মাশরাফি বিন মুর্তজার একটা ফাউন্ডেশন আছে, নাম ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’। মাশরাফি এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। মূলত নড়াইলের মানুষের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়েই ২০১৭ সালে আত্মপ্রকাশ করে এই ফাউন্ডেশনটি। সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, শিক্ষায় সহযোগিতা করা, বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোগ নেওয়া, খেলাধুলার প্রশিক্ষণ ও সর্বোপরি নড়াইলকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এই ফাউন্ডেশনে অর্থ আসে কোথা থেকে? বাইরে থেকে যে টুকটাক আসে না, তা একেবারেই নয়। তবে যা আসে তা একেবারেই নগণ্য। সেটা কেমন? যেমন সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করলেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি। দল খুশি হয়ে তাকে একটি গাড়ি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মাশরাফি বললেন একটি অ্যাম্বুলেন্স দিতে, তার ফাউন্ডেশনের জন্য। কিংবা কোনো একটা কোমল পানীয় হয়তো এই ফাউন্ডেশনের হয়ে কোনো একটা উদ্যোগে সাথে থাকলো, এটুকুই। অর্থের সবচেয়ে বড় যোগানটা আসে মাশরাফির পকেট থেকেই। ক্রিকেট খেলে পাওয়া পয়সা তো বটেই, মাঝে মাঝে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে যে অর্থ আসে, সেগুলোও ফাউন্ডেশনে দিয়ে দেন মাশরাফি। অনেক সময় চেক নেন ফাউন্ডেশনেরই নামে।
মাশরাফির খালুর উদ্যোগে শুরু হওয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত সবাই নিজেদের মতো করে পরিশ্রম করেন। আর্থিকভাবেও নিজেদের মতো করে কিছু দিয়ে থাকেন। চেয়ারম্যান মাশরাফি হলেও সবার ইচ্ছা আর স্বপ্ন কিন্তু একটাই, নড়াইলকে সুন্দর করে গড়ে তোলা।
মোদ্দা কথা, মাশরাফি বরাবরই তার চিত্রা নদীর পাড়ের নড়াইলের জন্য অন্তঃপ্রাণ। তাই আসন্ন নির্বাচনে যখন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলেন, হয়তো অনেকেই ভেবেছেন, নড়াইল নিয়ে মাশরাফির স্বপ্ন এবার সত্যিকার অর্থেই পূরণ হতে যাচ্ছে। কারণ ‘মানুষ’ মাশরাফি যদি ‘রাজনীতিবিদ’ মাশরাফির মধ্যেও থেকে যান, তাহলে উন্নতি না হয়ে গতিও নেই। কিন্তু তিনি কি পারবেন এই মাঠের অন্যান্য ‘পেশাদার’দের সাথে পেরে উঠে কোনোরকম কালিমা না লাগিয়ে শুধুই নিজের শহরের উন্নতি করতে? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
এ তো গেল নির্বাচনের কথা। কিন্তু ক্রিকেট? অবস্থা অনেকটা এমন যে, মাশরাফি যেন খুব দ্রুতই অবসর নেন তার সব আয়োজন। বিশেষত ক্রিকেট বোর্ড যেন ধরেই নিয়েছে, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর মাশরাফি আর খেলবেনই না। তা-ই যদি হয়, সেই ধারণাটাই বা কতটুকু সত্যি, তা খতিয়ে দেখার সময় হয়েছে।
১.
সামনেই আবাহনী লিমিটেডের ফাইনাল ম্যাচ। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আরও একবার শিরোপা জেতার পথে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি। অধিনায়ক মাশরাফির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও মনে রাখার মতো। বল হাতে গড়েছেন রেকর্ড।
ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে চলছে অনুশীলন। সেখানে একটি বসার জায়গা আছে, ক্রিকেটাররা বিশ্রাম নেন সেখানে। গণমাধ্যমকর্মীরাও বসেন। সেখানে আলাপ হচ্ছিলো মাশরাফির ফাউন্ডেশন নিয়ে।
এমন সময় মাশরাফিও এসে যোগ দিলেন সেখানে। উঠে এলো নির্বাচন প্রসঙ্গ। তিনি কি কখনও নির্বাচন করবেন? উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, করতে সমস্যা নেই, কিন্তু করলে নড়াইলের জন্যই করবেন। বিশেষ করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে দৌরাত্ম্য, তা নির্মূল করতে চান তিনি।
অর্থাৎ, নির্বাচনের ব্যাপারটি মাশরাফির জন্য নতুন নয়। তিনি যে দলের পক্ষে নির্বাচন করছেন, সেই দলে তিনিই একমাত্র প্রার্থী যার কাছ থেকে মনোনয়নপত্রের মূল্য রাখা হয়নি।
কিন্তু এই মুহূর্তে ‘ভবিষ্যৎ সাংসদ’ মাশরাফির চেয়েও সামনে চলে আসছেন ক্রিকেটার মাশরাফি। মাশরাফি সবসময়ই চেয়েছিলেন, একটি টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে বিদায় বলবেন। সেটা আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তার বাবাও বলেছিলেন, ঘরের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচ দিয়ে অবসরে যেতে চায় মাশরাফি। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়কের মূল ফোকাস। সেগুলোর কোনোটাই হবে কি? মাশরাফি নিজে সেই চেষ্টা করছেন বটে, কিন্তু বিসিবি?
মাশরাফি যে আওয়ামী লিগের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, সেই দলেরই সাংসদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনিও জানেন, ভোটের মাঠে মাশরাফির গুরুত্ব কতটা। তিনি ইঙ্গিত দিলেন, বিশ্বকাপ খেললেও চলমান উইন্ডিজ সিরিজে হয়তো না-ও খেলতে পারেন মাশরাফি। বললেন,
“মাশরাফি উইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবেন কিনা, তা কঠিন প্রশ্ন। নির্বাচনী ইস্যুর সময়টা যদি আপনি দেখেন, ওর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার একটা তারিখ আছে। কবে পূরণ করবে, ওখানে ওর কর্মসূচি কী, ঠিক জানি না। আজকে ওর সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তখন বিস্তারিত কথা হবে। যদি সুযোগ থাকে, সে অবশ্যই খেলবে। একদিনের জন্যও যদি সময় থাকে, সে খেলবে। খেলাটা এখনো ওর কাছে সবচেয়ে প্রাধান্য পায়।”
সভাপতি সাকিবের কথাও উল্লেখ করেন। সাকিবও নির্বাচনে দাঁড়াবেন, মাশরাফির মতো একই দলে। কিন্ত শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তেই তার নির্বাচন করা হয়নি। তাহলে মাশরাফি কেন অবসর নেওয়ার আগেই নির্বাচন করবেন? পাপনের উত্তর,
“সাকিবও নির্বাচন করতে চেয়েছিল। মাশরাফির ব্যাপারটা ভিন্ন, ও কতদিন খেলবে ঠিক নিশ্চিত না। ওর যে শারীরিক অবস্থা, এখনও যে খেলছে এটাই তো অনেক। সে খেলোয়াড় হিসেবে খেলে না, আমাদের দলে অধিনায়ক হিসেবে খেলে। ওর অধিনায়কত্ব আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
২.
শেষ পর্যন্ত মাশরাফি নির্বাচনের আয়োজনের চেয়ে খেলাকেই এগিয়ে নিয়েছেন, তোড়জোড় করছেন উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের। সিরিজ শেষ করে তারপর হবে তার নির্বাচনী প্রচারণা, শুরু হবে কার্যক্রম। কিন্তু ঝামেলা হলো, মাশরাফির নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে দু’ভাগ হয়ে গেছে সমর্থকরা। এই দু’ভাগ হওয়ার পেছনে মাশরাফির নির্বাচন করার চেয়েও বড় কারণ খেলার মাঝে নির্বাচন করতে যাওয়া। অনেকের ভাবনা, মাশরাফি অনেকটা চাপে পড়েই নির্বাচন করতে নামছেন।
কেউ বা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মাঝে কেবল ক্রিকেটই মানুষকে এক করে রেখেছিল। আর এই এক করে রাখার পেছনে বড় অবদান ছিল মাশরাফির। কিন্তু তিনিও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কারণে সেই জায়গাটাও শেষ হয়ে গেল। শুধু তা-ই নয়, সমর্থকদের কেউ কেউ মাশরাফিকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন ইমরান খান হতে। অর্থাৎ, কোনো দলের নয়, বরং নিজেই নিজের একটি দল তৈরি করে রাজনীতি করুক মাশরাফি।
আলোচনা-সমালোচনা যত কিছুই হোক, মাশরাফি কেন ক্রিকেট ক্যারিয়ার চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই নির্বাচন করবেন, এটাই মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ নিয়েও ব্যাখ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন,
“বড়জোর বিশ্বকাপের পর হয়তো (মাশরাফি) অবসরে যাবে। সেটি যদি হয়, মাত্র কয়েক মাসের ব্যাপার। এটা হলে এর চেয়ে ভালো প্রস্থান আর কিছু হতে পারে না। কয়েক মাস পর অবসর নিলে সে এই সাড়ে চার বছর আর করবে কী? আরেকটি ক্ষেত্রে সে থাকলো, যেখানে সে ক্রীড়াক্ষেত্রে জোরালো অবস্থান রাখতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।”
৩.
এই যে বিতর্ক, এই যে আলোচনা; সবকিছু মাশরাফি কি দেখেছেন? মাশরাফি কি জেনেছেন সবার মনের কথা? উত্তরটা, হ্যাঁ। সে কারণেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে জানিয়েছেন অনেক কথা।
মাশরাফি লিখেছেন,
‘২০০১, ক্রিকেটের আঙিনায় পথচলা শুরু। আজ ২০১৮। এই প্রায় দেড় যুগে ক্রিকেট যা খেলেছি, জীবন দিয়ে খেলেছি। কখনও আপোষ করিনি। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আপোষ করতেও চাই না। বাকিটা মহান আল্লাহর ইচ্ছা।
রাজনীতির তাড়না আমার ভেতরে ছিলই। কারণ সবসময় বিশ্বাস করেছি, রাজনীতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন জোরালোভাবে সম্ভব নয়। ক্রিকেট খেলেছি, আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। নাহলে হয়তো বা ২০১১ সালেই হারিয়ে যেতাম। এই মাশরাফিই হয়তো এতদিনে থাকতো না। ২০১১ সালে আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমাকে এই সাত বছর চলতে সহায়তা করেছে। এবার আমার সামনে সুযোগ এসেছে আমার দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। বিশ্বকাপের পরের সাড়ে চার বছর আমার জন্য কী অপেক্ষায় আছে, সেটাও জানি না। তাই আমি সময়কে মূল্যায়ন করেছি, সময়ের ডাক শুনেছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সময়ের কাজ সময়েই করা উচিত।
বঙ্গবন্ধুকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, কিন্তু তার কথা জেনে, উপলব্ধি করেই বেড়ে উঠেছি। পড়াশোনা করে, অনেকের কাছে শুনে যতটুকু জেনেছি, সেসব থেকেই উনাকে হৃদয়ে ধারণ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পারিবারিকভাবেই আমার অস্থিমজ্জায়, মননে-মগজে।
আমার এলাকার জন্য কিছু করতে চাই। এটা যদি করতে না পারি, তাহলে আমার কাছে মনে হবে, আমার এলাকার প্রতি আমি মোটেও সুবিচার করছি না। বঞ্চিত করছি। ক্রিকেট খেলতে খেলতে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যতটুকু সামাজিক কাজ করেছি; আমার মনে হয়েছে, সেটুকুই যথেষ্ট নয়। আরও বড় পরিসরে করার সুযোগ খুঁজেছি সবসময় এবং রাজনীতি আমাকে সেই সুযোগটা করে দিচ্ছে।
কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে আঘাত করার জন্য আমি রাজনীতিতে আসছি না। যে যার আদর্শ নিয়ে সুন্দর জীবন-যাপন করবে, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধে সহনশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিরাজ করবে, সেটিই আমার চাওয়া।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আমাদের মতো মানুষ কেন রাজনীতিতে আসবে! সত্যি বলতে, আমি জানি না আমি কেমন মানুষ। ভালো মানুষ হিসেবে আমার যে পরিচিতি ছড়িয়েছে, সেটাও আমার ভেতর বারবার প্রশ্ন জাগিয়েছে, কেন আমি ভালো মানুষ? দু’টি বল করে, আপনাদের কয়েকটি আনন্দের মুহূর্ত উপহার দিয়ে, দু’জনকে জড়িয়ে ধরেই যদি ভালো মানুষ হওয়া যায়, তাহলে স্রেফ এরকম ভালো মানুষ হওয়ার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। সত্যিকার অর্থেই আমি কেমন মানুষ, আমার বিশ্বাস, সেটি বিচার করার সময় সামনে। যদি আমি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারি এবং আমার দল সরকার গঠন করে, তারপর আমার কর্মেই ফুটে উঠবে আমি কতটা ভালো মানুষ।
জানি, বলা যত সহজ, কাজ করে দেখানো তার চেয়ে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিতে আমি পিছপা হইনি। চাইলেই আমি নিজের সহজাত পরিবেশের ভেতর থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি, আমার এলাকার মানুষ সমৃদ্ধির পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাক। আলো ছড়িয়ে পড়ুক নড়াইলবাসীর উপর। আমি চাই সমৃদ্ধ নড়াইল। সেই পথে আমার যত কষ্টই হোক, আমি থাকবো আমার প্রিয় নড়াইলবাসীর পাশে।
মনোনয়নপত্র কেনার সপ্তাহখানেক আগে আমার মেয়েকে আমি ব্যাংককের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম, সেই সামর্থ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। কিন্তু আমি ভেবেছি ওই মানুষটির কথা, যে আরও অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েও প্রাপ্য চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমি ভেবেছি সেই ছেলেমেয়েদের কথা, যারা প্রতিভাবান হয়েও মফস্বল থেকে উচ্চশিক্ষার দুয়ার পর্যন্ত যেতে পারছে না। ভেবেছি খেটে খাওয়া সেই মানুষদের কথা, যারা দিনরাত পরিশ্রম করেও প্রাপ্যটুকু অনেক সময় পাচ্ছে না।
আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সব সচেতন, যোগ্য ও ভালো মানুষের রাজনীতিতে আসা উচিত। অনেকেই হয়তো সাহস করে উঠতে পারেন না নানা কারণে, মানসিক সীমাবদ্ধতায়। আমার মনে হয়েছে, মানসিক বাধার সেই দেয়াল ভাঙা জরুরি। তাই ভেতরের তাগিদ পূরণের উদ্যোগটা আমিই নিলাম। ক্রিকেটের মাঠে দেড় যুগ ধরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা মাশরাফির অবস্থান হয়তো আজ অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে রাজনীতির মাঠে নামার কারণে। কিন্তু আমি নিজে সত্যিকার অর্থেই রোমাঞ্চিত নতুন কিছুর সম্ভাবনায়। আমি আশা করি, এমন কিছু করতে পারবো, যা দেখে ভবিষ্যতে হাজারও মাশরাফি এগিয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।
আমি আবারও বলছি, কোনো ব্যক্তি বা দলকে আঘাত করার ইচ্ছে আমার নেই। কেবল সময়ের দাবি মেটানোর চেষ্টা করছি মাত্র। আশা করি, আপনাদের ভালোবাসা আমাকে এই ইনিংসেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনাদের সমর্থন ও দোয়ায় সিক্ত হতে চাই।’
সমর্থন ও দোয়ায় সিক্ত হোক মাশরাফির সফলতা। হোক আরও একটি পরিবর্তনের অঙ্গীকার।