১.
৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সকাল ১০টা।
রবীন্দ্র জাদেজা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বোলিং করার, প্রায় সাত মাস পরে টেস্ট ক্রিকেটের লাল বলটা হাতে পেয়েছেন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ের পরে মূলত রঙিন পোশাকের ক্রিকেটটাই খেলেছেন তিনি, এরপরে ডান হাঁটুর চোট আর অস্ত্রোপচারের কারণে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচে। ঐ ম্যাচে অবশ্য সাতটা উইকেট তুলে নিয়েছিলেন, কিন্তু তবুও, টেস্ট ম্যাচের মেজাজটাই তো ভিন্ন!
ব্যাটিং প্রান্তে তখন মার্নাস ল্যাবুশেন, বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যান। জাদেজার জন্য কাজটা ছিল অনুমিতভাবেই কঠিন, সাদা পোশাকে বোলিংয়ে ফেরার জন্য এর চেয়ে বড় মঞ্চ যে আর হয় না!
জাদেজা বল করলেন। রাউন্ড দ্য উইকেটে, একটু জোরের ওপর, “জাদেজীয়” লেন্থেই পড়ল বলটা। ল্যাবুশেন সামনের পায়ে ভর করে রক্ষণাত্মক শট খেলতে চাইলেন, কিন্তু বলের পিচ করার স্থান আর তাঁর ব্যাটের মধ্যে দূরত্ব থাকলো বেশ খানিকটা। টার্ন করে বেরিয়ে গেলো বলটা, লাবুশেনের ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে। বোঝা গেল না, জাদেজা কি সত্যিই মাঝের সাত মাস টেস্টে বোলিং করেননি!
২.
আজ অবধি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র ১৩ জন বাঁহাতি স্পিনার ১৫০ উইকেট প্রাপ্তির মাইলফলক ছুঁতে পেরেছেন, এই সংক্ষিপ্ত তালিকার কেউই জাদেজার চেয়ে ভালো গড় (২৪.৪০) বজায় রাখতে পারেননি। যদি তালিকার মানদণ্ড হিসেবে বাঁহাতি স্পিনারের বদলে সব ধরনের স্পিনারদেরই রাখা হয়, তবুও জাদেজার ওপরে রয়েছেন মাত্র চারজন, জিম লেকার, মুত্তিয়া মুরালিধরন, ক্ল্যারি গ্রিমেট এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এমন চমৎকার একটা ক্যারিয়ার কাটানোর পরও জাদেজার বোলিং ক্যারিয়ারটা বেশিরভাগ সময়ে থেকে গেছে পর্দার আড়ালে। আর সেই পর্দাটি আর কেউ নন, জাদেজারই সতীর্থ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন। উপরে উল্লিখিত বাঁহাতি স্পিনারদের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা টনি লকের সময়ে যেমন একজন জিম লেকার ছিলেন, জাদেজার সময়ে তেমনই আছেন অশ্বিন। অশ্বিনের বোলিংয়ের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো নিয়ে ধারাভাষকার বা ক্রীড়ালেখকরা যতটা কাটাছেঁড়া করেন, পাদপ্রদীপের ততটা আলো এসে পড়ে না জাদেজার ওপর। জাদেজার ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো যেন অতি সহজেই বর্ণনা করা হয়, ‘ক্লান্তিহীন আর নিখুঁত’ দিয়েই শেষ হয়ে যায় তাঁর জন্য বরাদ্দকৃত শব্দভাণ্ডার।
অশ্বিন তার বোলিং নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন, ইংরেজি ভাষাতেও পারদর্শী তিনি। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে জড়তা নেই তার, সফল ইউটিউব চ্যানেলও চালান তিনি। অপরদিকে জাদেজা ইংরেজিতে অশ্বিনের মতো পারদর্শী নন, খুব বেশি খোলামেলা স্বভাবেরও নন। মাঠের ক্রিকেটে পাশাপাশি অশ্বিন-জাদেজা দু’জনেই ক্লান্তিহীন, দু’জনেই নিখুঁত, কিন্তু অশ্বিনের বোলিংয়ের অন্যান্য বিষয়গুলো যেমন খালি চোখে ধরা পড়ে, জাদেজার ক্ষেত্রে সেটা বাড়তি পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।
২০১৯ সালে ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে পরাজিত করার পরে ভারতের তৎকালীন বোলিং কোচ ভরত অরুণ এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন জাদেজার বোলিংয়ের ব্যাপারে,
“তার বোলিং অ্যাকশনটা অত্যন্ত কার্যকর, ক্রিজটা তাই তিনি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন। বেশিরভাগ বাঁহাতি স্পিনার ক্রিজের ওয়াইড অংশ থেকে বল করেন, তারা সাধারণত ক্রিজটাকে ব্যবহার করেন না। কিন্তু জাদেজার অ্যাকশন এতটাই ভালো যে তিনি চাইলেই ক্রিজটাকে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এর মানে আপনি ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে বল ছুঁড়ছেন, আর আপনার বোলিংয়ে নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে, কেননা ভিন্ন ভিন্ন কোণে ছোঁড়া বল ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। সব বোলাররা এটা পারেন না।”
– ভরত অরুণ, সাবেক বোলিং কোচ, ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল
৩.
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৩৬তম ওভারের খেলা চলছে। জাদেজা, অবশ্যই ক্রিজের ওয়াইড অংশ থেকে, বল করছেন। ফুল লেন্থে পিচ করা বলটা টার্ন করার বদলে সোজা ভেতরের দিকে এলো। ব্যাটসম্যান মার্নাস ল্যাবুশেন সামনের পায়ে ভর করে রক্ষণ কাজে মন দিতে চাইলেন, কিন্তু বলের লাইন বুঝতে পারলেন না। বলটা সোজা আঘাত করলো তার প্যাডে, তবে অবশ্যই, লেগ স্ট্যাম্পের বাইরেই ছিল বলের গতিপথ।
দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলটা ছিল যথাক্রমে ক্রিজের ওয়াইড আর মাঝমাঝি অংশ থেকে ছোঁড়া। দুটোই ছিল জোরের ওপরে করা ডেলিভারি, অফ স্ট্যাম্পের সামান্য বাইরে, খুব বেশি টার্ন ছিল না। লাবুশেন পুরো ইনিংসে যেভাবে খেলছিলেন, সেভাবেই খেললেন। ক্রিজের ভেতরের দিকে সরে গেলেন, এলবিডব্লিউয়ের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্ট্যাম্পের বদলে বলের লেগ সাইডে অবস্থান করলেন। এই তিনটা বলের একটাকে তিনি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে পাঞ্চ করলেন, অপরটা ডিফেন্ড করলেন একই অঞ্চলে।
চতুর্থ বলটা জাদেজা ছুঁড়লেন ক্রিজের ওয়াইড অংশ থেকে। ফুল লেন্থের, লেগ স্ট্যাম্পের দিকে যাচ্ছিল বলটা। ল্যাবুশেন সামনের পায়ে ভর করে অনসাইডে রক্ষণাত্মক শট খেললেন। পঞ্চম বলটাও ছিল প্রায় আগের বলটার মতো, অন্তত ল্যাবুশেনের কাছে তো বটেই। জাদেজা বল ছোঁড়ার পরে, তিনি সামনের পা’টা আরেকটু সামনে আনলেন, তবে স্ট্যাম্পকে পুরোপুরি ঢেকে ফেললেন না। তার সামনের পায়ের আঙুল ছিল মিডল আর লেগ স্ট্যাম্পের মাঝামাঝি অংশে।
তবে এই বলটা পিচ করলো আগের বলের চেয়ে একটু শর্ট অংশে। আর জাদেজা যেহেতু ক্রিজের ওয়াইড অংশ থেকে বল করছিলেন, একটু শর্ট হওয়ার অর্থ হলো বলটা পিচ করছে অফ স্ট্যাম্পের লাইনে, বা সামান্য বাইরে।
ল্যাবুশেনের পা আর বলের পিচিংয়ের অঞ্চলের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটা বড় জায়গা তৈরি হলো। আর বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে সেই জায়গাটা আরো বেড়ে গেল। আর বলটাও যেন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি টার্ন করল। ব্যাটে বলে করতে গিয়ে ল্যাবুশেনের পেছনের পা বেরিয়ে এলো ক্রিজ ছেড়ে। বাকি কাজটা সারলেন শ্রীকর ভরত। পুরোটাই কাকতালীয়, নাকি ইচ্ছাকৃত?
এরপর টেলিভিশনের জুম করা রিপ্লেতে দেখা গেল আসল ব্যাপারটা। জাদেজা এই বলটা আন্ডারকাট রিস্ট অ্যাকশনে স্কয়ার সিমে ফেলতে চাননি, যেটা তাঁর স্বাভাবিক বোলিংয়ের ধরন, বরং তিনি আর দশটা বাঁহাতি স্পিনারের মতোই বলের সিম পজিশন স্লিপ বা গালির দিকে রেখে বলটা ছুঁড়েছিলেন, যেন ওভারস্পিনের পাশাপাশি সাইডস্পিনটাও পান। ফলস্বরূপ অনেক বেশি টার্ন পেয়েছিলেন জাদেজা, ল্যাবুশেনকে তাই বলের কাছে পৌঁছানোর জন্য পেছনের পা ক্রিজের বাইরে বের করতেই হলো। বাকি ঘটনা তো আগেই বলা হয়েছে।
পরিকল্পনা করে কীভাবে একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হয়, লাবুশেনের উইকেটটা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। দিনের শেষের সংবাদ সম্মেলনে জাদেজাকে প্রশ্নও করা হয়েছিল এ ব্যাপারে। জাদেজা পুরো ব্যাখ্যা করেননি স্বাভাবিকভাবেই, তবে কথা বলেছিলেন তার স্মিথ-লাবুশেনের ৮২ রানের পার্টনারশিপ চলাকালে তার পরিকল্পনার ব্যাপারে,
“কিছু বল টার্ন করছিল, স্মিথ-ল্যাবুশেন চাচ্ছিলেন রান করতে। কিন্তু সিঙ্গেলস নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার কাজটা খুব সহজ নয়। যদি আপনি ভালো জায়গায় বল করতে থাকেন, ব্যাটসম্যানরা ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করবেন। আর স্মিথ-ল্যাবুশেন দু’জনেই খুব ব্যস্ত ব্যাটসম্যান, তারা রান করার চেষ্টায় থাকেন। যখন তাদের পার্টনারশিপ চলছিল, আমি বুঝতে পারলাম যে আমাকে ডট বল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। উইকেট থেকে খুব বেশি সাহায্য পাচ্ছিলাম না আমি, বল নিয়মিত স্পিন করছিল না। আমি তাই ভালো লাইন-লেন্থে বল করার চেষ্টা করতে লাগলাম।”
– রবীন্দ্র জাদেজা, অলরাউন্ডার, ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল
প্রতিটা কথাই সত্য এবং প্রয়োজনীয়। বোলাররা সবসময়ই ভালো লাইন-লেন্থে বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের ভুল করানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর বাইরে তারা আরো অনেক কিছুই করেন, জাদেজা অবশ্য সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। এরপর জাদেজাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তার ক্রিজ ব্যবহার করার বিষয়ে,
“অবশ্যই, আমি ক্রিজকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিলাম, কারণ বল পর্যাপ্ত টার্ন এবং বাউন্স করছিল না। তাই ব্যাটসম্যানদের মনে দ্বিধা তৈরির জন্য আমি ক্রিজকে যথাযথভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছিলাম, কখনো ক্রিজের ওয়াইড অংশ ব্যবহার করে, কখনো স্ট্যাম্পের কাছে চলে এসে। যদি ব্যাটসম্যান স্টেপ আউট করে ক্রিজের বাইরে আসে, এবং বলটা টার্ন করে, সেক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি হতে পারে, এবং সৌভাগ্যবশত সেটাই ঘটেছিল। ল্যাবুশেন স্টেপ আউট করে বেরিয়ে আসে এবং বলটা টার্ন করে।”
– রবীন্দ্র জাদেজা, অলরাউন্ডার, ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল
কোনো ব্যাটসম্যানকে পরিকল্পনা করে আউট করার ক্ষেত্রে সাধারণত বোলাররা এমনটাই করে থাকেন। সফলতার হার হয়তো শতভাগ নয়, তবে টানা একই ধরনের বল করতে করতেই হুট করে ব্যাটসম্যানকে ‘নকআউট পাঞ্চ’ দেওয়ার চেষ্টা করেন বোলাররা। এক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের ধরন অনুসারে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের জন্য পরিকল্পনা হয় ভিন্ন, বোলাররাও সঠিক সময়ে সঠিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে চান।
কিন্তু, ল্যাবুশেনকে সাজঘরের পথ দেখানো ঐ বলটাতে কি বিশেষ কিছু করেছিলেন জাদেজা? স্বাভাবিক বাঁহাতি স্পিনারদের মতো বলের সিম পজিশন রেখে কি জাদেজা নিখুঁতভাবে ঠিক সেই কাজটাই করেছিলেন, যেটা তিনি করতে চেয়েছিলেন?
প্রশ্নটার উত্তর, সম্ভবত হ্যাঁ।
ল্যাবুশেনকে আউট করার পরের তৃতীয় ওভারে, স্টিভ স্মিথের উদ্দেশ্যে একই ধরনের একটা বল ছুঁড়েছিলেন জাদেজা, বলটা পিচও করেছিল মোটামুটি একই অঞ্চলে। তবে যেটা মূলত দেখার বিষয়, জাদেজা বলটা ছুঁড়েছিলেন স্ট্যাম্পের অনেক কাছ থেকে।
জাদেজার কাছ থেকে দারুণ সব টার্ন দেখা গেছে অনেকবারই, ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে বলকে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে নিতেও দেখা গেছে বেশ কয়েকবার। স্মিথও হয়তো বোঝার চেষ্টা করছিলেন, জাদেজা ঠিক কোন জায়গায় বলটা পিচ করাতে চাচ্ছেন। সেভাবেই তিনি খেলেছিলেন টার্নের প্রত্যাশায়, ব্যাট আর প্যাডের মাঝে একটা বড় খালি জায়গার সৃষ্টি হয়েছিল সেই কারণেই। কিন্তু বলটা টার্ন করার বদলে সোজা ঐ জায়গা দিয়ে আঘাত করলো স্ট্যাম্পে।
“আমি চেষ্টা করছিলাম বল ছোঁড়ার কোণটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে ব্যাটসম্যানের মনে দ্বিধা জাগাতে। আর একই জায়গায় বল ফেলে টার্নের বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছিলাম। যে বলটা টার্ন করেনি, ঐটাই স্মিথের উইকেট তুলে নিয়েছে।”
– রবীন্দ্র জাদেজা, অলরাউন্ডার, ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল
৪.
সব পিচে সমান বাউন্স থাকে না, জাদেজা সেক্ষেত্রে ‘লক্ষ্য’ বানান স্ট্যাম্পকে। ক্রমাগত স্ট্যাম্পের লাইনে বল করতে থাকেন জাদেজা, বিশ্বের খুব বেশি বোলারের সেটা করার সাধ্য নেই। আর এর ফলাফলটাও পরিষ্কার: মার্নাস ল্যাবুশেন, ম্যাট রেনশ, স্টিভ স্মিথ, টড মার্ফি আর পিটার হ্যান্ডসকম্ব – এই পাঁচ ব্যাটার যথাক্রমে স্ট্যাম্পড, এলবিডব্লিউ, বোল্ড, এলবিডব্লিউ এবং এলবিডব্লিউ।
কখনো বল ছোঁড়ার অবস্থানে বৈচিত্র্য, কখনো ক্রিজের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার, ডানহাতিদের জন্য সাধারণত ক্রিজের ওয়াইড অংশ আর বাঁহাতিদের জন্য স্ট্যাম্পের কাছাকাছি অংশ থেকে বল ছোঁড়া, কখনো কখনো লোয়ার আর্মে বল করা, নিখুঁত লাইন-লেন্থ ছাড়াও জাদেজার তূণে তীরের অভাব নেই। সব মিলিয়ে ব্যাটসম্যানের জন্য তিনি হয়ে ওঠেন আরেকটু দুর্বোধ্য, আর নিজের অধিনায়কের জন্য আরেকটু বেশি কার্যকর অস্ত্র।
যেভাবে এগোচ্ছে ব্যাপারটা, কার্যকর থেকে নিরঙ্কুশ বিশ্বসেরা হতে বেশি সময় লাগার কথা না রবীন্দ্র জাদেজার!