বিকেএসপির মাঠগুলোর আশেপাশে থাকা গাছগুলোয় উঠে দর্শকদের খেলা দেখার রেওয়াজ বেশ পুরনো। অলিখিত ঐতিহ্যের মতো। বুধবার যখন উইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট করতে নামছিলেন বিসিবি একাদশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, তখন চারদিক থেকে শত শত হাততালি আর অভিনন্দন। এই মাশরাফির জন্য এমন হাততালি সেই ২০০১ সাল থেকেই হয়ে আসছে, কিন্তু এবারের চিত্রটা একটু ভিন্ন।
সেটাও বোঝা গেল একটু পরেই।
ব্যাটে নেমে মাশরাফি ছক্কা হাঁকালেন, বল গিয়ে পড়লো তিন নম্বর মাঠের বাইরে প্রাচীরের দিকে। তখনই প্রাচীরের বাইরে থাকা গাছে চড়ে বসা দর্শকদের চিৎকার, ‘নৌকা! নৌকা!’। নির্বাচনের এহেন নিজে থেকে হেঁটে আসা প্রচারণা আর কী-ই বা হতে পারে?
কিন্তু সেদিন বিকেলে নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমের কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি দেশের সফলতম এই অধিনায়ক ও পেসারকে। তার কারণ, কাজটা আগেই শেষ করে ফেলেছেন তিনি।
গত ৪ ডিসেম্বর মাশরাফি একটি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন। স্থান, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আঙিনা, পুলিশ কন্ট্রোল বক্স। তিনি সেখানে সাফ জানিয়ে দেন, নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন এখনই শেষ হোক। সিরিজের মাঝে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন চান না তিনি। সিরিজের প্রশ্ন থাকুক ক্রিকেট নিয়েই। রোর বাংলা’র পাঠকদের জন্য সেই ‘অন্যরকম’ সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশই তুলে ধরা হলো।
হঠাৎ এই প্রেস কনফারেন্স?
খেলার আগে এই নিয়ে আপনাদের সাথে এগুলো নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন না হোক, এজন্য যেটা করার আমি এখনই করে ফেলছি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণে খেলার প্রতি কতটা ফোকাস থাকতে পারছেন?
আমার পুরোপুরি অনুশীলনে মন আছে। অবশ্যই ১৪ তারিখের পর আমি নির্বাচনে মনোযোগ দেবো। ওখানে যা করার, ১৪ তারিখের পর। এর আগে পুরোপুরি মনোযোগ খেলায় রাখবো।
কেন নির্বাচন? ক্রিকেটের প্রতি আওয়ামী লীগের কোনো অবদান আপনাকে অনুপ্রাণিত করছে?
প্রথমত ধরুন, আমি যদি ওয়ার্ল্ড কাপ পর্যন্ত খেলার কথা বলি, তাহলে আর সাত-আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপের পর আমার ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়, নেক্সট চার বছর কী হবে আমি জানি না। আর আমার একটা সুযোগ এসেছে, যেটা আমি সবসময় উপভোগ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন, আপনারা জানেন যে আমার একটা ফাউন্ডেশনও আছে। আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করছি এর মাধ্যমে। স্রেফ এখান থেকেই মনে হয়েছে, সাড়ে সাত-আট মাস পর তো আবার জাতীয় নির্বাচন হবে না। ক্রিকেটে না, অন্য স্পোর্টসেও আমাদের জন্য পারফরম্যান্সটা সবার আগে। বাংলাদেশ ক্রিকেট সামনের দিকে এগোচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই আপনারা জানেন। বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল। সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি আছে। তো আমার বিশ্বাস, সামনের দিকে আমরা আরও এগিয়ে যাবো।
ঘরের মাঠে শেষ ওয়ানডে সিরিজ নির্বাচনের কারণে আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছে, বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
প্রথমত আমি বলেছি, আমার মাইন্ড সেটআপ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিলো, আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পারবো কি না জানি না। তারপরও আমার ফিটনেস, পারফরম্যান্স ঊনিশ পর্যন্ত চলছিলো বলে আমি মোটামুটি এগিয়েছি। সেটাই বলছি, আমার বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাইন্ড সেটআপ আছে। তারপর রিভিউ করার সুযোগ আছে, আমি যদি সেই অবস্থায় না থাকি, তাহলে অবশ্যই আমাকে কুইট করতে হবে। আর যদি থাকি, তাহলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো। তার আগেও যেকোনো কিছু হতে পারে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর আপনাদের এখানেই ৫০% বিশ্বাস করেছিলো যে, আমার ক্যারিয়ার শেষ। আল্লাহর রহমতে আরও সাত বছর ক্যারি করতে পেরেছি। আমার ফ্যামিলির সবাইও ভেবেছিলো, আমি পারবো কি না।
শেষ সিরিজ নিয়ে কি বলবেন?
আমার কাছে এ নির্বাচনে আসার আগেও সিরিজগুলো যেমন ছিল, এই সিরিজটাও সেরকমই। আমার শেষ আর শুরুতে কিছু আসবে না। তবে অবশ্যই সিরিজটা জিততে চাই। আমার চোখে ঠিক আট-দশটা সিরিজ যেভাবে খেলেছি, এটাও তা-ই।
ক্রিকেটের বাইরে পলিটিক্যাল মানুষজনের সাথে ওঠা–বসা কতটা উপভোগ করছেন?
না, এখনও ঘোরার সুযোগ পাইনি। যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সিরিজটা খেলার পর যাবো। নড়াইলের মানুষজনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি যেতে পারিনি, গেলে আমার যে কাজগুলো আছে সেগুলো আমি করবো।
কী ভেবে নির্বাচনে দাঁড়ানো?
এটা বললাম আগে, আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার, না আমি ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুক পেরেছি, খেলেছি। তবে আমি সবসময় এনজয় করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। যে সুযোগটা পেয়েছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়।
বিপক্ষ দলের মন্তব্য?
আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে, আপনার নিজের পারসোনালিটি থাকা উচিত। আপনি যদি কোনো দলকে সাপোর্ট করেন, তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশ্যে বলা উচিত। এমন অনেকেই আছে, যারা সাপোর্ট করে কিন্তু বলতে পারে না। প্রত্যেকে যে যার দল করে, তাঁর সম্মানটা থাকা উচিত এবং তাঁর মতো করে দেশের জন্য কাজ করবে এই মানসিকতাই থাকা উচিত। যারা কমেন্ট করছে বা করবে, তা আমার নিয়ন্ত্রণে নাই।
সিরিজের আগে সব কথা রাজনীতি নিয়ে পুরোপুরি ক্রিকেটে আছেন?
এজন্যই (রাজনীতি নিয়ে) আমি আজ প্রেস কনফারেন্সে আসছি, যাতে পোস্ট ম্যাচে আর কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা না বলেন। নাহলে ম্যাচের আগের দিন যদি প্রেস কনফারেন্স করতাম, এই প্রশ্নগুলো তখন হতো। আমি ব্যক্তিগভাবে মনে করেছি, আপনাদের মনে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে এখনই ফেস করা উচিত।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে এলেন, না ব্যক্তিগতভাবে এলেন?
আমি ব্যক্তিগতভাবেই বলেছি। রাবিদ ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি যে, অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তরগুলো দেওয়া উচিত আমার মনে হয়। আজ হোক, কাল হোক আমার ফেস করতেই হতো। খেলার মধ্যে যাতে এই প্রশ্নগুলো না হয়, এজন্যই আমার আসা।
বিশ্বকাপের পরও খেলবেন কি না রিভিউ করবেন, সাংসদ হয়ে গেলে আর খেলাটা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কি না?
প্রথমত, আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই থাকবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আট মাসের ব্যাপার। আট মাস পর্যন্ত যেভাবে খেলে আসছি, ঐভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। আমার ব্যক্তিগত গোলও ছিল বিশ্বকাপ। পরে সেটা রিভিউ করবো কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।
দেশের মাশরাফি থেকে দলের মাশরাফি হওয়া কেমন?
এটা খুবই স্বাভাবিক। উদ্দেশ্য আমার পরিষ্কার, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, যদি সুযোগ পাই কাজ করবো। আগেও বললাম, আমি বিশ্ব ক্রিকেটে আমি এমন কোনো সুপারস্টার না যে আট মাস পরে আমি যখন খেলা ছেড়ে দিবো, তখন জনে জনে মানুষ স্মরণ করবে।
তরুণদের কী স্বপ্ন দিতে চান? এরকম তরুণ এসে অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে যায়, অনেক বড় বড় কথা শুনি। আপনি গতানুগতিক রাজনীতিতে গা ভাসাবেন না বলে কতটা কনফিডেন্ট?
দেখেন, আমি স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। যদি গতানুগতিক হয়ে থাকে, গতানুগতিক কথা বলতেও চাই না। যেটা হয়তো কাল আপনি মিলাতে পারবেন না। সেই সুযোগটা যদি আমার আসে, এখনই চিন্তা করার সুযোগ নাই যে আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি। নির্বাচিত হওয়ার পর যদি আপনাদের মনে হয় রিভিউ করতে আমার কাজ, তখন করবেন। এখন আসলে বলা কঠিন।
নড়াইলের সমর্থন কতটা পাচ্ছেন?
সাপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনও যেতে পারিনি। তাই টোটালি বলাটা কঠিন। খেলার পরে গেলে বুঝতে পারবো।
কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আপনি দেশ নিয়ে কোনো কথা বললেনি।
এত গভীর রাজনীতি আমি করিনি, জানিও না। যেটা পরিষ্কারভাবে বললাম, আমার উদ্দেশ্য খুব সিম্পল। যেটা মানুষের জন্য করে শান্তি পাই, টাচ পাই, ততটুকু। আমাকে যদি ডিপ লেভেলের পলিটিশিয়ান ভাবেন, সেটা আমি এখনো হয়তো বা না, হইনি। সো আমাকে ওই পর্যায়ে ভাবলে আমার প্রতি অবিচার হবে। আমার অভিজ্ঞতাটা একদমই নতুন। তবে আমি যেটা বলেছি, ভালো কাজ করতে চাই। সেটা হয়তো সামনে দেখা যাবে, কতটুকু করতে পারি।
দেশের ক্রিকেটে মাশরাফির চিন্তা কী?
দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলছে। এখন যারা আছেন, ক্লিয়ারলি বলতে পারেন। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়ার, ততটুকু দেবো।
বোর্ডে আসতে চান কি না…
আমি তো আগেই বললাম, সামনে কী হবে জানি না। নির্বাচন হলে নির্বাচনে জিততে হবে। সো এই পর্যায় পার না হলে বলা যায় না কিছুই।
নড়াইল ফাউন্ডেশন দিয়ে তো মানুষের জন্য কাজ করছিলেন। রাজনীতিতেই কেন যোগ দিতে হবে?
এবার আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করি, আমার ফাউন্ডেশনে কী কী কাজ হয়েছে বলতে পারবেন?
হ্যাঁ, রাস্তা তৈরি করেছেন, হাসপাতালের প্লান করছেন…
একটাও কিন্তু ঠিক হয়নি। আমি রাস্তা কিন্তু করতে পারিনি। এবার আপনাকে আমি কথা বলি। আপনাদের সবকিছু ক্লিয়ার না। আমি ফাউন্ডেশন করে এটা বুঝেছি, আমি অনেক কিছুই কাজ করেছি, এটা সত্যি কথা। কিন্তু মানুষজন জানে না, এমনকি নড়াইলের মানুষজনও জানে না। যেটা আমি বললাম, করার চেষ্টা করেছি। আমার জায়গা থেকে যতটুকু করা দরকার, চেষ্টা করেছি। যে সুযোগটা আমাকে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, আরেকটু বড় পরিসরে করা, সেটাই।
এমপির কাজ এলাকার উন্নয়ন, না আইন প্রণয়ন?
আসলে আইন প্রণয়ন করা তো জানি। আমি তো দেখেছি, এই পর্যায় থেকেও অনেক হেল্প আসে। সরকার থেকেও অনেক সহযোগিতা আসে, যেগুলো এখান থেকে যাওয়ার পর ঠিকভাবে বন্টনের ব্যাপার আছে। আমি চেষ্টা করবো, এই ব্যাপারটা ঠিকমতো করার।
দল না জিতলে আপনার ভবিষ্যৎ?
হতে পারে, কালকে আপনার জীবনে কী ঘটবে আপনি জানেন না। আমার জীবনে কী ঘটবে, সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনি ক্লিয়ার মাইন্ড নিয়ে যাচ্ছেন কি না। আমি শুধু নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কালকে আমার সাথে কী হবে, সেটা জানি না। তাই এত কিছু ভাবার সুযোগ এখনো নাই।
টেস্ট থেকে অবসর?
দেখা যাক, আমি তো দশটা কাজ তো একসাথে করবো না। আর টেস্ট মনে হয় এমনিই বলে দেবো। আর টেস্ট তো আট বছর ধরে খেলছি না।
পরিবার থেকে বাধা, সমর্থন?
খুব স্বাভাবিক। ধরেন, পারিবারিকভাবে জানার পর এটা একটা নতুন জিনিস তাদের জন্য। তাদের জন্যও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে, আমারও লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। হয়তো বা ওভাবে রাজনীতি আমার বাসায় কেউ করেনি। এটাই সত্যি। তো কিছুটা সময় তো তাদেরও লাগবে মানিয়ে নিতে।
তরুণদের প্রতি বার্তা?
আমি মাত্রই বললাম, আমার নিজেকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি। নিজেকে ঠিক জায়গায় নিতে পারি কি না, সেটা আমি দেখি। ২০০১ সালে যখন ডেব্যু হয়, আমি তরুণদের আইকন ছিলাম না। আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করে গেছি, তারপর এ অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছি। আর নির্বাচিত হলে আমার কাজটা ঠিকমতো করার চেষ্টা করবো, তারপর দেখা যাক কী হয়।
আপনার প্রতিপক্ষের চেয়ে আপনি কেন যোগ্য?
আমি তো সেটা একবারও বলিনি, আমি আপনার চেয়ে বেটার। তাকে আমি সম্মান করি। তাকে অসম্মান করে আমি কীভাবে বলবো, ওনার চেয়ে আমি বেটার। সেটা অবশ্যই আমি বলবো না। এ অবস্থায় আমি নিশ্চয়ই যাবো না। অবশ্যই আমি চাই, আমি আমার মতো করে বলবো। আরেকজনকে ছোট করে আমি বড় হবো, সেই সুযোগ নিশ্চয়ই নাই। দেখুন, আমি একজন স্পোর্টসম্যান। ওখানেও কিছুটা এই মানসিকতা থাকতে হবে। ওখানে গিয়ে আমি বলতে পারবো না, ওর চেয়ে আমি ভালো। আমাকে আপনারা ভোট দেন, সেই সুযোগ আমার নাই।
ভোট কেন দেবে?
ভোট তো সবার একটা একটা করে। আমার ভোট একটা, আপনার ভোটও একটা। যিনি ভোট দেবেন, উনার কাছে যদি মনে হয় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাহলে আমাকে ভোট দেবে। আমার যতটুকু করণীয় আছে, সেটা আমি করবো। বাদবাকি ওনার ব্যাপার। উনি আমাকে পার্সোনালি দেবে কী দেবে না, সেটার নিয়ন্ত্রণ আমার কাছে নাই। আমি আমার মেসেজটা যতটুকু দিতে পারি, ভোট তো দিবে পার্সোনালি সেই মানুষটা। সেই মেসেজ এখন দেওয়া নিষেধ।
আদর্শ?
আমি এখনো আদর্শ হইনি। আমি কাজ করার পর দেখবো কী হয়। আপনারা দেখবেন। ভালো কাজ করলে একটা ভালো প্রভাব পড়তে পারে।
প্রথম নির্বাচনের প্র্যাকটিস?
আমি কোনো প্র্যাকটিস করিনি। আমি এখনো পুরোপুরি খেলায় আছি। আমার একটা শক্তি আছে, যখন যে কাজটা করি সেটা মন দিয়ে করতে পারি। এটাই আমার শক্তি। আমি এখন খেলা নিয়ে ভাবছি। খেলা শেষ করে যখন যাবো, তখন পুরোপুরি মন দেবো।