সেন্ট অগাস্টিন বলেছিলেন,
পৃথিবী একটি বই, যারা ভ্রমণ করে না তারা বইটি পড়তে পারে না।
যোগাযোগ ব্যবস্থার দারুণ উন্নতি আর ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বদৌলতে আজকের দুনিয়ায় এই বই পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়তই। পরিবার-পরিজন নিয়ে তো বটেই, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলেও এখন দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানান দেশ। অনেকে আবার জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে একাই ব্যাগ কাঁধে তুলে কিছুদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে অজানা সীমান্তের উদ্দেশ্যে।
পৃথিবীতে বহু দেশ থাকলেও মানুষ ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশেই যেতে পছন্দ করে বেশি। এর মাঝে কোনোটি হয়তো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত, কোনোটিতে রয়েছে নামকরা স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন, কোনোটি হয়তো জনপ্রিয় তার মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতি, লোকাচার আর গৌরবময় ইতিহাসের জন্য। তবে কিছু কিছু দেশে আছে একটু ভিন্নরকম এক আকর্ষণ- অ্যাডভেঞ্চারাস অ্যাক্টিভিটি। এসব দেশে ভ্রমণ দুনিয়াজোড়া রোমাঞ্চপ্রেমী পর্যটকদের কাছে রীতিমতো লোভনীয় ব্যাপার। আজকের লেখাটি সেসব লোমহর্ষক অথচ অসম্ভব সুন্দর কিছু পর্যটন কার্যক্রম নিয়েই, সাথে বলা হবে ঠিক কোন কোন দেশে সুযোগ আছে এই ধরনের অ্যাক্টিভিটি উপভোগের।
প্যারাসেইলিং
একটি স্পিডবোটের সঙ্গে লম্বা একটি দড়ির মাথায় বাঁধা অবস্থায় প্যারাস্যুটে করে সাগরের ওপরে উঠে যাওয়ার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হলো প্যারাসেইলিং। প্যারাসেইলিং এর অপূর্ব অভিজ্ঞতা পেতে হলে আপনি যেতে পারেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের গোয়া কিংবা কেরালা রাজ্যে। যারা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে গেছেন, তারা নিশ্চয়ই পরিচিত প্যারাসেইলিং এর সাথে। ইনানী সৈকতের দিকে একটু এগিয়ে গেলেই পাওয়া যায় প্যারাসেইলিং করার স্পটটি।
একদিকে অসীম সাগর আর অন্যদিকে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য সত্যিই অপার্থিব অনুভূতির জন্ম দেয় সেখানে। সেইসাথে থাইল্যান্ডের ফুকেট, কেপ টাউন, মিয়ামি, সিডনি হার্বর, হাওয়াই ইত্যাদি জায়গাও বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় প্যারাসেইলিং এর জন্য। তবে যদি এমন হয় যে, ভিসা, হোটেল বুকিং কিংবা টিকেট করার মতো কাজগুলোর প্রতি অনিহার কারণে আপনার এমন দারুণ সব জায়গায় যাওয়া হয়ে উঠছে না, তাহলে একবিন্দু না ভেবে সব দায়িত্ব ছেড়ে দিন ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ এর কাছে; আর নিশ্চিন্তে ঘুরে আসুন দারুণ অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা নিয়ে।
প্যারাগ্লাইডিং
মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়াতে কার না ইচ্ছে করে? পাখির চোখে পৃথিবীকে দেখার সাধ মানুষের আজন্মকালের। আধুনিক বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির বদৌলতে এখন চাইলেই অবশ্য খোলা আকাশে হাত-পা ছড়িয়ে উড়ে বেড়ানোর বিলাসিতা করা যায়। বলছিলাম প্যারাগ্লাইডিং এর কথা, এতে প্যারাসুটে চড়ে আকাশে উড়ে বেড়িয়ে পাখি হওয়া যায় খুব অল্প সময়ের জন্য। প্যারাগ্লাইডিং এর স্বাদ পেতে চাইলে একেবারে হাতের নাগালেই রয়েছে নেপালের পোখারা।
তবে বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য যদি উপভোগ করতে চান, তাহলে আপনাকে চলে যেতে হবে সুইজারল্যান্ডের ইন্টারলেক কিংবা তুরস্কের ওলুদেনিজে। এছাড়া ইতালির বেশ কিছু মনোরম জায়গা রয়েছে, যেগুলো প্যারাগ্লাইডিং এর জন্য বিখ্যাত। সেইসাথে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইতেও প্যারাগ্লাইডিং করতে যেতে পারেন স্বচ্ছন্দে।
রিভার র্যাফটিং
অভিযানপ্রেমীদের জন্য একটি চমৎকার অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে এই র্যাফটিং। নৌকায় করে এলোমেলো পানিতে ভেসে বেড়ানোর সময় অপার্থিব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন উপভোগ করা যায়, তেমনি ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যাবার উপক্রম হলে অনুভব করা যায় প্রচণ্ড অ্যাড্রেনালিনের প্রবাহও। র্যাফটিং এর আনন্দ দেশের ধারে কাছেই কোথাও পেতে হলে যেতে হবে নেপালের কর্নলি নদীর কাছে।
তবে আরও আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতার জন্য র্যাফটিং করতে হবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কলোরাডো নদী অথবা জিম্বাবুয়ের জাম্বেজি নদীতে। কানাডার ম্যাগপাই নদী আর উগান্ডার হোয়াইট নাইল নদীও র্যাফটিং এর জন্য কম বিখ্যাত নয়। এছাড়াও এশিয়ার মাঝে ইন্দোনেশিয়ার বালি এবং ভারতের দার্জিলিংও র্যাফটিং এর জন্য বেশ নামকরা। যাবেন নাকি? ভ্রমণের যাবতীয় আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ তো থাকছেই পাশে!
সার্ফিং
পানি নিয়ে বিশ্বের যত সুপরিচিত খেলাধুলা রয়েছে, তার মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলো সার্ফিং। লম্বাটে একটি বোর্ডের ওপর দাঁড়িয়ে সাগরের ঢেউকে কাবু করতে করতে পানিতে ভেসে থাকার এই অসম্ভব উত্তেজনাময় অ্যাক্টিভিটি বিভিন্ন জায়গায় রীতিমতো প্রতিযোগিতার অংশবিশেষ। সার্ফিং এর জন্য সমস্ত পৃথিবীর মাঝে বিখ্যাততম জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই। স্পেনের স্যান অ্যান্তোনিওর সৈকতের উদ্যাম ঢেউও সার্ফিং এর জন্য কম নামকরা নয়।
আরও রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জেফরি বে, সিডনির বন্ডি বিচ আর ফিজির তাভারুয়া দ্বীপ। আর ঘরের কাছে কোথাও থেকে সার্ফিং করে আসতে চাইলে অনায়াসে চলে যাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সাথে দারুণ সব অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দ আস্বাদন করতে প্রতি বছর ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশের মাধ্যমে হাজারও পর্যটক যাচ্ছেন এসব দেশে। আপনিও হতে পারেন তাদের একজন!
স্কুবা ডাইভিং
ভাবুন তো, সুবিশাল নীল সমুদ্রের একবারে গভীরে ভেসে বেড়াচ্ছন আপনি; আশেপাশে সাঁতার কাটছে রঙিন সব সামুদ্রিক মাছ, ভাসছে নানা আকারের কচ্ছপ। রং-বেরঙের তারামাছ পাথরের গায়ে আটকে আছে, পানিতে ঢেউর সাথে খেলে যাচ্ছে সাগরের তলদেশের শৈবাল। এই অসাধারণ অভিজ্ঞতাটি পাওয়া সম্ভব স্কুবা ডাইভিং এর মাধ্যমে, তবে এর জন্যে আপনাকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশের দারুণ সব প্যাকেজের মাধ্যমে ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বের সেরা কিছু স্কুবা ডাইভিং এর স্পট থেকে, যেমন- মালয়েশিয়ার সিপাদান, ইন্দোনেশিয়ার বালি আর যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই। এছাড়াও রয়েছে কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া আর থাইল্যান্ডের জাদুকরী নীল সমুদ্রের জলরাশি, যার তলদেশে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন স্বপ্নের জগতে।
স্নোরকেলিং
স্নোরকেলিং অনেকটা স্কুবা ডাইভিং এর মতোই, তবে এই পদ্ধতিতে সাগরের গভীরে যাওয়া যায় না। শরীরের পেছনের অংশ পানির ওপর সমান্তরালে ভাসিয়ে রেখে সামনের অংশ পানিতে ডুবিয়ে বিভিন্ন দৃশ্য অবলোকন করাটাই হলো স্নোরকেলিং। যারা সাঁতার জানেন না, তাদের জন্য স্নোরকেলিং খুবই আনন্দপূর্ণ একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে।
স্নোরকেলিং এর জন্য কম খরচে যাওয়া যেতে পারে ইন্দোনেশিয়ার গিলি দ্বীপে অথবা ফিজি দ্বীপপুঞ্জে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, ফিলিপাইনসের ডনসল, মালদ্বীপ, পাপুয়া নিউগিনি, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার বোরা বোরা দ্বীপ, কোস্টারিকা আর ইকুয়েডরে স্নোরকেলিং করার জন্য রয়েছে অসম্ভব সুন্দর কিছু সমুদ্র সৈকত।
কায়াকিং
কায়াক শব্দটি আসলে এক প্রকারের নৌকার নাম। ফাইবার গ্লাসের তৈরি চিকন ও লম্বা এক প্রকারের দ্রুতগামী নৌকা হলো এই কায়াক, যা পূর্বে মূলত মাছ শিকারের জন্য ব্যবহৃত হতো। এছাড়া এস্কিমোরা সিল শিকারের জন্য ব্যবহার করতো এই নৌকাগুলো। বর্তমানে অবশ্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলার জন্য এই নৌকাগুলো ব্যবহার করা হয়। কেউ যদি একদিনের জন্য মাঝি হয়ে যেতে চান, কায়াকিং তাদের জন্য অবশ্যকরণীয়। সরু এই নৌকাগুলো একা বা দুইজন মিলে চালানো যায়, যেগুলো বৈঠার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ। বাংলাদশের কাপ্তাই লেকেও এখন চালু হয়েছে কায়াকিং।
কায়াকিং এর আরও আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ এর মাধ্যমে চলে যেতে পারেন ভিয়েতনামের হালং বে, ইন্দোনেশিয়ার রাজা আম্পাত, থাইল্যান্ড, ফ্রেঞ্চ আলপ্স, স্লোভেনিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে অথবা ফিজি দ্বীপপুঞ্জে।
বাঞ্জি জাম্পিং
দুর্বল হৃৎপিণ্ডের মানুষের জন্য এই অংশটুকু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো, কেননা বাঞ্জি জাম্পিং আপনাকে মাত্র কয়েকটি সেকেন্ডে মৃত্যুর কাছাকাছি একটা অনুভূতি এনে দিতে পারে। শরীরে রশি বেঁধে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে শূন্যের মাঝে ঝাঁপ দিতে হয় এই জাম্পিংয়ে। শত মিটার ওপর থেকে নিচে পড়ার সময় কয়েক মুহূর্তে সারাজীবনের স্মৃতি একবার হলেও ভেসে ওঠে মাথার মধ্যে। তবে ভয়ডর ভুলে গিয়ে একবার ঝাঁপিয়ে পড়লে পরবর্তী মুহূর্তগুলোও কিন্তু সারাজীবন মনে রাখার মতোই! অভিকর্ষজ ত্বরণের সাথে পাল্লা দিয়ে আপনি মাটিতে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে যখন দড়িতে আটকে যাবেন, সেই সময়টাকে মনে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক মুহূর্ত!
বাঞ্জি জাম্পিং করতে হলে কাছেই রয়েছে নেপালের দ্য লাস্ট রিজোর্ট। অনেক উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পিং দিতে পারেন চীনের মাকাউ টাওয়ারে গেলে, যার উচ্চতা ২৩৩ মিটার। এমন অসাধারণ সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে অ্যাডভেঞ্চার করে বেড়ানোর সময় আবার টিকেট-ভিসা-গাড়ির ঝামেলা মাথায় নিতে ইচ্ছে করে? তাই সব দায়িত্ব ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশের হাতে দিয়ে নির্ভাবনায় আনন্দের সাথে ঘুরে আসুন চিলির ভলকানো বাঞ্জি, কোস্টারিকার ওল্ড কলোরাডো রিভার ব্রিজ সহ ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড আর সুইজারল্যান্ডের ভয়ংকর সুন্দর সব বাঞ্জি স্পট থেকে।
জিপ লাইনিং
জিপলাইনিং হলো উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে তার বা দড়ি বেয়ে ভূমিতে দ্রুতগতিতে নেমে আসা। এসময় শরীরের একটি অংশ দড়িতে আটকানো থাকে, তাই অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখার সাথে সাথে অ্যাড্রেনালিনের প্রচণ্ড প্রবাহের শক্তিশালী সংমিশ্রণ আপনাকে দেবে একটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা। মাঝে মাঝে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী বহমান নদী অথবা সুন্দর অরণ্যের দেখাও আপনি পেতে পারেন জিপলাইনিং করার সময়।
এছাড়া ভারতের শিলং, হিমাচল প্রদেশ ইত্যাদি জায়গাতেও রয়েছে জিপলাইনিং করার সুযোগ। ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশের দারুণ সব প্যাকেজ থেকে পছন্দমতো একটি বেছে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন ছুটির দিনে, ঘুরে আসুন পুয়ের্তো রিকোর লাশ পর্বতমালা, আলাস্কার আইস স্ট্রেইট পয়েন্ট, হাওয়াই, বেলিজের জাগুয়ার কেইভ, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ইত্যাদির মতো জিপলাইনিং এর সুযোগ সমৃদ্ধ অসাধারণ সব জায়গা থেকে।
রক ক্লাইম্বিং
যারা সত্যিকারের অভিযানপ্রিয় মানুষ, তাদের জন্য রক ক্লাইম্বিং প্রচণ্ড আকর্ষণীয় একটি অ্যাক্টিভিটি। রক ক্লাইম্বিং হলো প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম কোনো পাথুরে পর্বতের গা বেয়ে আরোহণ করা, যার লক্ষ্য থাকে চূড়ায় পৌঁছানো। পৃথিবীকে অবলোকন করবার জন্য রক ক্লাইম্বিং হলো সবচাইতে অসাধারণ উপায়, খুব অল্প কিছু মানুষ এখানে অংশ নেন আর খুব দ্রুতই একে অপরের আপন হয়ে যান।
দারুণ এই অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীবিখ্যাত কিছু রক ক্লাইম্বিং এর স্পট- কেন্টাকির রেড রিভার গর্জ, মিশিগানের সিলভার মাউনটেইন, ক্যালিফোর্নিয়ার জিব্রাল্টার রক, জার্মানির ফ্রাংকেনজুরা, কলোরাডোর বোল্ডার ক্যানিয়ন ইত্যাদি থেকে। ভিসা, ফ্লাইট, হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে সব ধরনের সহযোগীতায় তো ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ আছে পাশেই!