প্রকৃতির অপরুপ রুপ বৈচিত্র্যের একটি বৃহৎ অংশ ছড়িয়ে আছে পাহাড়ে-পর্বতে। পাহাড় মানে প্রকৃতির উদারতা আর সৌন্দর্য্যের মিলন। পাহাড় মানে রোমাঞ্চের সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া। পাহাড়ের গাছগাছালির সবুজ-শ্যামলিমা, ঝর্ণার গান, পাখির কলতান, স্ফটিকস্বচ্ছ জলের পাহাড়ী নদীর এঁকেবেঁকে বয়ে চলা কিংবা উপত্যকায় বিচিত্র প্রাণীদের ঘোরাফেরা সবই মনকে উদ্বেলিত করে। এরকম মনোরম কোনো পাহাড়ে সুপরিকল্পিতভাবে যদি কোনো শহর গড়া হয়, তাহলে সেই শহরটিও পাহাড়ের অবারিত রুপের সংস্পর্শে এসে রুপসী হয়ে ওঠে।
বৈচিত্র্যময় ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের দেশ ভারত পাহাড়-পর্বতে দারুণ সমৃদ্ধ। ভারতের এ মাথা থেকে ও মাথা, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তামিল নাড়ুতে ছড়িয়ে আছে হিমালয়সহ ২০টিরও বেশি পর্বতমালা। সেইসব পাহাড়-পর্বতকে ঘিরে ভারতে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য শহর। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীরা গ্রীষ্মকালের ভারতের অত্যধিক আর্দ্রতা ও অসহ্য গরম থেকে বাঁচতে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়ার কথা ভেবেছিল। এই ভাবনা থেকে তারা পাহাড়ের কোলঘেঁষে শহর বানিয়েছিল। এজন্য ভারতের পাহাড়ি শহরগুলোকে ‘Hill Station‘ বলা হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ও শহর। আজ আমরা পরিচিত হবো সৌন্দর্য এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ভারতের এমনি কিছু পাহাড়ি শহরের সাথে।
শ্রীনগর: ভূস্বর্গের ভেনিস
ঝিলম নদীর তীরে অবস্থিত তুষারশুভ্র পর্বতে ঘেরা শ্রীনগর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী। শ্রীনগরের মোহনীয় সৌন্দর্যের কারণে এটি হয়ে উঠেছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পাহাড়ি শহর। শ্রীনগরের প্রধান আকর্ষণ অপূর্ব সুন্দর ডাল লেক। লেকের জলে দেখা মেলে কাশ্মীরী ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন ‘শিকারা’র ।
শিকারা কাঠের তৈরী, বিচিত্র আকৃতির ও দারুণভাবে সজ্জিত বিশেষ এক ধরনের নৌকা। ডাল লেকের জলে ভেসে বেড়ানো শিকারা শ্রীনগর ও কাশ্মীরের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সূর্যাস্তের সময় ডাললেক শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্যের অবতারণা করে। ডাল লেক ও নাগিন লেকে দেখা মেলে ভাসমান সবজি বাজারের।
শ্রীনগরের আরেকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হচ্ছে মোঘল বাগান। সবুজ লন, উজ্জ্বল রঙের ফুলের বেড আর উচ্ছল ঝর্ণায় সজ্জিত তিনটি মোঘল বাগান রয়েছে- নিশাত বাগ, শালিমার বাগ ও চাশমাশাহী বাগান। রয়েছে জামিয়া মসজিদ, হযরতবল মাজার সহ অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। বরফে মোড়ানো পাহাড়, অপরুপ গাছগাছালি ও ফুলের সমারোহ, অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপনা- সব মিলিয়ে শ্রীনগরে গেলে আপনার মনে হবে আপনি সত্যিই পৃথিবীতে স্বর্গের দেখা পেয়েছেন!
সিমলা: পাহাড়ের রানী
হিমালয়ের পাদদেশে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২১৫৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত সিমলা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পাহাড়ি শহর। ব্রিটিশ শাসন শেষ হয়েছে কিন্তু আজও সেই সময়ের প্রতিধ্বনি খুঁজে পাওয়া যায় সিমলায়। ব্রিটিশ লর্ডদের তৈরী জাঁকজমকপূর্ণ দালানকোঠা এখনো চোখে পড়ে সিমলায়। ব্রিটিশদের এককালের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এখন হিমাচল প্রদেশের রাজধানী। পুরো শহরটি একটি শৈলশিরা মাঝে অবস্থিত।
শহরের চারদিকে রয়েছে পাইন, দেবদারু, ওক আর রডোডেনড্রনের ঘন বন। সিমলায় ঘুরে বেড়ানোর মতো অসংখ্য চোখ জুড়ানো স্থান রয়েছে। শহরের কেন্দ্রে রয়েছে প্রধান সড়ক মল রোড। প্রশস্ত এই সড়কটিই সিমলার বেশিরভাগ কর্মকান্ডের কেন্দ্রস্থল। অপরুপ এই সড়কেটিই এক বিকেলে হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখতে পারেন। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আরও আছে জাখু পাহাড়, জাখু মন্দির, গির্জা, গেইটি থিয়েটার, প্রধান শপিং মল, সামার হিল প্রভৃতি।
শীতকালে সিমলায় তুষার পড়ে, বরফ ঢাকা সিমলা নতুন রুপে সাজে। শীত সহ্য করতে পারলে সিমলায় শীতকালে যেতেও পারেন! তবে সিমলা ভ্রমণের আদর্শ সময় গ্রীষ্মকাল।
ওটি: নীলগিরির রত্ম
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের বিখ্যাত পাহাড়ি শহর ওটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭,৩৪৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই শহরটির গহীনে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। নীলগিরি পর্বতমালার কোলে অবস্থিত এই শহরটির প্রধান বৈশিষ্ট্য ঘন গাছগাছালিতে ছাওয়া ঢালু পাহাড়।
ওটির ছোট ছোট পাহাড় আর মালভূমিগুলোতে ছড়িয়ে আছে দিগন্তবিস্তৃত সবুজ চা বাগান । আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় চলতে চলতে দেখা যায় ওটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য।
ওটির জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে ওটি বোটানিক্যাল গার্ডেন, আভালাঞ্চা লেক, দদ্দাবেত্তা পর্বতশৃঙ্গ, ওটি লেক সহ আরো অনেক কিছু।
নৈনিতাল: লেক আর পাহাড়ের রাজ্য
উত্তর ভারতের উত্তরাখন্ড প্রদেশের পাহাড়ি শহর নৈনিতাল হিমলায়ের কুমায়ুন পর্বতশ্রেণীর পাদদেশে অবস্থিত। সবুজ পাহাড়ে আর নীল লেকের জাদুকরী সৌন্দর্য নৈনিতালকে ভারতের অন্যতম প্রধান হিল রিসোর্টে পরিণত করেছে। ছবির মতো সুন্দর এই শহরটিতে প্রাকৃতিক এবং ঐতিহাসিক অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে আছে।
অনিন্দ্যসুন্দর নৈনিতাল লেক, সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ টিফিন টপ, বিখ্যাত সাহিত্যিক জিম করবেটের বাড়ী গার্নি হাউজ, চার্চ সেইন্ট জন ইন দ্য ওয়াইল্ডারনেস প্রভৃতি নৈনিতালের জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ ।
কদায়কানাল: পাহাড়ি শহরের রাজকন্যা
তামিলনাড়ু প্রদেশের অন্যতম সেরা পাহাড়ি শহর কদায়কানাল। পালানি পর্বতশ্রেণীর কোলে অবস্থিত এই শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭,২০০ ফুট উঁচু। শহরের কেন্দ্রে রয়েছে কৃত্রিম লেক কদায়কানাল।
শহরের সব জায়গার দূরত্ব এই লেক থেকে পরিমাপ করা হয়। লেক, সুন্দর সুন্দর ঝর্ণা আর সবুজ পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত এই শহরটি। কদায়কানাল পরিপূর্ণ সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেয় তখনই যখন এর ঝর্ণাগুলো যথেষ্ট পানির প্রবাহ থাকে, রোদ কম থাকে আর আকাশে মেঘেরা ভেসে বেড়ায়। কদায়কানালের একটি বিশেষ আকর্ষণ নীলাকুরিঞ্জি ফুল।
এই ফুলটি ডিসেম্বর মাসে ১২ বছরে একবার ফোটে। শেষবার কুরিঞ্জি ফুলের কদায়কানালের উপত্যকা অন্যরকম এক নীলে সেজেছিল ২০০৬ সালে। ২০১৮ সালে কদায়কানাল আবারও সেই সৌন্দর্যের দেখা মিলতে পারে। তাই সম্ভব হলে এ বছর আপনার ভ্রমণের তালিকায় প্রথমদিকে রাখতে পারেন কদায়কানালকে!
দার্জিলিং: কালো চায়ের মুগ্ধতা
পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি শহর দার্জিলিংকে কে না চেনে! তুষারশুভ্র পর্বত, দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান, মনোমুগ্ধকর টয় ট্রেন- সবকিছু মিলিয়ে অনন্য সুন্দর দার্জিলিং। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দার্জিলিং ভারতের সবচেয়ে পুরনো পাহাড়ি শহরগুলোর একটি। দার্জিলিংয়ের প্রধান আকর্ষণ তুষারঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য আদর্শ জায়গা হচ্ছে টাইগার হিল।
সকালের প্রথম সূর্যালোক যখন ছুঁয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া তখনই টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সবচেয়ে মোহনীয়রুপে ধরা দেয়। এজন্য আপনাকে উঠতে হবে ভোর তিনটায়। পথে যেতে যেতে পান করতে পারেন গরম গরম চমৎকার এক কাপ চা। এই সবুজ চা বাগানের বিস্তৃতিই দার্জিলিংকে দারুণ এক সবুজের সমাহার উপহার দিয়েছে। দার্জিলিংয়ের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী শেরপা তেনজিং নোরগের প্রতিষ্ঠিত হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, জাপানী পিস প্যাগোডা, রক গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, বাতাসিয়া লুপ প্রভৃতি।
বাতাসিয়া লুপে টয় ট্রেনে চড়া আপনার দার্জিলিং ভ্রমণকে ভিন্নমাত্রা দেবে।
গ্যাংটক: উত্তর-পূর্বের আনন্দ
তুষারশুভ্র হিমালয়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত গ্যাংটক উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা পাহাড়ি শহর। সিকিম রাজ্যের রাজধানী এই শহরটি খাড়া শিবালিক পর্বতের গায়ে স্তরে স্তরে প্রোথিত। উঁচু পাহাড় থেকে দেখা যায় বিস্তৃত সবুজ নিমজ্জিত উপত্যকার নয়নাভিরাম দৃশ্য। গ্যাংটকে প্রচুর আশ্রম রয়েছে, বেশিরভাগই বৌদ্ধদের।
ব্যস্ত শহরটি তাই অনেকের কাছে প্রশান্তিরও আশ্রয়। পুরো ভারতে গ্যাংটকের মতো পরিচ্ছন্ন শহর কমই পাবেন। গ্যাংটকের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হচ্ছে-রুমটেক মঠ, হনুমান টক, কেচেওপালরি লেক, জওহরলাল নেহরু বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রভৃতি।
কপাল ভাল হলে দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘারও। তুষারমোড়া পর্বতশৃঙ্গ, স্বচ্ছ- সুন্দর পরিবেশ আর সবুজের প্রাচুর্য-সব মিলিয়ে অনন্য গ্যাংটক।
শিলং: উত্তরের স্কটল্যান্ড
শিলং মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী এবং মেঘালয়ের বৃহত্তম শহর। শিলং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৪৯৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। পাইনে ছাওয়া পাহাড় আর অপূর্ব সুন্দর ঝর্ণাদের স্বর্গরাজ্য শিলং।
শিলংয়ে মেঘ আর বৃষ্টিরা আপনাকে স্বাগত জানাবে। শিলংয়ে বৃষ্টি বেশি হয়। তাই শিলং গেলে সাথে ছাতা নিতে ভুলবেন না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও শিলংয়ে দেখতে পাবেন নান্দনিক সব শিল্পকর্মের। শিলংয়ের বাড়িগুলোর কথা বলছি। এখানকার বাড়িগুলোর নির্মাণশৈলী বিশেষ ধরনের। ঢালু ছাদ, নকশা করা কাঠের মেঝে আর প্রচুর জানালা থাকে বাড়িগুলোতে।
শিলংয়ের বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে উমিয়াম লেক (স্কটল্যান্ডের লেকের মতো করে বানানো কৃত্রিম লেক), ওয়ার্ডস লেক, লেডি হায়দারী পার্ক, সুইট ফলস প্রভৃতি।
মুন্নার: কেরালার কাশ্মীর
ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেরালার আকর্ষণীয় পাহাড়ি শহর মুন্নার। চা আর মশলার ঘ্রাণে সুবাসিত মুন্নার আপনাকে অন্যরকম এক সুন্দরের জগতে নিয়ে যাবে। মুন্নার এতটাই সুন্দর যে, শিল্পীর একটি ক্যানভাসে এর সৌন্দর্য এঁকে শেষ করা যাবে না। চা বাগানের সবুজে ছাওয়া বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নানা রকম ফুলে সুশোভিত পাহাড়ি উপত্যকা, আকাশছোঁয়া পাহাড়, সগর্জনে প্রবাহিত নদী, স্ফটিকস্বচ্ছ ঝর্ণা, সবুজ বন– কোনটিরই অভাব নেই মুন্নারে।
এছাড়াও রয়েছে বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এবং দুষ্প্রাপ্য উদ্ভিদ। মুন্নার তিনটি নদীর মোহনায় অবস্থিত। তাই বেশকিছু বাঁধও রয়েছে এখানে। মুন্নার দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বেশি চা উৎপন্নকারী এলাকা।
প্রচুর মশলাও পাওয়া যায় এখানে। ইরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক, চা জাদুঘর, মাট্টুপেটি বাঁধ প্রভৃতি মুন্নারের দর্শনীয় স্থান।
দেরাদুন: ভারতের স্কুল নগরী
এতক্ষণ যে পাহাড়ি শহরগুলোর কথা পড়লেন সেগুলো তাদের মনোহারিণী রূপের জন্যই বিখ্যাত ছিল। এখন বলব এমন একটি পাহাড়ি শহরের কথা যেটি সৌন্দর্য তো বটেই, শিক্ষার দিক থেকেও ভারতের যেকোনো বড় শহরকে টেক্কা দিতে পারে। শহরটির নাম দেরাদুন।
উত্তরাখন্ড প্রদেশে হিমালয়ের পাদদেশে দুটি নদীপ্রবাহের মাঝখানে অবস্থিত দেরাদুন শহরটি। বন আর পাহাড়ে ঘেরা দেরাদুনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কমতি নেই, ঐতিহাসিক স্থাপনাও রয়েছে। কিন্তু সৌন্দর্যের বা ইতিহাসের টানে নয়, মানুষ দেরাদুনে আসে শিক্ষা আর গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখতে।
দেরাদুনে রয়েছে বিশ্বমানের অনেক স্কুল। সেজন্য একে ‘স্কুল সিটি অব ইন্ডিয়া’ বলা হয়। এছাড়া হিমাচল প্রদেশের মানালি, ডালহৌসি, উত্তরাখন্ডের মাসুরি, আলমরা, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম, গুলমার্গসহ আরো অসংখ্য পাহাড়ি শহর রয়েছে ভারতে। অপরুপ এই পাহাড়ি এই শহরগুলো যেমন এদের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষকে কাছে টেনে ভারতের পর্যটন শিল্পকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায় তেমনি ধারণ করে আছে ভারতের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। সুযোগ পেলে শহরগুলো অবশ্যই ঘুরে আসবেন।
ফিচার ইমেজ- wallpapers13.com