ফুটবল স্বভাবতই মাঠের খেলা, এবং মাঠের খেলা দিয়েই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। এ বিষয়ে হয়তো কেউই দ্বিমত পোষণ করবেন না। তবে মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিষয় ফুটবলে প্রভাব ফেলে; এবং এই মাঠের বাইরের বিভিন্ন কাজ এবং বোর্ডের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত একটা বিশ্বসেরা দলকে পরিণত করেছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। সেই ক্লাবের নাম এফসি বার্সেলোনা।
চলুন দেখে আসা যাক কীভাবে বিশ্বসেরা একটি দল এই মুহূর্তে ধুঁকছে, এবং কেন সেই দলের সমর্থকরা পুনরায় দেখছেন ফিরে আসার স্বপ্ন। আজকের এই লেখাটি শুরু করার আগে দুইটি অতীতের তারিখে ফিরে যাওয়া যাক।
২৭ মে, ২০০৯; রোম
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। এক পাশে পেপ গার্দিওলার অধীনে এফসি বার্সেলোনা, অপর পাশে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, যারা কি না আগের মৌসুমে জেতা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা পুনরায় নিজেদের করে নেওয়াকে পাখির চোখ করেছে। এক দল স্পেনের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন, অপর দল জিতেছে ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। এ যেন স্পেন-ইংল্যান্ড ফুটবলের লড়াই!
৯০ মিনিটের ফুটবল-দ্বৈরথশেষে ফলাফল — এফসি বার্সেলোনা ২-০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এফসি বার্সেলোনার টিকি-টাকা ফুটবলের কোনো জবাব সেদিন ছিল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। এই ট্রফিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো স্প্যানিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবল অর্জনের কৃতিত্ব গড়ে এফসি বার্সেলোনা। থেমে থাকেনি কেবল ট্রেবলে, পরবর্তীতে একই সিজনে আরো ৩টি ট্রফি জয়ের মাধ্যমে প্রথম কোনো ফুটবল ক্লাব হিসেবে এফসি বার্সেলোনা সেক্সটুপল (একই সিজনে ৬টি ট্রফি জয়) অর্জন করে। চারদিকে কেবল এফসি বার্সেলোনা এবং টিকি-টাকা ফুটবলের রাজত্ব। যেকোনো ফুটবল ক্লাবের জন্য স্বপ্নের সময় পার করছিল এফসি বার্সেলোনা।
১৪ আগস্ট, ২০২০; লিসবন
একই টুর্নামেন্ট, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তবে মঞ্চটা ভিন্ন। এবার আর ফাইনাল নয়, কোয়ার্টার ফাইনাল। একদিকে কিকে সেতিয়েনের এফসি বার্সেলোনা, অপরদিকে হ্যান্সি ফ্লিকের বায়ার্ন। ১১ বছর আগের বার্সেলোনা এবং পরের বার্সেলোনায় যেন আকাশ-পাতাল তফাৎ। ১১ বছর আগে যে দল ছিল সকল প্রতিপক্ষের ত্রাস, এদিন যেন তারা কোনো সাধারণ ছন্নছাড়া দল। অপরদিকে বায়ার্ন তখন খেলছে সাড়া-জাগানো ফুটবল, হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বায়ার্ন হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। ৯০ মিনিটের ফুটবল ‘দ্বৈরথ’ বলা ঠিক হবে কি না, সেই বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ দেখাতে পারেন; দ্বৈরথ সমানে সমানে হয়, এই ম্যাচ তো যেন এফসি বার্সেলোনার অসহায় আত্মসমর্পণের গল্প!
ফলাফল — বায়ার্ন মিউনিখ ৮-২ এফসি বার্সেলোনা। এফসি বার্সেলোনার দুই গোলের একটি আবার বায়ার্ন মিউনিখেরই আত্মঘাতী গোল। ধীরে ধীরে ভাঙতে থাকা এফসি বার্সেলোনার দেয়াল যেন জার্মান গোলার আঘাতে একেবারেই ভেঙে গেল। ২০১৮তে রোমার সাথে প্রথম লেগে ৪-১ গোলে জিতেও দ্বিতীয় লেগে ৩-০ হেরে বিদায়, অথবা ২০১৯ সালে লিভারপুলের সাথে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে পরাজয়; বার্সেলোনার কফিনে শেষ পেরেক ছিল যেন বায়ার্নের সাথে ৮-২ হার। একসময়কার ত্রাস পরিণত হলো ফুটবল জগতের হাস্যরসে।
এই দুই তারিখের মধ্যিখানে কী এমন হলো যে একটা ফুটবল ক্লাব আকাশচুম্বী সাফল্য থেকে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলো?
২০১৪ জানুয়ারি মাসে এফসি বার্সেলোনা বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ হতে পদত্যাগ করেন তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট স্যান্দ্রো রোসেল। দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে থাকা জোসেফ মারিয়া বার্তামেউ। প্রসংগত উল্লেখ্য, স্যান্দ্রো রোসেল ২০১৭ সালে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার হন এবং তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাঠক এখানে মনে করতেই পারেন, স্যান্দ্রো রোসেলের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া এফসি বার্সেলোনার জন্য সুখকরই তো ছিল। তা হতো, যদি সেই দায়িত্ব বার্তামেউর জায়গায় অন্য কেউ নিতেন।
স্যান্দ্রোর পদত্যাগের পর বার্তামেউর পদগ্রহণ করা ছিল যেন অনেকটা “খাল কেটে কুমির আনা”। তখন থেকেই মূলত শুরু হয় এফসি বার্সেলোনার পতন। একটি বোর্ড ফুটবল ক্লাব নির্মাণে কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন প্লেয়ার বেচাকেনা, কোচ নিয়োগ দেওয়া, একাডেমি উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত — সম্পূর্ণটা নির্ভর করে একটি বোর্ডের উপরেই। আর এই সবক্ষেত্রেই চরমভাবে ব্যর্থ হয় জোসেফ মারিয়া বার্তামেউর বোর্ড।
প্রতিটা নতুন সিজন শুরুর আগেই একটা ক্লাব ট্রান্সফার মার্কেটের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং এক্ষেত্রে বার্সা বোর্ডের চরম পরিকল্পনাহীনতার পরিচয় দেখা যায়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে বিগ নেইম সাইনিং করলেও সেসবের পিছনে ছিল না কোনো পরিকল্পনা। কোনো ফুটবলার কেনার পূর্বে তার প্লেয়িং স্টাইল এবং প্রোফাইল ক্লাবের সাথে মেলে কি না, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেসব দিকে নজর না দিয়েই বার্সা বোর্ড কিনতে থাকে একের পর এক বড় নাম। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় জেরেমি ম্যাথিউ, আরদা তুরান, ইয়েরি মিনা, ভিদাল প্রমুখ। ফলাফল: এদের পাশাপাশি বিগ সাইনিং হিসেবে দেম্বেলে, কৌতিনহো, গ্রিজমান, উমতিতিরাও তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
একের পর এক ব্যর্থ ট্রান্সফার মার্কেটের কারনে ডুবতে থাকে এফসি বার্সেলোনা। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সাইনিংয়ের পাশাপাশি বার্সা বোর্ড ফুটবলারদের অফার করে মাত্রাতিরিক্ত বেতন। এই অতিরিক্ত বেতনের কারণে পরবর্তীতে অসংখ্য ফ্লপ সাইনিংকে বিক্রি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে দলটির পক্ষে। আর এফসি বার্সেলোনা ধীরে ধীরে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে ফুটবল ক্লাবটির ঋণ আনুমানিক ১.১ বিলিয়ন ইউরো।
এফসি বার্সেলোনার আধিপত্যের পেছনে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে একসময় কাজ করেছিল ক্লাবটির ফুটবল একাডেমি ‘লা মাসিয়া’। পেপ গার্দিওলার ড্রিম টিমের অধিকাংশই ছিল লা মাসিয়া গ্র্যাজুয়েট। লা মাসিয়া একাডেমিতে ফুটবলারদের গড়ে তোলা হয় বার্সার প্লেয়িং স্টাইলের সাথে মিল রেখেই। ফলে পরবর্তীতে তারা সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। লা মাসিয়া সম্পর্কে পেপ গার্দিওলা UEFA.com কর্তৃক প্রকাশিত “Barca kids at home at La Masia” আর্টিকেলে বলেছেন,
“The player who has passed through La Masia has something different to the rest, it’s a plus that only comes from having competed in a Barcelona shirt from the time you were a child.”
কিন্তু বার্তামেউর সময়টাতে লা মাসিয়াকে একপ্রকার অগ্রাহ্যই করে রাখা হয়। লা মাসিয়া হতে উঠে আসা ফুটবলারদের সময় না দিয়েই তাদের বিক্রি করে দেওয়া হতো বিভিন্ন ক্লাবে। ফলে তাদের প্রতিভার সম্পূর্ণ বিকাশ সম্ভব হয় না। এছাড়াও ছিল না লা মাসিয়া থেকে প্রতিভা তুলে আনার কোনো উদ্যোগ। ফলাফল: একের পর এক বার্সা প্রোফাইলবিহীন ফুটবলার কিনতে থাকে বার্সেলোনা বোর্ড এবং তা পরবর্তীতে বাজেভাবে ব্যর্থ হয়। ইয়ুথ একাডেমির জন্য কোনো দূরদর্শী প্রজেক্ট না থাকাটা পরে গিয়ে অনেকাংশেই এফসি বার্সেলোনাকে অবনতির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
মধ্যমমানের কোচ নিয়োগ দেওয়া, এবং ক্ষণস্থায়ী সাফল্যকে প্রাধান্য দেওয়া ছিল বার্তামেউ বোর্ডের আরেকটি ভুল পদক্ষেপ। লুইস এনরিকের পর এফসি বার্সেলোনা নিয়োগ দেয় আর্নেস্তো ভালভার্দেকে। মূলত সেখান থেকেই ক্লাবটির অবনতির মূল অধ্যায় শুরু হয়। ভালভার্দের ফুটবল ছিল মূলত খুব বেশি পরিমাণে মেসিনির্ভর। স্কোয়াডে বিশ্বসেরা একজন থাকা অবশ্যই সৌভাগ্যের এবং যেকোনো টিমেই তাকে ঘিরে গেইমপ্ল্যান সাজানো হতো, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু ভালভার্দের বেলায় সেটি ছিল সম্পূর্ণরূপে মেসির ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স নির্ভর। এটি দিয়ে ভালভার্দে এফসি বার্সেলোনাকে টানা ২ মৌসুম লা লিগার শিরোপা উপহার দিলেও ক্লাবটির প্লেয়িং স্টাইল হয়ে গিয়েছিল সমর্থকদের চোখে দেখার অযোগ্য। আর ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে বাজে পারফরম্যান্স। রোমা ট্র্যাজেডি এবং অ্যানফিল্ড ট্র্যাজেডিও ভালভার্দের অধীনেই হয়।
মূলত ২০১৮ সাল থেকেই প্লেয়িং স্টাইলে বিরক্ত কিউলসরা (এফসি বার্সেলোনার সমর্থকদের ডাকনাম) সোশ্যাল মিডিয়ায় #ভালভার্দে_আউট প্রচারণা চালালেও বার্তামেউর বোর্ড লা লিগার সাফল্যে অন্ধ হয়ে নতুন কোচ আনার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবশেষে ২০২০ সালের স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনালে হারার পর তাকে বরখাস্ত করে বার্সা বোর্ড, এবং নিয়োগ দেয় তৎকালীন রিয়াল বেটিসের কোচ কিকে সেতিয়েনকে।
ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে পড়ে এবার বার্সা। এতে করে খেলার উন্নতি তো হয়ইনি, উপরন্তু আরো অবনতি হয়; যা গিয়ে শেষ হয় লিসবনের ৮-২ ট্র্যাজেডিতে।
দ্য এন্ডগেইম
হ্যাঁ, বলাই যায়, বার্তামেউ বোর্ডের সমাপ্তি এখান থেকেই সূচিত হয়। বায়ার্ন ট্র্যাজেডির পর এফসি বার্সেলোনা একটা বিভীষিকাময় সময়ের মধ্য দিয়ে যায়। বরখাস্ত করা হয় কিকে সেতিয়েনকে। প্রেসিডেন্ট বার্তামেউ সবাইকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন নিজ হাতে ক্লাবকে আবার গড়ে তুলবেন বলে। কিন্তু তার চেয়ার নড়ে যায় একটিমাত্র বুরোফ্যাক্সে। স্বয়ং লিওনেল মেসির বুরোফ্যাক্স, যেখানে লেখা ছিল, ক্লাব ছাড়তে চান তিনি।
লিওনেল মেসি এবং এফসি বার্সেলোনা — দুটি নাম যেখানে ছিল একে অপরের পরিপূরক, সেখানে মেসি কি না ছাড়তে চান বার্সেলোনা! ব্যস, জোড়ালো হয় কিউলসদের আন্দোলন। যদিও অনেক আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #বার্তামেউ_আউট চালিয়ে আসছিল কিউলসরা, তবে তা সত্যিকারের আন্দোলনে রূপ নেয় এই বুরোফ্যাক্স ঘোষণার পর। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এফসি বার্সেলোনার ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট, জোসেফ মারিয়া বার্তামেউ। আর এই পদত্যাগের পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করে লিওনেল মেসির পাঠানো সেই বুরোফ্যাক্স। কিন্তু পদত্যাগের পূর্বে ক্লাবকে রেখে যান ধ্বংসস্তুপ অবস্থায়। সবচেয়ে বেশি রেভেনিউ অর্জন করা ফুটবল ক্লাবকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে গেছেন বার্তামেউ বোর্ড। সেই ঋণ হতে এখনো উত্তরিত হতে পারেনি এফসি বার্সেলোনা।
ফিরে আসার স্বপ্ন
আদৌ কি ধ্বংসাবশেষ থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে এফসি বার্সেলোনা? প্রতিটা কিউলের বিশ্বাস, অবশ্যই পারবে। আর এই বিশ্বাসের কারণ হোয়ান লাপোর্তা, নবনিযুক্ত এফসি বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট।
হোয়ান লাপোর্তা নামটা কিউলসদের কাছে খুব পরিচিত। লাপোর্তা এর আগেও বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এবং তার সময়কালেই এফসি বার্সেলোনার ড্রিম টিম গড়ে ওঠে। পুনরায় তিনি আবার দায়িত্ব নিয়েছেন এফসি বার্সেলোনার। নির্বাচনের আগেই তার প্রজেক্টের মাধ্যমে তিনি মন জয় করেছিলেন বার্সা সমর্থকদের। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এফসি বার্সেলোনাকে পুনরোদ্ধার করতেই এসেছেন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই এফসি বার্সেলোনাকে খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন হোয়ান লাপোর্তা। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে এসেছেন সম্পূর্ণ নতুন মুখ। কিউলসরা তাই নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করছে হোয়ান লাপোর্তার উপর। খুব তাড়াতাড়ি না হোক, লাপোর্তার হাত ধরেই এফসি বার্সেলোনার সুদিন আবার ফিরে আসবে ফুটবল জগতে, এটাই বিশ্বাস করে ক্লাবটির সমর্থকরা।
গত কয়েক মৌসুম স্বাভাবিকভাবেই কিউলসদের জন্য ছিল বিভীষিকাময়। এরপরও তারা আশা হারায়নি। ক্লাবের দুঃসময়েও যারা পাশে ছিল, তারা বিশ্বাস করে ক্লাবটির সুসময় খুব শীঘ্রই ফিরে আসবে। হয়তো পরের মৌসুমেও না হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই আবার ফুটবল জগতের ত্রাসে পরিণত হবে এফসি বার্সেলোনা। বর্তমান স্কোয়াডে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেল, এবং একটি দক্ষ ক্লাব বোর্ড তার ইঙ্গিতই দেয়। তাই, ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে বাধা কীসের!