চীনে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, ‘যে চীনের মহাপ্রাচীর অর্থ্যাত গ্রেট ওয়াল ছুঁয়ে দেখে নি সে পুরুষ নয়।’ আর তাই চীনে যখন গিয়েছিই তখন তো নিজের পুরুষত্বের প্রমাণ দেয়ার জন্যে হলেও গ্রেট ওয়ালে উঠতেই হবে।
মানুষের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থাপনা হচ্ছে চীনের এই মহাপ্রাচীর। গ্রেট ওয়াল অব চায়না বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি অংশ হওয়ার পাশাপাশি এটিকে চীনের জাতীয় প্রতীক হিসাবেও বলা হয়। আর তাই এ মহাপ্রাচীরটিকে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি হিসেবে গননা করা হয়। চীনা ভাষায় গ্রেট ওয়াল কে বলা হয় ছাংছং। এই ছাংছং- এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দীর্ঘ দেয়াল।
চীনের এই মহাপ্রাচীরকে কল্পনা করা হয় এক বিশাল ড্রাগনের সঙ্গে। পূর্বে শাংহাইকুয়ান থেকে পশ্চিমে টপলেক পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। শুরুর দিকে মহাপ্রাচীরকে দেওয়া হয়েছে ড্রাগনের মাথার আকৃতি আর শেষের দিকে লেজের আকৃতি।শুধু পাহাড়ের উপর দিয়েই নয়, এই প্রাচীর গিয়েছে মঙ্গোলিয়ার যাযাবর স্তেপ, মরুভূমি আর নদীর উপর দিয়েও। নদীর উপর দিয়ে সেতুর মতো গিয়েছে এই প্রাচীর। আর মহাপ্রাচীরের ড্রাগনের লেজ গিয়ে নেমেছে সমুদ্রের পানিতে।