১৯৩০ সালে প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু করে ফিফা। ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সংস্থা জানিয়েছিলো যে, যারা প্রথমে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য কৃতিত্ব গড়তে পারবে, তাদেরকে জুলে রিমে ট্রফিটি চিরদিনের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে ব্রাজিল। সেই সাথে জুলে রিমে ট্রফিটি নিজেদের করে নেওয়ার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছিলো দেশটি।
তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের অসামান্য কৃতিত্ব সবার প্রথমে গড়ার সুবাদে তৎকালীন ব্রাজিলিয়ান স্পোর্টস কনফেডারেশনকে জুলে রিমে ট্রফি হস্তান্তর করে ফিফা। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে ফুটবল অনেকটা নিজেদের অস্তিত্বের সমার্থক। ফুটবলের সাথে তাদের রয়েছে সত্যিকার অর্থে আত্মিক সম্পর্ক। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপের ‘পবিত্র প্রতীক’ বলতে গেলে আসরের ট্রফিটিই। সেই ট্রফিটি তখন শুধুই ছিলো ব্রাজিলিয়ানদের সম্পত্তি।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে জুলে রিমে ট্রফিটি চুরি গেলে ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান স্পোর্টস কনফেডারেশনের আব্রেইন তেবেল। ব্রাজিলিয়ানদের অসামান্য ফুটবল প্রীতির ভরসাতে তিনি তখন বলেছিলেন, “এমনকি ব্রাজিলিয়ান চোরেরাও ফুটবল ভালোবাসে এবং তারা কখনোই এমন অপকর্ম করবে না। এরকম কিছু কখনোই ব্রাজিলে ঘটতো না।”
সত্যিই কি তা-ই? ইংল্যান্ডে চুরির পর ঘটনাক্রমে তা-ও ট্রফিটি ফিরে পেয়েছিলো ফুটবল দুনিয়া। কিন্তু ব্রাজিলে থাকা অবস্থায় কী ঘটেছে জুলে রিমে ট্রফির ভাগ্যে? ট্রফিটির চূড়ান্ত পরিণতির ইতিহাসের রয়েছে আরও কিছু শাখা-প্রশাখা, যেগুলো তৈরি করেছে কিছু প্রশ্ন, গুজব কিংবা শুধুই সন্দেহ। জুলে রিমে ট্রফি চুরির ইতিহাসের এই পর্বটি নিছক আশাহতের কিংবা অনিশ্চয়তার গল্প।
ব্রাজিলে জুলে রিমে ট্রফি ও চিরতরে হারিয়ে যাওয়া
ডিসেম্বর, ১৯৮৩; রিও ডি জেনেরিওতে বর্তমান ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অফিস হুয়া দা আলফানদেগাতে ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের গর্বের প্রতীক ও অর্জন, জুলে রিমে ট্রফি। ভবনটির তৃতীয় তলায় ছিল ট্রফিটি।
১৯-২০ ডিসেম্বর রাতের বেলায় ভবনটিতে প্রবেশ করলো একটি দল, যদিও সেসময়ে কারও প্রবেশ করার কথা না। রাত্রিকালীন প্রহরীকে ধরাশায়ী করতে বেশি সময় লাগেনি দলটির। প্রহরীকে বেধে দলটি সোজা চলে গেলো তৃতীয় তলায়। বুলেটপ্রুফ কাচে ঘেরা কাঠের কাঠামোতে রাখা ট্রফিটি নিয়ে মুহূর্তে রাতের অন্ধকারে মিশে গেলো দলটি। সেই সাথে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলো ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম মূল্যবান ট্রফি।
দলটিতে ঠিক কতজন চোর ছিলো, তা সঠিক জানা যায়নি। কারও মতে তিনজন, আবার কিছু সূত্রের দাবি দলটিতে ছিলো মাত্র দুজন। তবে মনে করা হয়, চুরির সাথে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সংস্থার ভিতরের কেউ অবশ্যই জড়িত। কেননা ভবনটিতে জুলে রিমে ট্রফির একটি নকল প্রতিরূপও রাখা ছিলো। কিন্তু চোরের দল নকলটি নয়, নিয়েছে শুধুমাত্র আসল জুলে রিমে ট্রফিটি এবং সেই সাথে ব্রাজিল জাতীয় দলের অর্জিত আরও তিনটি ট্রফি।
ট্রফি চুরি যাওয়ার সাথে সাথে পুরো ব্রাজিল জুড়ে হইচই পড়ে যায়। অপকর্মকারীদের গ্রেফতার ও ট্রফি উদ্ধারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শহরটির আশেপাশে বেশ কয়েকটি ধাতু তৈরির কারখানা থাকায় সকলের মনে একটি ভয় ঢুকে যায় যে, হয়তো ট্রফিটিকে গলিয়ে সাধারণ ধাতব খণ্ডে পরিণত করা হতে পারে।
সিবিএফ প্রেসিডেন্ট কৌতিনিয়ো তখন ট্রফিটি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে সকল ব্রাজিলিয়ানকে অনুরোধ করেছিলেন এবং চোরদের কোনো দেশপ্রেম নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রফিটিকে সাধারণ ব্রাজিলিয়ানরা ঠিক কিভাবে দেখতো তার কিছুটা প্রতিফলন পাওয়া যায় কৌতিনিয়োর উক্তি থেকে। তিনি বলেছিলেন, “ট্রফিটির বস্তুগত মূল্যের চেয়ে আত্মিক মূল্য অনেক বেশি।” একদিকে ট্রফি হারানোর শোক, অন্যদিকে ফুটবল বিশ্বের কাছে ব্রাজিলিয়ানরা ঠিক কতটা ছোট হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। সবমিলিয়ে জুলে রিমে ট্রফি চুরি যাওয়ার ব্রাজিলিয়ানদের মনের অবস্থা যথেষ্ট বিক্ষিপ্ত ছিলো, যার ফলাফলও ছিলো যথেষ্ট দুঃখজনক।
ডাকাতির ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অপরাধী শনাক্তকরণ ও ট্রফি খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে কাজ করলেও আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরদিন গ্রেফতার করা হয় দুজনকে, যারা সিবিএফ অফিসে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতো। পুলিশের ধারণা ছিলো যে, কাজটি সংস্থার ভিতরের কারো। অন্যদিকে ঘটনার সময়ের যে প্রহরী ছিল ভবনটিতে, তার বিবৃতিও ছিলো অসংলগ্ন। তাই পুলিশ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি, শুধুমাত্র কিছু গ্রেফতার ও সন্দেহভাজনের তালিকা পর্যন্তই ছিলো ট্রফি উদ্ধারের অগ্রগতি। ট্রফিটি চুরি যাওয়ার রাতে ভবনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব একটা শক্তিশালী ছিলো না। বলা হয়, শুধুমাত্র ঐ রাতেই ভবনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবচেয়ে দুর্বল ছিলো। তেমন কোনো প্রমাণ না থাকায় নির্দিষ্ট কাউকে গ্রেফতার ও মামলা কোনোটাই সম্ভব হয়নি, একইসাথে সম্ভব হয়নি ট্রফিটি উদ্ধার করাও।
জুলে রিমে ট্রফি চুরির পেছনের কারণ হিসেবে সেসময় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে দায়ী করেন ব্রাজিলের ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যকে, যা ব্রাজিলিয়ানদের বেপরোয়া করে তুলেছিলো। ট্রফি ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলো অ্যান্তোনিও কার্লোস আরানহা, ১৯৮৯ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কার্লোসকে গুলি করা হয়েছিলো সাতবার। সন্দেহ নেই, প্রবল আক্রোশ থেকেই কাজটি করা।
যদিও কোনো প্রমাণ নেই এবং ট্রফিটি নিরেট স্বর্ণের ছিলো না, তবুও সবচেয়ে প্রচলিত বিশ্বাস হলো, ট্রফিটি গলিয়ে ধাতব খণ্ডে রূপান্তরিত করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ১৯২৯ সালে ফ্রেঞ্চ ভাস্কর আবেল লাফ্লঁ বিজয়ের গ্রিক দেবী খোদিত জুলে রিমে ট্রফিটি তৈরি করেছিলেন, যা চিরতরে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যায় অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে।
আসল, নকল, নাকি নকলের নকল?
শুরুতেই বলা হয়েছিলো, জুলে রিমে ট্রফির ইতিহাস আশাহতের কিংবা অনিশ্চয়তার। চূড়ান্ত পরিণতির পূর্বেই আসল ট্রফি নিয়ে তৈরি হয়েছিলো অনিশ্চয়তার সন্দেহ ও গুজব। আর এ সবকিছুর শুরু ১৯৫৪ সালে জার্মানি থেকে, যা এক ধাপ এগিয়ে আরও জমাট বেঁধেছিল ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে ট্রফিটির চুরির পর।
ভাস্কর লাফ্লঁ জুলে রিমে ট্রফিটি তৈরি করেছিলেন খাটি রুপা দিয়ে, যার চারপাশে দেওয়া ছিলো স্বর্ণের প্রলেপ। মূল ট্রফিটির ওজন ছিলো ৩.৮ কিলোগ্রাম, উচ্চতা ৩৫ সেন্টিমিটার ও সবচেয়ে চওড়া অংশ ১২ সেন্টিমিটার। শুরুতে ট্রফিটির নাম ছিলো ‘ভিক্টোরি’ বা ‘ক্যুপ দ্য মন্ড’, পরবর্তীতে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রচলন করা ফিফার ফরাসি কিংবদন্তি প্রেসিডেন্ট জুলে রিমের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো বিশৃঙ্খল সময়েও ট্রফিটি হারিয়ে যায়নি, এমনকি ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছিলো নাৎসি বাহিনীর হিংস্র থাবা থেকেও। ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ জয় করায় ট্রফিটি তখন রোমের একটি ব্যাংকে সযত্নে রাখা ছিলো। ট্রফিটি তখন হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে নাৎসি বাহিনী। নাৎসি বাহিনীর মনোভাব টের পেয়ে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অত্তোরিনো বারাসসি তা লুকিয়ে নিজের বাড়িতে রাখেন। নাৎসি বাহিনী হানা দেয় বারাসসির বাড়িতেও, তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়ায় ট্রফিটি। পুরো বাড়ি খুঁজেও ব্যর্থ হয় হিটলার বাহিনী। মহামূল্যবান ট্রফিটি লুকানো ছিলো বারাসসির খাটের তলায় পুরনো একটি জুতার বক্সে, যেখানে নাৎসি বাহিনীর নজর দেওয়ার কোনো কারণই ছিলো না।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ শিরোপাজয়ী ছিলো পশ্চিম জার্মানি। তাই ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ট্রফিটি ছিলো জার্মানদের কাছেই। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ উপলক্ষে ট্রফিটি জার্মানি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সুইডেনে। ফটোসাংবাদিক জো কয়েল ১৯৫৪ ও ১৯৫৮ সালের ট্রফির কিছু ছবি পর্যবেক্ষণ করে দাবি করেন যে, সুইডেনের বর্তমান ট্রফিটি ‘আসল’ জুলে রিমে ট্রফিটি থেকে ৫ সেন্টিমিটার বেশি লম্বা এবং ট্রফিটির কাঠামোতেও কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। যদিও তার এই দাবি কখনোই যাচাই করে দেখা হয়নি। তবে অনেকেই মনে করেন যে, সুইডেনে নিয়ে যাওয়া ১৯৫৮ সালের ট্রফিটি আসল ছিলো না। ধারণা করা হয়, সুইডেন বিশ্বকাপের বছরখানেক জার্মানিতেই হয়তো ট্রফিটি চুরি বা কোনোভাবে হারিয়ে যাওয়ায় জার্মানরা নতুন ও নকল জুলে রিমে ট্রফি তৈরি করে পাঠিয়েছিলো।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের প্রায় তিনমাস পূর্বে ওয়েস্টমিনিস্টার সেন্ট্রাল হলের একটি প্রদর্শনী থেকে চুরি হয়ে যায় জুলে রিমে ট্রফি। চুরির এই ঘটনায় ভীষণ বিপাকে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে স্বভাবতই এটি তাদের জাতীয় সম্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই যদি ট্রফিটি উদ্ধার করা সম্ভব না হয়, এই আশঙ্কা থেকে এফএ হুবহু জুলে রিমে ট্রফির মতো আরেকটি জুলে রিমে তৈরি করে রাখে।
এফএ’র নির্দেশে জর্জ বার্ড হুবহু যে ট্রফিটি তৈরি করেছিলেন তা ছিলো আসলে তামার তৈরি। যদিও চুরির কয়েকদিন পরেই পিকলস নামের একটি কুকুর খুঁজে পায় ট্রফিটি, যা ইংল্যান্ড ও এফএ’কে চরম বিব্রতকর অবস্থার হাত থেকে রক্ষা করে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয় করলে দলটির অফিসিয়াল পার্টি ও সাধারণ প্রদর্শনীতে নকল জুলে রিমে ট্রফিটি ব্যবহার করা হয়। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইংল্যান্ড ট্রফিটি হস্তান্তর করে ফিফার কাছে। গুজব রটে যে, যে ট্রফিটি হস্তান্তর করা হয়েছিলো, সেটি ছিলো এফএ কর্তৃক তৈরি করা নকল ট্রফিটি। দুটি ট্রফি হুবহু একই রকম হওয়ায় এরকম ভুল হতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই।
আসল ট্রফিটি কোথায়?
ব্রাজিলে চুরি যাওয়ার পর জুলে রিমে ট্রফিটি আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, ব্রাজিলে যে ট্রফিটি চোরেরা নিয়ে গিয়েছিলো সেটি কি আসল ছিলো? ইংল্যান্ড যদি ভুলক্রমে তাদের তৈরি নকল ট্রফিটি মেক্সিকো ‘৭০ বিশ্বকাপে ফিফার কাছে হস্তান্তর করে থাকে, তাহলে ব্রাজিল থেকে চুরি যাওয়া ট্রফিটি ছিলো নকল।
কিন্তু এই সম্ভাবনা বাতিল হয়ে যায় যখন ১৯৯৭ সালে ফিফা ইংল্যান্ডে থাকা ট্রফিটি নিলামে ২,৫৪,৫০০ পাউন্ডের বিশাল মূল্যে কিনে নেয় শুধুমাত্র এই ভরসায় যে গুজব অনুযায়ী হয়তো এটিই আসল জুলে রিমে ট্রফি হতেও পারে। বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করানোর পর অবশ্য দেখা যায়, ফিফার আশায় গুড়ে বালি, কারণ ট্রফিটি সত্যিই ইংল্যান্ডে তৈরিকৃত নকল ট্রফিই ছিলো। অর্থাৎ, আসল ট্রফিটি চলে গিয়েছিলো মেক্সিকোতে এবং সেখান থেকে হস্তান্তরিত হয়ে ব্রাজিলের কাছে। সবশেষে আরেকটি সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করা যায়, যদি ফটোসাংবাদিক জো কয়েলের দাবি সত্যি হয়ে থাকে।
হয়তো ১৯৫৪ সালেই জার্মানিতে হারিয়ে গিয়েছিলো জুলে রিমে ট্রফি। সুইডেনে ১৯৫৮ সালে জার্মানি যে ট্রফিটি ফিফাকে দিয়েছিলো সেটিই ছিলো নকল। এই হিসেবে ইংল্যান্ডে হারিয়ে যাওয়া ট্রফিটি ছিলো নকল, এমনকি ব্রাজিলে যে ট্রফিটি চুরি হয়েছে সেটিও নকল।
সামগ্রিক বিবেচনায় আসল ট্রফিটির পরিণতি সম্বন্ধে সঠিক কোনো ধারণা নেই আজও। হয়তো ট্রফিটি জার্মানির কোথাও পড়ে রয়েছে অযত্ন অবহেলায়, কিংবা ব্রাজিলে। হতে পারে কোনো একদিন অন্য কোনো পিকলস আবারো উদ্ধার করবে ট্রফিটি কিংবা ট্রফিটি আজ আর জুলে রিমে ট্রফি হিসেবেই নেই, গলিয়ে ধাতব খণ্ডে পরিণত হওয়ার পর জুলে রিমে ট্রফির কিছু অংশ হয়তো শোভা পাচ্ছে কারও অলংকারে!
ফিচার ইমেজ- wired.co.uk