স্পেনের জন্য ঐতিহাসিক এক জয়। কোস্টারিকার জালে গুনে গুনে সাত গোল। বিশ্বকাপে এমন দুর্দান্ত শুরু – শেষ কবে কে করতে পেরেছিল?
তবে ৭-০ গোলের জয় ছাপিয়ে স্পেনের একাদশের সব আলো নিজের দিয়ে টেনে নিয়েছেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার গাভি। স্প্যানিশদের মধ্যমাঠে যেমন নক্ষত্র হয়ে জ্বলছিলেন, তেমন পুরনো রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের পাতায় নিজের নামও লিখিয়েছেন।
১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী পেলে। বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ডটা এখনও তার দখলে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মেক্সিকান ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল রোসাস। ১৯৩০ সালে আর্জেন্টিনাকে ৬-২ গোলে হারানোর ম্যাচে ১৮ বছর এবং ৯২ দিন বয়সী ম্যানুয়েল রোসাস করেছিলেন দুই গোল। কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল করার সময় গাভির বয়স ছিল ১৮ বছর ১১০ দিন। তাই বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন গাভি।
২০০৬ বিশ্বকাপ ইউক্রেনের বিপক্ষের ম্যাচে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন মিডফিল্ডার সেস ফ্যাব্রিগাস। সেদিন ম্যাচে নামার সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর ৪১ দিন। গাভি যে ফ্যাব্রিগাসের রেকর্ড টপকে গেছেন, সেটা বলাই বাহুল্য।
২০২০ সালে নেশন্স লিগে ইউক্রেনের বিপক্ষে গোল করে স্পেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন আনসু ফাতি। গতকালের গোলটির জন্য গাভির নাম এখন আনসু ফাতির ঠিক পরেই।
বিশ্বকাপ অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ডটির মালিক এতদিন ছিলেন রোমানিয়া ও হাঙ্গেরির হয়ে খেলা সাবেক ফরোয়ার্ড নিকোলা কোভাচ। ৭৪ মিনিটে মোরাতা পাস থেকে করা গোলে কোভাচের কাছ থেকে এই রেকর্ডও গাভি নিজের করে নিয়েছেন।