অ্যাশ, লিটল মাস্টার কিংবা বাংলাদেশের ‘আশার ফুল’, তিনি মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে কতটা ভালবাসে তা লিখে প্রকাশ করা দুঃসাধ্য। কিন্তু মানুষের এই অপরিমেয় ভালবাসার প্রতিদান নিজের ক্যারিয়ারে প্রতিফলিত করতে পারেননি আশরাফুল। রূপকথার মতোই যিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, শেষটা করেছিলেন নামের সাথে বড্ড অবিচার করে। ১২ বছরের লম্বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তার অতটাও রঙিন নয়। টেস্টে তার গড় ২৩, একদিনের ক্রিকেটে মাত্র ২২। আহামরি তো নয়ই, মাঝারি মানেরও নয়। কিন্তু গড় দিয়েই তাকে বিচার করে ফেললে একটু তাড়াহুড়োই করলেন বৈকি! আশরাফুলকে যে গড় দিয়ে মাপা যায় না। নিজের দিনে এক নিখাদ ম্যাচ উইনার আশরাফুল। ব্রেট লি, শন পোলক, এনটিনি, জহির খানদের মতো বাঘা বাঘা বোলারদেরও পিটিয়ে তক্তা বানিয়েছেন এক সময়ের বাংলাদেশের ক্রিকেটের একমাত্র বিজ্ঞাপন মোহাম্মদ আশরাফুল।
বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় জয়ের নায়ক হয়ে ভক্তদের মনে চিরস্থায়ী আসন পেয়েছেন অ্যাশ। অমিত প্রতিভার অধিকারী এই ব্যাটসম্যান তার এক যুগেরও অধিক লম্বা ক্যারিয়ারে সবক’টি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষেই খেলেছেন। তাই অভিজ্ঞতার ঝুলিও তার বেশ ভারী। কিন্তু অভিজ্ঞতা বা প্রতিভা, কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। বাজে ফর্মই যেন তার নিত্য সঙ্গী ছিল। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়ই ভুগেছেন রান খরায়। কিন্তু তাতে কি? ফর্মহীনতা তার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র আঁচ ফেলতে পারেনি। কেননা নিজের দিনে তিনিই সেরা। নিজের দিনে তিনি যেন কোনো মহাকাব্যের মহানায়ক হয়ে ওঠেন। হাতের ব্যাটটিকে কলম বানিয়ে লিখে চলেন তার মহাকাব্য। কার্ডিফ, গায়ানা কিংবা জোহানেসবার্গের একেকটি ইনিংস তার একেকটি দৈত্য বধেরই গল্প।
১৯৮৪ সালের ৭ই জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আশরাফুল। তার ডাকনাম মতিন। তবে ভক্তদের নিকট এই নামটি অপরিচিতই বটে। অ্যাশ নামেই সমধিক পরিচিত তিনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে তার জন্মতারিখ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। একাডেমিক সার্টিফিকেটে তার জন্মতারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। তবে তারিখ বিতর্ক তাকে টেস্ট ক্রিকেটের কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান হওয়া থেকে আটকাতে পারেনি। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মুস্তাক মুহাম্মদ ১৭ বছর ৭৮ দিন বয়সে কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান হবার গৌরব অর্জন করেন। মোহাম্মদ আশরাফুল ১৭ বছর ৬১ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করে মুস্তাকের রেকর্ডটি ভেঙে দেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০১ সালে কলম্বো টেস্টে ১১৪ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেন আশরাফুল। যদিও সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১১৫ রানের বিশাল ব্যবধানে, আশরাফুল কিন্তু ঠিকই তার প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন।
অভিষেকেই যার ব্যাট স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল, সেই আশরাফুলের ব্যাটে আবার একটি ভাল ইনিংস দেখতে অপেক্ষা করতে হয় ২০০৪ সাল পর্যন্ত। সেই বছর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ১৯৪ বলে ১৫৮ রানের এক বিস্ময়কর ইনিংস খেলে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই তাক লাগিয়ে দেন অ্যাশ। তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি আশরাফুলের সেই ইনিংসটিকে তার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস বলে অভিহিত করেন।
পরের বছর ২০০৫ সালে আশরাফুল তার ক্যারিয়ারের তো বটেই, সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ইনিংসটি খেলে ফেলেন। ১৮ জুন কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেই স্মরণীয় ম্যাচের কথা জানেন না, অথচ মোটামুটি ক্রিকেটের খবর রাখেন, এমন লোক বাংলাদেশে পাওয়া কঠিন। রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে হেইডেন, গিলক্রিস্ট, ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি আর গিলেস্পিদের নিয়ে গড়া সেই অস্ট্রেলিয়া দলটিকে ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সফল দল বলা হয়। একের পর এক সিরিজ জিতে উড়তে থাকা অস্ট্রেলিয়াকেই ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে মাটিতে নামিয়ে আনে বাংলাদেশ দল। আর এই দুঃসাধ্য সাধনে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি মোহাম্মদ আশরাফুল।
তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও সেদিন বাংলাদেশ এর মিতব্যয়ী বোলিং এর বিপক্ষে ২৫০ এর বেশি রান করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। জবাবে শুরুটা একেবারেই জয়সুলভ ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের সাথে ১৩০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন আশরাফুল। তার ১০১ বলে ১০০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করেই অজিদের হারিয়ে দেয় টাইগাররা। আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসে অ্যাশের সেই অনবদ্য ইনিংসটি।
ন্যাটওয়েস্ট সিরিজটি স্মরণীয় করে রাখতে কার্ডিফের ইনিংসটিই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু অ্যাশ তা মানবেন কেন? তাই তো পরের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। ইংলিশ বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ৫২ বলে ৯৪ রানের এক অতিমানবীয় ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার। ১৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে সেদিন টাইগাররা হারলেও ব্যাক্তিগতভাবে অ্যাশ সফল ছিলেন পুরোপুরি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেদিন প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন আশরাফুল। অভিষিক্ত ক্রিস ট্রেমলেটের প্রথম বলটিই স্ট্যাম্পে বেলের উপর বাউন্স খায়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে স্ট্যাম্প না ভেঙেই চলে যায়। কে জানতো ইনিংসের প্রথম বলে জীবন পাবার পর এমন তান্ডবই চালাবেন আশরাফুল!
কিন্তু তারপর? হঠাৎ করেই জ্বলে উঠবেন, ভিঞ্চি হয়ে তুলির আচঁরে একে ফেলবেন মোনালিসা, তারপর আবার হারিয়ে যাবেন অনেকদিনের জন্য। এই তো আশরাফুল! ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের পর তার ব্যাটে আবার একটি আশরাফুলীয় ইনিংস দেখতে অপেক্ষা করতে হয় ২০০৭ সাল পর্যন্ত।
২০০৭ সালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের কথা। ভারতকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা সেখানেই পূরণ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কেবল যেন অপেক্ষা ছিল একটি আশরাফুলীয় ইনিংসের। ৭ এপ্রিলে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি যেন ছিল শুধু আশরাফুলের একটি অসাধারণ ইনিংসেরই জন্যই।
বিশ্বকাপের ৩৪তম ম্যাচে র্যাংকিংয়ে এক নম্বর দলের মুখোমুখি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সম্মানজনকভাবে হারবে, এতুটুকুই ছিল সবার আশা। কিন্তু আশরাফুলের ৮৩ বলে ৮৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসে সব ধারণা পাল্টে গেলো। একের পর এক অসাধারণ সব শট খেলে বাংলাদেশের স্কোরকার্ড সচল রাখেন তিনি একাই। সেঞ্চুরি না করতে পারলেও বাংলাদেশকে এনে দেন ২৫১ রানের লড়াকু এক স্কোর। জবাবে ১৮৪ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ পায় ৬৭ রানের এক ঐতিহাসিক জয়।
একই বছর সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয় টি টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। একদিনের বিশ্বকাপে দুইটি জয়ের টাটকা স্মৃতি নিয়েই আফ্রিকার মাটিতে পা রেখেছিল টাইগাররা। সেই জয়ের স্মৃতিই অনুপ্রেরণা দিয়েছিল কিনা কে জানে, আশরাফুল কিন্তু তার একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফর্মটাই টেনে এনেছিলেন বিশ ওভারের খেলায়ও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৭ চার ও বিশাল ৩ ছয়ের মারে ২০ বলে অর্ধশতক পূরণ করে আশরাফুল টি২০ ফরম্যাটে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড করেন। যদিও রেকর্ডটি একই আসরে ভারতের যুবরাজ সিং (১২ বল) ভেঙে দেন, কিন্তু অ্যাশের ইনিংসটি ঠিকই বাংলাদেশকে তুলে দেয় দ্বিতীয় রাউন্ডে। আফতাবের দায়িত্বশীল অর্ধশতক এবং অ্যাশের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ১২ বল হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। অ্যাশের সেই ইনিংস কি কখনো ভোলা সম্ভব?
২০০৭ সালটি আশরাফুলের জন্য শুধু দুটি বিশ্বকাপের কারণে স্মরণীয় নয়, রয়েছে আরো কিছু কারণও। সেই বছর তিনি জিতেছিলেন গ্রামীণফোন-প্রথম আলো বর্ষসেরা খেলোয়ারের পুরষ্কার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পেয়েছিলেন এশিয়া একাদশে নির্বাচিত হবার সম্মান। আইপিএলের নিলামেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কিনে নেয় অ্যাশকে। ক্রিকেট মাঠে সেই বছর তিনি একটি বিচিত্র ঘটনার সাক্ষীও হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে একটি বিচিত্র আউটের ঘটনা ঘটে। ডি ভিলিয়ার্সের বিপক্ষে বল করছিলেন আশরাফুল। এক পর্যায়ে একটি শর্ট পিচ বলের গতি এতটাই কম হয় যে, সেটি ভিলিয়ার্স পর্যন্ত পৌছাতে দুবার বাউন্স করে। ভিলিয়ার্স সেটিকে নো বল ভেবে হাত দিয়ে ধরে আশরাফুলের দিকে ছুঁড়ে মারেন। আশরাফুল বলটি ক্যাচ নিয়ে আবেদন করলে আম্পায়ার স্টিভ বাকনার আউট ঘোষণা করেন! পরে অবশ্য জানা যায় আউটটি সঠিক ছিল। কারণ আইসিসির ক্রিকেট আইনের ২৪.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নো বল হতে হলে বলটিকে দুবারের অধিক বাউন্স করতে হত!
২০০৭ এর পর থেকেই দলে সাকিব, তামিম আর মুশফিকদের মতো তরুণদের প্রাধান্য বাড়তে থাকে। আশরাফুলও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। ১১’র বিশ্বকাপে অনেকেই তার শেষ দেখছিলেন। মূলত ২০১০ থেকেই দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন আশরাফুল। কিন্তু তার মধ্যে যে আরো কিছু দেবার মতো বাকি ছিল সেটা তিনি প্রমাণ করেন ২০১৩ এর শ্রীলংকা সফরে। গল টেস্টে ৪১৭ বলের ১৯০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি খুব সহজেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস হয়ে থাকবে। অধিকাংশ সময়ই যিনি ধৈর্য্য হারিয়ে বাজে শট করে আউট হতেন, সেই আশরাফুলই এই ইনিংসে হয়ে ওঠেন ধৈর্য্যের প্রতীক!
গল টেস্টে অ্যাশের সেই ইনিংসটি থেকে তার পুনরুত্থানের স্বপ্ন দেখছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেটাই যে তার শেষ সুখস্মৃতি হবে তা কে জানত? ২০০১ সালে শুরু করেছিলেন যে ক্যারিয়ার, ২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সিরিজেই অঘোষিতভাবে তার ইতি টানেন অ্যাশ। কেননা সে বছরই তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে।
ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে খেলা আশরাফুলের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে ২০১৩ বিপিএলের আসর শেষ হবার পরপরই। আকসুর তথ্য ও আশরাফুলের সহজ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আগস্ট মাস থেকেই তাকে সবধরণের ক্রিকেট থেকে তাকে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করে বিসিবি। ২০১৪ এর জুলাই মাসে বিসিবির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল তার উপর ১০ লাখ টাকা জরিমানা সহ ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে অবশ্য আশরাফুলের আবেদনের ভিত্তিতে সাজা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়। গত বছর আগস্ট থেকেই তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সু্যোগ পাবেন ২০১৮ সালের আগস্টের পরে। তবে সেটা যে কেবল কাগজে কলমে তা হয়তো অ্যাশ নিজেও জানেন ইতোমধ্যে।
খেলোয়াড়ি জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেন আশরাফুল। ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি গাঁটছাড়া বাঁধেন অনিকা তাসলিমা অরচির সাথে। এর আগের বছরই অর্থাৎ ২০১৪ তে তিনি হজ্বেও যান।
পেশাদারি ক্রিকেট হয়তো আরো কিছুদিন খেলে যাবেন আশরাফুল, কিন্তু লাল সবুজের জার্সি গায়ে আর কখনো তাকে দেখা যাবে কি? উত্তরটা সকলেরই জানা। তবু কেন যেন মন সেই উত্তরটা মানতে চায় না। আশরাফুলের খেলা দেখে যারা বড় হয়েছেন, তারা মানতে পারেন না এ কথা। তারা আজও ভাবেন, যদি হটাৎ করে রূপকথার মতোই ফিরে আসতেন তিনি! তার ফেরা নিয়ে মনের কোণে আশার যে প্রদীপ তার ভক্তরা জ্বেলেছিল সেই ২০১৩ থেকে, আজও তা মিটিমিটি করে জ্বলছে। কে জানে, হয়তো আবার ফিরবেন আশরাফুল! বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম মহাতারকা, বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রথম প্রেম মোহাম্মদ আশরাফুল আবার জ্বলে উঠবেন ব্যাট হাতে! আশাটা একটু কি বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে গেলো? তবে তা-ই হোক। তিনি যে আশরাফুল! তার জন্য বাড়াবাড়িই হোক!