পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, জেদ, জয়ের ক্ষুধা। পেশাদার ফুটবলে দেড় দশকের উপরে কাটানোর পরও এগুলো এক ফোটাও কমেনি তার, বরং সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটা প্রচন্ড বলেই নিজেকে গত বিশ বছরের সেরা ফুটবলার হিসেবে দাবী করেন, জেদটা অদমনীয় বলেই ব্যালন ডি’অর এর রেসে ৪-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও ফেরত আসেন, ব্যবধান সমান করেন ৫-৫ এ। নিজের সীমাবদ্ধতা জানেন, কিন্তু সেটায় আটকে গিয়ে পিছিয়ে পড়তে তিনি রাজী নন। ঘন্টার পর ঘন্টা পরিশ্রম করেন, আগের দিন প্র্যাকটিসে বাইসাইকেল কিকটা ঝালিয়ে নিয়ে পরের দিন প্রতিপক্ষের মাঠে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বাইসাইকেল কিকেই গোল করে বসেন। শরীরে মেদ জমতে দেন না, বুড়িয়ে যেতে থাকা শরীর যেন বয়সের ভারে নুয়ে না পড়ে সেদিকে তীব্র মনোযোগ তার। এসব মিলেই রোনালদো হন, এভাবেই তিনি অনন্য হন।