বলা হয়ে থাকে, গত দশক ছিল স্মার্টফোনের রাজত্ব। ভবিষ্যতেও যে এর জয়জয়কার থাকবে, তা একপ্রকার সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়। দৈনিক যে প্রিয় জিনিসটি গড়ে আমাদের ২,৬১৭ বার স্পর্শ পায়, যার পেছনে বছরে আমাদের গড়ে ৮০০ ঘন্টাই চলে যায়, সেই মোবাইল ফোন ও এর প্রযুক্তির ইতিকথা নিয়েই সাজানো এই লেখা। কে জানে, হয়তো এখন এই লেখাটিই আপনি পড়ছেন ছোট্ট মুঠোফোন থেকেই!
আজকের স্মার্টফোনের যে চকমকা প্রযুক্তি কিংবা এর যে আকর্ষণীয় আকার-আকৃতি, তার উন্নতি কিন্তু এক নিমিষেই হয়নি। নানা প্রতিকূলতা পেরোবার পর আজ সেটি এই রূপে এসেছে। তাই প্রাণিজগতের বিবর্তনের তুলনায় এর বিবর্তনের ইতিহাসও নেহায়েত কম আকর্ষণীয় নয় বৈকি।
মোবাইল ফোনের প্রথম সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় ১৯০৮ সালে। তখন ইউএস প্যাটেন্ট সরকারি কাজে কেন্টকি রাজ্যে ওয়্যারলেস কমিনিকেশনের জন্য টেলিফোন-সদৃশ জিনিস স্থাপন করে। ১৯২৬ সালে জার্মানিতে রেলের ফার্স্টক্লাস যাত্রীদের সুবিধাস্বরূপ ‘The Deutsche Reichsbahn’ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ হামবুর্গ থেকে বার্লিন পর্যন্ত তাদের যাত্রীদের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের সুযোগ করে দেয়। এই উদ্যোগই ছিল সেসময় ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ইতিহাসের বড় এক মাইলফলক।
১৯৪৬ সালে প্রথম আমেরিকার শিকাগোতে যানবাহনে বহনযোগ্য টেলিফোন স্থাপন করা হয়। তবে সেগুলো ছিল খুবই লো ফ্রিকোয়েন্সির। খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি অবশ্য, ১৯৫৬ সালে সুইডেনে এর ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়ে হাই ফ্রিকোয়েন্সির এবং রোটারি ডায়াল প্রযুক্তি যুক্ত করে যানবাহনে ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। সেসময় এগুলোর ওজন ছিল মোটামুটি ৪০ কেজির কাছাকাছি। সর্বোচ্চ ১২৫টি সাবস্ক্রিপশন (কন্টাক্ট) করা যেত এতে, যা সেসময়ে অভাবনীয় এক বিষয় ছিল। তবে এগুলো ছিল অনেকটা ছন্নছাড়া উদ্যোগ, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক স্বার্থই এতে বেশি জড়িত থাকত।
বৃহৎভাবে আধুনিক মোবাইল ফোন প্রযুক্তির সূতিকাগার দ্য নর্ডিক মোবাইল টেলিকম (এনএমটি) প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৬৯ সালে। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড জুড়ে মোবাইল ফোনের ওয়্যারলেস টেকনোলজি উন্নয়নের জন্য ব্যাপক তোড়জোড় চালায়।
তবে তখনও মোবাইল ফোনের ধারণা জনসাধারণের কাছে তেমন পরিচিতি পায়নি। এর বড় একটি কারণ ছিল সেগুলোর অতিরিক্ত ওজন ও আকৃতি। নির্ঝঞ্ঝাট চলাচলের সময় কেউ তো আর ‘ডাব্বা’ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাইবে না!
মটোরোলা কমিউনিকেশন্স সিস্টেমসের ম্যানেজার ড. মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালে প্রথম হাতে বহনযোগ্য মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসেন, যার ওজন ছিল ১ কেজি ১০০ গ্রামের মতো। দেখতে অনেকটা ইটের মতো লাগায় দুষ্টু লোকেরা এর নাম ‘দ্য ব্রিকফোন’ রাখতেও ভুল করেনি। ওজনের মতো এটি অবশ্য দামেও ভারী ছিল। তৎকালে এটি কিনতে পকেট থেকে তিন হাজার ইউরো বা চার হাজার ইউএস ডলারের মতো খসাতে হতো। তাই যেমন-তেমন লোকের এ জিনিস কেনার সামর্থ্য ছিল না।
পরবর্তীতে এই মটোরোলাই এর আধুনিক সংস্করণ হিসেবে ১৯৮৭ সালে মটোরোলা ডায়ান্টাক ৮০০০এক্স বাজারে নিয়ে আসে। তবে তাতেও এর গা থেকে ‘ব্রিকফোন’ তকমা যায়নি। কিন্তু তাদের দোষ দিয়ে লাভ কী? তখন তো আর মাইক্রোচিপ কিংবা ন্যানোটেকনোলজির মতো প্রযুক্তির আবিষ্কারই হয়নি!
এদিকে ১৯৮২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি দেশ মিলে চিন্তাভাবনা করছিল, কীভাবে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের ধারণা পুরো ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া যায়। আর বরাবরের মতোই সেই মহৎযজ্ঞের নেতৃত্বে ছিল এনএমটি।
এরই ধারাবাহিকতায় কমেডিয়ান আর্নি ওয়াইজ ১৯৮৫ সালে প্রথম পাবলিক ফোনকলটি করে জনমনে ব্যপক আলোড়ন ফেলে দেন। তিনি ইংল্যান্ডের সেন্ট ক্যাথরিন শহর থেকে শুরু করে ভোডাফোনের হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত এক বিশাল দূরত্বের ওয়্যারলেস ফোনকল করেন।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে ১৯৮৭ সালকে তখন বাহবা দিতেই হয়, কারণ এ বছরেরই একটি আবিষ্কার ওয়্যারলেস ও মোবাইল প্রযুক্তিতে রেনেসাঁর সূচনা করে দেয়। এই সময়েই জিএসএম টেকনোলজি আবিষ্কার ও ব্যবহার শুরু হয়। এর ফলে দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ফোনকল, ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ড ও কম খরচে কাজ চালানোর সুযোগ করে দেয়। আর সেই সাথে তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে মোবাইল প্রযুক্তির উৎকর্ষতা।
আগে যেখানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুধু কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, ১৯৯২ সাল সেখানে বড় এক পরিবর্তন নিয়ে আসে। সেই বছরেই পৃথিবীতে প্রথম SMS সার্ভিস শুরু হয়। মজার ঘটনা হলো, প্রথম মেসেজটি ইংল্যান্ডের একজন ২২ বছর বয়সী টেলিকম কন্ট্রাক্টর নিল পাপওয়ার্থ তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোডাফোনের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড জার্ভিসকে পাঠান। মেসেজটিতে লেখা ছিল, “মেরি ক্রিসমাস!” সে সময় থেকেই যেকোনো ছুটির দিনে ওয়্যারলেসে মেসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর চল হয়তো শুরু হয়ে যায়।
১৯৯৬-৯৭ সালে ইংল্যান্ডে যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৬% ছিল, এক দশক পর সেই অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় ৮০ শতাংশেরও বেশি। শুধু ইংল্যান্ডে নয়, অন্যান্য উন্নত বিশ্বেও এর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলছিল। এর পেছনে অবদান রাখে অবশ্য টেলিকম কোম্পানিগুলোর কিছু নীতি, যেমন পে-অ্যাজ-ইউ-গো, নন-কন্ট্র্যাক্ট সার্ভিসেস, ভোডাফোন প্রিপেইড প্যাকেজ প্রভৃতি।
সেসময় কিছু উল্লেখযোগ্য মোবাইল ফোন মডেলের মধ্যে Motorola StarTac (1996) অন্যতম, তৎকালীন সবচেয়ে আবেদনময় ফোন ছিল এটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা আর সায়েন্স ফিকশন গ্যাজেটের মতো ডিজাইন থাকায় এই ফোনের চাহিদা তখন বর্তমানের আইফোনকেও ছাড়িয়ে যায়। এ তালিকায় আরো আছে জার্মানির The Hagenuk Globalhandy (1998), যা ছিল সর্বপ্রথম অ্যান্টেনা ছাড়া কেতাদুরস্ত চালের মোবাইল ফোন। Siemens S10 (1999) ছিল মোবাইল ইতিহাসে সর্বপ্রথম কালার্ড ডিসপ্লে ফোন; এর ডিসপ্লে রেজুলেশনও (97*54 pixel) ছিল তৎকালের সেরা। এছাড়া Nokia 5110, Nokia 7110 মডেলের মোবাইল ফোনগুলোও তখন প্রযুক্তির সেরা সব ফিচার নিয়ে আসে।
মেসেজিং প্রযুক্তির পর মোবাইল প্রযুক্তিকে আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। কারণ ততদিনে মোবাইল কোম্পানির ডেভেলপাররা বুঝে গেছেন তাদের কী করতে হবে। ১৯৯৯ সালে ফিনল্যান্ডের টেলিকম কোম্পানি রেডিওজিলা প্রথম ডাউনলোডযোগ্য কন্টেন্ট মোবাইল রিংটোন আবিষ্কার করে। আর সেই ফার্স্ট টোনটির নাম ছিল “Crazy fogs”। বলা বাহুল্য, সে সময়ই এই ফিচারটি এত জনপ্রিয়তা পায় যে রেডিওজিলা কোম্পানি এই টোন বেচেই প্রায় অর্ধ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ফেলে। সেই বছরই আরেক জাপানি প্রযুক্তিবিদ বাজিমাত করে বসেন। আজকের যে এত শত ইমোজির চালাচালি, তার আবিষ্কারক হলেন শিগাতেকে কুরিতো নামে এক জাপানি ভদ্রলোক।
সেই সাথে মোবাইল প্রযুক্তির আরো রকমারি ফিচার পাল্লা দিয়ে উদ্ভাবিত হতে থাকে। বছরের চমক এখানেই শেষ নয়, সেই বছর ব্রিটেনবাসী সবচেয়ে কম খরচে (চল্লিশ ইউরো) মোবাইল ফোন কেনার সুবিধা পায়।
প্রতিযোগিতা তু্ঙ্গে নিয়ে যায় ব্ল্যাকবেরি কোম্পানির বাজারে ছাড়া প্রথম মোবাইল ফোন। বিশ্বখ্যাত এই কোম্পানির প্রথম মোবাইল ফোনের একগাদা নয়া প্রযুক্তি দেখে চমৎকৃত হবার জোগাড় হলেও যে উদ্ভাবন তাদের সাফল্য এনে দেয়, তা হলো ইমেইলের সুবিধা। তখন অফিসিয়াল-আনঅফিসিয়াল সব কাজেই যোগাযোগ করার জন্য মেইল ব্যবহৃত হতো। কিন্তু সেসব মেইল আবার কম্পিউটার ছাড়া করা যেত না। ব্ল্যাকবেরিই তখন সেই কষ্ট লাঘব করে দেয়, এবং বছর খানেকের মধ্যেই ইংল্যান্ডের ৮৩% মানুষের হাতে ব্ল্যাকবেরি ফোন শোভা পেতে থাকে।
২০০০ সাল, একবিংশ শতাব্দীর শুরুর বছরে মোবাইল প্রযুক্তি শুরু করে নতুনভাবে পথচলা। সেই পথচলায় সঙ্গী হয় নোকিয়া, বাজারে নিয়ে আসে ৩৩১০ মডেলের ‘অল ইন ওয়ান’ প্যাকেজের মোবাইল ফোন। ছিপছিপে গড়নের সেই ডিভাইসটির প্রায় ১২৬ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়ে যায়। সেই সাথে শার্প কর্পোরেশন জাপানি বাজারে নিয়ে আসে প্রথম ক্যামেরাওয়ালা ফোন The sharp S-JH04। ইউরোপের অবশ্য ক্যামেরাফোন পেতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়, ২০০২ সালে নোকিয়াই তাদের ৬৭৫০ মডেলের ফোনটি ইউরোপের বাজারে ছাড়ে।
২০০৩ সালে ‘বাবাজিদের মারপ্যাঁচ’ শুরু হয়ে যায়, মানে মোবাইল প্রযুক্তির চূড়ান্ত প্রয়োগ শুরু হয়। এর আগে যে ছিল না, তা না। তবে সেসময়ের আগে সেই প্রযুক্তিটি তেমন উন্নত ছিল না। কিন্তু থ্রি-জি চালু হওয়ার পর থেকেই মোবাইল প্রযুক্তির মধ্যযুগের ইতি ঘটে।
আধুনিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর্মসম্পাদনের সবটুকুই কৃতিত্ব থ্রি-জি প্রযুক্তির। হংকং থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে তখন থ্রি-জি ফাস্ট সার্ভিসিং শুরু হয়। ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম থ্রি-জি ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে অনেক মাধ্যমে উল্লেখ করা হলেও এর সূচনা করে মূলত নেপাল। নেপালের এনসেল টেলিকম কোম্পানি তখন পুরো নেপালে থ্রি-জি প্রযুক্তির প্রচলন ঘটায়। তাদের নেটওয়ার্ক সার্ভিস এত ভালো ছিল যে মাউন্ট এভারেস্টের মতো দুর্গম এলাকাও থ্রি-জি কভারেজের মধ্যে ছিল। সেই সময়ের সেরা কয়েকটি থ্রি-জি সাপোর্টেড মোবাইল ফোনের মধ্যে মটোরোলা এ৩৮০, এনইসি ই৬০৬, এনইসি ই৮০৮ বেশ জনপ্রিয় ছিল।
২০০৭-০৯ সাল; এই তিন বছরে মোবাইল প্রযুক্তির যে পরিমাণ অগ্রযাত্রা হয়েছে, তা বিগত ৩০ বছরকেও ছাড়িয়ে যায়। ২০০৭ সালে টেক জায়ান্ট অ্যাপল তাদের প্রথম স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। ব্যতিক্রমী সব ফিচার থাকার কারণে তখন সেটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই অ্যাপল নিয়ে শুরুতে টিপ্পনীদাতারও কমতি ছিল না; ৪৯৯ ডলারের মতো চড়া দামের জন্য নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী তো একবার বলেই ফেলেছিলেন, অ্যাপল খুব বেশিদিন বাজার ধরে রাখতে পারবে না।
এর এক বছর পর অ্যান্ড্রয়েড ফোনও বাজারে চলে আসে। ধীরে ধীরে ব্ল্যাকবেরি, নোকিয়া, এরিকসনের মতো নামীদামী টেলিকম জায়ান্টগুলোর জনপ্রিয়তা নিভু নিভু হয়ে আসছিল। আইওএস আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে তখন এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। অ্যাপল তাদের ব্যবহারকারীদের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আলাদা এক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যাকে বর্তমানে ‘অ্যাপ স্টোর’ নামে ডাকা হয়। অ্যান্ড্রয়েডও কিছুদিন পর ‘অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট’ নামে তেমন একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসে। পরবর্তীতে অবশ্য নাম পরিবর্তন করে ‘প্লে স্টোর’ রাখা হয়। এতে এক বিশাল ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৯ সালে ইন্টারনেট জগত থ্রি-জি থেকে ফোর-জি’তে উপবিষ্ট হয়। সেসময় হুয়াওয়ে তাদের মোবাইল ফোনে ফোর-জি ও এলটিই কম্বো সার্ভিস নিয়ে আসে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে একেবারে ১৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড তোলা যায়, যা ছিল বিগত পরিসংখ্যানের কয়েকশ’ গুণ!
সেই পালে হাওয়া লাগায় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনের উদ্ভাবন। গতানুগতিক মেসেজিংয়ের ধ্যান-ধারণাই পাল্টে দেয় সেটি। বর্তমানে ১.২ বিলিয়ন ইউজার নিয়ে দৈনিক প্রায় ১০ বিলিয়নের মতো মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে আদান-প্রদান হচ্ছে, যা কিনা দৈনিক মোট লেখালেখির অর্ধেক! ১০-১২ বছর আগেও যে ওয়্যারলেস মেসেজিং টেকনোলজির অস্তিত্ব ছিল না, ২০১২ সালে সেটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে বসে। সেই বছরেই যুক্তরাজ্য একাই ১৫১ বিলিয়ন মেসেজ চালাচালি করেছে। বাদবাকিগুলোর হিসেবও নগণ্য ছিল না।
এরপরের ইতিহাস অবশ্য কারো অজানা নয়। ধীরে ধীরে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মোবাইল প্রযুক্তি আজ এ পর্যায়ে। উন্নত নিত্যনতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার প্রতি সেকেন্ডে হচ্ছে। এ আর্টিকেল লেখার মুহূর্তেই যে কত শত মোবাইল প্রযুক্তির নতুন নতুন আইডিয়া নেয়া হয়ে গিয়েছে, তার খবর কে রাখে!