১৯ জুলাই, ২০১৯। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ‘অপরাধ’টা খুবই গুরুতর ছিল। বোর্ডের কাজে দখলদারি করেছিল দেশটির সরকার। তখনই আইসিসির থেকে বিনিয়োগ আসা বন্ধ হয়ে যায়। আইসিসি ইভেন্টগুলোতে দলটির অংশগ্রহণও পড়ে হুমকির মুখে।
সেটাই হয়তো নব্বই দশকের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই দলটির ক্রিকেটীয় যাত্রার ইতি হতে পারতো। জিম্বাবুয়ে সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠেছে। বোর্ড ও সরকারি সকল ঝামেলা চুকিয়ে দেশটি আবারও ফিরে পেয়েছে আইসিসির সদস্যপদ।
যদিও ‘ভদ্রলোকের খেলা’ ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে নিজেদের পুরোনো অবস্থান হারিয়েছে অনেক দিন হলো। সোনালী অতীত হারানো দলটি এখন মাঝেমধ্যে জ্বলে ওঠে ঠিকই, কিন্তু তাতে তাদের অবস্থান বদলায় সামান্যই। স্রেফ টিকে থাকার লড়াইয়ে আছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। বাড়ে কেবল ক্রিকেট রোমান্টিকদের আক্ষেপ!
জমকালো সূচনাপর্ব
‘রোডেশিয়া’ নামে পরিচিত দেশটি ক্রিকেটে নিজেদের শুরুটা করে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ‘কুরি কাপ’ দিয়ে। দেশটি স্বাধীন হয় ১৯৮০ সালের ১৮ এপ্রিল। এর পরের বছরই তারা আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্ট খেলার সুযোগ পায় জিম্বাবুয়ে। তাদের ঘিরে প্রত্যাশা একদমই ছিল না। গ্রুপপর্বের ছয়টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই হারে তারা। কিন্তু, এর মধ্যেও ১৩ রানের ব্যবধানে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চমকে দেয়। সেটা ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম ‘অঘটন’। বিশ্ব জানতে পারে, ক্রিকেটের মানচিত্রে নতুন এক দলের উত্থান ঘটতে চলেছে।
যদিও, চার বছর বাদে বিশ্বকাপটা যাচ্ছেতাই যায় আফ্রিকান এই দলটির। গ্রুপপর্বের ছয়টি ম্যাচের সবগুলোতেই হারে তারা। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে হারে তিন রানের ব্যবধানে।
১৯৯২ বিশ্বকাপে তাদের অবস্থান আরেকটু ভাল হয়। তারা এবার হারায় ইংল্যান্ডকে। এটাও বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটন হিসেবে পরিচিত। প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৩৪ রান করলেও এডো ব্রান্ডেসের তুখোড় বোলিংয়ে মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। ব্রান্ডেস ২১ রান দিয়ে নেন চার উইকেট, জিম্বাবুয়ে জেতে নয় রানের ব্যবধানে।
সেই বছর জুলাইয়েই নতুন উচ্চতায় ওঠে জিম্বাবুয়ে। আইসিসির নবম দেশ হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস লাভ করে। জিম্বাবুয়ের প্রথম ৩০ টেস্টের অভিজ্ঞতা ছিল নারকীয়। এর মধ্যে মাত্র একটা টেস্টই তারা জেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ছয় উইকেটের সেই জয় সম্ভব হয়েছিল গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের অনবদ্য এক অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস ও হিথ স্ট্রিকের দুই ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট পাওয়ার সুবাদে। সেই ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের হয়ে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় হেনরি ওলোঙ্গার।
সম্ভাবনার দুয়ার
১৯৯৭ থেকে ২০০২ – বলা হয় এই পাঁচ বছরই জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সবচেয়ে স্মরণীয় ও সাফল্যমণ্ডিত সময়। এই ধাপেই তারা বড় দলগুলোর চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারতো। দলে বেশ কিছু প্রতিভাবান ও কার্যকর ক্রিকেটার ছিলেন। এর মধ্যে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার তো ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এর বাইরে ছিলেন অ্যান্ডির ভাই গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, বিধ্বংসী পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিথ স্ট্রিক, অ্যান্ডি ব্লিগনট, ব্যাটসম্যান মারে গুডউইন, ডেভিড হফটন, পল স্ট্র্যাং, এডো ব্র্যান্ডেস, অলরাউন্ডার নিল জনসন আর পেসার হেনরি ওলোঙ্গা।
১৯৯৮ সালে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জিতে নেয়। ঠিক একই বছর হারারেতে ভারতের বিপক্ষে এক টেস্টের সিরিজে জিতে নেয় ৬১ রানে। সেরা পারফরম্যান্স আসে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে, ইংল্যান্ডের মাটিতে সুপার সিক্সে গিয়ে পঞ্চম দল হিসেবে বিশ্বকাপ শেষ করে তারা। পরপর দুই ম্যাচে তারা হারায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ভারতের বিপক্ষে জয় ছিল তিন রানের ব্যবধানে, আর দক্ষিণ আফ্রিকা হারে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে। সেবারই প্রথমবারের মতো নিজেদের প্রতিবেশী দলকে হারাতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।
এই সময়ে কেবল অস্ট্রেলিয়া বাদে সকল টেস্ট খেলুড়ে দলকেই হারায় জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে ২০০০-২০০১ মৌসুমে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম আর অ্যাওয়ে – দুই জায়গাতেই সিরিজ জিতে নেয় দলটি।
শেষের শুরু
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের এখন যে করুণ দশা, তার মূল কারণ বর্ণবাদ। আর সেটার শুরু হয় ২০০৩ সালে। তখন দেশের স্বৈরশাসন বারবারই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়নের (জেসিইউ) ওপর প্রভাব খাটাতো।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপটা হতে পারতো জিম্বাবুয়ের জন্য অন্য রকম একটা মাইফলক। দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সাথে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু রবার্ট মুগাবের সেই শাসনকালে বোমা ফাটালেন খেলোয়াড়রাই। ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ দাবি করে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও হেনরি ওলোঙ্গা মাঠে নামলেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে কিংবদন্তিতুল্য এই দুই ক্রিকেটারের জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের দরজা বন্ধ হয়ে গেল চিরতরে। বোর্ড আর সরকার মনে করলো, বিশ্বের মঞ্চে তাদের নাক কেটেছেন এই দু’জন।
২০০৪ সালে অধিনায়ক হিথ স্ট্রিককে বরখাস্ত করে জেসিইউ। বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপের জের ধরে তখনই খেলতে অস্বীকৃতি জানান জাতীয় দলের ১৪ ক্রিকেটার। বোর্ড তখন অধিনায়ক করে টাটেন্ডা টাইবুকে। দ্বিতীয় সারির একটা জিম্বাবুয়ে দল ঘোষণা করা হয়, এর ১৪ জনের মধ্যে একজন বাদে বাকি সবাই ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। সেই শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারটি ছিলেন ১৮ বছর বয়সী ব্রেন্ডন টেলর।
১৬ এপ্রিল খেলোয়াড়রা ধর্মঘটে যায়। দু’দিন বাদেই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ‘নতুন’ জিম্বাবুয়ে দলের অনুশীলন হয়। ২৫ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৩৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পায়। মাত্র ৯.২ ওভারেই রান তাড়া করে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
মে মাস পর্যন্ত ‘বিদ্রোহী’দের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে যায় বোর্ড। পাঁচ মে বোর্ডের মধ্যস্ততার প্রস্তাব নাকোচ করে দেন ক্রিকেটাররা। ১০ মে সবাইকে বরখাস্ত করে দেয় জেসিইউ। এর সাতদিন বাদেই জিম্বাবুয়ের নতুন দলটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারে।
সে বছর আইসিসির সাথে মধ্যস্থতা করে এক বছরের জন্য নিজেদের টেস্ট থেকে দূরে রাখে জিম্বাবুয়ে। তখনই জেসিইউ পাল্টে হয় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)। সেখান থেকে ফিরে ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হারে তারা। সেবারই প্রথমবারের মতো টেস্টে জয় পায় বাংলাদেশ।
২০০৬ সালে দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আসর লোগান কাপ আয়োজিতই হয়নি। তখন থেকে ছয়টা বছর জিম্বাবুয়ের আর টেস্ট খেলাই হয়নি।
রবার্ট মুগাবে ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
রবার্ট মুগাবের জমানায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে কতটা অরাজক অবস্থা বিরাজ করছিল, সেটা বোঝাতে একটা তথ্যই যথেষ্ট। ২০০৫ সালে একবার বোর্ডের প্রশাসকদের বিরুদ্ধে বলেছিলেন টাটেন্ডা টাইবু। এর পরিণতি হিসেবে স্ত্রীসহ তিনি প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন। কিছুকাল দু’জনে পালিয়েও বেড়িয়েছিলেন।
সেই অন্ধকার সময়ে রাজনীতি আর ক্রিকেটের কোনো পার্থক্যই যেন ছিল না। তাতে রাজনীতি ও দুর্নীতির সব কিছু থাকলেও ছিল না কেবল ক্রিকেটটা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) এক কর্মকর্তা একবার বলেছিলেন,
‘অন্যান্য সকল অসৎ উদ্দেশ্যের জন্যই ক্রিকেটকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। কেন জানেন? ক্ষমতার লোভে।’
রবার্ট মুগাবে ক্রিকেটারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন সেই ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের পরই। সেই বিশ্বকাপে খেলা মাত্র চারজন ক্রিকেটার পরে জাতীয় দলে থাকতে পেরেছিলেন। এর বাইরে জিম্বাবুয়ের সাদাদের জীবনে নাভিঃশ্বাস করে ছেড়েছিলেন তিনি। তাদের ৮০ ভাগ জমি সরকারিভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাতেই দেশের অর্থনীতিতে ধ্বস নামে, আর এর প্রভাব পড়ে ক্রিকেটে।
যদিও এই রবার্ট মুগাবেই জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার জনক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৯৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। ‘এই মৃত্যু কি স্বস্তিদায়ক?’ – স্বৈরশাসকের মৃত্যুর পর এমন প্রশ্নের মুখোমুখিও হয়েছিলেন সাবেক পেসার হেনরি ওলোঙ্গা। ওলোঙ্গা অবশ্য তখন সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে রবার্ট মুগাবের সাথে নেলসন ম্যান্ডেলার তুলনা করেছিলেন। তবে, ওলোঙ্গার মত অনেকেরই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল রবার্ট মুগাবে!
আশার আলো
২০১১ সালে টেস্টে ফিরেই নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে হারায় তারা। সবার ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। এর আগে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারিয়েছিল প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া দলকে। জেডসির সাথে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিবকের এক মিলিয়ন ডলারের তিন বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। মনে হচ্ছিল, একটু একটু করে আবারো কক্ষপথে ফিরতে শুরু করেছে জিম্বাবুয়ে দল।
কফিনের শেষ পেরেক
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল আবারো পেছানো শুরু করে ২০১৪ সালে এসে। সেবার বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বই পেরোতে পারেনি দলটি। তখন থেকেই আইসিসি ইভেন্টগুলোতে বলার মতো সাফল্য তাদের নেই।
তবে, ২০১৭ সালে তারা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। এর পরের বছরই বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সিলেট টেস্টে। কিন্তু, নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হওয়ার পরও তারা বিশ্বকাপের মূল পর্বে নাম লেখাতে ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে ৪০ বছর পর জিম্বাবুয়েহীন বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। এটাই হয়তো ছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কফিনে শেষ পেরেক!
আর অর্থনৈতিকভাবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অনেক আগেই নিজেদের হারিয়ে ফেলেছে। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই দেশটিতে ক্রিকেট কখনোই খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না। আর প্রশাসনিক ব্যর্থতায় দেনায় ডুবে আছে জেডসি। স্থানীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ২০১৮ সালের হিসাবমতে, জেডসির দেনা প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলার। লম্বা সময় ধরে খেলোয়াড়দের বেতনভাতা আটকে আছে, এমন খবরও প্রায়ই শোনা যায়।
আইসিসি থেকে যে বিনিয়োগ আসে, তাও নাকি জিম্বাবুয়ে কাজে লাগাতে পারে খুব সামান্যই। এক কর্মকর্তা বলেন,
‘অনেক বছর ধরেই আইসিসি থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য পেয়ে আসছে জেডসি। কিন্তু, সেই অর্থে কোনো সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে না জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে। এর নিজের কোনো মাঠ হচ্ছে না, কোনো অবকাঠামো হচ্ছে না। মোদ্দা কথা, অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না, যেটা হওয়ার দরকার ছিল।’
বোর্ডে কিছু কিছু ‘ভালো লোক’ এখনও টিকে আছেন বলে দাবি করলেন তিনি। বললেন,
‘নব্বইয়ের দশকে কিংবা ২০০০-এর পরও কিছু সময় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট আমাদের গর্বিত করতো। কিন্তু এরপরই অনেক লোকের হাতে অনেক রকম ক্ষমতা চলে গেছে। তাই, এই ক্ষমতার অপব্যবহারে কেউ আর খেলাটাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে না। কিন্তু এখনো এমন গুটিকয়েক লোক আছেন, যারা পারলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য নিজেদের জীবন দিতে পারেন। তারা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে কখনোই মরতে দেবেন না।’