১১ দাবিতে ক্রিকেট বয়কট সাকিব-মুশফিকদের

কয়েক ঘন্টার মাঝে দেশের ক্রিকেটের সবকিছু উল্টেপাল্টে গেল। দুপুরের আগে থেকেই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে গুঞ্জন, ধর্মঘট ডেকেছে দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। বিকেলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। কী নিয়ে ধর্মঘট, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল গেল কয়েকদিনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল বাদ দেওয়া, জাতীয় লিগের পারিশ্রমিক ‘আশানুরূপ’ বৃদ্ধি না পাওয়ার ঘটনায়। দিন শেষে হলোও তাই। ক্রিকেটাররা তাদের বেতন-ভাতা তো বটেই, ধর্মঘটের ডাক এলো দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে নানান গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের দাবিতে। ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সব মিলিয়ে ১১টি দাবি ক্রিকেটাররা বিসিবির কাছে দাখিল করেছেন ক্রিকেটাররা।

জাতীয় দলের অনুশীলনে ক্রিকেটাররা; Image Source: BCB

ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দল তথা সব বয়সভিত্তিক দল ও তাদের টুর্নামেন্ট বাদে বিসিবির অধীনে থাকা সব ক্রিকেটার দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কাজ থেকে তারা বিরত থাকবেন। এর মধ্যে চলমান জাতীয় লিগ ও নভেম্বরে আসন্ন নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ভারতের বিপক্ষে সিরিজও রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনিয়ম, দুর্নীতি ও বঞ্চনা নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটের উন্নতির জন্য যখন বাকি সব দেশ তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো নিয়ে কাজ করছে, সেখানে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে প্রতিনিয়ত শোনা যায় পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং, ম্যাচ পাতানো কিংবা পারিশ্রমিক না দেওয়ার ঘটনা। সেটা যেমন দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলে, তেমনই অন্যান্য লিগেও। সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের নেতৃত্বে ছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের হয়ে তারা যেসব দাবি পেশ করেছেন, তাতে তাদের প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। বরং, সংবাদ সম্মেলন শেষে সাকিব আল হাসান বললেন,

‘আমরা এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই দেশের ক্রিকেটের জন্য, ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের জন্য।’

সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দাবিতে কেবল ‘ক্রিকেটার’দের জন্যই সবকিছু ছিল না। তাদের ভাবনায় ছিল দেশীয় কোচ থেকে শুরু করে আম্পায়ার, এমনকি গ্রাউন্ডসম্যান পর্যন্ত! সব মিলিয়ে বলায় যায়, ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়ের সাথে চাহিদাসম্পন্ন।

ধর্মঘটের ডাকে বিসিবির একাডেমি মাঠে ক্রিকেটাররা; Image Source: Daily Star/Ramin Talukder

বিসিবির একাডেমির মাঠে দাঁড়িয়ে দেশের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটাররা একেকটি দাবি নিয়ে একেকজন ক্রিকেটার আলাদাভাবে তাদের বক্তব্য রেখেছেন। যেন ম্যাচের ১১ জনের একেকটি সদস্য। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা অনিয়মের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ক্রিকেটাররা সবার আগে দাবি তুলেছে ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াবের) বর্তমান কমিটিকে অবিলম্বে বাতিল করার। এ ব্যাপারে দেশের জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম বললেন,

‘প্রথমেই সম্মানের ব্যাপারে। আমরা যারা ক্রিকেটার আছি, যতটুকু সম্মান আমাদের পাওনা ততটুকু মনে হয় না পাই। আমাদের খেলোয়াড়দের যে সমিতি আছে (কোয়াব), তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের জন্য যে কিছু করবে, সেটি আমরা কখনো দেখিনি। প্রথম দাবি হচ্ছে, যারা এখন এই সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আছে, তাদের দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। সামনে কে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক-সভাপতি হবে, সেটা আমরা ঠিক করব। নির্বাচন করে ঠিক করব।’

উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় বলেন,

‘আগে জাতীয় লিগের পর একটা ওয়ানডে লিগও হতো। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা চাই, সেই লিগ আবারও ফিরিয়ে আনা হোক। শুধু তাই নয়, বিপিএলের আগে একটা টি-টোয়েন্টি লিগও আমরা চাই। এটাও আমাদের অন্যতম দাবি।’

এখানে বলে রাখা ভালো যে, গত বছরেই বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশের টি-টোয়েন্টিকে আরও এগিয়ে নিতে বিপিএলের পাশাপাশি আরও একটি টি-টোয়েন্টি লিগের আয়োজন করা হবে। কিন্তু সেই লিগের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দৃশ্যমান তো দূরের কথা, বিসিবির ভাবনাতেও সেই পরিকল্পনা আপাতত নেই বলেই জানিয়েছেন একাধিক সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা।

জাতীয় লিগের মাঠে ক্রিকেটাররা; Image Source: BCB

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এই মুহূর্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’ অনুযায়ী। গত দুই বছর ধরে টানা এই নিয়ম চলছে। তবে শুরুতে বলা হয়েছিল, কেবল এক বছরের জন্য এই নিয়ম থাকবে। এর কারণে ক্রিকেটাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী দলে খেলার সুযোগ যেমন হারিয়েছেন, তেমনই হারিয়েছেন পারিশ্রমিক। এ প্রসঙ্গে মুশফিক ও জুনায়েদ সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।

ওপেনার জুনায়েদ পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক পুরনো অভিযোগ আবারও তুলে ধরে বলেন,

‘ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক আদায় নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। প্রিমিয়ার লিগের পারিশ্রমিক নিয়ে বারবার বলার পরও দেওয়া হয় না। এ নিয়ে বিসিবি থেকে একটা ফিক্সড ডেট দিতে হবে, যেন এর বাইরে না যাওয়া লাগে। আমি নিজেই এখনও গেল মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নের থেকে ৪০% অর্থ পাইনি।’

সাকিব আল হাসান বললেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সার্বিক বিষয় নিয়ে। তার বক্তব্যে পাওয়া গেল দেশের ক্রিকেটের অসহায় চিত্র,

‘ধরেন একটা ক্রিকেটার আজ রাজশাহী থেকে যাবে কক্সবাজার। তাকে দেওয়া হয় ২৫০০ টাকা। এখন ২৫০০ টাকায় বাস ছাড়া আর কোনো গতি আছে যাওয়ার? আমরা চাই, সব ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচে ফ্লাইট নিশ্চিত করতে হবে। আবার হোটেলের কথা যদি আসি, আপনারা জানেন, তাদেরকে কোথায় রাখা হয়। চারদিনের একটা ম্যাচ খেলতে গেলে ক্রিকেটারদের কী পরিমাণ কষ্ট, তাও জানেন। তাদেরকে কোনোরকম হোটেলে রুম অ্যালোকেট করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাদের দাবি, ক্রিকেটারদের জন্য হোটেলে জিম আছে, সুইমিংপুল আছে, অন্তত এই দু’টি হোটেলে নিশ্চিত করতেই হবে।’

তিনি আরও বলেন,

‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বেতন ভাতা বাড়াতে হবে। ম্যাচ ফি অন্তত ৫০ ভাগ বাড়াতে হবে। আমরা সবাই মনে করি, সেটা এক লাখ টাকা হওয়া উচিত। সারা বছরই কোচ, ফিজিও এবং ট্রেনার নিয়োগ দিতে হবে। এবং তারা যে পরিকল্পনা দেবেন, সেটা যেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারেরা অনুসরণ করতে পারে। আমরা একটা জিনিস অন্তত বুঝতে পারি, যেহেতু ফ্যাসিলিটিজের ব্যাপার, একবারে জিনিসটা হবে না। তবে আগামী মৌসুম থেকে এটা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুশীলন সুবিধা যেন শুধু ঢাকায় দেওয়া না হয়, সব বিভাগের দল যেন নিজেদের মাঠেই সে সুবিধা পায়, সে দাবিও তোলা হলো।

‘আমরা চাই না যে, প্রতিটা ট্রেনিং সেশনই সেন্ট্রালি, এই ঢাকা অ্যাকাডেমি মাঠেই হোক। অবশ্যই সেটা হওয়া উচিত বরিশালের হোম ভেন্যুতে বরিশাল প্র্যাকটিস করবে, খুলনার হোম ভেন্যুতে খুলনা প্র্যাকটিস করবে, সিলেটেরটাতে সিলেট প্র্যাকটিস করবে। তাহলেই আমাদের ক্রিকেটের প্রসারটা অনেক বৃদ্ধি পাবে।’

সাকিবের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি ম্যাচ বল নিয়ে অসন্তোষের কথাটুকুও। 

‘আমরা ফার্স্ট ক্লাসে যখন খেলি, আমাদের মানসম্মত বল দেওয়া হয় না। এতে করে ক্রিকেটারদের সমস্যা হয়, এবং এইটা নিয়ে আমরা অনেক স্ট্রাগল করি। পরে যখন আমরা আন্তর্জাতিকে খেলতে আসি, আলাদা বল, আবার অ্যাডজাস্ট করতে হয়। আমরা টুর্নামেন্টগুলো একই বলে খেলতে চাই।’

শুধু তাই নয়, ঘরোয়া লিগগুলোতে যে আগে থেকেই ম্যাচ পাতানো হয়ে থাকে, সেটিও বলতে ভুললেন না বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব। বললেন,

‘আমরা অনেক সময় খেলতে যাওয়ার আগেই জেনে যায় কে জিতবে, কে হারবে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। একটা ক্রিকেটার আজ ভালো বলে আউট হলো। কিন্তু কাল ইচ্ছা করে উইকেট দিয়ে এলো চাপে পড়ে এতে করে ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারে প্রভাব পড়ে।।’

সব মিলিয়ে ক্রিকেটারদের ১১ দাবী রোরের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

  • ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কারা হবেন, সে সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের নিতে দেওয়া হোক। (নাঈম ইসলাম)

  • প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বেতন ভাতা বাড়াতে হবে। ম্যাচ ফি অন্তত ৫০ ভাগ বাড়াতে হবে। দাবি অনুসারে, এটা এক লাখ টাকা করা হোক। খেলোয়াড়দের অনুশীলন, জিম করার মাঠ ও সুযোগ বাড়াতে হবে। সারা বছরই কোচ, ফিজিও এবং ট্রেনার নিয়োগ দিতে হবে। এবং তারা যে পরিকল্পনা দেবেন, সেটা যেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারেরা অনুসরণ করতে পারে। অনুশীলন সুবিধা যেন শুধু ঢাকায় দেওয়া না হয়, সব বিভাগের দল যেন নিজেদের মাঠেই সে সুবিধা পায়। (সাকিব আল হাসান)

  • প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মানসম্মত বল দিতে হবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের এ বলে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে গেলে যে আবাসিক হোটেলে রাখা হয় তা যেন উন্নত হয়, খাবারের মান যেন ভালো হয়। যাতায়াত ভাতা হিসেবে ফ্লাইট টিকিট নিশ্চিত করতে হবে। যে হোটেলে রাখা হবে, তাতে জিম ও সুইমিং পুল যেন থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। (সাকিব আল হাসান)

  • ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কে কোথায় খেলবে, পারিশ্রমিক কত হবে, সে সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ)

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ; Image Credit: Dhaka Tribune/Md Manik
  • এ বছর বিপিএল অন্য নিয়মে হচ্ছে। এটাকে সম্মান করি। যেটা আমাদের দাবি, আগের নিয়মে বিপিএল যেন ফিরে আসে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, স্থানীয় ক্রিকেটাররা যেন বিদেশি ক্রিকেটারদের মতো ন্যায্য পারিশ্রমিক পায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কে কোন গ্রেডে পড়বে, সেটি যেন নিশ্চিত করা হয়। নিলামে যদি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি না নেয়, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে খেলোয়াড়েরা যেন নিজেদের প্রাপ্য গ্রেডে থাকে। (মুশফিকুর রহিম)

  • জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। তিন বছর ধরে বেতন বাড়ানো হচ্ছে না, সেটা বাড়াতে হবে। (এনামুল হক জুনিয়র)

  • সম্মান শুধু ক্রিকেটাররা নন, মাঠে যারা কাজ করে, গ্রাউন্ডসম্যান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে মাসে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা বেতন পান। একজন স্থানীয় কোচের কথা যদি বলি, আমরা নিজেরাই বাংলাদেশি কোচদের তুলে ধরতে চাই না। বিদেশি কোচের পেছনে যে টাকা ব্যয় করা হয়, তাতে আমাদের ২০ জন স্থানীয় কোচের বেতন হয়ে যায়! একটা সফরে দেখা গেল বাংলাদেশি কোচের অধীনে খেলোয়াড়েরা ভালো করেছে। দেখা যাবে, পরের সফরে ওই কোচকে আর রাখা হচ্ছে না। আম্পায়ারিং নিয়ে সবাই অভিযোগ করি। কিন্তু তাদের তো আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে হবে। একই কথা ফিজিও-ট্রেনারদের ক্ষেত্রেও। এটাই সঠিক সময় বিদেশিদের তুলনায় বাংলাদেশিদের গুরুত্ব দেওয়া। (তামিম ইকবাল)

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপাজয়ী দল আবাহনী লিমীটেড। Image Credit: Dhaka Tribune/Md Manik
  • ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা দুটো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি। ৫০ ওভারের একটা লিগ খেলি। এখানে আরেকটা টুর্নামেন্ট বাড়ানো উচিত। বিপিএল দিয়ে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলি। বিপিএলের আগ দিয়ে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হওয়া জরুরি। এতে বিপিএলে আরও ভালো করতে পারবে স্থানীয় ক্রিকেটাররা। আগে জাতীয় লিগে চার দিনের ম্যাচের সঙ্গে একটা ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতাম, এখন সেটি বন্ধ। আমরা চাই, এটা আবার চালু হোক, যাতে আরও বেশি একদিনের ম্যাচ খেলতে পারি। (এনামুল হক বিজয়)

  • দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য ফিক্সড ক্যালেন্ডার থাকতে হবে, যেন আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে পারি। (নুরুল হাসান সোহান)

  • ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক আদায় নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। প্রিমিয়ার লিগের পারিশ্রমিক নিয়ে বারবার বলার পরও দেওয়া হয় না। এ নিয়ে বিসিবি থেকে একটা ফিক্সড ডেট দিতে হবে, যেন এর বাইরে না যাওয়া লাগে। আমি নিজেই এখনও গেল মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়নের থেকে ৪০% অর্থ পাইনি। (জুনায়েদ ইমরোজ সিদ্দিকী)

  • নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, দুটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে পারবে না খেলোয়াড়েরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা না থাকলে যেকোনো লিগ খেলার সুযোগ দিতে হবে। (ফরহাদ রেজা)

This is an article based on 11 demand from National cricketers of Bangladesh. All necessary link has been hyperlinked.

Feature Photo: Dhaka Tribune/Md Manik

Related Articles

Exit mobile version