স্বীকৃত বোলারদের মূল কাজ বল হাতে হলেও দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও নামতে হয় তাদের। অনেক সময় হারতে বসা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ব্যাট হাতে তাদের সময়োপযোগী ইনিংসগুলো। চলুন, ক্রিকেট ইতিহাসে টেল-এন্ডারদের এমনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইনিংস সম্পর্কে জেনে আসা যাক। উল্লেখ্য, এই তালিকায় একজন লেগস্পিনার, দুইজন অফস্পিনার এবং দুইজন পেসার রয়েছে।
আব্দুল কাদির, ১৬ অপরাজিত
পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, লাহোর, বিশ্বকাপ, ১৯৮৭
১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি দুটি কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে। আব্দুল কাদিরের ম্যাচ জেতানো ইনিংস এবং কোর্টনি ওয়ালশের স্পোর্টসম্যানশিপ।
লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম তিন বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট এবং দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা ভালো করলেও শেষপর্যন্ত ২১৬ রানে সবক’টি উইকেট হারায়। উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে ৯১ রান যোগ করার পর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান ফিল সিমন্স এবং ডেসমন্ড হেইন্স। এরপর অধিনায়ক ভিভ রিচার্ডস ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২১৬ রানের পুঁজি এনে দেন। পাকিস্তানের হয়ে ইমরান খান চারটি এবং সালিম জাফর তিনটি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে রমিজ রাজা, সেলিম ইউসুফ এবং জাভেদ মিয়াঁদাদের ব্যাটের উপর চড়ে জয়ের পথেই ছিলো পাকিস্তান। একপর্যায়ে তাদের স্কোরবোর্ডে রান সংখ্যা ছিলো পাঁচ উইকেটে ১৮৩। এরপর কোর্টনি ওয়ালশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ১৪ রান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র এক উইকেট। শেষ ওভার করার জন্য বল হাতে নিয়েছিলেন নয় ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় চার উইকেট শিকার করা ওয়ালশ।
ওয়ালশের সামনে তখন দুই টেল-এন্ডার আব্দুল কাদির এবং সালিম জাফর। এইদিন আব্দুল কাদিরের শরীরী ভাষা ছিলো অন্যরকম। যেখানে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা হেলমেট ছাড়া খেলতে ভয় পান, সেখানে তিনি দুর্দান্ত বোলিং করা ওয়ালশকে নগ্নমস্তকে মোকাবেলা করেছেন। শেষ ওভারে যখন ১৪ রান প্রয়োজন ছিলো তখন অনেকেই পাকিস্তানের পরাজয় দেখে ফেলেছিলো। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন কাদির। তিনি ব্যাট দিয়ে হাততালি দিয়ে অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানকে উজ্জীবিত করছিলেন। দ্রুত রানিং-বিটুইন-দ্য-উইকেটে ফিল্ডারদের চাপে রেখেছিলেন। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ব্যাটসম্যান দুইবারের জন্য প্রান্ত বদল করলে চার বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১২ রানের।
তৃতীয় বলে দুই রান নেওয়ার পর চতুর্থ বলে সবাইকে অবাক করে ছয় হাঁকান কাদির। ওয়ালশের গুড লেন্থের ওয়াইড লং-অফের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। পরের বলে আবারও দৌড়ে দুই রান নিলে শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে দুইরানের। শেষ বল করার জন্য ওয়ালশ যখন দৌড় শুরু করেন, তখন অপর প্রান্তে থাকা সালিম জাফর নিজের ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে চলে আসেন। তিনি চাইলে খুব সহজে ‘ম্যানক্যাড’ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি সেটা করেননি। ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করে বোলিং প্রান্তে ফিরে যান। এরপর বাকি গল্পটুকু আব্দুল কাদিরের। শেষ বলে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে খেলে দুই রান তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় ব্যাট উপরে তুলেই দৌড়িয়েছিলেন তিনি। সবাইকে চমকে দিয়ে মাত্র নয় বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে এক উইকেটের জয় এনে দিয়েছিলেন এই লেগস্পিনার।
ডেভন ম্যালকম, ১২
ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ট্রেন্টব্রিজ, ১৯৯৭
ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়ে অ্যাশেজ সিরিজ শুরু করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় অজিরা। সিরিজের তৃতীয় এবং চতুর্থ টেস্ট জিতে অ্যাশেজে এক হাত রেখে ৫ম টেস্টে মাঠে নামে তারা। ট্রেন্টব্রিজে সিরিজের ৫ম টেস্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪২৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ইংল্যান্ড ২৯০ রানে নয় উইকেট হারায়, এরপর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন ৬.৪০ ব্যাটিং গড়ে রান করা ডেভন ম্যালকম।
ডেভন ম্যালকম ছিলেন টেল-এন্ডারদের টেল-এন্ডার, ‘পারফেক্ট নাম্বার ইলেভেন’ যাকে বলে। ব্যাট হাতে টেকনিক্যালি বেশ নড়বড়ে ছিলেন, কিন্তু বল হাতে দারুণ ক্ষিপ্র ছিলেন ম্যালকম। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ইনিংসে মাত্র ৫৭ রানের বিনিময়ে নয় উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এরপরের মৌসুমে সিডনিতে শেন ওয়ার্নের বলে ছয় হাঁকানোসহ মাত্র ১৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার এমন ব্যাটিংয়ে শেন ওয়ার্ন হতবিহ্বল হলেও দর্শকরা বেশ উপভোগ করেছিল।
ট্রেন্টব্রিজে এগারতম ব্যাটসম্যান হিসাবে মাঠে নামার পর গ্লেন ম্যাকগ্রা তাকে বাউন্সার দিয়ে স্বাগত জানান। ম্যালকমও পরের বলে সজোরে হাঁকিয়ে লং-অফ দিয়ে চার মারেন। নাটক এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। ম্যাকগ্রার পরের ওভারে সুইপ করে মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকান ম্যালকম। ম্যাকগ্রা হতাশায় স্বভাবসুলভভাবে মাথা নাড়াচ্ছেন, মার্ক টেইলর হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে মাইক হাতে টনি ক্রেইগের হাসি থামায় কে!
শেষপর্যন্ত ম্যাকগ্রার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি, কিন্তু ক্রিজে থাকাকালীন সময়ে নিজের ব্যাটিং ভালোভাবেই উপভোগ করেছিলেন। এরপর টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ তিনটি ইনিংসে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিলেন ম্যালকম।
রাজেশ চৌহান, ৮ অপরাজিত
পাকিস্তান বনাম ভারত, করাচী, ১৯৯৭
করাচিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মাটিতে প্রায় ১৪ বছর কোনো ওয়ানডেতে জয়ের মুখ দেখেনি ভারত। তারা প্রায় আট বছর পাকিস্তান সফরেও যায়নি। তার উপর তিন ম্যাচের সিরিজ দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছিলো।
যখন রাজেশ চৌহান ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন, তখনও ম্যাচের লাগাম পাকিস্তানের হাতে। তিনি করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যখন ব্যাট হাতে নামেন, তখন তার সামনে ছিলেন ওয়াকার ইউনিস এবং সাকলাইন মুশতাক। তার শেষ ছয়টি ওয়ানডে ইনিংস ছিলো যথাক্রমে ১, ০, ২, ৪, ০ এবং ০। তবু তার উপরই নির্ভর করছিলো ভারতের জয়-পরাজয়।
জয়ের জন্য ভারতের সাত বলে নয় রান প্রয়োজন ছিল। তিনি ওয়াকার ইউনিসের এক বল রুখে দিয়ে এক রান আদায় করে নেন, ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য আট রান প্রয়োজন পড়ে ভারতের। ভারতকে এই রানের মধ্যে বেঁধে রাখার জন্য বল হাতে নেন সাকলাইন মুশতাক। তখনই আম্পায়াররা বল পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। আর এতে আপত্তি জানায় পাকিস্তান। কিন্তু সাদা বলের রঙ পরিবর্তন হওয়ার কারণে আম্পায়াররা বল পরিবর্তন করেন। পাকিস্তানিরা অখুশি হলেও রাজেশ চৌহান এতে বেশ হাসিখুশি ছিলেন, তিনি জানতেন শক্ত বল বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে।
ওভারের প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে ছয় হাঁকান তিনি। সাকলাইন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। গ্যালারিভর্তি পাকিস্তানি দর্শকদের নিস্তব্ধ করে দিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখেন রাজেশ। তার তিন বলে অপরাজিত আট রানের ইনিংসের উপর ভর করে চার উইকেটের জয় পেয়েছিলো ভারত। রাজেশ চৌহান তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৭৬ উইকেট শিকার করেছেন, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই এই একটি ছয় তিনি কখনোই ভুলবেন না।
কোর্টনি ওয়ালশ, ০ অপরাজিত
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ব্রিজটাউন, ১৯৯৯
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৪৩ বার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কোর্টনি ওয়ালশের দখলে। কিংবদন্তী এই পেসার ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন। তবে ১৯৯৯ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার শূন্য রানের অপরাজিত ইনিংসটিও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
ব্রিজটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিলো ছয় রান এবং অস্ট্রেলিয়ার এক উইকেট। এমতাবস্থায় ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ওয়ালশ। তার কাজ ছিলো ফর্মের তুঙ্গে থাকা জেসন গিলেস্পির তিনটি বল ঠেকানো, বাকি কাজটুকু করে নেবেন অপরপ্রান্তে থাকা ব্রায়ান লারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ালশ এমন পরিস্থিতে আরও একবার পড়েছিলেন, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার বলে ছয়ের রানের প্রয়োজন ছিল। তখন ব্যাট করতে নেমে ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এইবার আর ভুল করেননি ওয়ালশ। পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তার দিকে তাকিয়ে ছিল, ঐ মুহূর্তে তার উইকেটের চেয়ে দামি আর কিছু ছিল না। গিলেস্পি প্রথম বল করলেন অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে, ওয়ালশ বলটি না খেলে ব্যাট বগলদাবা করে রেখে মুষ্টিবদ্ধ করে উদযাপন করেন। বলটি অবশ্য নো ছিল। এরপরের বল ছিলো লেগ স্ট্যাম্পে, ওয়ালশ কিছুটা সরে এসে বলটি ডিফেন্ড করেন। তৃতীয় বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারও কোনোক্রমে রুখে দেন ওয়ালশ। শেষ বলটি গালি অঞ্চলে খেলার পর অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ হতাশায় চোখ বন্ধ করে ফেলেন। তখনই বুঝে ফেলেছেন, ম্যাচ সেখানেই শেষ।
ব্রায়ান লারা ঐদিন অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক উইকেটের জয় এনে দেন। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ রানে পাঁচ উইকেট এবং ২৪৮ রানে আট উইকেট হারানোর পরও ব্রায়ান লারার অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোর্টনি ওয়ালশ ম্যাচে সাত উইকেট শিকার করার পর ব্যাট হাতে পাঁচ বল মোকাবেলা করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
মুত্তিয়া মুরালিধরন, ৩০
শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড, দ্য ওভাল, ১৯৯৮
১৯৯৮ সালের ২৭শে আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্য ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুরালিধরন সাত উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে নয় উইকেট শিকার করেছিলেন। তবে প্রথম ইনিংস খেলা তার ৩০ রানের ইনিংসটিও দলের জয়ে বড় অবদান রাখে।
মুত্তিয়া মুরালিধরন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ব্যাট হাতে নামেন, তখন শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিলো নয় উইকেটে ৫৩২ রান। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে সুরেশ পেরেরা’র সাথে দ্রুত ৫৯ রান যোগ করেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩০ রান, যাতে পাঁচটি চারের মার ছিলো।
তার এই ইনিংসের সুবাদেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে মুরালিধরনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ১৮১ রানেই সবক’টি উইকেট হারায়। মুরালি ৫৪.২ ওভার বল করে মাত্র ৬৫ রানের বিনিময়ে নয় উইকেট শিকার করেন। আর কিছু ওভার দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেই ম্যাচ ড্র হয়ে যেতো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ১২৯.২ ওভার ব্যাটিং করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি।
প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে জয়ের জন্য মাত্র ৩৬ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার সনাৎ জয়াসুরিয়া এবং মারাভান আতাপাত্তু তা পাঁচ ওভারেই অতিক্রম করে ফেলেন। মুরালির ম্যাচে ১৬ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৩০ রানের ইনিংসটিও দলের জয়ে বড় অবদান রাখে।