নতুন কিছু করার কিংবা জানার আগ্রহ সেই আদিকাল থেকেই মানুষকে করেছে রোমাঞ্চপ্রিয়। সবসময়ই মানুষ জানতে চেয়েছে, তার নিজস্ব গণ্ডির বাইরের জগৎ সম্পর্কে এবং এজন্য পাড়ি দিয়েছে রহস্যে ঘেরা কঠিন সব পথ। আজকের আধুনিক যুগে শহুরে মানুষের জন্যে এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রবণ হয়ে উঠার সময় বা সুযোগ দুটিই কম। কিন্তু তা বলে তো ভ্রমণ কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের নেশা থেমে থাকতে পারে না। পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের অ্যাডভেঞ্চারের হাতছানিতে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ছুটে গেলাম বান্দরবানের থানচি উপজেলায় অবস্থিত প্রকৃতির মায়াজালে ঘেরা খুমের রাজ্যে। শীতের কুয়াশাঘেরা দিনগুলোতে ঘুরে এলাম নাফা খুম, ভেলা খুম এবং আমিয়া খুমের মতো বাংলাদেশের অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন সব জলপ্রপাত।
মারমা ভাষায় ‘খুম’ মানে জলপ্রপাত। ঝর্ণার পানি শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে গেলেও খুমের পানি শুকায় না। খুমের সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখার উদ্দেশ্যে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এক শীতের রাতে আমরা ১২ জন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। রাত ১০:৩০ মিনিটে আমাদের বাস ফকিরাপুল থেকে ছাড়ে এবং সকাল ৬:৩০ মিনিটে আমরা বান্দরবান শহরে পৌঁছে যাই। আমাদের যাত্রা শুরুর কিছুদিন আগে থেকেই গাইড ঠিক করা ছিল, তিনি আমাদের সাথে থানচি থেকে যুক্ত হবেন।
বান্দরবান শহরে সকালের নাস্তা সেরে আমরা চান্দের গাড়ি ঠিক করে উঠে পড়ি থানচির উদ্দেশে। থানচি (মার্মা শব্দ থাইন চৈ বা বিশ্রামের স্থান থেকে নামটির উৎপত্তি) বান্দরবানের একটি উপজেলা, যেখানে সাকা হাফং পাহাড়চূড়া, নাফাখুম, আমিয়াখুম জলপ্রপাত, রাজা পাথর ইত্যাদি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
বান্দরবান শহর থেকে থানচি সদরের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কি.মি.। পাহাড়ি রাস্তায় এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে চান্দের গাড়িতে। অবশ্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বাসও চলে। যাওয়ার পথেই উপভোগ করা যাবে পাহাড়ঘেরা সবুজ মায়াবী বান্দরবানের অপরূপ দৃশ্য। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা মিলবে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মেঘের মিতালির মোহনীয় রূপ। যাত্রার শুরুতেই আমরা ব্যাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি নিয়ে নিয়েছিলাম।
বান্দরবানে ভ্রমণে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর্মি এবং বিজিবির বিভিন্ন চেকপোস্ট থাকে। এসব জায়গার জন্য অবশ্যই সাথে আপনার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম সনদের ফটোকপি সাথে রাখবেন। থানচিতে যাওয়ার পথে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে এগুলোও চাইলে দেখে নিতে পারেন, কিন্তু ওদিনই যদি নাফাখুম পৌঁছাতে চান, তবে না থামাই ভালো। আমরা প্রথমদিনেই নাফাখুম পৌঁছে গিয়েছিলাম, যাতে পরে আমাদের ট্রেকিং স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছিল।
দুপুর ১২ টার মধ্যে আমরা থানচিতে পৌঁছে যাই, সেখানে আমাদের গাইড প্রদীপদার সাথে দেখা হয়, প্রদীপদার সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় নাম এন্ট্রি করে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিই। থানচি থেকে নৌকা ভাড়া করে রেমাক্রি কিংবা পদ্মঝিরি যেতে হয়। খুমে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে পদ্মঝিরির চেয়ে রেমাক্রি থেকে প্রবেশ করাই সঠিক সিদ্ধান্ত। নৌকায় থানচি থেকে যাওয়া আসার ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা এবং প্রতি নৌকায় পাঁচজন করে বসা যায়। আমরা তিনটা নৌকা নিয়ে থানচি থেকে রেমাক্রির উদ্দেশে শুরু করি আমাদের নৌকা ভ্রমণ।
পাহাড়ি নদী সাঙ্গু, অপরূপ এক নদী। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে ক’টি নদীর উৎপত্তি, তার মধ্যে সাঙ্গু অন্যতম। নৌকায় করে দু’পাশের ঘন সবুজে ঢাকা সুউচ্চ পাহাড় অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার সময় আপন মনেই আপনি গেয়ে উঠবেন,
“ওরে নীল দরিয়া, আমায় দে রে, দে ছাড়িয়া…”
সাঙ্গুর পানির রং ঘন সবুজ এবং খুবই স্বচ্ছ। পানির নিচের সবই স্পষ্টভাবে দেখা যায়। নদী পথে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো যাওয়ার সময় পাথুরে জলের ধারা আপনার মনকে উদাস করে তুলবে অবশ্যই। আর নদীর দুই তীরের পাহাড়ি গ্রামগুলো দেখলে মনে হবে, এত সুন্দরের মধ্যে তাদের জীবন কতই না বৈচিত্র্যময়। নদীপথে রেমাক্রি পৌঁছার পূর্বেই পথে অনেক বড় বড় পাথরের দেখা মিলবে। এদের মধ্যে বিখ্যাত রাজা পাথর দেখতে কিন্তু ভুল করা যাবে না। অপরূপ এ নদী একসময় এসে পড়বে রেমাক্রিতে। রাতে রেমাক্রিতেই থেকে যান, এখানে থাকবার ভালো পাহাড়ি ঘর পাওয়া যায়। তবে বেশি ভালো হয় রেমাক্রিতে না থেকে ওদিনই নাফাখুমের উদ্দেশে যাত্রা করলে। তাহলে রাতের নাফাখুম দেখার সুযোগ মিলবে এবং পাশাপাশি ভোরের দৃশ্যও মিস হবে না।
রেমাক্রিতে কিছুক্ষণ যাত্রাবিরতি করে আমরা বিকেলেই নাফাখুমের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। যাত্রাপথে গাইডকে বললেই নামাজের জন্যও বিরতি দেওয়া যায়। রেমাক্রি ফলসও খুবই চমৎকার একটি দৃশ্য, তবে শীতকালের তুলনায় বর্ষার শেষ দিকে পানি বেশি থাকলে রেমাক্রি আপনাকে মুগ্ধ করবে। রেমাক্রি থেকে আমরা রেমাক্রি খাল ধরে নাফাখুমের দিকে এগোতে থাকি, ঘন অরণ্যের মধ্য দিয়ে এক অন্যরকম নিস্তব্ধতা আপনাকে পুরোটা রাস্তাতেই মুগ্ধ করে রাখবে।
কখনো পাথুরে কঠিন রাস্তা, কখনো পাহাড়ি ঝিরি পথের ঠাণ্ডা জলের স্পর্শ আমাদের সারা শরীর জুড়েই এক শিহরণ তুলছিল। পথে চলতে চলতেই নেমে আসলো সন্ধ্যা। নাফাখুমে পৌঁছাতে তখনো ঘণ্টাখানেকের পথ বাকি। আমাদের সবারই তখন পাহাড়ি রাস্তায় রাতে প্রথম ট্রেকিং। এরকম রাস্তা ধরে এগোতে এগোতে হঠাৎ যদি দেখা মেলে পূর্ণিমার চাঁদের, তখন মনে হয়, সত্যিই জীবন অনেক সুন্দর। পাহাড়ি পথে ভরা জ্যোৎস্নায় আমাদের সেই পথচলা আসলেই ছিল জীবনের সুন্দরতম অনুভূতিগুলোর একটি।
কয়েক ঘণ্টা পাহাড়ি পথে চলার পর হঠাৎ আমাদের কানে আসতে থাকল নাফাখুমের অপূর্ব সেই ছল ছল শব্দ, রাতের অন্ধকার সেই শব্দকে করে তুলছিল আরও অনেক গম্ভীর। আমরা অবশেষে যখন চাঁদের আলোয়ে খুমের জল দেখতে পেলাম, আমাদের পরিশ্রম সত্যিই সার্থক মনে হচ্ছিল। নাফাখুমের পাশেই রয়েছে নাফাখুম পাড়া। এখানে রাতে থাকার এবং খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
স্থানীয়দের মাচায় তৈরি ঘরে আমাদের জিনিসপত্র রেখে আমরা দ্রুতই ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে বললাম। পাহাড়ে মুরগী, ডিম, সবজি, আলু ভর্তা, ডাল, ভাত ইত্যাদি অনেক কিছুই পাওয়া যায়। আপনাদের প্রয়োজনমতো চাইলেই অর্ডার দিতে পারবেন। রাতে খাবারের পরে আমরা বেরিয়ে পড়লাম চাঁদের আলোতে নাফাখুম দেখতে। জীবনের সেরা কিছু মূহুর্ত ছিল আমাদের জন্য, একদিকে বিপুল পরিমাণ জলরাশির ক্রমশ প্রবাহমান ধার আর অন্যদিকে জোৎস্নার যেন বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল। আমার বারবারই মনে হচ্ছিলো “ধরণী, তুমি কেন এত সুন্দর?”
পরদিন সকালে আমরা কুয়াশার চাদরে ঘেরা নাফাখুম দেখতে উঠে পড়লাম। খুব ভোরে পর্যটক কম ছিল, তাই খুব কাছ থেকে প্রকৃতির মাঝে আমরা হারিয়ে যাচ্ছিলাম বারবার। এর পাশাপাশি ছবি তোলা তো চলছিলই। নাফাখুম পাড়ায় আমরা সকালের নাস্তা সেরে আমরা দুপুর ১২টার দিকে যাত্রা শুরু করলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্য থুইসা পাড়ার উদ্দেশে। নাফাখুম থেকে থুইসা পাড়া যেতে কম বেশি ২ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ঝিরিপথে হাঁটার পরে পাহাড়ি রাস্তায় এগোতে হয়। এখান থেকেই শুরু হয় ট্রেকিংয়ের আসল রোমাঞ্চ। কেউ চাইলে এদিন রাতে থুইসা পাড়ায় না থেকে জিন্না পাড়াতেও রাতে থাকতে পারে এবং এরপর পরদিন জিন্না পাড়া থেকে আমিয়াখুম এবং ভেলাখুমের উদ্দেশে ট্রেকিং করতে পারে। নাফাখুম থেকে পাহাড়ি পথে প্রথমে জিন্না পাড়া পড়বে, এরপর থুইসা পাড়া।
কিন্তু এই দুই পাড়া অতিক্রম করার পরেও নিকোলাস পাড়া নামে আরেকটি পাড়া রয়েছে, সেখানে রাতে থাকা বেশি ভালো, কারণ এখানে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ভালো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। থুইসা কিংবা জিন্না পাড়াতে নেটওয়ার্ক পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার, টেলিটক ছাড়া অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে না। আমরা সেদিন বিকেলের মধ্যে থুইসা পাড়াতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। যাত্রাপথে বেশ কিছুদূর পর পর খাবারের ছোট দোকান পাওয়া যায়। সেখান থেকে পাহাড়ি কলা, পেঁপে ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে ব্যাগে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার রাখা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। থুইসা পাড়াতে রাতে আমরা পাহাড়ের বিখ্যাত ব্যাম্বু চিকেন (বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাঁশের ভিতরে রান্না করা হয়) খেয়েছিলাম।
পরদিন সকালে থুইসা পাড়া থেকে আমরা আমিয়াখুম, ভেলাখুম ও সাত ভাই খুম দেখার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। এই তিন খুমই কাছাকাছি অবস্থিত, দেবতার পাহাড় অতিক্রম করলেই এই খুমগুলোর দেখা মিলবে। থুইসা পাড়া থেকে দেবতার পাহাড় পর্যন্ত যেতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এ সময় বেশ কয়েকটি পাহাড় পেরোতে হয়। দেবতার পাহাড়ে পৌঁছানোর পূর্বে পথের মাঝে নিকোলাস পাড়া পড়বে, আমরা সেখানে একটু বিশ্রাম করে নিই। পুরো ট্রেকিংয়ে দেবতার পাহাড় মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং ধাপ ছিল। এ পাহাড়ে যারা যাবেন, পুরোটা সময়ই সাবধান থাকবেন। উচ্চতাভীতি থাকলে গাইড কিংবা অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেবেন। আমাদের পুরো দলের দেবতার পাহাড় ধরে নামতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছিল। কিন্তু একবার নামার পর খুমের রূপ আপনার পুরো পরিশ্রমকে সার্থক করে তুলবে।
আমরা দেবতার পাহাড় থেকে ভেলায় করে ভেলাখুমে পৌঁছাই। ভেলাখুমের পরিবেশ একটা স্নিগ্ধতা এনে দেয়। বড় বড় পাথর অতিক্রম করে ভেলাখুমের উৎসমুখের কাছাকাছি যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে ছোটবড় নানা ধরনের ঝর্ণার দেখা মেলে। মেলাখুমের শীতল জলে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে চুপচাপ বসে থাকুন। প্রকৃতি আপনাকে আত্মিক শান্তি এনে দেবে। একদিনে আমিয়াখুমে যাওয়ার জন্য আমরা একটু পরে আবার আমিয়াখুমের দিকে যাত্রা শুরু করি। ভেলা খুম থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় আমিয়াখুম। বলা হয়ে থাকে, আমিয়াখুম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। আসলেই আমিয়াখুমের বিরাট জলরাশির অবিরাম ধারা আপনাকে বারবার আকর্ষণ করবেই। ভালো সাঁতার জানা থাকলে নাফাখুম এবং আমিয়াখুমে গোসল করে ফেলতে পারেন। তবে বর্ষা মৌসুমে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে খুমগুলো। সে হিসেবে শীত বা বর্ষার শেষে খুমে ভ্রমণ করা শ্রেয়।
সারাদিন খুম দর্শনের পর দুপুর দু’টার দিকে আবার আমরা থুইসাপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। এবারে দেবতার পাহাড় দিয়ে উঠতে হয়। নামার তুলনায় দেবতার পাহাড়ে ওঠা সহজ। তবে প্রতিটি পদক্ষেপেই সতর্ক থাকা চাই। এরপর নিশ্চিন্তে বাকি পথ পাড়ি দিয়ে সন্ধ্যার আগেই আমাদের পুরো দল থুইসা পাড়ায় পৌঁছে যায়। থুইসা পাড়ায় আমাদের শেষ রাত ছিল অনেক স্মৃতিময়, সবাই মিলে খোলা আকাশের নিচে রাতে আড্ডা দেওয়া এবং পুরো অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে নান কথার ভিড়ে আকাশের তারারাও যেন যোগ দিচ্ছিল আমাদের সাথে।
বান্দরবানের শেষ সকাল দেখতে দেখতে এসে গেলো। থুইসাপাড়ায় আমাদের যে দিদি দেখাশোনা করেছেন, তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা আমাদের গাইড নিয়ে চললাম পদ্মঝিরির দিকে। খুব সকালেই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো কারণ পদ্মঝিরির এই ট্রেকিংয়ে মোটামুটি পাঁচ ঘণ্টা লেগে যায়। আমরা একটার পর একটা পাহাড়ে উঠছিলাম আর নামছিলাম। পথের মধ্যে নানা মানুষের সাথে দেখা হচ্ছিল। নতুন পাড়া, হরিশচন্দ্র পাড়া- এমন অনেক পাড়ার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে চাচ্ছিল পাহাড়ি পথ ধরে আমাদের অগ্রযাত্রা। আদিবাসীদের বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, তাদের জীবন ব্যবস্থা এর চেয়ে কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমাদের খুব বেশি হয় না। এভাবে আমরা পদ্ম ঝিরি পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আবার থানচির উদ্দেশে নৌকায় উঠি।
আবার সাঙ্গু নদী ধরে ফিরতি পথে আধঘণ্টাতেই আমরা পৌঁছে যাই থানচিতে। থানচি থেকে চাঁদের গাড়িতে বান্দরবান শহরে আসার সময় ভাবছিলাম, কত দ্রুতই না সময় কেটে যায়। পাহাড়ের জীবনধারার মাঝে থাকার সময়ে কত কঠিন পথই না অতিক্রম করেছি, আমরা তবুও দমে যাইনি। আর ভ্রমণের সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলেছি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে যথাযথ খেয়াল রেখেছি।