ব্ল্যাকম্যাজিক পকেট সিনেমা ক্যামেরা: সাধ্যের মধ্যে সেরা সিনেমা ক্যামেরা

প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে সিনেমা জগতটায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে লক্ষ করেছেন নিশ্চয়ই। এক দশক আগেও যেসব বিষয় ভিএফএক্স ছাড়া কল্পনা করা যেতো না, এখন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেগুলো ভিএফএক্স ছাড়াই আরো বাস্তবসম্মতভাবে করা হচ্ছে। আর এর পেছনে বড় অবদান হলো বাজারে আসা নিত্যনতুন ক্যামেরার।

সাদাকালো ক্যামেরার যুগ তো চলে গেছে সেই কবেই। রঙিন ক্যামেরাও এখন পাড়ি দিয়ে ফেলেছে অনেকটা পথ। এ সময় ক্যামেরার লেন্স আর ফোকাস ছাড়াও আরো একটি ব্যাপারে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। সেটি হলো ‘এফপিএস’ বা ‘ফ্রেম পার সেকেন্ড’।

আমরা টেলিভিশন বা কম্পিউটারের মনিটরে যেসব সিনেমা বা ভিডিও চিত্র দেখি, সেগুলো আদতে অসংখ্য স্থিরচিত্রের সমন্বয়। সেই ১৯২৭ সাল থেকেই টেলিভিশন আর সিনেমা তৈরিতে ২৪/২৫ এফপিএসকে আদর্শ ধরা হচ্ছে। এর অর্থ হলো, প্রতি সেকেন্ডে টিভি পর্দায় ২৪/২৫ টি স্থিরচিত্র একে একে প্রদর্শিত হয়, যেগুলো একত্রে একটি নিরবচ্ছিন্ন চলচ্চিত্রের সৃষ্টি করে।

অনেক দেশে ৩০ এফপিএসকে আদর্শ ধরা হলেও আজকাল এই আদর্শ সীমাবদ্ধ ভিডিও সম্প্রচারের মধ্যেই। ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে এখনকার ক্যামেরাগুলোতে রয়েছে সর্বোচ্চ ১২০ এফপিএসে ভিডিও ধারণের ব্যবস্থাও। এসব ক্যামেরার কল্যাণেই আমরা চলচ্চিত্রের বিশেষ কোনো মূহুর্তে নিখুঁত স্লো-মোশন দেখতে পাই, যা ঐ দৃশ্যটিকে আরো সিনেম্যাটিক করে তোলে।

ব্ল্যাকম্যাজিক পকেট সিনেমা ক্যামেরা সিক্সকে; Image Source: cinema5d.com

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসব ক্যামেরার প্রতি উঠতি চলচ্চিত্র-নির্মাতাদের আকর্ষণের কমতি নেই। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে এদের দামের কারণে। রেড কিংবা সনির উচ্চ এফপিএস আর রেজ্যুলেশনের সিনেমা ক্যামেরাগুলোর মূল্য ২০ হাজার ডলার কিংবা তারও বেশি।

তরুণ স্বপ্নবাজ সিনেমা নির্মাতাদের জন্য এই ব্যয়ভার বহন করা এক কথায় অসম্ভব। তাই বলে উচ্চ এফপিএসে সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন কি তাদের অপূর্ণ থেকে যাবে? না, অস্ট্রেলিয়ার ‘ব্ল্যাকম্যাজিক ডিজাইন কোম্পানি’ তা চায় না।

কোম্পানিটির সর্বশেষ সংযোজন ‘ব্ল্যাকম্যাজিক পকেট সিনেমা ক্যামেরা- সিক্সকে’ এর মূল্য মাত্র ২৫০০ ডলার। সাশ্রয়ী মূল্যের এই সিনেমা ক্যামেরাটি পাল্লা দিচ্ছে বাজারের সর্বোচ্চ মূল্যের সিনেমা ক্যামেরার এফপিএস আর রেজ্যুলেশনের সাথে!

তরুণ সিনেমা নির্মাতার আজকাল সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রথাগত ভিডিও ক্যামেরার পেছনে না ছুটে হালের ডিএসএলআর ক্যামেরার দিকেই ঝুঁকছে। এই ক্যামেরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিখুঁত ভিডিও ও উচ্চ রেজ্যুলেশন দেয়। পাশাপাশি, এ ক্যামেরাগুলো আকারে ছোট হওয়ায় সহজে বহনক্ষম।

আর এই ডিএসএলআর ক্যামেরার জগতে নতুন দিগন্তই উন্মোচন করেছে ব্ল্যাকম্যাজিক পকেট ক্যামেরা সিরিজ। পূর্বের সংস্করণ পকেট-৪কে দিয়ে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাবার পর এ বছর বাজারে এলো এই সিরিজের হালনাগাদ সংস্করণ, পকেট-সিক্সকে।

এই ক্যামেরা অনায়াসে দাম, লেন্স, এফপিএস, রেজ্যুলেশন- সবদিক থেকে বাজারে বিদ্যমান মিররলেস ডিএসএলআর ক্যামেরাগুলোকে হারিয়ে দিতে সক্ষম। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, পকেট-সিক্সকে ক্যামেরাটি নির্মিত হয়েছে সিনেমা নির্মাতাদের কথা মাথায় রেখে। ফটোগ্রাফারদের জন্য এটি আদর্শ ক্যামেরা না-ও হতে পারে।

আকার

পকেট-সিক্সকে ক্যামেরাটিকে প্রথম দেখায় এ সিরিজের পূর্ববর্তী মডেল পকেট-ফোরকে মনে হতেই পারে। ডিসপ্লে, বাটন, মাউন্ট- সবকিছুই মোটামুটি একই রকমের দেখতে। তবে, দুটি ক্যামেরার দর্শনে মূল পার্থক্যটা ধরা পড়বে আকারে।

পকেট-সিক্সকে ক্যামেরাটি আকারে পকেট-ফোরকে’র চেয়ে বেশ খানিকটা বড়। আবার, এর মাউন্টটিও আগের মডেলের মাউন্টের চেয়ে ব্যস এবং উচ্চতায় বড়। সব মিলিয়ে এর আকৃতি যথেষ্টই বৃদ্ধি পেয়েছে, যা একে আর পকেট ক্যামেরার কাতারে রাখছে না।

৪কে’র তুলনায় আকারে অনেকটাই বড় সিক্সকে; Image Source: .engadget.com

আকার নিয়ে আপনার অভিযোগ শুরু হবার পূর্বেই উল্লেখ করতে চাই, এর আকৃতি বৃদ্ধির মূল কারণ হলো এতে ব্যবহার করা ক্যাননের ডিএসএলআর গ্লাস। পূর্বের মডেলটিতে ছিল তৃতীয় প্রজন্মের মাইক্রো-ফোর গ্লাস।

সেগুলোর তুলনায় ক্যাননের ইএফ ডিএসএলআর গ্লাস আকারে এবং মানে, উভয় ক্ষেত্রেই এগিয়ে। আর এই গ্লাসের সর্বোচ্চ সুবিধাটা আদায় করে নিতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে সুপার-৩৫ আকারের সেন্সর, যা এই ক্যামেরার সার্বিক আকার বৃদ্ধির আরো একটি কারণ।

অবশ্য, মাউন্টে ইওএস গ্লাস ব্যবহার করলে এতসব আকার বৃদ্ধির প্রশ্নই উঠতো না। তবে, প্রথমেই বলা হয়েছে ব্ল্যাকম্যাজিক সিরিজের ক্যামেরাগুলো তৈরি হয় বাজেটের কথা মাথায় রেখে। ইওএস আর ইফ গ্লাসের পারফরমেন্সে খুব বেশি ব্যবধান না থাকলেও দামের ব্যবধান বিশাল। তাই, ইফ গ্লাসই এ ক্যামেরার জন্য যুতসই।

পকেট-সিক্সকে’র সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হলো, এর ব্যবহারবান্ধব পদ্ধতি ও সহজবোধ্যতা। উচ্চ মানের ভিডিও ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরাগুলোর ব্যবহার আয়ত্ত করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যায়।

অথচ, এই ক্যামেরার ব্যবহার যে কেউ একেবারে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ৩০ মিনিটের মধ্যে আয়ত্ত করে নিতে পারবে। আর এটি সম্ভব হয় এর চমৎকার ভিজ্যুয়াল এবং সহজ ড্রিভেন মেন্যু সিস্টেম সম্বলিত ৫ ইঞ্চি আকারের টাচ ডিসপ্লের জন্য।

আইএসও, অ্যাপারচার, শাটার এঙ্গেলের মতো কিছু মৌলিক সেটিংস বাটন দ্বারা পরিবর্তন করা যায়। অন্য সবকিছুই এর টাচ ডিসপ্লে থেকে পরিবর্তন করা সম্ভব।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মতো ড্রিভেন মেন্যু সিস্টেমে যেকোনো সেটিংস সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। রেজ্যুলেশন, মেমোরি কার্ড, র বা প্রোরেস, সাউন্ড সেটিংস, সবকিছুই প্রধান মেন্যুতে সারিবদ্ধভাবে প্রদর্শিত হয়, যেখান থেকে আরো অ্যাডভান্সড সেটিংসে প্রবেশ করা যায়।

পকেট-সিক্সকে অত্যন্ত ব্যবহারবান্ধব; Image Source: newsshooter.com

ভিডিও পারফরম্যান্স

পকেট সিক্সকে’র ভিডিও পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় বাজারের অন্যান্য মিররলেস ডিএসএলআর ক্যামেরার সাথে এর মূল পার্থক্যের কথা। পকেট-সিক্সকে ক্যামেরাটিতে সাধারণ ডিএসএলআরের মতো অনেক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিই নেই। যেমন- অটোফোকাস, অটো-স্ট্যাবিলাইজেশন, অটো-এক্সপোজার, কন্টিনিউয়াস ফোকাস, ইত্যাদি।

অটোফোকাস একেবারেই নেই, ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে, এর অটোফোকাস ব্যবস্থা খুবই সীমাবদ্ধ। আর কন্টিনিউয়াস ফোকাস তো সম্ভবই না। ক্যামেরাটি তৈরিই করা হয়েছে ম্যানুয়াল ফোকাস ও স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্য, যা উচ্চমানের এফপিএস সম্বলিত ভিডিও ধারণে সহায়ক।

এ কারণে এই ক্যামেরাটি সকলের জন্য নয়, সবরকম ব্যবহারের জন্য নয়। চমৎকার অটোফোকাসের জন্য সনি, প্যানাসনিক কিংবা ক্যাননের ক্যামেরাগুলোই সেরা।

বড় সেন্সরের কারণে উচ্চ রেজ্যুলেশনে ভিডিও ধারণ করলে পকেট-সিক্সকে থেকে চমৎকার সিনেম্যাটিক ফুটেজ পাওয়া যায়। তবে বড় সেন্সরের অসুবিধাও রয়েছে। পকেট-ফোরকে’র চেয়ে উচ্চ ক্ষমতার লেন্স ব্যবহারের পরও নয়েজ লেভেলে তেমন কোনো পার্থক্য আসেনি নতুন সংস্করণে, বাড়েনি পিক্সেল সাইজও।

এই বড় লেন্সের কারণেই আবার অল্প আলোয় ফুটেজ ধারণের ক্ষেত্রে অতুলনীয় হয়ে উঠেছে পকেট-সিক্সকে। এর ডুয়েল আইএসও সেন্সর ব্যবস্থার কল্যাণে এই ক্যামেরায় সিক্সকে রেজ্যুলেশনে ধারণ করা ফুটেজ পাল্লা দিতে পারবে বাজারের সর্বোচ্চ দামী ক্যামেরার ফুটেজের সাথে।

বিভিন্ন কোডেকে ফুটেজ কোয়ালিটি, রেজ্যুলেশন এবং এফপিএস; Image Source: newsshooter.com

বাজারের অন্যান্য ক্যামেরার সাথে পকেট-সিক্সকে’র সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো এর ফুটেজের নির্মলতা, নিখুঁত রঙ, অবিশ্বাস্যরকমের শার্পনেস আর সিনেম্যাটিক ছোঁয়া। যেকোনো প্রিসেটে ভিডিও করলেই পকেট-সিক্সকে’র ফুটেজে সিনেম্যাটিক একটা ছোঁয়া থাকবেই।

আর এ ক্যামেরার র ভিডিও’র তো কোনো তুলনাই চলে না। মসৃণ এবং উচ্চ এফপিএসের র ভিডিওগুলো এডিটিংয়ের জন্য অতুলনীয়। ফুটেজ ধারণের সময় করা ভুলগুলো উচ্চ এফপিএসের কারণে সহজেই শুধরে নেওয়া সম্ভব হয়।

এফপিএস

মিররলেস ক্যামেরার জগতে এফপিএসের জন্য পকেট-সিক্সকে সেরা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সাধারণ ডিএসএলআর ক্যামেরাগুলোকে তো এটি সহজেই হারিয়ে দেয়।

এর তুলনা হতে পারে বরং বাজারের সেরা সিনেমা ক্যামেরাগুলোর এফপিএসের সাথে, যেগুলোর দাম এর ১৫-২০ গুণ বেশি! ১২ বিট র কোডেকে ৬কে বা ৬১৪৪ × ৩৪৫৬ রেজ্যুলেশনে (১৬:৯) ভিডিও করলে ৫০ এফপিএস পাওয়া যায়।

তবে, আরেকটু প্রশস্ত এঙ্গেলে অর্থাৎ ২:৪:১ অনুপাতে ভিডিও করলে এফপিএস ৬০ পর্যন্ত পাওয়া যায়। আর রেজ্যুলেশন ২.৮কে (২৮৬৮ × ১৫১২) হলে এফপিএস সর্বোচ্চ ১২০ পর্যন্ত ওঠে

ব্যাটারি

পকেট-সিক্সকে ক্যামেরার সবচেয়ে দুর্বল জায়গাটি হলো এর ব্যাটারি। অল্প রেজ্যুলেশনে অনেক্ষণ ভিডিও করা গেলেও রেজ্যুলেশন বাড়ার সাথে সাথে সময় কমে আসবে। ব্ল্যাকম্যাজিক ডিজাইন কোম্পানি সিক্সকে রেজ্যুলেশনে ৫০% স্ক্রিন ব্রাইটনেসে ৪৫ মিনিট র ভিডিও করার নিশ্চয়তা দিলেও বাস্তবে তা ভিন্ন।

এই রেজ্যুলেশন আর স্ক্রিন ব্রাইটনেসে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটই ভিডিও করা সম্ভব হয়। আশার ব্যাপার হলো, এই ক্যামেরায় ক্যানন এলপি ই-৬ ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে যেটি অত্যন্ত সস্তা। তাই একাধিক ব্যাটারি কিনে নিলেই দীর্ঘক্ষণ ভিডিও করার ঝামেলা থাকে না।

কানেক্টর

ব্ল্যাকম্যাজিকের কানেক্টর; Image Source: engadget.com

পকেট-সিক্সকে’তে একটি ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন ও মাইক্রোফোন পোর্ট রয়েছে- এটি অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু অসাধারণ ব্যাপার যেটি সেটি হলো, এতে আছে একটি মানসম্মত মিনি এক্সএলআর মনোলক পোর্ট, যেটি দিয়ে যেকোনো প্রকার পেশাদার কাজে উচ্চমানের শব্দগ্রহণ করা সম্ভব।

আরো চমৎকার ব্যাপার হলো, দুটি পোর্ট একইসাথে ব্যবহারযোগ্য। ফলে একটি ব্যাকআপ হিসেবেও কাজ করতে পারে। এছাড়াও একটি ইউএসবি সি-টাইপ পোর্ট, একটি ফুল সাইজ এইচডিএমআই কানেক্টর এবং উন্নতমানের স্টেরিও মাইক্রোফোন।

স্টোরেজ ও কম্প্রেশন

পকেট-সিক্সকে’তে রয়েছে একটি ৬৪টি জিবি সিফাস্ট ২.০ বিল্টইন স্টোরেজ। এছাড়াও ব্যবহারকারী প্রয়োজনমাফিক কয়েক টিবি পর্যন্ত মেমোরি ব্যবহার করতে পারবেন।

এক্সটার্নাল মেমোরি লাগানোর জন্য রয়েছে এসডি ইউএইচএস-২ স্লট। এই স্লটের স্পীড সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৩০০ মেগাবাইট হয়। তবে বিল্টইন সিফাস্টের স্পীড ৫২৫ মেগাবাইট পার সেকেন্ড পর্যন্ত ওঠে।

পকেট-ফোরকে’র মতো পকেট-সিক্সকে’তে আনকম্প্রেসড ভিডিওর কোনো অপশন নেই। ১২:১ থেকে ৩:১ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুপাতে ভিডিও কম্প্রেসড হয়ে থাকে।

সিফাস্ট স্টোরেজ; Image Source: engadget.com

শেষকথা

তাহলে এই ক্যামেরাটি কিনবেন নাকি কিনবেন না? উত্তর নির্ভর করছে আপনার ঝোঁকের ওপর। ব্ল্যাকম্যাজিক পকেট সিনেমা ক্যামেরা সিক্সকে সাধারণ ফটোগ্রাফারদের জন্য ডিজাইন করা হয়নি। এ ক্যামেরা প্রকৃত অর্থেই উচ্চমানের সিনেমা নির্মাণ ও দক্ষ নির্মাতাদের জন্য।

আপনি যদি সনি বা প্যানাসনিকের চমৎকার অটোফোকাসের ক্যামেরাগুলোয় অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এই ক্যামেরা আপনাকে হতাশ করবে। তবে, আপনি যদি উচ্চ রেজ্যুলেশনে সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হন, তাহলে এতো অল্প মূল্যে পকেট-সিক্সকে’র চেয়ে ভালো ক্যামেরা আর হতে পারে না।

বাজারের মিররলেস ক্যামেরাগুলোর মধ্যে প্যানাসনিকের এস১এইচ সর্বোচ্চ ৫.৯কে রেজ্যুলেশনে ভিডিও ধারণ করতে পারে। এর মূল্য ৪ হাজার ডলার। সিক্সকে রেজ্যুলেশনে ভিডিও ধারণে সক্ষম সনি, রেড, অ্যারের প্রফেশনাল সিনেমা ক্যামেরাগুলোর দাম ২০ হাজার ডলারেরও বেশি। অথচ ব্ল্যাকম্যাজিক সিক্সকে রেজ্যুলেশন দিচ্ছে মাত্র ২৫০০ ডলারে! তাই, সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা ভিডিওর জন্য ব্ল্যাকম্যাজিক পকেট সিনেমা ক্যামেরা সিক্সকে সেরা।

ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আরও জানতে পড়ে নিন এই বইগুলো

১) ফটোগ্রাফি কলাকৌশল ও মনন

২) দি বেসিকস অফ ফটোগ্রাফি

৩) ডিজিটাল ফটোগ্রাফি

This article is written in Bangla language. It's about Blackmagic Pocket Cinema Camera 6K.

Necessary References are hyperlinked inside the article

Featured Image: petapixel.com

Related Articles

Exit mobile version