আধুনিক যুগের সেরা ব্যাটসম্যান বলে মনে করা হয় তাকে। একটার পর একটা মাইলফলক নিজের করে নিচ্ছেন এই সময়ে বিরাট কোহলি। নিজেকে তুলে নিচ্ছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
এই সময়ে দাড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ারের দশ বছর, ক্রিকেট ও জীবন নিয়ে নিজের ভাবনা খোলামেলাভাবে কোহলি বলেছেন উইজডেন ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতকারে
ভারতে একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনারা যে কৌতূহল ও সমাদর পেয়ে থাকেন, তা যুক্তরাজ্যে বসে কল্পনা করা যায় না। আপনি এটার সাথে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন?
ইংল্যান্ড দল শেষবার যখন ভারতে এলো, অ্যালিস্টার (কুক) আমাকে এই একই প্রশ্ন করেছিলো। এমনকি যেসব ক্রিকেটার অনেকবার ভারত সফর করেছে, তারাও অবাক হয় যে ভারতে ক্রিকেটের প্রতি মানুষের কী পরিমাণে ভালোলাগা ও কৌতূহল আছে। আমি বলি, ‘আপনাকে আসলে অভ্যস্থ হতেই হবে।’ একেবারে বাস্তবিক অর্থে এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আপনি এটা এড়াতে পারবেন না। আমি এখন আর এটার সাথে লড়ার চেষ্টাও করি না। আগে আমি এটা চেষ্টা করেছি। আমি লোকেদের চেয়েছি যে, লোকেরা বুঝুক যে, একটা মানুষের ব্যক্তিগত কিছু জায়গার চাহিদা থাকে এবং সবাই একটা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়। কিন্তু এটা আসলে খুব, খুব কঠিন। বিশেষ করে এত এত মানুষ যখন আপনার সাথে একটু দেখা করতে চায়, আপনার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হতে চায়। ফলে আমি এখন এই বিষয়টা মেনে নিয়েছি যে, আপনাকে স্রেফ এটা মেনে নিতে হবে।
আপনার স্ত্রী আনুশকা (বলিউড অভিনেত্রী) নিজে যেহেতু এই জনগণের চোখে থাকা ব্যাপারটা বোঝেন, এটা কি আপনার একটু উপকার করেছে?
এই জন্য আমরা একসাথে এত ভালো থাকতে পারি। আমরা পরস্পরের মানসিকতাটা আর এরকম একটা অবস্থানে থাকার ব্যাপারটা বুঝতে পারি। সেই সাথে এটাও সত্যি যে, আমাদের দুজনেরই পেছনের গল্পটা একইরকম। লোকেরা আমাদেরকে একেবারেই বুঝতে পারে না। লোকেরা ভাবে, আমরা একটা রূপকথার জীবন যাপন করি। আর এখানে সবকিছু বুঝি খুব রাজকীয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমরা সত্যিই খুব সাধারণ মানুষ। আমরা বাসায় খুব সাধারণ জীবন যাপন করি। আর এভাবেই আমরা চলতে পছন্দ করি। আমরা এমন কাজ করি, যাতে সবসময় লোকেদের নজরে থাকতে হয়। কিন্তু আমরা এভাবে পরিচিত হতে চাইনি।
আপনি ক্রিকেট বলটা ভালো পেটাতে পারেন বলে আপনি ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী লোকেদের একজন। এতে কি মাথা ঠিক রাখা একটু কঠিন হয়?
আমি আমার স্ত্রীর সাথে প্রথম দেখা হওয়ার পর থেকে আমরা বুঝেছি যে, লোকেদের কাছে আমরা যেভাবে পরিচিত, তাতে আমাদের একটা দায়িত্বও আছে। এটা শুধু আমি আর ও যা করছি, যেটা দিয়ে লোকেদের অনুপ্রাণিত করার ব্যাপার না। বরং আমরা একটা জুটি হিসেবে নিজেদের কিভাবে চিত্রায়িত করছি, সেটা ব্যাপার। আমাদের সঠিক উদাহরণ তৈরি করার ব্যাপার, যাতে লোকেরা সঠিক জিনিসটা অনুসরণ করতে পারে। আমরা এটা নিয়ে ভাবি না যে, লোকে কী বলবে। আমরা যে অবস্থানে আছি, সেটাকে একটা দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। এমনকি ক্রিকেটেও, আমার জন্য এটা মূল ব্যাপার নয় যে, আমি খেলোয়াড় হিসেবে কী অর্জন করলাম। আমার কাছে বড় ব্যাপার বরং পরের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের সঠিক পথে অনুপ্রাণিত করা। ফলে আমার মনে হয়, এটা এখন অনেক বেশি দায়িত্ব। স্রেফ মাঠে গেলাম আর বল পিটালাম, ব্যাপারটা এরকম নয়।
আপনি এত বেশি ক্রিকেট খেলেন, এর সাথে তিন ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়কত্ব করেন। মানসিকভাবে আপনি কিভাবে জীবনের অন্যান্য ব্যাপারের সাথে ক্রিকেটের ভারসাম্য রক্ষা করেন?
আমার মনে হয়, আপনি যতক্ষণ নিজের কাজ নিয়ে খুশি আছেন, ততক্ষণ আপনি কী কী করতে পারেন, তার কোনো সীমা নেই। আমি বিশ্বাস করি না যে, আপনি জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আপনার খেলার সাথে কোনো আপোষ করতে হবে। ২৪ ঘন্টার একটা দিন অনেক কিছু করার জন্য লম্বা একটা সময়। বাসায় সময় কাটানোর জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। এরপর আমার খেলাটা আমার সবচেয়ে বড় প্রাধান্য পায়। এর বাইরে আমি অনেক বিজ্ঞাপন করি, অনেক ব্যবসার সাথে জড়িত। এগুলোতে আমি সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকি। এর ফলে আমার এমন একটা অনুভূতি হয় যে, আমি সবসময় কিছু না কিছুর জন্য কাজ করছি। সত্যি বলি আমার কাছে একটা বোঝা বলে মনে হয় না। আমি জীবনে এই ব্যস্ত থাকার সুযোগ পাওয়াটাকে ভালোবাসি।
ক্রিকেটের বাইরে নিজেকে শিথিল করেন কীভাবে?
অন্য কোনো দেশে এলে আমরা এই সময়টা খুব উপভোগ করি। এখানে আমরা হাঁটতে বের হতে পারি। নিজেরা সকালের নাস্তা করতে বের হওয়া বা কফির দোকানে যাওয়া এটা খুব স্বাধীনতা পাওয়ার একটা ব্যাপার। কারণ, আমরা দেশে এভাবে হাঁটতে পারি না। আমাদের ওখানে ঘরের থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে হয়। এরপর যেখানে যেতে হয় গেলাম। আবার গাড়িতে উঠে বাড়ি ফেরা। আমরা কুকুর পছন্দ করি। ফলে কুকুক দেখলে তাদের সাথে খেলা করি। এখানে আমরা কেনা কাটা বা এসবের দিক থেকে যা খুশি তাই করতে পারি। তবে আমরা যে জীবন পেয়েছি, সেটা উপভোগ করা ও সেটার জন্য কৃতজ্ঞ থাকার ব্যাপারটাকেও গুরুত্বের সাথে দেখি।
গত দশ বছর কত দ্রুত কেটে গেলো?
আমি ১০ হাজার ওয়ানডে রানের কাছাকাছি চলে এসেছি, এটা এখনও আমার বিশ্বাস হয় না। আমি প্রতিবার বের হই আর মনে হয়, আমি এখনও একজন ক্লাব ক্রিকেটার যে, নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। আমার এখনও সেই প্রথম রানটা করা বাকি। আমি খুব খুশি ও কৃতজ্ঞ যে, আমার এই অনুভূতিটা আছে। আমি কখনো চিন্তা করি না যে, ‘ওহ, আমি সব করে ফেলেছি।’ জীবনের প্রথম ম্যাচে আমার খেলাটার প্রতি যে শ্রদ্ধা ছিলো, এখনও সেটা আছে। আমি জানি, যখন এই অনুভূতি শেষ হয়ে আসবে, তখন আমার চলে যাওয়ার সময় হবে। তবে ঘটনা হচ্ছে, এটা লম্বা সময় ধরে চলছে। এটাই আমাকে আমার খেলা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে, ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটা অসাধারণ একটা অনুভূতি।
কম বয়সী নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন? জীবনের কী এমন কিছু মুহুর্ত আছে যেটা মনে করলে মনে হয়, ‘ইস, এটা না করলে ভালো হতো’?
হ্যাঁ। একটা ঘটনা তো বেশ মনে পড়ে। যখন অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের সিডনিতে (২০১২) আমি বাজে ইঙ্গিত করেছিলাম এবং আমি তাদের একটা (মধ্য) আঙুল দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ম্যাচ রেফারি (রঞ্জন মাদুগালে) আমাকে পরদিন তার কক্ষে ডাকলেন। আমার মনে হচ্ছিলো, ‘সমস্যাটা কোথায়?’ উনি বললেন, ‘গতকাল বাউন্ডারি লাইনে কী হয়েছিলো?’ আমি বললাম, ‘কিছু না। স্রেফ একটু মজা।’ তখন উনি আমার সামনে একটা খবরের কাগজ ছুড়ে মারলেন। সেখানে আমার ওই আঙুল দেখানোর বিশাল একটা ছবি ছাপা হয়েছে। আমি তখন বললাম, ‘আমি খুবই দুঃখিত। আমাকে দয়া করে নিষিদ্ধ করবেন না।’ সে দফা পার পেয়ে গিয়েছিলাম। উনি খুব ভালো মানুষ। বুঝতে পেরেছিলেন। আমি অনেক কম বয়সী এবং এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। আমার তরুণ বয়সে করা অনেক কাজ নিয়ে আমি এখন হাসি। তবে আমি গর্বিত যে আমি নিজের ধরনটা বদলাইনি। কারণ, আমি সবসময় নিজে যা, তা-ই হতে চেয়েছি। আমি বিশ্বের জন্য বা কারো জন্য নিজেকে বদলাইনি। আমি যা ছিলাম তা নিয়ে খুবই খুশি।
আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কি আপনাকে সঠিক পথে রাখার জন্য কাউকে টেনে ধরতে হতো?
আমার কোচ ছিলেন রাজকুমার শর্মা। আমি বাইরের সবকিছু খেয়াল রাখতেন। আমার পরিবারের বাইরে উনিই আমাকে সবচেয়ে ভালো বুঝতেন। কারণ, বছরের পর বছর ওনার সাথে আমি অনেক মিশেছি। আমার পরিবারও ছিলো। যখনই তারা মনে করেছে, আমি সঠিক পথে নেই, তারা আমাকে বলেছেন। তবে আমার কোচ আমার প্রতি বেশি কড়া ছিলেন। আমি কোনো কিছু ভুল করলে উনি নিশ্চিত করতেন যে, আমি যেন শুধরে যাই; সেটা এভাবে না হলে ওভাবে। উনিই একমাত্র মানুষ, বেড়ে ওঠার সময়ে আমি যাকে ভয় পেতাম। আমার যখন ৯ বছর বয়স, তখন আমি ওনার অ্যাকাডেমিতে গেছি। আর এখনও আমি ওনার সাথে খেলা নিয়ে কথা বলি।
যুবরাজ সিং একবার বলেছিলেন, তিনি আপনাকে যখনই উপদেশ দিতে গেছেন, তরুণ বয়সে আপনি কখনো সেটা শুনতেন না। কারণ বাইরের অনেক কিছু আপনাকে ব্যস্ত রাখতো। এটা কি আপনার মনে আছে?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আমি এখন তরুণ ক্রিকেটারদের এটা বলার চেষ্টা করি যে, তাদের বয়সে আমি এই যে ভুলটা করেছিলাম, সেটা যেন তারা না করে। আমি যদি কাউকে দেখি যে, সে এই একই ভুল করছে এবং তাকে আমি শুধরে না দেই, তাহলে সেটা আমার ব্যর্থতা।
কাদের সাথে কথা বলা এবং তাদের থেকে শেখাটা সবচেয়ে উপভোগ করেছেন?
গ্যারি কার্স্টেন ও ডানকান ফ্লেচার সম্ভবত সেই দুজন লোক, যাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলাটা আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। গ্যারির ব্যাপারটা হলো খেলাটাকে অনুভব করা- আপনি খেলোয়াড় হিসেবে কেমন অনুভব করছেন এবং আপনি মানসিকভাবে কতটা আত্মবিশ্বাসী। এসব ছোট ছোট ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্রিকেট বলটাকে কীভাবে মারতে হবে, সেটা তো আমি জানি। কিন্তু এমন একটা জায়গায় পৌঁছানো, যেখানে আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলটাকে মারতে পারি, সেটা নিয়ে আমি গ্যারির সাথে আলাপ করতাম। আর ডানকানের সাথেও একই কাজ করতাম। একটা ভালো কাভার ড্রাইভ করার চেয়ে একটা খেলাকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখতে পারাটা বেশি জরুরি।
আপনি কি সাবেক ভারতীয় অধিনায়কদের সেভাবে লক্ষ্য করেছেন? তাদের থেকে নেতৃত্বের দিক বিবেচনায় কিছু নিয়েছেন?
এমএস (মহেন্দ্র সিং ধোনি)-এর আগের কাউকে সেভাবে লক্ষ্য করিনি। আমি যখন খুবই ছোট ছিলাম, তখন থেকেই তার (ধোনির) সাথে খেলা নিয়ে আলাপ করতাম। ফলে আমাকে সহ-অধিনায়ক করার আগেই আমি তাকে কিছু পরামর্শ দিতাম। এভাবে বলতাম না যে, আমি তার চেয়ে ভালো জানি। বরং মনে করতাম যে, আমি সম্ভবত কিছু একটা দেখতে পাচ্ছি, যেটা অন্য কেউ না-ও খেয়াল করতে পারে। ফলে কেন কাছে গিয়ে বলবো না? আমি খেলা নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দ করি। ফলে আমি অধিনায়কত্বও খুব উপভোগ করি। খেলার সময় কী করতে হবে, এটা নিয়ে আমার মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে ভালোবাসি। আমি এমএস-এর কাছ থেকেই বেশি শিখেছি। আমি ওর কাছে স্লিপে দাঁড়াতাম বেশিরভাগ সময়, যাতে ওকে কাছ থেকে দেখতে পারি।
আপনার অধিনায়কত্বের সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ কী কী?
অনেক কিছু নয়। আমি এখন অবধি কাজটা খুব উপভোগ করছি। আমি স্রেফ চেয়েছিলাম এই স্তরে ক্রিকেট খেলতে। এখন আমাকে নিজের দেশকে অধিনায়কত্ব করার অনেক বড় একটা সম্মান দেওয়া হয়েছে। আমি এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করতে পারি না। এতে আমার সামনে সঠিক দৃষ্টান্ত দাঁড় করানো এবং কঠোর পরিশ্রম করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আপনি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আবেগ ভরে কথা বলে খেলাটির উপকার করেছেন। এই খেলাটার ভবিষ্যত নিয়ে কি আপনি চিন্তিত?
কোনো কোনো দেশের ক্ষেত্রে, হ্যাঁ। এটা নির্ভর করে আসলে সেই লোকেদের ওপর, যারা খেলাটা দেখে। আপনি যদি দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের কথা বলেন, এসব দেশে টেস্ট ম্যাচে অনেক দর্শক আছে। কারণ লোকেরা খেলাটা বোঝে। এটা বাস্তবিক অর্থে পাঁচ দিনের জীবনযাপন। এই খেলাটায় অনেক উত্থান-পতন আছে। এমনকি যখন আপনি ভালো করছেন, তখনও এখানে ফিরে আসার ব্যাপার থাকে এবং পুরোটা আবার করতে হয়। জীবনেও এরকম কোনো নিশ্চয়তা নেই। আপনার একটা দিন ভালো কাটলো মানে এই নয় যে, পরের দিনটা এমনিতেই ভালো কাটবে। আপনাকে সেজন্য কাজ করতে হবে। আবার আপনার একটা দিন খারাপ কাটার ফলে আপনি পরের দিন ঘরে বসে থাকবেন, এমন উপায়ও নেই। আমি মনে করি, আপনি যদি খেলাটাকে বোঝেন, খেলাটাকে ভালোবাসেন এবং টেস্ট ক্রিকেটটা বোঝেন, তাহলে বুঝবেন যে, এটা কতটা রোমাঞ্চকর। আপনি এটা আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পারবো না যে, টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার শান্তিটা কত বেশি। কারণ, এটা অনেক চাহিদাপূর্ণ একটা কাজ। আমি মনে করি না, এটা কোথাও হারিয়ে যাবে। এমনকি এটা চারদিনে ছোট হয়ে আসবে, তা-ও মনে করি না।
চার দিনের টেস্ট ম্যাচকে পেছনে হাঁটা মনে করছেন?
অবশ্যই। এটাকে এভাবে নাড়াচাড়া করা উচিত না।
যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসছে, আপনি সেটার পক্ষে?
আমি মনে করি, এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অনেক ভালো একটা ব্যাপার হবে। এটা প্রতিটা সিরিজকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ করে তুলবে। পুরো চ্যাম্পিয়নশিপ জুড়ে অনেক উত্থান-পতন থাকবে, যেটা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। যেসব দল টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসে, তারা এটা পছন্দ করবে।
ভারত আপনার ক্যারিয়ারে কখনো পাকিস্তানের সাথে টেস্ট খেলেনি। আপনার কি মনে হয় এই পরিস্থিতি বদলাবে, যাতে আপনি তাদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ পান?
তাদের এত মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণ আছে যে, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি অবশ্যই তাদের মুখোমুখি হতে চাই। এটা হতে পারে। তবে এটা এমন কিছু নয় যে, এর জন্য আমি মুখিয়ে আছি বা এটা খুব করে চাচ্ছি। দশ বছর আগে আমাকে জিজ্ঞেস করলে, আজ আমি যা হয়েছি, তা কল্পনায়ও চাইতে পারতাম না। ফলে এখন জীবন যেভাবে যাচ্ছে, তাতে আমি খুব খুশি। প্রতিটা দিন, প্রতিটা সিরিজ যেভাবে হচ্ছে, তাতেই খুশি আমি।
ফিচার ইমেজ: DNA India