বুঝ হওয়ার পর থেকে জেনে আসা নিজের শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক ম্যারাথন বা ৪২.২ কিলোমিটারের লম্বা দূরত্ব দৌড়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছানোর আনন্দ অতুলনীয়। অধিকাংশ শখের দৌড়বাজের জন্য এই দূরত্ব হয়তো নিজের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার পরীক্ষা এবং লম্বা দূরত্বের দৌড় নিয়ে সব রকমের জল্পনাকল্পনা নিরসনেও যথেষ্ট।
কিন্তু যখন দূরত্বটা বেড়ে দাঁড়াবে ১০০ কিলোমিটার থেকে কয়েকশত মাইল, বা তার চেয়েও বেশি! যখন শত শত মাইল দৌড়াতে হবে গ্রীষ্মের সবচেয়ে গরম সময়টাতে কোনো রুক্ষ ভূখণ্ডে, কিংবা হিমাংকের নিচে বরফশীতল কোনো জায়গায়। যখন লম্বা দূরত্ব, খারাপ তাপমাত্রার সাথে যোগ হবে হাজার হাজার মিটার উচ্চতার পর্বতে ওঠানামার মতো অমানুষিক যন্ত্রণা, রেসের পুরো ৯৯ শতাংশ সময় একাকী পথ চলার মতো ভয়ঙ্কর কাজ, তখন তা আর সাধারণের জন্য সাধারণ সক্ষমতা পরীক্ষার রেস থাকে না। তা হয়ে ওঠে একদল অধ্যবসায়ী ম্যানিয়াকের জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে কাঠিন্যকে জয় করার খেলা, যারা বছরের পর বছর নিজেদের শারীরিক, মানসিকভাবে নির্দিষ্ট একটি আল্ট্রা-ম্যারাথনের জন্য তৈরি করেছে। ডিহাইড্রেশন, হ্যালুসিনেশন, স্লিপ-ডিপ্রাইভেশনের কারণে হঠাৎ কোনো রিজ থেকে পড়ে গিয়ে অবধারিত মৃত্যুর কথা জেনেও যারা কঠিন থেকে কঠিনতর আল্ট্রা-ম্যারাথনগুলোতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে।
এই লেখায় অতিমানব দৌড়বিদদের নিয়ে গল্প না থাকলেও তারা যেসব কঠিন আল্ট্রা-ম্যারাথনকে ঘিরে স্বপ্নের বীজ বুনছে, নিজের সর্বস্ব দিয়ে সেগুলোকে জয় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেসব আল্ট্রা-ম্যারাথনের মধ্য হতে অন্যতম কয়েকটির বর্ণনা উঠে আসবে।
ব্যাডওয়াটার আল্ট্রা-ম্যারাথন
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে অবস্থিত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭৯ ফুট নিচের ব্যাডওয়াটার বেসিন থেকে শুরু হয় ব্যাডওয়াটার আল্ট্রা-ম্যারাথন। ৮,৩৬০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট হুইটনির ট্রেইলহেড, হুইটনি পোর্টালে গিয়ে শেষ হওয়া এই ইভেন্টটি দুনিয়াব্যাপী আল্ট্রা-রানিংয়ের ‘হলি গ্রেইল’ হিসেবে পরিচিত। জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে শুরু হওয়া ১৩৫ কিলোমিটার বা ২১৭ কিলোমিটারের পুরো রেসে অংশগ্রহণকারীদের ৫২-৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দৌড়াতে হয়। ছায়াহীন, জনমানবহীন ডেথ ভ্যালির ঐ রুক্ষ ভূখণ্ডে জুতো গলিয়ে দেওয়ার মতো তাপমাত্রায় প্রায় তের হাজার ফুট উচ্চতা হচ্ছে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
যদিও প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর সাথে তাদের নিজস্ব পেসার, নিয়মনীতি মেনে বাহন থাকাটা বাধ্যবাধকতার অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু প্রায় বিশ ঘণ্টা থেকে আটচল্লিশ ঘণ্টা পর্যন্ত চলা লম্বা দূরত্বের এই ফুট-রেসটি শেষ করতে অসুরীয় শারীরিক শক্তির পাশাপাশি চাই অতিমানবীয় মানসিক সক্ষমতা। এছাড়াও অংশগ্রহণকারীকে নির্দিষ্ট সময় পরপর রি-হাইড্রেড হওয়ার পাশাপাশি নিউট্রিশনের প্রয়োজন মেটাতেও সচেতন থাকতে হয়। নয়তো যেকোনো সময় ডিহাইড্রেশন অথবা হাইপোনেট্রমিয়া, কিংবা উভয়েই প্রাণনাশক হয়ে উঠতে পারে।
ব্যাডওয়াটার আল্ট্রা-ম্যারাথনের জন্য নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই ‘ব্যাডওয়াটার স্যলটন সি রেস’ শেষ করতে হবে। ১৩০.৩ কিলোমিটারের রেসটি স্যলটন সিটি থেকে প্যালোমার পর্বতে গিয়ে শেষ হয়। প্রত্যেক বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া রেসটি ব্যাডওয়াটার আল্ট্রা-ম্যারাথনের রানিং কোর্সের মতোই রুক্ষ, কঠিন এবং অতিমানবীয় দৌড়বাজদের জন্যই তৈরি।
হার্ডরক হান্ড্রেড
হার্ডরক হান্ড্রেডআল্ট্রা-ম্যারাথন। নামের সার্থকতা প্রমাণের জন্যই যেন সান জুয়ানের পর্বতমালা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট বড় পাথরগুলো অপেক্ষায় থাকে অসতর্ক দৌড়বিদদের হাঁটুতে আঘাত হানার জন্য জন্য। তবে ছোট-বড় কঠিন পাথরগুলোই এই আল্ট্রা-ম্যারাথনের প্রধান চ্যালেঞ্জ নয়।
সিলভারটন স্কুলপ্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে কয়েক লুপ ঘুরে আবার সেখানে গিয়ে রেস শেষ করার জন্য ১৪,০৪৮ ফুটের সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠাসহ অংশগ্রহণকারীকে প্রায় ৩৪ হাজার ফুটের মতো উচ্চতা উঠতে এবং নামতে হয়। তাছাড়া, ৪৮ ঘণ্টা কাট-অফ টাইমে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছানোর জন্য প্রত্যেককে রাতে রেস শুরু করতে হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, হাই অল্টিটিউড সিকনেস, ঝড়ো আবহাওয়া, ভাঙা পাথরের টুকরা ও বরফে আচ্ছাদিত খাঁড়া ট্রেইল পুরো রেসটিকে কঠিন থেকে কঠিনতর করে তোলে।
প্রত্যেক বছর রেসটিতে ১৫০ জন অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। অন্যান্য ম্যারাথনের মতো ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করার বদলে রেসারকে বড় একটি পাথরে আঁকা ভেড়ার মাথায় চুমু খেয়ে রেস শেষ করতে হয়।
বার্কলে ম্যারাথন
বার্কলে ম্যারাথন হচ্ছে এমন এক আল্ট্রা-রেস, যা ডিজাইন করা হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের ব্যর্থতার স্বাদ দেওয়ার জন্য। বছরের পর বছর গড়ে তোলা স্বপ্নকে মাত্র ষাট ঘণ্টায় মৃত ঘোষণা করার জন্য। শুনতে বেশ অদ্ভুত মনে হলেও ১৯৮৬ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৬০ ঘণ্টার কাটঅফ সময়ে প্রথম বিশ বছরে ১,০০০ জনের মধ্যে মাত্র ১৫ জন ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করতে পেরেছে। অর্থাৎ, বার্কলের ইতিহাসে কোনো ফিনিশার ছাড়া রেস শেষ হওয়ার রেকর্ড অসংখ্য।
টেনেসির ফ্রোজেন হেড স্টেট পার্কে অনুষ্ঠিত হওয়া বার্কলে ম্যারাথন মাত্র একশো মাইলের আল্ট্রা-ম্যারাথন হলেও অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রধান টুইস্ট হচ্ছে ২০ মাইলের লুপে লুকিয়ে রাখা বই খুঁজে বের করা এবং নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা ছিঁড়ে নিয়ে আসা। অর্থাৎ, আপনাকে শুধু দৌড়ালেই হবে না, সাথে পাহাড়ের আনাচে কানাচে, কাঁটাঝোপের মাঝে লুকিয়ে রাখা বইরুপী গুপ্তধন খুঁজতে হবে। প্রতিযোগীদের লুপ তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন তিনি তার বিব নাম্বারের সাথে মিলিয়ে বইয়ের নির্দিষ্ট পৃষ্ঠাগুলো নিয়ে রেস যেখান থেকে শুরু করেছে, সেখানে ফিরে আসবে। প্রত্যেকবার লুপ শুরু করার পূর্বে এবং ফিরে আসার পরে অংশগ্রহণকারীদের ফিনিশিং লাইনের হলুদ গেট ছুঁতে হবে।
বই খুঁজে বের করাসহ রেস-রুট খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রতিযোগীরা কোনো অ্যানালগ বা ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। যেকোনো প্রকার জিপিএস সম্বলিত ঘড়ি পরিধান নিষিদ্ধ। আর বইগুলো এমনভাবে পুরো রুট ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে, কেউ চাইলেই সংক্ষিপ্ত রুট ব্যবহার করে লুপ শেষ করতে পারবে না। বরং, হিসেবে ভুল হলেই মূল দূরত্বের চেয়ে আরো বেশি দৌড়োনোর প্রয়োজন পড়তে পারে।
প্রত্যেকটি লুপের জন্য অংশগ্রহণকারীরা মাত্র বারো ঘণ্টা সময় পায়। এ সময়ের মধ্যেই খাবার খাওয়া, ঘুমিয়ে নেওয়ার কাজটি করতে হয়। লুপ শুরু করার পরে প্রতিযোগীদের জন্য সব রকমের বাইরের সাহায্য নেওয়া নিষিদ্ধ। অর্থাৎ, পানি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সবকিছু অংশগ্রহণকারীকেই বহন করতে হয়। নিজের খেয়াল একমাত্র নিজেকেই রাখতে হয়।
বার্কলে ম্যারাথনের পুরো রেসে প্রতিযোগীদের সব মিলিয়ে প্রায় ৬৭ হাজার ফুটের মতো উপরে উঠতে এবং নামতে হয়, যা অন্য যেকোনো আল্ট্রা-ম্যারাথন থেকে কয়েকগুণ বেশি। প্রতি বছর মাত্র চল্লিশজন এই আল্ট্রা-ম্যারাথনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় এবং অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীই প্রথম দুই কি তিন লুপ শেষ করেই রেস থেকে বের হয়ে যায়। অর্থাৎ, বার্কলে ম্যারাথন শেষ করার জন্য অংশগ্রহণকারীকে একাকীত্বকে সঙ্গী করে ছুটতে হবে, যা বেশ বিপদজনক। কেননা ৬০ ঘণ্টার এই রেসে পর্যাপ্ত ঘুমানোর সুযোগ না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীই নিদ্রাহীনতার শিকার হয়। ট্রেইলে দৌড়ানোর সময় নিজের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়াটা বার্কলের অংশগ্রহণকারীদের জন্য অহরহ ব্যাপার। বেশ বাজেভাবে আহত হওয়াসহ মৃত্যুর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
দ্য জঙ্গল আল্ট্রা
এমনিতেই ১৪২.৬ মাইল বা ২৩০ কিলোমিটার যেকোনো দৌড়বিদের জন্য লম্বা দূরত্বের বেশ কষ্টসহিষ্ণু আল্ট্রা-রেস। কিন্তু সাথে যদি যোগ পেরুভিয়ান রেইন ফরেস্ট ও ক্লাউড ফরেস্টের ৯০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রার সাথে ১০০ শতাংশ হিউমিডিটি, নয় হাজার ফুটের উচ্চতা, যেখানে পুরোটাই ডাউনহিল; তাহলে?
দ্য জঙ্গল আল্ট্রা অবশ্য কাঠিন্যের দিক দিয়ে এতটুকুতেই থামেনি। পুরো রেসে অংশগ্রহণকারীকে অসমতল আগাছাপূর্ণ রুট ধরে এগোতে হয়, যেখানে প্রায় ৭০টির মতো নদী পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য কোনো হাইড্রেশন ক্যাম্প তো থাকেই না, বরং পানি থেকে শুরু করে খাবারদাবার, হ্যামক, স্লিপিং ব্যাগ, ঔষধসহ বাড়তি কাপড়, জুতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিজেকেই বহন করতে হয়। তাছাড়া কামড় দেওয়া বা হুল ফোটানোর জন্য রেইন ফরেস্টের বিষাক্ত পোকামাকড়, বন্যপ্রাণী তো আছেই।
তবে এই রেসে অংশগ্রহণকারীরা পুরোপুরি জীববৈচিত্র ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়। অবিশ্বাস্য সুন্দর দৃশ্য অবলোকন করার পাশাপাশি আধুনিক পৃথিবী থেকে পুরোপুরি আলাদা হয়ে বাস করা আদিবাসীদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
ম্যারাথন দেস সাবলেস
১০০ মাইল বা তার চেয়ে বেশি দূরত্বের যেকোনো আল্ট্রা-রেসই কঠিন। কিন্তু কঠিন থেকে কঠিনতর আল্ট্রা-ম্যারাথনের গল্প করার সময় ম্যারাথন দেস সাবলেসের নাম নিতেই হয়।
১৯৮৬ সাল থেকে মরক্কোর সাহারা মরুভূমিতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা ম্যারাথন দেস সাবলেস বা ‘ম্যারাথন অফ স্যান্ডস’ একটি স্টেজ রেস; অর্থাৎ প্রতিযোগীরা প্রত্যেকদিন একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে গিয়ে রাত কাটানো সুযোগ পাবে। ছয়দিনের ১৫৬ মাইল বা ২৫১ কিলোমিটার দূরত্বের আল্ট্রা-রেসটিতে অংশগ্রহণকারীদের ছয়টি ম্যারাথনের সমপরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা কর্তৃপক্ষ থেকে শুধুমাত্র খাবার পানি এবং রাতে থাকার জন্য তাঁবু ছাড়া আর কিছুই পায় না। অর্থাৎ, প্রত্যেককে নিজেদের রেশন, জুতো, কাপড়সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু নিজেদেরই বহন করতে হয়। অর্থাৎ, আপনি যদি ম্যারাথন দেস সাবলেসে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে সাত থেকে দশ কেজি ওজনের ব্যাকপ্যাক নিয়ে আপনাকে দৌড়োতে হবে।
রেস চলাকালীন চতুর্থ দিনে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় দুটো ম্যারাথনের সমপরিমাণ দূরত্ব পাড়ি দিতে হয়। দৌড়বিদদের পুরোপুরি মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য দিনে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দৌড়ানোসহ সাহারার হঠাৎ শুরু হওয়া বালু ঝড়, রুক্ষ পাহাড়, বালিয়াড়ি, সাদা-তপ্ত লবণাক্ত সমভূমি তো আছেই। এমনকি পুরো ছয়দিন শরীরের সাথে মিশে যাওয়া ঘাম আর বালি পরিষ্কার করে কিছুটা শিথিল হওয়ার জন্য গোসল করার সুযোগও ইভেন্টটিতে নেই।
পুনশ্চ
প্রত্যেকটি আল্ট্রা-ম্যারাথনের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারা বছরের পর বছর ধরে ভিন্ন ভিন্ন কাঠিন্য দিয়ে দৌড়বিদদের কাছে নিজেদের চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। চাইলেই একটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অন্যটিকে হেয় করার কোনো সুযোগ নেই। তবে পৃথিবীব্যাপী অনুষ্ঠিত সবগুলো আল্ট্রা-ম্যারাথনগুলো ছাড়াও কাঠিন্যের দিক দিয়ে ড্রাগন’স ব্যাক রেস, স্পার্টাথালন, ৬৬৯৩ আল্ট্রা, সেলফ ট্রান্সসেনডেন্স ৩১০০ মাইল রেস, গ্র্যান্ড টু গ্র্যান্ড আল্ট্রা, লা আল্ট্রা এবং আল্ট্রা ট্রেইল দু মণ্ট ব্লাঞ্চ পৃথিবীব্যাপী বেশ সমাদৃত।
আরো পড়ুন: ম্যারাথনের জানা-অজানা