আমাদের দেশে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের মাঝে ফাইল শেয়ারিং প্রযুক্তির প্রচলনের ব্যাপারে বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে নকিয়ার কথা। নকিয়া যুগের স্মার্টফোনগুলো অর্থাৎ যেগুলোতে ছবি তোলা যেত, ভিডিও করা যেত, এমএমএস-ব্লুটুথ প্রযুক্তি, গান বাজানো, ভিডিও দেখাসহ ওয়েব ব্রাউজিং সুবিধা মিলতো, সেসব ফোন যারা ব্যবহার করেছেন তাদের কাছে ‘নকিয়া পিসি স্যুট’ নামটি অতি পরিচিত হবার কথা। যদিও বর্তমানে নকিয়ার বাজার কেড়ে নিয়েছে বহু নামী-দামী প্রতিষ্ঠান, তবু এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে, একসময় নকিয়ার হর্তা-কর্তাগণ অনেক স্মার্ট চিন্তা করে বাজার মাতিয়ে রেখেছিলেন। তৎকালীন সময়ে নকিয়া পিসি স্যুটের মতো একটি সফটওয়্যার মানে ব্যাপক কিছু। নকিয়া ফোনটি কম্পিউটারের সাথে ডাটা ক্যাবল দিয়ে জুড়ে দিলেই চলতো, ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে আসতো মনিটরের পর্দায়।
এই নকিয়া পিসি স্যুট দিয়ে ফোনের সাথে কম্পিউটারে অডিও-ভিডিও, ইমেজসহ যেকোনো ধরনের ফাইল আদান-প্রদান, ফোনবুকের সব কন্ট্যাক্ট, এসএমএস সবকিছু কম্পিউটার থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতো। এছাড়াও সবথেকে বেশি যে প্রয়োজনে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহৃত হতো তা হলো, ওয়েব ব্রাউজিং। তখনকার সময়ে ফোনে ওয়েব ব্রাউজিং ছিলো সীমাবদ্ধ। সেই সীমাকে অতিক্রম করে ওয়েব ব্রাউজিংকে সবার ঘরে ঘরে সহজলভ্য করে তোলে এই সফটওয়্যারটি। ফোনে সেলুলার ডাটা প্যাকগুলোর দাম ছিলো বিশাল অংকের। তখনকার দিনে মানুষের চাহিদাও সীমাবদ্ধ ছিলো অবশ্য। মডেম কিনে কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজিংয়ের সামর্থ্য হয়তো সবার ছিলো না। তাদের কাছে পকেটের ফোনই ছিলো ভরসা। নকিয়া পিসি স্যুট চালু করে ফোনটি জুড়ে দিলেই সেটি হয়ে উঠতো মডেম, কম্পিউটারে ইচ্ছামতো ওয়েব ব্রাউজ করা যেত।
সেসব সময় পেরিয়ে মানুষ আজ আরো স্মার্ট হয়ে উঠেছে, মানুষের সাথে সাথে স্মার্ট হয়ে উঠেছে হাতের ফোনটিও। নকিয়ার সঙ্গে বাজার পড়ে গেছে ‘পিসি স্যুট’ সফটওয়্যারটিরও। অ্যাপল ইনকর্পোরেটের পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড আইটিউনস সফটওয়্যারটি থাকলেও সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলোর জন্য আহামরী কোনোকিছু তৈরি হয়নি। এই সুযোগ হাতছাড়া না করতে চেয়ে থার্ড-পার্টি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করেছে এমন সব প্রযুক্তি, যা দিয়ে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের মাঝে যেকোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব, সেই সাথে স্মার্টফোনটির সবকিছু কম্পিউটার থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। খুঁজলে হয়তো অনেকগুলো সফটওয়্যারের নাম উঠে আসবে, তবে হাতেগোনা যেসব সফটওয়্যার মানুষ ব্যবহার করছে কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে ফাইল শেয়ারিংয়ের জন্য, তন্মধ্যে সাইডসিঙ্ক নামক একটি নতুন ধাঁচের প্রযুক্তি নিয়েই আজকের আয়োজন।
স্যামসাংয়ের ডেভেলপকৃত বেশ কিছু ভালো মানের সফটওয়্যারের মাঝে এই সাইডসিঙ্ক অন্যতম। ইতোপূর্বে স্যামসাং আরো একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছিলো; Samsung Kies। ডাটা কেবল দিয়ে স্মার্টফোন কানেক্ট করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ড্রাইভার ইনস্টল করার পর অবশেষে কম্পিউটারে কানেক্ট হতো সেটি। বহু কেরামতি শেষে কানেক্ট করেও হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। বিভিন্ন ফাইল আদান-প্রদান, কন্ট্যাক্ট নাম্বার আর ফোনের কিছু বিবরণী দেখা ছাড়া কিছুই করা যেতো না তেমন।
এই সবকিছুকে পেছনে ফেলে স্যামসাং উদ্যোগ নেয় ভিন্ন কিছু করবার, সব ধরনের ঝামেলামুক্ত হয়ে ‘একের ভেতরে সব’ টাইপ সুবিধাযুক্ত হয়ে বাজারে আসে সাইডসিঙ্ক। এ ধরনের প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে সাইডসিঙ্কের আসল চমকটাই শুরু হয় কম্পিউটারের সাথে স্মার্টফোনটি কানেক্ট করতে গিয়ে। অন্যান্য থার্ড-পার্টি সফটওয়্যারে প্রথমবার কানেক্ট করতে আপনাকে বহু কাঠ-খড় পোড়াতে হবে। কিন্তু এই সাইডসিঙ্ককে স্যামসাং এমনভাবেই তৈরি করে, যাতে এটি গ্যালাক্সি শ্রেণীর ডিভাইসগুলোকে শনাক্ত করতে সক্ষম। ওয়াইফাই কিংবা ডাটা ক্যাবল দু’ভাবেই স্মার্টফোনকে কানেক্ট করা সম্ভব।
ব্যক্তিগত কম্পিউটার হয়ে থাকলে পরামর্শ থাকবে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করুন, এভাবেই অনেক সুবিধাজনক। একই ওয়াই-ফাইয়ের ছত্রছায়ায় প্রবেশ করে আপনি একবার কানেক্ট করে ফেললে প্রতিবার ফোনে অ্যাপটি চালু করা মাত্রই কম্পিউটারে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা সফটওয়্যারটি আপনার ফোনকে খুঁজে নিয়ে কানেক্ট করে নিবে।
কানেক্ট হবার সাথে সাথেই আপনার কম্পিউটারে একটি নতুন উইন্ডো চালু হবে, যেখানে আপনি আপনার ফোনের স্ক্রীনটি দেখতে পাবেন। শুধু যে দেখতে পাবেন তা নয়, এই নতুন উইন্ডোতে মাউস পয়েন্টার নিয়ে ফোনের স্ক্রীনে আঙুল স্পর্শ করানোর কাজটি করে নিতে পারবেন অনায়াসেই। অর্থাৎ মাউসের মাধ্যমেই পুরো ফোনটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, কী হচ্ছে না হচ্ছে এসব কিছু কম্পিউটার মনিটরেই দেখা যাবে। নতুন উইন্ডোতে উপরের দিকে ঠিক মাঝ বরাবর পয়েন্টার নিলে আপনি দুটো সমান্তরাল রেখা পাবেন। এতে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের নোটিফিকেশন বার নেমে আসবে। আবার স্যামসাং ফোনগুলোতে হোমবাটন, রিটার্ন ও রিসেন্ট বাটনত্রয়ও উইন্ডোটির নিচে সংযুক্ত দেখতে পাবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই প্রযুক্তি আপনার কী কাজে লাগবে? সবসময় যে কাজে লাগবে তা-ও নয়, এমন প্রযুক্তি আগেও উদ্ভাবিত হয়েছে, কিন্তু কোনোটিই সাইডসিঙ্কের মতো নিখুঁত ছিলো না। যদি হুট করে আপনার কোনো স্মার্টফোনের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে যেকোনো প্রয়োজনে ফোনটি ব্যবহার করে নিতে পারবেন আপনি কম্পিউটার থেকেই।
স্মার্টফোন ছাড়াই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলোকে ব্যবহারের জন্য এই প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয় ব্লুস্ট্যাক নামের একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আপনার কোনো স্মার্টফোন ছাড়াই ব্লুস্ট্যাক চালু করে আপনি স্মার্টফোনের স্বাদ পেয়ে যাবেন, সাথে খেলে নিতে পারবেন যেকোনো ধরনের অ্যান্ড্রয়েড গেমও। কিন্তু এই ব্লুস্ট্যাকের সবথেকে বড় সমস্যা হলো এর বিশালত্ব, হার্ডড্রাইভ ও র্যামের অনেক জায়গা ব্যবহার করে, যার ফলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যায়।
ওয়ান্ডারশেয়ার বাজারে নিয়ে আসে MirrorGo নামের একটি সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে কোনো স্মার্টফোনকে কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করা হলে কম্পিউটার থেকে স্মার্টফোনটিকে ব্যবহার করা যেতো, সাইডসিঙ্কের যে কাজটির কথা বলা হয়েছে উপরে, ঠিক তেমনিভাবে সেটি ব্যবহার করা যেতো। কিন্তু সমস্যা হলো, MirrorGo-তে কেবল এটুকুই করা যেতো, যদিও বলা হয়েছে এমনটি করে কম্পিউটারে বসে স্মার্টফোনে গেম খেলা সম্ভব, কিন্তু কীভাবে গেমিং কন্ট্রোল করা যাবে সেই ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
থার্ড-পার্টি ওয়ান্ডারশেয়ার কোম্পানির পণ্য হওয়াতে লাইসেন্স ক্রয় নামক যন্ত্রণা তো ছিলোই। সাইডসিঙ্ক এই ক্ষেত্রবিশেষে বহুগুণ এগিয়ে, কেননা ফোন স্ক্রীন নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও সাইডসিঙ্কে যুক্ত করা হয়েছে আরো সুবিধা।
মাউসের ব্যবহার তো পাওয়া গেলো, কীবোর্ডকেও স্মার্টফোনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কীবোর্ডকে ব্যবহার করা যাবে দুভাবে। আপনি কোনো লেখা যদি লিখতে চান, তাহলে কম্পিউটারে লিখে ফোনে সেন্ড করে দিতে পারবেন, আবার সরাসরি কীবোর্ডে লিখবেন আর ফোনস্ক্রীনে সেই লেখা উঠতে থাকবে তা-ও পারবেন।
স্মার্টফোন কানেক্ট করার সঙ্গে সঙ্গে যে উইন্ডোতে আপনার ফোনটি সচল হয়ে উঠেছিলো, তার ঠিক উপরে ‘A’ চিহ্নিত অপশনে ক্লিক করলেই চালু হবে আরো একটি উইন্ডো, এতে কোনোকিছু লিখে সেন্ড করলেই তা স্মার্টফোনের স্ক্রীনে হাজির হবে। আর সরাসরি কীবোর্ড ব্যবহার করতে হলে এবার পুরো উইন্ডোটিই বন্ধ করে দিতে হবে।
বন্ধ করার সাথে সাথেই দেখতে পাবেন, মনিটরে ডান পাশে কোণায় ছোট একটি পপ-আপ উইন্ডো হাজির হয়েছে। এতে ‘more’ অপশন ক্লিক করে Enable Keyboard & Mouse Sharing’ অপশন চাপলেই একটি নতুন বার্তা হাজির হবে আপনার সামনে। এখানে লেখা আছে, আপনি যদি মাউস পয়েন্টারটিকে মনিটর স্ক্রীনের ডানে অথবা বামে টেনে বাইরে বের করে দেন, তাহলেই পয়েন্টারটি মনিটর থেকে হারিয়ে গিয়ে হাজির হবে স্মার্টফোনে, তখন আপনি পয়েন্টারটিকে ব্যবহার করেই স্মার্টফোনে ধীরগতিতে কাজ করতে পারবেন। মাউস ব্যবহারে কাজের গতি ধীর হলেও কীবোর্ডের গতি কিন্তু ধীর নয়। ফোনে যেকোনো কিছু লেখা কিংবা কীবোর্ড দিয়ে করা সম্ভব সব ধরনের নির্দেশ পাঠাতে পারবেন কীবোর্ড থেকেই। মাউসটিকে উল্টো পথে মনিটরে ফিরিয়ে আনলেই ফোন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাউস এবং কীবোর্ডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে।
এছাড়াও ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ অর্থাৎ যেকোনো ধরনের ফাইলকে এই পপ-আপে টেনে এনে ছেড়ে দিলেই ফোনে স্থানান্তর হয়ে যাবে সেটি। ফাইলটি পূর্বনির্ধারিত একটি ফোল্ডারে জমা হবে। আবার আপনি যদি ফোনের নির্ধারিত কোনো ফোল্ডারে রাখতে চান, তাহলে পপ-আপ থেকে ফোন স্ক্রীন অপশন সিলেক্ট করে নির্দিষ্ট ফোল্ডার খুঁজে নিয়ে সেখানে ড্র্যাগ এন্ড ড্রপের মাধ্যমে ফাইলটি স্থানান্তর করতে পারবেন। এ তো গেলো কম্পিউটার থেকে ফোনে স্থানান্তর পদ্ধতি। উল্টোটি করবার জন্য ফোনে সাইডসিঙ্ক অ্যাপ চালু করে মেন্যু অপশনে ‘transfer files’ এ গিয়ে যেকোনো ফোল্ডার কিংবা ফাইল সিলেক্ট করলেই সেটি কম্পিউটারে স্থানান্তর শুরু হয়ে যাবে।
এ ধরনের কেবলমাত্র ফাইল শেয়ারিং প্রযুক্তির দেখা মিলবে শেয়ার-ইট নামক সফটওয়্যারেও, তবে শেয়ার-ইটের অশ্লীল অ্যাডগুলোতে বিরক্ত হয়ে কেউ যদি সেটি বর্জন করে থাকেন, আপনার জন্য সাইডসিঙ্ক ছাড়াও চমৎকার হবে ‘এয়ারড্রয়েড’ নামক একটি অ্যাপ। এটি খুবই সুবিধাজনক, প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিলেই চলবে।
কম্পিউটারের জন্য এয়ারড্রয়েড ড্রাইভার ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি আরো সহজে এয়ারড্রয়েড ব্যবহার করতে চান, তাহলে কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে ফোনের এয়ারড্রয়েড অ্যাপে দেখানো একটি আইপি অ্যাড্রেস টাইপ করে এন্টার বাটন চাপলেই ফোন ও কম্পিউটার কানেক্ট হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে ডাটা ক্যাবল ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফোন ও কম্পিউটারকে অবশ্যই একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের আওতাধীন হতে হবে। আপনি যেকোনো কিছু আদান-প্রদানসহ, ফোনবুক, ম্যাসেজিং সার্ভিস, সব ফাইল-ফোল্ডার কম্পিউটার থেকে ব্রাউজ করতে পারবেন। এয়ারড্রয়েডে আপনি ফোনের কোনো কল রিং কিংবা ম্যাসেজ অ্যালার্টের মতো নোটিফিকেশন পাবেন, সাইডসিঙ্কে পাবেন এর থেকেও ভালো কিছু। সাইডসিঙ্কের পপ-আপ উইন্ডোতে আলাদা একটি বার থাকে নোটিফিকেশনের জন্য, সবধরনের নোটিফিকেশ আপনি কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
এই সাইডসিঙ্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির চাহিদাও খুব কম, কম্পিউটারে সর্বনিম্ন ১ গিগাবাইট র্যাম হলেই সফটওয়্যারটি চালানো সম্ভব। আর এন্ড্রয়েড ভার্সন ৪.৪ এর উর্ধ্বে থাকা সব ধরনের গ্যালাক্সি ডিভাইসে অ্যাপটি চলবে। গ্যালাক্সি স্টোর ও প্লে স্টোর দু’জায়গাতেই পাওয়া যাবে অ্যাপটি।
এই ধরনের ইউজার ফ্রেন্ডলি প্রযুক্তি এটিই প্রথমবার তৈরি হয়নি, এবং এটিই শেষ নয়। দিনে দিনে প্রযুক্তি আরো উন্নত ও সহজতর হয়ে উঠবে। একদিনে সাইডসিঙ্ক তৈরি হয়নি। সাইডসিঙ্কের মতো সফটওয়্যার পাওয়া যাবে অগণিত। ওয়ান্ডারশেয়ারের MobileGo, MirrorGo; কিংবা Mobogenie অথবা Moborobo-র মতো সফটওয়্যার ব্যবহৃত হতে হতে জন্ম হয়েছে সাইডসিঙ্কের, হয়তো সাইডসিঙ্কের পর আসবে আরো উন্নত কোনো কিছু। সেই পর্যন্ত সাইডসিঙ্কের ব্যবহার চলুক হরদম।