২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭৫ জন ছাত্রের একটি দল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ল্যাব কক্ষে প্রবেশ করেন প্রশিক্ষণের জন্য। তার প্রায় দুই মাস পর দলটির সদস্যরা ১৬ মিলিয়নের কাছাকাছি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়, এবং বিজ্ঞাপন থেকে তারা প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। তবে ‘ফেসবুক ক্লাস‘ নামে খ্যাত সেই ক্লাসের সাথে সরাসরি ফেসবুকের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সিলিকন ভ্যালির কিংবদন্তীদের একজন বি.জে. ফগ নামের সাইকোলজিস্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন ক্লাসটির প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে। ছাত্রদের বলা হয়েছিল- ফেসবুকের জন্য কিছু অ্যাপ তৈরি করতে, পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল। সে সময় ফেসবুকের নতুন একটি ফিচার ছিল থার্ড পার্টি অ্যাপের সমর্থন, যাতে মানুষ আরো বেশি সময় ব্যয় করে প্লাটফর্মটিতে। ডিজিটাল সামাজিকতার সেই সুযোগকেই কাজে লাগান স্ট্যানফোর্ড ল্যাবের ছাত্ররা। তারা এমন কিছু অ্যাপ এবং গেম ডেভেলপ করেন যার মধ্যে কিছু কিছু রাতারাতি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অ্যাপ মনেটাইজেশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি উপার্জন করেন তারা।
পরবর্তীতে ক্লাসটির ছাত্র এবং প্রশিক্ষকদের অনেকেই ডেভেলপার এবং ডিজাইনার হিসেবে কাজের সুযোগ পান ফেসবুক, গুগলের মতো টেক জায়ান্টগুলোতে। কীভাবে ব্যবহারকারীদের আরো বেশি সময় ব্যয় করানো যায় তাদের প্রোডাক্টগুলোর পেছনে, এ নিয়ে তারা কাজ শুরু করেন। আর আজ প্রায় ১৩ বছর পর আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি অন্তর্জালের এই অদৃশ্য বাঁধন থেকে নিজেদের সরিয়ে আনতে। আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক নতুন আতংক ‘স্মার্টফোন আসক্তি’।
আপনি যদি একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তবে সমূহ সম্ভাবনা আছে প্রতি ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজফিড কিংবা নোটিফিকেশন চেক করার। কখনো কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয়ও করে ফেলেন নিজের অজান্তেই। সময়ের অপচয় ছাড়াও কারো কারো জন্য তা স্বাভাবিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা স্মার্টফোনের প্রভাব বিস্তারের আগেও মানুষ নানাভাবে সময়ের অপচয় করেছে, যেমন- টেলিভিশন দেখে। কিন্তু বর্তমান সময়ের সাথে পার্থক্য হলো- পূর্বে টেলিভিশনের কোন পছন্দের অনুষ্ঠান আপনি দেখবেন তা নির্ভর করতো আপনার ওপর, কিন্তু এখন আপনার আচরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আপনি কী দেখবেন তা নির্ধারণ করে ডেভেলপাররা। যা আপনাকে বারবার টেনে আনে সেসব প্লাটফর্মে, আর দৃষ্টি আটকে রাখে স্মার্টফোনটির পর্দায়।
মানুষ স্বভাবগত সামাজিক এবং আবেগী। আচরণগত এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে কেন্দ্র করেই ডেভেলপাররা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো প্লাটফর্মগুলোর ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করেন, যাতে সবাই আরো বেশি সময় ব্যয় করে প্লাটফর্মগুলোতে। ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার এই প্রতিযোগিতায় একেক কোম্পানি একেক রকমের মনস্তাত্ত্বিক কলাকৌশলকে প্রযুক্তিতে রুপদান করেন। কারণ দিনশেষে আপনার মূল্যবান সময়ের বাস্তবিক মূল্যটা জমা হয় তাদের ঝুলিতে। তবে আদতে সবই আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে বা ‘ইউজার এঙ্গেজমেন্ট’- এর জন্য নয়, এর কিছু কিছু তৈরি হয়েছিল আমাদের জীবনকে সহজ করার জন্য, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা তা আসক্তিতে পরিণত করে নিয়েছি। এমনই কিছু আসক্তির কলাকৌশলের দিকে এবারে নজর দিবো আমরা।
ইনফিনিট স্ক্রলিং
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে যারা অভ্যস্ত তাদের কাছে ইনফিনিট বা এন্ডলেস স্ক্রলিং পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। কাজের ফাঁকে বা অবসর সময়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার কিংবা ইউটিউবের হোমপেজ স্ক্রল করতে করতে কোন ফাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়, তা এর ব্যবহারকারীদের কাছেও এক রহস্য।
পূর্বপ্রচলিত পেজিনেশন পদ্ধতিতে একটি ওয়েব পেজ বা ট্যাব সেকশনে নির্দিষ্ট কিছু কন্টেন্ট দেখানো হয়, আরো কন্টেন্ট দেখার জন্য পরবর্তী পেজে যাওয়া লাগে, যা পেজের সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত থাকে। কিন্তু ইনফিনিট স্ক্রলিংয়ে পেজের কন্টেন্ট নিরবচ্ছিন্নভাবে লোড হতে থাকে। ফলাফল- ব্যবহারকারী নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফিড স্ক্রল করতে থাকেন।
একই রকম ঘটনা ঘটে ইউটিউবের অটো-প্লে ফিচারে, যেখানে একটি ভিডিও শেষ হলে সাজেশন লিস্টের পরবর্তী ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্লে হয়। এই ধরনের ইন্টারফেস বাধাহীন অভিজ্ঞতা দেয়, যা থেকে ব্যবহারকারীর সরে আসাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রিসার্চ থেকে জানা যায়, মানুষ ভিজুয়াল ডিরেকশন, যেমন- পেজিনেশন পদ্ধতির উপর বেশি নির্ভরশীল, যা দেখে ব্যবহারকারী বুঝতে পারেন কখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে বা কখন থামা উচিত। কিন্তু ইনফিনিট স্ক্রল ব্যবহারকারীর সেই নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতা হরণ করে।
বর্তমান সময়ে বিস্তরভাবে বিভিন্ন ওয়েব সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোতে ব্যবহার করা হয় এই ফিচার। ২০০৬ সালে প্রথম ডিজাইন করা এই ফিচারটির ডিজাইনার অ্যাজা রাসকিন বর্তমান সময়ে বেশ অনুতপ্ত বোধ করেন এটি ডিজাইন করার জন্য।
কালার কন্ট্রাস্ট
একটি অ্যাপের ইন্টারফেস ডিজাইনে রঙ নির্বাচনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা ইন্টারফেসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কিন্তু ডেভেলপাররা রঙের উপর শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেই জোর দেন না, এর পেছনে দৃষ্টি আকর্ষণেরও কারণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ উজ্জ্বল এবং উষ্ণ রঙের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের নোটিফিকেশন বাবলটির দিকে লক্ষ্য করুন, এর লাল রঙ অন্য রঙগুলোর তুলনায় বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রায় সব প্লাটফর্মেই নোটিফিকেশন বাবলের রঙ লাল ব্যবহার করা হয় ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
ঠিক একই কারণে সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোও তাদের লোগোতে আরো উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করছে যাতে স্মার্টফোনের অ্যাপ ড্রয়ারের সে অ্যাপগুলো আগে চোখে পড়ে।
স্ট্যানফোর্ড ল্যাবের ফগের দলের এক সদস্য এবং গুগলের প্রাক্তন ডিজাইন এথিসিস্ট ট্রিস্টান হ্যারিস পরামর্শ দেন, আসক্তি কমাতে ফোনের ডিসপ্লে গ্রে-স্কেল মোডে রাখার জন্য। এর ফলে ডিসপ্লে সাদা কাল হয়ে যাওয়ায় মস্তিষ্ক আর উজ্জ্বল রঙের প্রতি আকৃষ্ট হবার সুযোগ পায় না। আসক্ত হবার মতো ফিচারগুলোও পানসে হয়ে যায় ব্যবহারকারীর কাছে।
পুশ নোটিফিকেশন
২০০৩ সালে যখন ব্ল্যাকবেরির ফোনে প্রথম নোটিফিকেশন ফিচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, তখন এর উদ্দেশ্য ছিল ফোন সম্ভাব্য পরিমাণ কম চেক করার মাধ্যমে ইনবক্সে আসা নতুন ই-মেইলগুলো যাতে অ্যাপে না ঢুকেই জানা যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে বেশ কাজে আসে।
যেকোনো অ্যাপ ডেভেলপারের জন্য ‘ইউজার অ্যাটেনশন’ তৈরির প্রথম ধাপ পুশ নোটিফিকেশন। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামকে তাই অনেক দক্ষতার সাথে বিষয়টি পরিচালনা করতে দেখা যায়। ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা কোনো বন্ধুর ইভেন্টে যোগ দেয়া থেকে বার্থডে নোটিফিকেশন কিংবা ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার লিস্টে থাকা ব্যক্তির নতুন স্টোরি দেয়া প্রায় সব ধরণের আপডেট জানাতে ফোনের পুশ নোটিফিকেশন ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো। আপনার যদি মনে হয়ে থাকে এই ফিচারটি আপনার উপকারের উদ্দেশ্যে তৈরি ও উন্নতি করছেন তারা তবে ভুল ভেবেছেন, কারণ গবেষণা বলছে পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর অ্যাপ ব্যবহার দ্বিগুণ থেকে ছয়গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
আমরাও তাই কিছুক্ষণ পরপরই ফোনের নোটিফিকেশন চেক করাকে একধরনের অভ্যাসে পরিণত করে বসেছি। কেন? কারণ আমরা চাই আরো বেশি বেশি বন্ধু এবং কাছের মানুষদের সংস্পর্শে থাকতে, তাই নোটিফিকেশনের প্রক্রিয়াটি যত সহজ এবং বেশি হবে আমাদের সংযুক্ত থাকার প্রবণতাও তত বাড়বে। তাই আপনি যদি আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকেন তবে শুরুতেই আপনার সকল ধরনের অ্যাপ নোটিফিকেশন বন্ধের ব্যবস্থা করাটায় সমীচীন।
পুল টু রিফ্রেশ
ইনফিনিট স্ক্রলিংয়ের মতো আরেকটি আসক্তি পুল টু রিফ্রেশ। কিছুক্ষণ পরপর নতুন কন্টেন্টের আশায় ব্যবহারকারী তার প্লাটফর্মের ফিড বা হোম পেজ রিফ্রেশ করতে থাকেন। আর এই রিফ্রেশের কাজকে আরো সহজ করে দিয়েছে পুল টু রিফ্রেশ। হোমপেজ বা অন্য কোনো ট্যাব টেনে নিচের দিকে সোয়াইপ করলে একটি গোলাকার লোডিং বার চোখে পড়ে যার কিছুক্ষণ পরেই সামনে হাজির হয় নতুন কন্টেন্ট।
জনপ্রিয় এই পদ্ধতিটির সাথে ক্যাসিনোর স্লট মেশিনের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়, যা অন্যান্য জুয়া খেলার তুলনায় অনেক দ্রুত। লিভারে টান দিয়ে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা, এরপরেই হয় জ্যাকপট নয়তো খালি হাত। ঠিক যেমনটা ঘটে নিউজফিডে পছন্দের বা ভালো লাগার কন্টেন্ট খুঁজতে ক্ষণে ক্ষণে পুল এন্ড রিফ্রেশ করতে।
ফোমো ইফেক্ট (FOMO)
ফিয়ার অফ মিসিং আউট। ফোন গেমগুলোতে এই ফিচারটির ব্যবহার বেশ চোখে পড়ে, যেখানে ব্যবহারকারী প্রতিবার বা প্রতিদিন অ্যাপে ঢোকার জন্য ছোট্ট কিছু পুরষ্কার পেয়ে থাকেন। যেমন- লেভেল আপ, কয়েন কিংবা গেমের কোনো ফিচার আনলক করে দেয়া হয়। তবে এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীকে নিরবচ্ছিন্নতা অবলম্বন করতে হবে, অর্থাৎ অ্যাপ বা অ্যাকাউন্টে কোনো একদিন লগ ইন না করলে ব্যবহারকারী পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবেন। এরই প্রতিক্রিয়া ব্যবহারকারীর মধ্যে ফোমো ইফেক্টকে জাগ্রত করে এবং ছোট ছোট সেই পুরষ্কারের আশায় অ্যাপ ব্যবহারের সময়সীমাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলাফল- আসক্তি।
স্ট্যানফোর্ড ল্যাবের ‘ফেসবুক ক্লাসের’ সেই প্রশিক্ষক তার ক্লাসে শুরুতেই যে মডেলটি উপস্থাপন করেন তা ফগ বিহেভিয়ার মডেল নামে পরিচিত। যেখানে মানুষের আচরণের তিনটি বৈশিষ্ট্যকে একসাথে কাজে লাগাতে পারলে তার মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব- ১. মোটিভেশন, ২. ট্রিগার, ও ৩. অ্যাবিলিটি। যেমন: ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য বাছাই করা সুন্দরতম ফিল্টার করা সেলফিটি আপনার ‘মোটিভেশন’, আর লাইক-কমেন্ট পাবার আশায় তা আপলোড করা ফেসবুক ব্যবহারে আপনাকে ‘ট্রিগার’ করবে এবং লাইকের নোটিফিকেশন আসার পর তা আপনাকে অ্যাপ পুনরায় ব্যবহারের ‘অ্যাবিলিটি’ দেবে।
ইন্টারনেট জগতে আপনি যতটা না বেশি একজন ব্যবহারকারী তার থেকেও বেশি একজন পণ্য। আপনার ব্যয় করা সময় কোম্পানিগুলোর জন্য লাভের সুযোগ। যতটা সময় আপনি প্লাটফর্মগুলোতে ব্যয় করবেন, আপনার থেকে সংগৃহীত তথ্যের পরিমাণ ততটাই বেশি হবে। সেই তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের নিকট বিক্রি হবে। তাই কখনোই কোনো কোম্পানি লাভের আশা থেকে বঞ্চিত হতে চাইবে না। সুযোগের সম্পূর্ণ ব্যবহারটুকু তারা করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এজন্য সচেতন হতে হবে ব্যবহারকারীদের।
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার অস্বীকার করার উপায় নেই বললেই চলে। তবে এর পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে নিজ উদ্যোগে। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা আমাদের জন্য কিছু প্রশ্ন রেখে যায়। প্রযুক্তির এই উন্নয়ন আমাদের জীবন সহজ করার সাথে সাথে কি আসক্তি সৃষ্টির জন্যও করা হচ্ছে? কোন জিনিসগুলো সত্যিকার অর্থে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য প্রয়োজনীয়? আপনি কতটা সক্ষম নিজেকে অদৃশ্য মায়াজাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে?
একুশে বইমেলা ‘২০ উপলক্ষে রোর বাংলা থেকে প্রকাশিত বইগুলো কিনতে এখনই ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে-
১) ইহুদী জাতির ইতিহাস
২) সাচিকো – নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক শিশুর সত্য ঘটনা
৩) অতিপ্রাকৃতের সন্ধানে