ব্যাট হাতে ম্যাথু ওয়েডের টানা ব্যর্থতায় হঠাৎ করেই দলে ডাক পান টিম পেইন। প্রায় সাত বছর পর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ দলে জায়গা করে নেন পেইন। সাত বছর আগে ব্রাড হ্যাডিনের পর দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসাবে তার নামই উচ্চারণ করা হতো। ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। নিজের প্রথম সিরিজে ব্যাট আশানুরূপ রান না পেলেও ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে দুটি অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তার সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আঙুলের ইনজুরি। ২০১০ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার’স অ্যাসোসিয়েশন অলস্টার্সের হয়ে একটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ডার্ক ন্যানেসের ঘন্টায় ১৪৮.২ কিলোমিটার গতির বল তার আঙুলে আঘাত হানে। ফলে তার আঙুল ভেঙে যায় এবং তিনি বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকেন। ইনজুরি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে আসলেও ততদিনে ব্রাড হ্যাডিনের পর ম্যাথু ওয়েড অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে জায়গা করে নেন।
৭ বছর ৪১ দিন এবং ৭৮ ম্যাচ পর ব্রিসবেনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে দলে ফেরেন টিম পেইন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে একটানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করেন তিনি।
অ্যাডিলেডে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৭ রান এবং ২ ইনিংসে ৬টি ক্যাচ লুফে নিয়ে জানান দেন, তিনি নিজের হারানো সাম্রাজ্য এতো সহজে ছাড়ছেন না। টিম পেইন অ্যাশেজে ছয় ইনিংসে ৪৮.০০ ব্যাটিং গড়ে ১৯২ রান করার পাশাপাশি ২৫টি ক্যাচ এবং ১টি স্ট্যাম্পিং করেন। টিম পেইনের মতো ইনজুরির কারণে না হলেও ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলও দীর্ঘদিন ভারতের টেস্ট দলের বাইরে ছিলেন। ২০০২ সালে মাত্র ১৭ বছর ১৫৩ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে পার্থিব প্যাটেলের। গড়পড়তা ব্যাটিং এবং উইকেটের পেছনে নড়বড়ে থাকার কারণে ২০০৪ সালেই দল থেকে ছিটকে পড়েন। দীনেশ কার্তিক, মাহেন্দ্র সিং ধোনির যুগে দলে সুযোগ পাওয়া হয়ে ওঠেনি পার্থিবের। ২০০৮ সালে ৮ই আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলার পর ৮ বছর ১০৭দিন পর নিজের পরবর্তী টেস্ট ম্যাচ খেলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছরের নভেম্বরে। পার্থিব প্যাটেলের দুই ম্যাচের মাঝখানে ভারত ৮৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে। কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করার রেকর্ড এটি। ঋদ্ধিমান সাহা ইনজুরিতে পড়লে পার্থিব প্যাটেল সুযোগ পান। সুযোগ পাওয়ার পর ব্যাট হাতে এবং কিপিং গ্লাভস হাতে ভালো পারফরমেন্স করার পরেও দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেননি। দীর্ঘ বিরতির পর ফিরে এসে তিনটি টেস্ট খেলেন পার্থিব প্যাটেল। তিন টেস্টের চার ইনিংসে ব্যাট করে ৪২, ৬৭, ১৫ এবং ৭১ রান করেন। সেইসাথে ১১টি ক্যাচ এবং ২টি স্ট্যাম্পিং করেন তিনি।
এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যারা টিম পেইন এবং পার্থিব প্যাটেলের চেয়েও বেশি সময় ধরে দলের বাইরে থাকার পর দলে ফিরে এসেছেন। ব্যক্তিগত টেস্ট ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত দুই ম্যাচের মাঝখানে ১০০ এর বেশি ম্যাচ মিস করা ক্রিকেটারদের নিয়ে আজকের লেখা।
৫. ডেরেক শ্যাকলেটন (ইংল্যান্ড)
১৯৫০ সালের ২০ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্ট ম্যাচ খেলেন ডেরেক শ্যাকলেটন। এভারটন উইকস, ফ্রাঙ্ক ওরেল এবং ক্লাইড ওয়ালকটের মতো ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ডানহাতি মিডিয়াম পেসার শ্যাকলেটন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩৫ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৯৫১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলে একটি করে উইকেট শিকার করেন। প্রথম তিন টেস্টে মাত্র তিন উইকেট শিকারের ফলে দলে নিজের জায়গা হারান শ্যাকলেটন। এরপর অ্যালেক বেদসার, ফ্রেড ট্রুম্যান, ব্রায়ান স্ট্যাদাম, ফ্রাঙ্ক টায়সনদের যুগে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাননি শ্যাকলেটন।
১৯৬৩ সালে ২০শে জুন, ১১ বছর ২২৫ দিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে পুনরায় দলে ডাক পান শ্যাকলেটন। শ্যাকলেটনের দুই ম্যাচের মাঝখানে ইংল্যান্ড ১০৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন। ১০৩টি টেস্ট ম্যাচ মিস করে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ বিরতির পর পুনরায় দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় শ্যাকলেটন পঞ্চম স্থানে আছেন। লর্ডসে নিজের ফিরতি ম্যাচে সাত উইকেট শিকার করেন তিনি। ঐ সিরিজে আরো তিনটি টেস্ট খেলে মোট আট উইকেট শিকার করেন শ্যাকলেটন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন তিনি। কয়েক পা দৌড়ে এসে মিডিয়াম পেস বল করে ক্যারিয়ার জুড়ে ধরাশায়ী করেছেন অনেক ব্যাটসম্যানকে। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে একাধারে ২০ মৌসুমে শতাধিক উইকেট শিকার করেছেন শ্যাকলেটন। তার চেয়ে বেশি ২৩ মৌসুমে শতাধিক উইকেট শিকার করেছিলেন উইলফ্রেড রোডস। তবে তিনি একটানা ২৩ মৌসুমে শতাধিক উইকেট শিকার করতে পারেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন শ্যাকলেটন। তিনি ১৯৪৮-৬৯ সাল পর্যন্ত ৬৪৭ ম্যাচে ২,৮৫৭ উইকেট শিকার করেছেন। রান দেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন বেশ কিপটে। মোট ওভারের ৩৫% ওভার মেইডেন দিয়েছেন।
৪. ইউনুস আহমেদ (পাকিস্তান)
২২ বছর বয়সী ইউনুস আহমেদের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ২৪ই অক্টোবর ১৯৬৯ সালে। করাচীতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩০শে অক্টোবর ১৯৬৯ সাল, লাহোরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে শূন্য এবং ১৯ রান করার পর দল থেকে বাদ পড়েন ইউনুস আহমেদ। ১৭ বৎসর ১১১ দিন পর ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সালে পুনরায় দলে ডাক পান তিনি।
এই সময়ে পাকিস্তানের হয়ে ১০৪টি টেস্ট মিস করেন ইউনুস আহমেদ। ক্যারিয়ারের শেষলগ্নে এসে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলার পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে তার। নিজের শেষ টেস্টে ১৫৬ বলে ৪০ এবং ২২৬ বলে অপরাজিত ৩৪* রানের ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ইউনুস আহমেদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ না পেলেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি বেশ সফল ছিলেন। ইংলিশ কাউন্টিতে সারি এবং ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে খেলেছেন। তিনি ৪৬০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৪০.৪৮ ব্যাটিং গড়ে ২৬,০৭৩ রান করেছেন। শতক হাঁকিয়েছেন ৪৬টি এবং অর্ধশতক ১৪৪টি।
৩. ফ্লয়েড রেইফার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১৯৯৭ সালে রেড স্ট্রাইপ কাপে ৭৫৬ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলে ডাক পান ফ্লয়েড রেইফার। ১৯৯৭ সালেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই ক্রিকেট দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও একাদশে ছিলেন রেইফার। কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন চরম ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের চার ইনিংসে যথাক্রমে ২৯, ১, ০ এবং ১৮ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থতার পর বেশ কিছুদিন দলের বাইরে ছিলেন রেইফার। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে আবারও দলে জায়গা করে নেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রেইফার। তার চারটি ইনিংসই ছিলো এক অংকের। ০, ৯ এবং ০, ৬।
১৯৯৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েন ফ্লয়েড রেইফার। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। তবে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দলের ক্রিকেটাররা ধর্মঘট ডাকলে পুনরায় সুযোগ মেলে তার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ফ্লয়েড রেইফারকে অধিনায়ক নির্বাচিত করে দল ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। কিংসটাউনে ২০০৯ সালের ৯ই জুলাই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে ১০ বছর ১৭২দিন পর পুনরায় টেস্ট দলে ফেরেন রেইফার। এই ১০ বছর ১৭২ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলে। দুই ম্যাচের মাঝখানে সবচেয়ে বেশি টেস্ট মিস করা ক্রিকেটারদের তালিকায় রেইফার তৃতীয় স্থানে আছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি রেইফার। দুই টেস্টে যথাক্রমে ২৫, ১৯, ১ এবং ৩ রান করেন। ছয় টেস্টের ক্যারিয়ারে ৯.২৫ ব্যাটিং গড়ে মাত্র ১১১ রান সংগ্রহ করেছেন বার্বাডোসের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২. মার্টিন বিকনেল (ইংল্যান্ড)
১৯৯৩ সালে ৫ই আগস্ট বার্মিংহ্যামে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলার পর পরবর্তী টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ১০ বছর ১২ দিন অপেক্ষা করতে হয় মার্টিন বিকনেলকে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড ১১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলে। দুই ম্যাচের মাঝখানে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করা ক্রিকেটারদের তালিকায় তিনি দ্বিতীয় স্থানে আছেন। মার্টিন বিকনেল অভিষেকের পর তিন ইনিংস বল করে চার উইকেট শিকার করেন। পুনরায় দলে ফিরে চার ইনিংসে দশ উইকেট শিকার করে বিকনেল জানান দেন। নিজেকে প্রমাণ করার পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে সারির হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বিকনেলের।
এই ডানহাতি পেসার দুই দিকেই বল সুইং করানোর সামর্থ্য রাখেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সারির হয়ে সফলতা পাওয়ার পর মাত্র ২১ বছর বয়সেই নির্বাচকদের নজরে আসেন মার্টিন বিকনেল। ১৯৯০ সালের ৭ই ডিসেম্বর ওডিআই ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন তিনি। মাত্র তিন মাস তার ওডিআই ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয়। সাতটি ওডিআইতে ১৩ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ২৪.০০ ব্যাটিং গড়ে ৯৬ রান করার পরেও আর সুযোগ পাননি তিনি। টেস্ট ক্রিকেটেও সবসময় আলোচনায় থেকেও নির্বাচকদের চোখের আড়ালেই ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে অ্যাশেজে দুটি টেস্ট খেলার পর পরবর্তী ম্যাচ খেলতে অপেক্ষা করতে হয় দশ বছর! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ না পেলেও কাউন্টিতে সারির হয়ে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে যান তিনি। মার্টিন বিকনেল ২৯২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১,০৬১টি উইকেট শিকার করেছেন। ইনিংসে ৪৪ বার পাঁচ উইকেট এবং ম্যাচে ৪ বার দশ উইকেট শিকার করেন তিনি। লোয়ার অর্ডারেও কার্যকরী ব্যাটসম্যান ছিলেন বিকনেল। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪.৮৭ ব্যাটিং গড়ে ৬,৭৪০ রান করেছেন।
১. গ্যারেথ ব্যাটি (ইংল্যান্ড)
২০১৬ সালের ২০শে অক্টোবর, চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইংলিশ অফস্পিনার গ্যারেথ ব্যাটি। ১১ বছর ১৩৭ দিন এবং ১৪২টি টেস্ট মিস করার পর পুনরায় দলে সুযোগ পেলেন তিনি। একজন ক্রিকেটারের দুই টেস্টের মাঝখানে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করার বিশ্বরেকর্ড এটি।
গ্যারেথ ব্যাটি ২০০৫ সালের ৩ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর গ্রায়েম সোয়ান, মন্টি প্যানেসারদের যুগে তার আর সুযোগ হয়নি। শেষপর্যন্ত ২০১৬ সালে বাংলাদেশের স্পিন সহায়ক পিচে দলে জায়গা করে নেন সারির এই স্পিনার। গ্যারেথ ব্যাটির টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকও ঘটে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৩ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকায় নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট খেলার পর মিরপুর টেস্টে আবারও দল থেকে বাদ পড়েন ব্যাটি। ২০১৬ সালের ২৬শে নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। ক্যারিয়ারে মোট নয়টি টেস্ট খেলে ৬০.৯৩ বোলিং গড়ে এবং ১১৪.২ স্ট্রাইক রেইটে মাত্র ১৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।
ফিচার ইমেজ – Getty Images