Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

জাভি-ইনিয়েস্তাকে ছাড়া অচল মেসি?

লিওনেল মেসি; ব্যক্তিজীবন খুবই সাদামাটা ও কালিমাহীন হওয়া সত্ত্বেও, যিনি কেবল রেকর্ডের বরপুত্রই নন, বিতর্কের বরপুত্রও বটে। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ফুটবল অনুরাগীদের মধ্যে মেসিকে কেন্দ্রকে করে অসংখ্য বিতর্ক প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দুটি বিতর্ক হলো, তিনি কি আসলেই বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলার, এবং তিনি কি আসলেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার?

বলাই বাহুল্য, মেসি ভক্তরা কায়মনোবাক্যে এই দুটি দাবিরই আগাগোড়া যথার্থতায় বিশ্বাসী। কিন্তু তাই বলে বিপরীত মনোভাবাপন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম নয়। মেসির শ্রেষ্ঠত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার মতো বেশ কিছু জোরালো হাতিয়ারও তাদের হাতে রয়েছে।

প্রথমত, অনেকের মতেই মেসি নিছকই একজন ক্লাব লিজেন্ড, বার্সেলোনার হয়ে তিনি যতটুকু উজ্জ্বল, সেই ঔজ্জ্বল্যের ছটা তিনি খুব কমই ছড়াতে পারেন আর্জেন্টিনার আকাশী-সাদা জার্সিতে। মেসি কেবলই ক্লাব লিজেন্ড, এমন অপবাদ হয়তো অত্যুক্তি, তবে জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জিততে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খায় স্বয়ং মেসিকেও।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো বড় যে অভিযোগটি ছিল, তা হলো, বার্সেলোনার হয়ে তার যত প্রাপ্তি, অর্জন ও সাফল্য, সেগুলোও কেবল তার একক অসাধারণত্বের ফল নয়, বরং সেখানে আরো বড় অবদান রয়েছে দুজন খেলোয়াড়ের। তারা হলেন জাভিয়ের হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।

জাভি ও ইনিয়েস্তার সাথে দারুণ রসায়ন ছিল মেসির; Image Source: AP

জাভি ও ইনিয়েস্তার কাঁধে সওয়ার হয়েই ক্লাব পর্যায়ে মেসির এত সাফল্য, এমন দাবিতে অনেকেই সোচ্চার হতো একসময়। তখন তাদের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণের কোনো সুযোগ ছিল না, পাশাপাশি বার্সেলোনার হয়ে মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষের গোল পর্যন্ত জাভি ও ইনিয়েস্তার সাথে মেসির যে দুর্দান্ত রসায়ন ছিল, সেটিকেও অস্বীকার করা যেত না। তাই বার্সেলোনায় মেসি প্রকৃতপক্ষেই জাভি ও ইনিয়েস্তাকে ছাড়া অচল কি না, সে বিচারকার্য ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ।

তবে তখনকার ভবিষ্যৎ এখন সমসাময়িক বর্তমান। জাভি কিংবা ইনিয়েস্তা, কেউই আর বার্সেলোনার সক্রিয় খেলোয়াড় নন, তারা কেউই নেই মেসির পাশে। অথচ মেসি কিন্তু ঠিকই সপ্তাহের পর সপ্তাহ খেলে চলেছেন বার্সেলোনার হয়ে। এখন প্রশ্ন হলো, কেমন খেলছেন তিনি? জাভি ও ইনিয়েস্তার অনুপস্থিতি কতটা প্রভাবিত করছে তাকে? বার্সেলোনার দুই কিংবদন্তী, মাঝমাঠের মায়েস্ত্রোকে ছাড়া তার সাফল্যের গাড়ি কি চলছে, নাকি স্থবির হয়ে আছে?

যেসব সংশয়বাদী বিশুদ্ধ সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী, তাদের জন্য দুঃসংবাদই অপেক্ষা করে আছে। যারা ভাবছেন, জাভি ও ইনিয়েস্তাকে ছাড়া বার্সেলোনার হয়ে মেসির পারফরম্যান্স নিম্নগামী, তাদের জন্যও একরাশ সমবেদনা। কেননা জাভি ও ইনিয়েস্তাকে ছাড়াও মেসি কিন্তু মেসিই আছেন, এবং সেই দাবির স্বপক্ষে সবচেয়ে বড় সাক্ষ্য দেবে পরিসংখ্যান।

চলতি মৌসুমে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন মেসি; Image Source: AFP

২০১৫ সালের ৬ জুন বার্লিনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারানোর মাধ্যমে বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের ইতি টানেন জাভি। এরপর থেকে এখন অবধি (২ এপ্রিল, ২০১৯) বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মেসি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৪টি, এবং বল জালে জড়িয়েছেন ১৮২ বার। অর্থাৎ জাভির বিদায়ে মেসি বিবর্ণ বা ম্লান হননি এতটুকুও। একই কথা প্রযোজ্য ইনিয়েস্তাহীন মেসির ক্ষেত্রেও। গত বছর ইনিয়েস্তা ভিসেল কোবেতে পাড়ি জমানোর পর থেকে মেসি ৩৯ ম্যাচে করে ফেলেছেন ৪২টি গোল। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গোলসংখ্যা একের বেশি।

আরো একটি বিষয় ভুলে গেলে চলবে না, জাভি ও ইনিয়েস্তার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে যখন একের পর এক সাফল্য এনে দিচ্ছিলেন মেসি, তখন তিনি ছিলেন ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে। কিন্তু বয়সের ভারে মেসি নিজেও এখন ন্যুব্জ। ৩১টি বসন্ত কাটিয়ে ফেলার পর, স্বভাবতই তার ভেতর নিজের সেরা সময়ের চেয়ে প্রাণশক্তির পরিমাণ ঢের কম। কিন্তু তারপরও, মেসির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখে তা বোঝার জো নেই।

অনেকেই হয়তো দাবি করতে পারেন, ২০১৫ সালে জাভির বিদায়ের পরও মেসির পারফরম্যান্স প্রভাবিত না হওয়ার কারণ, ততদিনে নেইমার চলে এসেছিলেন তাকে সাহায্য করতে। সুয়ারেজ ও নেইমারকে সাথে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এমএসএন ত্রয়ী, আর সেই সাথে ইনিয়েস্তা তো ছিলেনই, তাই জাভির অনুপস্থিতি সেভাবে টের পাননি তিনি।

জাভি, ইনিয়েস্তা, নেইমারকে ছাড়াও দারুণ উজ্জ্বল মেসি; Image Source: Getty Images

হ্যাঁ, এ কথায় বিন্দুমাত্র মিথ্যা নেই। তবে গত মৌসুমটা কিন্তু নেইমারকে ছাড়াই খেলেছেন মেসি। ইনিয়েস্তাও খুব একটা নিয়মিত ছিলেন না। তারপরও মেসি ছিলেন বরাবরের মতোই ধারাবাহিক। নেইমারের বিদায়ের পর ৯৩ ম্যাচে ৮৩টি গোল পেয়েছেন মেসি, যা প্রমাণ করে নেইমারের কারণেই জাভির অনুপস্থিতি টের পাননি তিনি, এমন দাবিও সঠিক নয়।

এ পর্যন্ত পড়ে অনেকের কাছেই মনে হতে পারে, ঢালাওভাবে মেসির পক্ষপাত করা হচ্ছে। না পাঠক, জাভি ও ইনিয়েস্তার অনুপস্থিতিতে মেসির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিম্নগামী হলেও, সার্বিকভাবে তার অর্জনের খাতায় যে বড় ধরনের শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, এ কথা অনস্বীকার্য। দল হিসেবে যেমন বার্সেলোনা পিছিয়ে পড়েছে, তেমনই ব্যালন ডি’অর সংখ্যার ইঁদুর-দৌড়েও তার পাশেই এখন আসীন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

২০১৫ সালে বার্সেলোনা যখন শেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে, তখন অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড ছিল জাভির হাতে। এর মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জিতেছিল ব্লগরানারা। কিন্তু এরপর থেকে গত তিন বছর বার্সেলোনা লা লিগা ও কোপা দেল রে-তে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারলেও, একদমই সুবিধা করতে পারেনি চ্যাম্পিয়নস লিগে। মাঠে লুকা মড্রিস, টনি ক্রুস, ক্যাসিমিরো, রামোস, বেলদের সাথে রোনালদো, আর মাঠের বাইরে জিদানের জাদুর কল্যাণে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেললে বার্সেলোনার জন্যও হয়তো জেতা কঠিন হতো। কিন্তু তারা একবারও রিয়াল মাদ্রিদকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায়নি, অথচ তারপরও ব্যর্থ হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালের চৌকাঠ পেরোতে।

অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার যে ব্যর্থতা, তা পুরোপুরি তাদের নিজেদেরই ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতাকে আড়াল করতে রিয়ালের অভাবনীয় জয়রথকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। বরং সুযোগ আছে চাপের মুখে মেসির ম্যাচ বের করে আনতে পারার অক্ষমতাকে দায়ী করার। রিয়ালের হয়ে রোনালদো যেমন বরাবরই বড় ম্যাচের চাপকে জয় করেছেন, এবং এখন জুভেন্টাসের হয়েও তা করছেন, গত তিনটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায়ের ম্যাচে তা করতে পারেননি মেসি।

গত বছর হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ; Image Source: AFP

তবে সে যা-ই হোক, আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো বার্সেলোনায় জাভি ও ইনিয়েস্তাকে ছাড়া মেসি অচল কি না, তা পর্যালোচনা। এবং এক্ষেত্রে আবারো বলতে হচ্ছে, মেসি অন্য কারো অনুপস্থিতিতে অচল নন, বরং বার্সেলোনাই অতিমাত্রায় মেসি-নির্ভর। ২০১২/১৩ মৌসুমে, অর্থাৎ টিটো ভিলানোভার অধীনে যে মৌসুমে মেসি তার ক্লাব ক্যারিয়ারের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছিলেন, তখনকার চেয়েও গত মৌসুমে (২০১৭-১৮) বার্সেলোনা বেশি নির্ভর করে ছিল তার উপর।

গত মৌসুমে, উসমানে ডেম্বেলের ইনজুরির কারণে বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে এমন একটি ট্যাকটিকাল মডেল গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে কোনো সত্যিকারের উইঙ্গারই ছিল না। ফলে তাকে পূর্ণ নির্ভর করতে হয়েছে ফরওয়ার্ড হিসেবে খেলানো মেসি ও সুয়ারেজের উপর। কিন্তু সুয়ারেজ মেসির মতো সৃজনশীল নন, এবং বয়সের কাছে পরাস্ত ইনিয়েস্তাও তার সেরা ফর্মে না থাকায়, বার্সেলোনার প্লে-মেকিংয়ের সিংহভাগই নির্ভর করে ছিল মেসির উপর।

বল সার্কুলেশন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে রাকিটিচ ও বুস্কেটসের অবদান ছিল, পাশাপাশি একেবারে শেষ মুহূর্তে পলিনহোর বক্সের ভিতর দৌড়ে ঢোকা সাহায্য করছিল বার্সেলোনাকে। ফলে ৪-৪-২ ফর্মেশনে খেলে বার্সেলোনার জন্য খেলাকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলানো সহজ ছিল বার্সেলোনার জন্য। কিন্তু একদম নিচ থেকে নতুন করে আক্রমণ শানানোর গুরুদায়িত্ব মেসিকে একাকেই বহন করতে হচ্ছিল।

গত মৌসুমে মেসিকে যে পরিমাণ চাপ সামলাতে হয়েছে, তা পরিমাণগত দিক থেকে না হলেও, গুণগত দিক থেকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২০১২/১৩ মৌসুমকে। সে মৌসুমে ফলস নাইন হিসেবে খেলে ৪৬টি গোল পেয়েছিলেন মেসি, পাশাপাশি ১২টি অ্যাসিস্টও করেছিলেন। তবে তারপরও সব দায়িত্ব মেসির একারই ছিল না। ১৬টি অ্যাসিস্টের মাধ্যমে সে তালিকায় শীর্ষে ছিলেন ইনিয়েস্তা। সেই সাথে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসও অ্যাসিস্ট করেছিলেন ১১টি।

ভিলানোভার সাথে মেসি; Image Source: La Liga

সুতরাং, ২০১২/১৩ মৌসুমে মেসি গত মৌসুমের চেয়ে ১২টি বেশি গোল এবং সমসংখ্যক অ্যাসিস্ট করা সত্ত্বেও, এ কথা মানতেই হবে যে গত মৌসুমে মেসির উপর বর্তানো সৃজনশীল দায়িত্বের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। গত মৌসুমে লা লিগায় মেসি সর্বোচ্চ গোল (৩৪), সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট (১২) এবং সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। বার্সেলোনার খেলা যারা গত মৌসুমে দেখেছেন, তারা খুব ভালো করেই জানেন মেসিকে ছাড়া তার দলকে খুব কমই হুমকিস্বরূপ মনে হয়েছে।

চলতি মৌসুমেও কিন্তু ঠিক একই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সর্বশেষ ভিলারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের কথাই চিন্তা করুন। মেসিকে শুরুর একাদশে না রাখার যে ঝুঁকি কোচ দেখিয়েছিলেন, তার ফলস্বরূপ ৮০ মিনিটে ৪-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল বার্সেলোনাকে। শেষ পর্যন্ত ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে হয়েছে সেই মেসিকেই। তিনি না থাকলে বার্সেলোনা কোনোভাবেই ৪-৪ ড্র নিয়ে ম্যাচটি শেষ করতে পারত না।

এই চিত্র ক্রমাগত ঘটে চলেছে গোটা মৌসুম জুড়েই। এখন পর্যন্ত লা লিগায় ২৮ ম্যাচ খেলে তার গোলসংখ্যা ৩২। অ্যাসিস্টও রয়েছে ১৪টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ৬ ম্যাচে তার ৮ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট। কোপা দেল রে-তে ৪ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট। সুপার কোপাতেও আছে একটি অ্যাসিস্ট। সব মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচে তার ৪২ গোল ও ২১ অ্যাসিস্ট।

আরো মজার ব্যাপার হলো, এ মৌসুমে লা লিগায় এখন পর্যন্ত যে ২৮টি ম্যাচ তিনি খেলেছেন, তার মধ্যে ২৪টি ম্যাচেই তিনি সরাসরি অবদান রেখেছেন গোলে। চ্যাম্পিয়নস লিগেও ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৪টি ম্যাচে সরাসরি অবদান রেখেছেন তিনি।

এবার ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়ের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে মেসির সামনে; Image Source: Getty Images

উপরের পরিসংখ্যানগুলো থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়, বর্তমান বার্সেলোনা দলটি ঠিক কী পরিমাণে নির্ভর করে আছে মেসির উপর। বার্সেলোনায় এখন জাভি বা ইনিয়েস্তা নেই, এমনকি নেই নেইমারও। তারপরও লা লিগায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে বার্সেলোনা, কোপা দেল রে-তে পৌঁছেছে ফাইনালে, আর চ্যাম্পিয়নস লিগেও রয়েছে শেষ আটে। এই যে দল হিসেবে বার্সেলোনাকে এখনো এতটা দুর্দান্ত মনে হচ্ছে, তা কিন্তু এক মেসির কল্যাণেই। মেসিকে ছাড়া বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বটে, কিন্তু সেটি কেবলই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কারণ তিনি না খেললে, কিংবা তিনি সেরা ফর্মে না থাকলে, গোটা বার্সেলোনা দলই কেমন ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে, সে দৃষ্টান্ত চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকবার দেখেছি আমরা।

সর্বশেষ ব্যালন ডি’অরে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন মেসি। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি কারো কাছে জানতে চাওয়া হয়, পরবর্তী ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার কে, তাহলে কিন্তু মেসির নামই সবার আগে উচ্চারিত হবে। একাই যেভাবে বার্সেলোনাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি, তার কোনো তুলনা চলে না। লিগ ও কোপা দেল রে-র পাশাপাশি এবার যদি বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগও জয় করতে পারে, তাহলে মেসির ৬ষ্ঠ ব্যালন ডি’অরই কেবল সুনিশ্চিত হয়ে যাবে না, পাশাপাশি নিন্দুকরাও খুব ভালো করেই জেনে যাবে যে, জাভি ও ইনিয়েস্তাকে ছাড়া মেসি অচল নন, বরং মেসিই বার্সেলোনার হয়ে খেলা শ্রেষ্ঠতম ফুটবলার।

চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/

This article is in the Bengali language. It is about whether Messi can be at his best without Xavi and Iniesta. Necessary references have been hyperlinked inside.

Featured Image © YouTube

Related Articles