলেজে ভর্তির ব্যাপারে। মুনির সাহেব সব পরামর্শই গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন।
তিথির বাবা-মায়ের একটা ইচ্ছের কথা এখনো কেউ জানে না অবশ্য। দরিদ্র পরিবার থেকে প্রচণ্ড লড়াই করে এতদূর আসা মুনির-শাহেলা দম্পতির প্রথম সন্তান তিথি যখন বড় হচ্ছিল একটু একটু করে, স্কুলের পরীক্ষা থেকে শুরু করে বৃত্তি পরীক্ষা পর্যন্ত সব জায়গায় যখন দারুণ মেধার পরিচয় দিচ্ছিল; তখনই তারা মনস্থির করেছিলেন, মেয়েকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন উচ্চশিক্ষার জন্য। মাধ্যমিকের রেজাল্টের পরপরই তাই তাদের মন জুড়ে ছিল সেই চিন্তা, কারণ, পরিকল্পনার সময় এসে গেছে। এইচএসসির পরেই যদি তিথিকে বাইরে পাঠাতে চান, তাহলে তাকে এমন কোথাও ভর্তি করাতে হবে, যেখানে সে এর জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে পারবে।
তিথির বড়মামা যেন মুনির সাহেবের মনের কথাটা ধরে ফেললেন। তিনি অধ্যাপক মানুষ, একটি বিখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন দুই যুগের বেশি সময় ধরে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার খুঁটিনাটি তার নখদর্পণে। তিনি মুনির-শাহেলাকে এমন একটি কলেজের কথা বললেন, যেখানে তিথিকে ভর্তি করালে তাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছেটা হয়তো আলোর মুখ দেখবে।
বড়মামা বলছিলেন, এই কলেজটির পড়ানোর স্টাইলটা এককথায় বিশ্বমানের। অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় যেমন তারা পরম আন্তরিক, তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও কলেজটি অনন্য। সবচেয়ে বড় কথা, তারা পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবেই কাজ করে। বড়মামার কাছ থেকে এমন কথা শুনে মুনির সাহেব তিথিকে নিয়ে ঘুরে এসেছেন কলেজটিতে, কথা বলেছেন সেখানকার একজন শিক্ষকের সাথে। সব দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিথির বাবা-মা। মেয়েকে তারা ক্যামব্রিয়ানেই দেবেন।
অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের জন্য কেন এই কলেজটিকে বেছে নিলেন তারা? কেন ক্যামব্রিয়ান সবার চেয়ে আলাদা? কীভাবে চলে তাদের ক্লাসরুমগুলো? তাদের ফলাফলই বা কেমন? চলুন আজ জেনে আসি এই কলেজটির কথা, শুনি কীভাবে তারা দেশের বুকে তৈরি করছে বিশ্বমানের শিক্ষার্থী।
ক্যামব্রিয়ানের শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে ১৪ বছর আগে। সময়ের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরিপূর্ণ শিক্ষাজীবন নির্মাণ- এমনই ছিল উদ্দেশ্য। কালের পরিক্রমায় এখন ক্যামব্রিয়ানের নিয়মিত শিক্ষার্থী কলেজ ও স্কুল শাখা মিলিয়ে ৬ হাজারেরও বেশি।
ঢাকা বোর্ডের সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের একটি ক্যামব্রিয়ান। দেশের প্রথম ডিজিটাল কলেজ হিসেবে খ্যাতি লাভ করা এই কলেজটির ক্লাসরুমগুলো মাল্টিমিডিয়া সুবিধা দিয়ে সুসজ্জিত। ৬০০ জন শিক্ষকের দক্ষ পরিচালনায় এই কলেজে প্রতিটি ক্লাসরুমে গড়ে পাঠ নেয় ৩৫-৪৫ জন শিক্ষার্থী।
ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ডিজিটাল ক্যামব্রিয়ান নামের একটি সফটওয়্যার। স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত পাঠ্যবইগুলোর ডিজিটাল ভার্শন রয়েছে সেই সফটওয়্যারে। এটি সাজানো হয়েছে দারুণ শিক্ষার্থীবান্ধব করে। কোনো বইয়ের কোনো নির্দিষ্ট অধ্যায়ে যাওয়া এতে যেন সেকেন্ডের ব্যাপার। পাঠ্যবই, সহায়ক বই, অভিধান ইত্যাদি জরুরি সব বই আছে এতে। এখানে প্রতিটি বইয়ের জন্য আছে আবার আলাদা পৃষ্ঠা নম্বর লেখার ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীরা সরাসরি পৃষ্ঠা নম্বর লিখলেই চলে যাবে নির্দিষ্ট পৃষ্ঠায়। চোখের সুবিধা অনুযায়ী জুম করে ছোটবড় করে দেখার ব্যবস্থাও আছে।
এই কলেজে পড়ালেখাটা কীভাবে হয় সেটা নিয়ে এবার একটু ধারণা পাওয়া যাক। কর্মযজ্ঞের শুরুতে থাকে লেসন প্ল্যান, কীভাবে কোনো একটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হবে তার একটা সার্বিক পরিকল্পনা। প্রতিদিন ক্লাস চলে প্রতিটি বিষয়ের উপরেই। ক্লাসের আগে লেকচার শিট পৌঁছে যায় শিক্ষার্থীর হাতে। ক্লাসে পড়া বোঝানোর পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে যাবতীয় প্রশ্ন নিয়ে তৈরি প্রশ্নব্যাংকের সমাধান করা হয়। নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি চলে বিকল্প ক্লাস ও ফিডব্যাক ক্লাস। আধুনিক ল্যাবরেটরিতে চলে ব্যবহারিক ক্লাস। শ্রেণী শিক্ষক এবং গাইড শিক্ষক সহ বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকবৃন্দ পরম যত্নে এখানে পাঠদান করে চলেন নিরলসভাবে।
এই প্রতিষ্ঠানটি যে জায়গায় অন্য সবার চেয়ে আলাদা সেটি হলো, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ। ‘সুপারভাইজরি স্টাডি প্রোগ্রাম’ পদ্ধতিতে তারা শনাক্ত করে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতাগুলো। কলেজের পর প্রাইভেট পড়ার যে ব্যাপক চল রয়েছে আমাদের দেশে, ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীদের সেই ঝামেলায় যেতে হয় না। কারণ, প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা হয় কলেজেই। সুপরিকল্পিত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের মাধ্যমে সাজানো হয় গোটা পাঠপ্রক্রিয়া।
ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষকরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ নেন অভিজ্ঞ মাস্টার ট্রেইনারের কাছ থেকে। তথ্য-প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট ডেভলপমেন্ট তাদের দক্ষতার জায়গা। ক্লাসে বইয়ের পরিবর্তে ল্যাপটপের ব্যবহার ও ডিজিটাল কন্টেন্ট সমৃদ্ধ ক্যামব্রিয়ান সফটওয়্যার ব্যবহার নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কলেজেই। ১২টি হোস্টেলে আবাসন সুবিধা পাওয়া প্রায় ১,৫০০ শিক্ষার্থীর নিয়মিত পড়ালেখা তদারকির জন্যও তাদের রয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
ক্যামব্রিয়ান এর রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট ক্লাসরুম। এই ক্লাসরুমের বিভিন্ন আধুনিক সুবিধার মাঝে অন্যতম হলো, এখানে একজন শিক্ষক একসাথে ৪০ জন শিক্ষার্থীর ল্যাপটপের ডিসপ্লেতে একই বিষয় দেখাতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের তাতে যেমন বুঝতে সুবিধা হয়, তেমনি তারা যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে এই পদ্ধতিতে।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার, বিশেষত বাবা-মায়েদের জন্য। সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠিয়ে আজকের যুগের বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তায় হৃদরোগ বাঁধিয়ে ফেলেন। ক্যামব্রিয়ান কলেজ তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কমাতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে প্রযুক্তির এক দারুণ সুবিধা। এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য যে আইডি কার্ডটি (পরিচয়পত্র) দেওয়া হয়, তার নাম হলো ‘স্মার্ট কার্ড’।
একজন শিক্ষার্থী স্মার্ট কার্ডটি নিয়ে কলেজে প্রবেশের পর মেসেজ চলে যাবে তার অভিভাবকের মোবাইলে। এরপর আবার বের হওয়ার সময়ও একবার মেসেজ যাবে। এভাবে সন্তানের কলেজে ঢোকা বা বের হওয়ার সময়টি জানতে পারবেন তারা। কলেজে প্রবেশের আগে আর বের হবার পর সক্রিয় থাকবে এই কার্ড।
এই স্মার্ট আইডি কার্ডে বিভিন্ন বাটনে সেইভ করা থাকে শিক্ষার্থীর বাবা, মা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের ফোন নম্বর। যেকোনো সময় এই বাটনগুলোতে চাপ দিয়ে শিক্ষার্থী কল দিয়ে কথা বলতে পারবে তাদের সাথে। আবার অপর পাশ থেকে ফোন এলে সেটা রিসিভও করতে পারবে। জরুরি মুহূর্তের জন্য আছে ‘ইমার্জেন্সি বাটন’, যাতে শিক্ষার্থী কল দিলে ফোন চলে যাবে তিনজনের কাছেই। এই কার্ডটিতে জিপিএস প্রযুক্তি এমনভাবে সেট করা আছে, যার মাধ্যমে কলেজ থেকে বের হবার পর একজন শিক্ষার্থী কোথায় যাচ্ছে সেটা স্মার্টফোনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন অভিভাবক। শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষার রুটিন, ফলাফল, হোমওয়ার্ক, নোটিশ ইত্যাদি বিষয়াদির সকল তথ্যও চলে আসবে তাদের স্মার্টফোনে। এমনকি বাবা-মায়েরা বাসায় বসেই শিক্ষকের সাথে লাইভ চ্যাট করতে পারবেন। প্রয়োজনে করতে পারবেন ছুটির আবেদনও।
সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মনন গঠনের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়। ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা বিএনসিসি, স্কাউটিং, বিতর্ক ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, লাইব্রেরি, কালচারাল একাডেমি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ করে স্কুল থেকে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত। এছাড়া ক্যামব্রিয়ান কাজ করছে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ শিক্ষামূলক টিভি চ্যানেল ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন নিয়ে। এই চ্যানেলের উদ্দেশ্য হলো, দেশের প্রতিটি ঘরেই একটি ক্লাসরুম নির্মাণ। অডিও ভিজ্যুয়াল লেকচার সম্প্রচারের মাধ্যমে পাঠ্য ও ব্যবহারিক বিষয়ে সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ থাকছে এখানে। জটিল পড়া বোঝার জন্য সারা দেশেই ক্লাসের বাইরেও শিক্ষার্থীদের যে শিক্ষকের বাসায় বা কোচিংয়ে লাইন ধরে দাঁড়াতে হয়, সেই দুরূহ দশা থেকে মুক্তির বার্তা নিয়েই যেন আসছে এই চ্যানেল।
আমরা আবার তিথির গল্পে যাই। তিথির মতো শিক্ষার্থী, যারা স্বপ্ন দেখছে বিদেশের নামকরা জায়গায় পড়াশোনার, তাদের জন্য ক্যামব্রিয়ান তৈরি করে দিচ্ছে স্বপ্নপূরণের পথ। তারা গবেষণা করেছে দেশের সাথে বিদেশের শিক্ষাব্যবস্থার তুলনামূলক পরিস্থিতি নিয়ে। আসলে বাইরের পড়াশোনার ধাঁচটা ঠিক আমাদের মতো না, তাদের সেমিস্টার পদ্ধতি থেকে শুরু করে পাঠদানের প্রক্রিয়া, পাঠ্যবিষয়, ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক ইত্যাদি সবকিছুই অন্যরকম। আমাদের দেশের কোনো শিক্ষার্থী যদি উচ্চ-মাধ্যমিকের পরেই সেখানে যায় ডিগ্রি নিতে, তাহলে তার জন্য সেই ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নেওয়াটাই কঠিন হয়ে যায়। প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক জায়গা বলে এর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় তারা।
এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এমন অনভ্যস্ততার কারণে অনেক সময় বিদেশে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেয়ে পড়ে । কী করবে না করবে বুঝে ওঠার আগেই অনেকখানি সময় কেটে যায় তাদের। ফলাফল, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাওয়া, যেটা উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে বড় রকমের আঘাত হয়ে আসে।
ক্যামব্রিয়ান যেটা করছে, সহজ ভাষায় সেটি হলো, শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা। তারা নিজেদের পাঠ্যসূচি এবং পাঠদান প্রক্রিয়া এমনভাবে সাজিয়ে নিয়েছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী এর মধ্যেই বিশ্বের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার স্বাদ পায়। তারা উদ্যোগ নিয়েছে একেবারে প্লে গ্রুপ থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। আর এর দায়িত্ব নিচ্ছেন পৃথিবী বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা ব্যক্তিরাই।
ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা ডাক্তার, প্রকৌশলী, ব্যারিস্টার কিংবা বিমানের পাইলট হবার জন্য এখন আছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের ক্যাম্পাসগুলোতে। থাকবে না-ই বা কেন! পড়ালেখায় ভালো করলে ক্যামব্রিয়ান কর্তৃপক্ষই শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে এমনভাবে, যেন সে তার লক্ষ্য ঠিক করে সঠিক পথেই এগুতে পারে। স্কলারশিপ জোগাড় থেকে শুরু করে ভিসা প্রাপ্তি পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর পাশে থাকে কলেজ। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে দিতে কলেজের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকে সবসময়।
এই বিপুল কর্মযজ্ঞের ফলাফল কী? সেটা বোঝা যাবে একটা উদাহরণেই। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ক্যামব্রিয়ানের প্রথম ব্যাচ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথম বছরেই তাদের ফলাফল দাঁড়ায়, পাশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে প্রথম আর জিপিএ পাঁচের হিসেবে তৃতীয়! একটি নতুন জায়গায় নতুনভাবে যাত্রার শুরুতেই কলেজটির এমন দুর্দান্ত ফলাফল বলে দেয়, তারা যে পদ্ধতিতে গড়ে তুলছে তাদের শিক্ষার্থীদের, সেটি সাফল্য আনবার মতোই। ঢাকা বোর্ডে গত দশ বছরে বেশ কয়েকবার উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় অবস্থান করে নিয়েছে কলেজটি। ফলাফল শুধু নয়, ক্যামব্রিয়ান সিক্ত হয়ে হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিতেও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণকারী লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ASIC, UK’র অনুমোদন লাভ করেছে কলেজটি। সেই সাথে দু’বার আইএসও সনদও পেয়েছে ক্যামব্রিয়ান।
তিথির মতো যারা ভাবছে এসএসসির ফলাফলের পর এখন কোথায় ভর্তি হবে সেটা নিয়ে, কিংবা যেসব বাবা-মা এসময় চিন্তিত তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে তা নিয়ে- তাদের বলছি, নিজেরাই যাচাই করে দেখুন। তুলনা করে দেখুন ঢাকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে। যেখানে অনেক কলেজ শুধুমাত্র ভালো ফলাফল দেখে ভর্তি করে পরবর্তীতে আবারও শিক্ষার্থীরা ভালো করলে সেটাকে নিজেদের কৃতিত্ব হিসেবে দেখায়; সেখানে ক্যামব্রিয়ান কম জিপিএ-ধারী শিক্ষার্থীকে দিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করায়। একজন শিক্ষার্থীর মেধা-মননকে বোঝা এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের গোটা শিক্ষাপদ্ধতিটাই ঢেলে সাজানো- এই কাজটাই করেছে তারা। তিথিদের স্বপ্নালু চোখে দৃষ্টিটা আরও অনেক দূর প্রসারিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্যামব্রিয়ান। তথাকথিত সার্টিফিকেট পাওয়া শিক্ষিত বেকার বানানোর রাস্তা না খুঁজে, নীতি-নৈতিকতার আদর্শ ধারণ করে আধুনিক প্রযুক্তিতে সম্রৃদ্ধ বিশ্ব নাগরিক তৈরির কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানের নিরলস কর্মীরা।
ফিচার ইমেজ © Cambrian Education Group
This article is brought to you by Cambrian College