Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

খুব সম্ভাবনা ছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপেই খেলার, কিন্তু হল্যান্ডের কাছে হেরে স্বপ্ন ভেঙে যায়। অথচ সেই সময় আইসিসি ট্রফির সেরা তিনটি দল বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিল। বাংলাদেশ যদি সেরা ৩ দলের একটি হতে পারতো, তাহলে একইসাথে আয়োজকও হতে পারতো। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সুযোগ না পাওয়ায় সেই আসরে আয়োজক হবার সুযোগটা হারায় বাংলাদেশ।

তবে পরের আসরেই বাংলাদেশ সুযোগ পায় এবং এরপর থেকে প্রতিটি আসরেই বাংলাদেশ দল খেলে আসছে।

প্রথম বিশ্বকাপে কোচ গর্ডন গ্রিণিজের সাথে ক্রিকেটাররা; Image Source: The Cricket Monthly

একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক প্রতিটি আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের দিকে।    

১৯৯৯ বিশ্বকাপ

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাংলাদেশ খেলতে আসলেও তাদের নিয়ে তেমন কোনো উচ্চাশা কারো মাঝে ছিল না। নিউ জিল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রুপে থেকে কেবলমাত্র স্কটল্যান্ডকে হারানোর লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ গিয়েছিল বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু যাওয়ার আগেই দল নিয়ে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর বাদ পড়াটা তখনকার দর্শকরা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেননি। পারার কথাও ছিল না। তখনকার প্রেক্ষাপটে দেশ সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন নান্নু।

বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল ঘোষণা করার আগে যে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল তাতে ১৩০ রানের একটি ইনিংস খেলার পরেও যখন দলে নান্নুর জায়গা হলো না, তখন অনুমান করতে কষ্ট হয় না যে কারণটা খেলাজনিত কিছু নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো বা দেশের সব মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠলো নান্নুকে দলে নেবার দাবিতে। শেষপর্যন্ত জনতার দাবির কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছিল নির্বাচকদেরকে।

বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। শুরুটা যতটুকু খারাপ হওয়া সম্ভব তার চাইতে একটু কম হলো। ইনিংসের তৃতীয় বলেই শূন্য রানে আউট হলেন ওপেনার শাহরিয়ার হোসাইন বিদ্যুৎ, প্রথম বলেই আউট না হয়ে সবচেয়ে খারাপ হওয়াটা এড়ালেন। তবে বাকি ব্যাটসম্যানরা আউট হতে থাকলেন নিয়মিত বিরতিতেই। মাত্র ৩৭.৪ ওভার টিকতে পারলো বাংলাদেশ, অল আউট হলো ১১৬ রানে। নিউজিল্যান্ড এই রান টপকে গেলো মাত্র ৩৩ ওভারেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে নান্নু দলে সুযোগ পেলেন। ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপে দলের পক্ষে প্রথম অর্ধশত রানের ইনিংস খেললেন মেহরাব হোসাইন অপি। নান্নু মাত্র ৫ রানে আউট হলেন। নাইমুর রহমানের ৪৫ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ১৮২ রানের স্কোর দাঁড় করাতে পারলো। তবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে সেই ম্যাচ জিতে নিল উইন্ডিজ। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও ব্রায়ান লারাকে আউট করে ম্যাচটাকে নিজের জন্য মোটামুটি স্মরণীয় করে রাখলেন নান্নু।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলার পথে নান্নু; Image Source: ESPNcricinfo.com

তৃতীয় ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় না পেলেই সমালোচনা হতো, জয় পেলে কোনো প্রশংসা নয়। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের জন্যও হারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশই। তারাও তাই মরীয়া হয়ে লড়াই করছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাত্র ২৬ রানেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট পড়ে যাবার পর বাংলাদেশি সমর্থকেরা বুঝতে পারলো, এক কঠিন লজ্জা অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। সেই মুহূর্তে অভিজ্ঞ নান্নু ৬৯ রানের মহা গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তুললেন দূর্জয়ের সাথে। ৯৫ রানে দূর্জয় আউট হবার ১ রান পরেই আউট হলেন সুজন, দলে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান বলতে আর কেউ নেই।

এনামুল হক মনিকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ে তুললেন অভিজ্ঞ নান্নু। তার দৃঢ়তাতেই ৫০ ওভার খেলতে পারলো বাংলাদেশ। তার অপরাজিত ৬৮ রানের সুবাদে ১৮৫ রানের স্কোর দাঁড় করালো বাংলাদেশ। বোলিংয়েও ১ উইকেট নিয়ে ২২ রানে জেতা সেই ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন নান্নুই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয় এবং প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কারের সাথে জড়িয়ে রইলো নান্নুর নাম।

চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হলো সেই বিশ্বকাপের আহত বাঘ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। পরের পর্বে যাবার জন্য অস্ট্রেলিয়ার কেবল জয় পাওয়াটাই যথেষ্ট ছিল না, একইসাথে রান রেট বাড়ানোটাও দরকার ছিল। ১৯.২ ওভারে ম্যাচটা শেষ করে সেই লক্ষ্য পূরণে অস্ট্রেলিয়া সফল হলেও বাংলাদেশকেও ব্যর্থ বলা যাবে না। ৫০ ওভার পুরোটা খেলে ১৭৮ রান করে বাংলাদেশ, নান্নু আরেকটি অর্ধশত রানের ইনিংস খেলে দলে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেন।

প্রথম বিশ্বকাপেই পাকিস্তানকে হারানোটা ছিল এক অবিশ্বাস্য অর্জন; Image Source: cricbuzz.com

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ এক প্রাপ্তি। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ২০০ রানের স্কোর পার করতে সমর্থ হয় তারা। অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জিতে নিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় বাংলাদেশ। খালেদ মাহমুদ সুজন পান ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।

বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেন নান্নু (১৪০) এবং সবচেয়ে বেশি উইকেট পান সুজন (৬টি)। প্রথম বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের জন্য সফলই ছিল বলা চলে।

২০০৩ বিশ্বকাপ

আগেরবারের তুলনায় গ্রুপটা কিছু কঠিন ছিল, ফরম্যাটটাও। শ্রীলংকা, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের সাথে ছিল কেনিয়া এবং কানাডা। গ্রুপ থেকে মাত্র তিনটি দলের পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল কেনিয়া এবং কানাডাকে হারানোর পাশাপাশি বড় যেকোনো দুটি দলকে হারানো। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আগের আসরের মতো দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়। অভিজ্ঞ আকরাম খানের দল থেকে বাদ পড়া এবং মাত্র ২ ম্যাচের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এহসানুল হক সিজানকে দলে নেওয়া নিয়ে সাধারণ দর্শকসহ বোদ্ধারাও সমালোচনায় মেতে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আকরাম খানকে দলে নেওয়া হয়। প্রতিটি ম্যাচেই চরম বাজেভাবে খেলে সমালোচনার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে বাংলাদেশ দল।

প্রথম ওভারের প্রথম ৩ বলেই হ্যাটট্রিক করেন ভাস; Image Source: YouTube

প্রাথমি ভাবে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল গ্রুপের তুলনামূলক কম শক্তিশালী দল কেনিয়া এবং কানাডাকে হারানোর পাশাপাশি আরেকটা বড় দলকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্বে ওঠা। কিন্তু কানাডার সাথে প্রথম ম্যাচেই বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কানাডা মাত্র ১৮০ রানে অল আউট হয়ে গেলেও রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ টিকতে পারে মাত্র ২৮ ওভার, ১২৮ রানে অল আউট হয়ে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হয়।

শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে আরেকটি লজ্জাজনক রেকর্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম তিন বলেই তিনজন ব্যাটসম্যানকে আউট করে এক বিরল হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন চামিন্দা ভাস। বাংলাদেশ অল আউট হয় মাত্র ১২৪ রানে এবং শ্রীলংকা মাত্র ২১.১ ওভারেই সেই রান টপকে যায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৮ এবং নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৮ রানের স্কোর করে মনোবলটা একেবারেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে যখন মুখোমুখি হবে, তখন শ্রীলংকাকে হারিয়ে কেনিয়া উজ্জীবিত। বাংলাদেশ পারেনি সেই কেনিয়াকে হারাতে, ২১৮ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১৮৫ রানে অল আউট হয়ে লজ্জাজনক টুর্নামেন্টের সমাপ্তি ঘটায়।

বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান (৯৯) করেন খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সবচেয়ে বেশি উইকেট (৫টি) পান খালেদ মাহমুদ সুজন।

২০০৭ বিশ্বকাপ

হিসেব অনুযায়ী ২০০৭ বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের জন্য অন্যতম সফল এক বিশ্বকাপ। ভারত, বারমুডা, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার গ্রুপ থেকে দুটি দল উঠবে এই সমীকরণে ভারত আর শ্রীলঙ্কা পরের পর্বের জন্য এগিয়ে থাকলেও গ্রুপ পর্বে ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে আপসেট ঘটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে মানজারুল ইসলাম রানা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে ম্যাচটি খেলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও বারমুডাকে হারিয়ে ভারতকে টপকিয়ে পরের পর্বে খেলে বাংলাদেশই।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৭ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেলার পথে আশরাফুল; Image Source: Bangladesh Cricket

পরের পর্বে উঠতে পারাটাই বাংলাদেশের জন্য সফলতা ছিল। সুপার এইটে শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাওয়ার চিন্তা করাটা কিছুটা সাহসী ভাবনাই। তবে পাকিস্তানকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডও সুপার এইটে চলে আসায় বাংলাদেশের জন্য সুযোগ থাকে আইরিশদেরকে হারানোর। সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেলেও আশরাফুলের ৮৩ বলে ৮৭ রানের একটা অসাধারণ ইনিংসের কল্যাণে ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান (২১৬) করেন আশরাফুল এবং সবচেয়ে বেশি উইকেট (১৩টি) পান আবদুর রাজ্জাক।

২০১১ বিশ্বকাপ

এই বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। টুর্নামেন্টের আগেই ইনজুরির জন্য দলের মূল বোলার মাশরাফিকে হারিয়ে মনোবলের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। তবে এরপরেও ভারত, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। সেজন্য তাদের লক্ষ্য ছিল নেদারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডকে হারানোর পাশাপাশি বড় কোনো দলকে হারানো।

২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তামিম ইকবাল; Image Source: Zimbio

ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৮৭ রানে হারলেও ২৮৩ রান করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৫ রানে অল আউট হয়ে গেলেও তাদেরকে ১৭৮ রানে অল আউট করে ২৭ রানের কষ্টার্জিত জয় পায় বাংলাদেশ।

একটি বড় দলকে হারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ ধরা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটাতে মাত্র ৫৮ রানে অল আউট হয়ে নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে ফেলে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডকে হারালেও নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৮ রানে অল আউট হয়ে ব্যর্থতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়।

বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান (১৮৮) করেন ইমরুল কায়েস এবং সবচেয়ে বেশি উইকেট (৮টি) পান সাকিব আল হাসান।

২০১৫ বিশ্বকাপ

এই বিশ্বকাপকে ধরা হয়ে থাকে এই পর্যন্ত হওয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বিশ্বকাপ।

নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানকে ১০৫ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যাক্ত হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ রানে হারলেও স্কটল্যান্ডের ৩১৮ রান তাড়া করে দুর্দান্ত এক জয় পায় বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডকেও হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে হারিয়ে পরের পর্ব নিশ্চিত করে তারা। শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রায় জিততে থাকা ম্যাচ শেষ মূহুর্তে হেরে যায় বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; Image Source: The Daily Star

কোয়ার্টার ফাইনালেও একটা পর্যায় পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচে ছিল। কিন্তু রোহিত শর্মার নো বল আউট বিতর্কে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়। তবে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও পুরো বিশ্ববাসীর সম্মান আদায় করে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান (৩৬৫) করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সবচেয়ে বেশি উইকেট (৮টি) পান তাসকিন আহমেদ।

শেষ কথা

যেকোনো মানুষ কিংবা জাতিই ক্রমাগত উন্নতি চায়। সেই হিসেবে বাংলাদেশের এই বিশ্বকাপে লক্ষ্য হওয়া উচিত সেমি ফাইনাল। তবে ফরম্যাটের কারণে এই বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে বলা যায়। ১০টি দলের প্রত্যেকেরই রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে নিজেদের মাঝে খেলা হবে এবং পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারটি দল পরের পর্বে উঠবে। সেই হিসেবে প্রতিটি দলের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে যেমন দ্বিতীয় পর্বে ৬টি কিংবা ৮টি দল উঠতো, সেখানে এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় পর্বে উঠবে মাত্র ৪টি দল।

সফলতা কিংবা ব্যর্থতা বিষয়গুলো আসলে আপেক্ষিক। পরিসংখ্যানের আলোকে বিষয়গুলো আসলে সবসময় বোঝা সম্ভব নয়। টুর্নামেন্ট শেষ হলেই বুঝতে পারা যাবে যে, টাইগাররা ভাল খেলেছে নাকি খারাপ। তবে ভালো খেলুক কিংবা খারাপ, তাদের জন্য শুভকামনা এবং সমর্থন সবসময়ই বাংলাদেশের দর্শকদের থাকবে সেটা চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায়।

This article is in Bangla language. This is about the performances of Bangladesh cricket team in the world cup cricket. References are given inside as hyperlinks.

Feature Image: Swarajya

Related Articles