Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ঘুরে আসুন জামালপুরের একমাত্র মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর ও গান্ধী আশ্রম

ভ্রমণের দ্বারা মানুষ একইসাথে আনন্দ ও বিনোদন পেয়ে থাকে। তাছাড়াও ভ্রমণের মাধ্যমে নানা অজানা তথ্য, ইতিহাস, ভ্রমণ এলাকার পরিবেশ, জাতি, ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারে। ভ্রমণকারীরা দেশ-বিদেশের মাটি ও মানুষের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়। ভ্রমণের দ্বারা অর্জিত স্মৃতি দীর্ঘদিন মানব মনে গাঁথা থাকে।

ইতিহাসপ্রেমীরা জানছেন নানা ধরনের ইতিহাস © লেখক

একটি দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানান দেওয়ার জন্য সে দেশের জাদুঘরগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার অনেক সময় জাদুঘরগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করার মাধ্যমে অত্র এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যও প্রকাশ করতে পারে। এমনই একটি জাদুঘর হচ্ছে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার কাপাসহাটিয়া গ্রামের ‘মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর’। যেখানে ভ্রমণ করতে গেলে জামালপুর সহ আশপাশের কয়েকটি জেলা-উপজেলার নানা অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়াও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরটিতে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম, ফকির বিদ্রোহ, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি সম্পর্কেও অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়।

১১ নং সেক্টরের আওতায় ছিল জামালপুর জেলা © লেখক

জামালপুর হচ্ছে দেশের ২০তম জেলা। ১৯৭৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর গঠিত হলেও এই জেলাটি জনবসতি ও জনপদের দিক থেকে অনেক পুরনো। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি, সমাজ ও উৎপাদন ব্যবস্থা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সবকিছুতেই রয়েছে প্রাচীনত্বের ছাপ। ১৭৬৩ – ১৮০০ সাল পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ বছর এই জনপদ ছিল সন্ন্যাসীগঞ্জরূপে। সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের পর উনিশ শতকে এ অঞ্চলে টিপু পাগলের নেতৃত্বে পাগলপন্থী বিদ্রোহ, দুবরাজ পাথর, জানকু পাথরের নেতৃত্বে আদিবাসী গারো-হাজংদের বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ সহ ছোট বড় নানা ধরনের বিদ্রোহ হয়েছিল।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও জামালপুরের ভূমিকা ছিল অনন্য সাধারণ। যুদ্ধকালীন ১১ নং সেক্টরের আওতায় থাকা জামালপুর জেলা থেকে ৫০০০ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিল। এ জেলায় ৮১ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন। শহীদ হন প্রায় ১৪০ জন এবং ৫০০ জন গণহত্যার শিকার হন। এছাড়াও ৩০০ জন মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এরূপ অসংখ্য তথ্য জানা যায় মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর থেকে। যা-ই হোক, আমরা আস্তে আস্তে জাদুঘরের ভেতর প্রবেশ করছি।

মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর © লেখক

দ্বিতল জাদুঘরটি জামালপুর জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উপর তলায় রয়েছে অডিটোরিয়াম। অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের উপর নানা ধরনের প্রামাণ্য অনুষ্ঠান দেখানো হয়। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিবসে নানা ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠান, নাটক, প্রতিযোগীতাও আয়োজিত হয় অডিটোরিয়ামে। নিচতলাকে জাদুঘরের প্রধান অংশ বলা যায়। এতে প্রবেশ করার পরপরই চোখে পড়বে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে মাতৃভূমির জন্য ফাঁসিকাষ্ঠে জীবন দিয়েছেন যারা তাদের তালিকা। এরপরই চোখে পড়বে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর মানচিত্র ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা।

টিপু পাগলের দুর্গ থেকে উদ্ধারকৃত পাথর © লেখক

একটু ভিতরে যেতেই দুটি পাথরের টুকরা চোখে পড়বে। পাথর দুটি জামালপুর-শেরপুর অঞ্চলের ঐতিহাসিক স্থান গরজরিপার টিপু পাগলের দুর্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ পাথরের টুকরোগুলো মনে করিয়ে দেবে পাগলপন্থী বিদ্রোহের কথা। ইংরেজ শাসন ও জমিদার গোষ্ঠীর শোষণ-উৎপীড়নের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ অঞ্চলে গারো বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ১৮০২ সালে। সে সময় গারো রাজ্য স্থাপনে গারো সর্দার ছপাতির প্রয়াস ব্যর্থ হলে টিপু পাগলের নেতৃত্বে গারো ও অন্যান্য প্রজারা খাজনা দেয়া বন্ধ করে দেয়। ‘সকল মানুষই ঈশ্বরসৃষ্ট, কেহ উচ্চ, কেহ নীচ এই রূপ প্রভেদ করা সঙ্গত নহে’ – এই পাগলপন্থী ধর্মমতে গারোদের দীক্ষিত ও সংগঠিত করেন টিপু পাগল।

বিদ্রোহের মূল ঘাটি ছিল জামালপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা শেরপুরের গরজরিপা। ১৮২৫ সালে টিপু পাগলের কাছে জমিদারগণ পরাজিত হয়ে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কালীগঞ্জে ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট ডেম্পিয়ারের কাছারি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলো। টিপুর নেতৃত্বে শেরপুরে নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। তবে বিদ্রোহ দমনের জন্য ইংরেজদের বড় এক সেনা দল রংপুর থেকে জামালপুরে ঘাটি স্থাপন করে। তাদের কাছে টিপু পাগল বন্দী হয়ে কারাবাস করতে থাকেন। কারাগারেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে জানকু পাথর ও দেবরাজ পাথরের নেতৃত্বে শেরপুর অঞ্চলে বেশ কিছু গারো বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়েছিল। সত্যিই অবাক হতে হয়, মাত্র দু’টুকরো পাথরের মাঝে এত ইতিহাস লুকিয়ে থাকতে পারে তা কেবল জাদুঘরে গেলেই বোঝা যায়।

বিপ্লবী রবি নিয়োগী ও সেলুলর জেলের ইতিহাস © লেখক

শুধু দু’টুকরো পাথর নয়। এগুলোর পাশেই আছে বিপ্লবী রবি নিয়োগীর চশমা। এই চশমাও জানান দেয় ব্রিটিশ শাসন-শোষণের কিছু অজানা ইতিহাস। ভারতে ব্রিটিশ শাসকদের জন্য বিপজ্জনক রাজবন্দিদের আন্দামান সেলুলর জেলে পাঠানো হয়েছিল ১৯০৮ সালে। সশস্ত্র বিপ্লববাদের ধারায় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জামালপুর-শেরপুর অঞ্চলের চার বিপ্লবী রবি নিয়োগী, বিধূভূষণ সেন, নগেন মোদক ও সুধেন্দু দাম। এরা আন্দামান সেলুলর জেলে কারাবন্দি ছিলেন। পরবর্তীতে দেশব্যাপী প্রবল আন্দোলন শুরু হলে ১৯৩৭ সালে সেলুলর জেল থেকে কারাবন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। বিপ্লবী রবি নিয়োগী আন্দামান সহ বিভিন্ন জেলে ৩৪ বছর কারাবন্দি ছিলেন।

জাদুঘরটি দেখতে গেলে ময়মনসিংহের ‘হাতিখেদা’ বিদ্রোহ নামে আরেকটি আন্দোলনের ইতিহাস জানার সুযোগ হবে। সুসঙ্গ পরগণার রাজা কিশোর ১৭৭০ সালে হাজং কৃষকদের জোর করে খেদার সাহায্যে বন্য হাতি ধরার কাজ করাতো। হাতিগুলোকে পোষ মানিয়ে মুর্শিদাবাদ-দিল্লি প্রভৃতি স্থানে বিক্রি করে মুনাফা অর্জনই ছিল রাজার নেশা। এই বিপজ্জনক কাজে বহু হাজং হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যেত। পরবর্তীতে হাজংরা মনা সর্দাদের নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তারা অনেক ‘হাতিখেদা’ ধ্বংস করে দেয়। পাঁচ বছর ধরে চলা বিদ্রোহের কারণে বাধ্যতামূলক খেদার সাহায্যে হাতি ধরার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এ দুটি বদ্ধভূমি জামালপুর সদর উপজেলাতেই দেখা যাবে © লেখক

জাদুঘরটিতে দেখা যাবে একটি ছোট কালো রংয়ের নৌকা। হক-ভাসানী ও শেখ মুজিবের প্রতীক নৌকাটি জনতার মিছিল হয়ে জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। একটু ভেতরে মাঝের গ্যালারিতে দেখা যাবে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের নানা কথা। টেবিলের উপর রাখা আছে জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া বধ্যভূমির মাটি। এগুলোর মধ্যে পি.টি.আই ক্যাম্প বদ্ধভূমি ও আশেক মাহমুদ কলেজ বদ্ধভূমি জামালপুর সদর উপজেলাতেই অবস্থিত। চাইলে সহজেই এ দুটি বদ্ধভূমি দেখা যাবে। এছাড়াও যেতে পারেন পিংনা বদ্ধভূমিতে। পিংকা বদ্ধভূমি জাদুঘর এলাকা থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটির নাম আলাদাভাবে বলার কারণ হচ্ছে এই পিংনায় পূর্বে বন্দর ছিল। যেখানে বড় বড় জাহাজ ভিড়তো। এছাড়াও পিংনা পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টারের দায়িত্ব পালনকালে মহাকবি কায়কোবাদ তার মহাশ্মশান কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। সেই পোস্ট অফিসটিও দেখার সুযোগ মিলবে।

পতাকা, রৌমারী-রাজিবপুর থেকে উদ্ধারকৃত মর্টার শেল ও মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহাব আলীর ব্যবহৃত বল্লম © লেখক

মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি তথা ‘একাত্তরের বিজয় গাঁথা’ গ্যালারির একটু ভেতরে দেখা মিলবে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, রৌমারী-রাজিবপুর থেকে সংগৃহিত মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত মর্টারশেল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহাব আলীর ব্যবহৃত বল্লম। এই বল্লম জানান দেয় পাকবাহিনীর ভারি অস্ত্র-গোলাবারুদের মুখে দেশীয় অস্ত্রের শক্তি। ঝিনাই নদীর পাড়ে, হাজীপুর বাজার সংলগ্ন মেস্তাপুর গ্রামে পাকবাহিনীকে গ্রামবাসীরা লাঠি, বল্লম, নৌকার বৈঠা ইত্যাদি দিয়ে ঘিরে ফেলেছিল। সে সময় হতদরিদ্র ওয়াহাব আলী ঘটনাস্থলেই শহীদ হয়েছিলেন। ঝিনাই নদীর পাড়ে অবস্থিত হাজীপুর বাজার, যা জাদুঘর থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।

১৯৩৬ সালের হাতের কারুকাজ © লেখক

জাদুঘরের শেষ গ্যালারির দেয়ালে দেখা মিলবে বাঁধাই করা হাতের কারুকাজ। দেখতে অতি কাঁচা হাতের কাজ মনে হতে পারে। কিন্তু তা নিয়ে যাবে গ্রাম-বাংলার অতীতে। ভালভাবে দেখলে দেখা যাবে কারুকার্য শিল্পী তার কাজের তারিখ লিখে রেখেছিলেন। জানা যায় কারুকাজটি ১৯৩৬ সালের। এখানে আরো দেখা যাবে ১৯৩৪ সালে জামালপুর গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে আশ্রমের পরিচালক ব্রিটিশ বিরোধী নেত্রী রাজিয়া খাতুন কর্তৃক ব্যবহৃত চরকার ভগ্নাংশ, আশ্রম পরিচালিত হস্তশিল্প বাঁশের ডালা, গান্ধী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা কৃষক নেতা নাসির উদ্দিন সরকারের ব্যবহৃত ছোট ও বড় টেবিল, চেয়ার, কাঠের আলমারী, কাঠের সিন্দুক ইত্যাদি। বড় টেবিলটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ও গোপনে নানা ধরনের বৈঠকে ব্যবহৃত হয়েছিল।

প্রবেশের সময় বামদিকে অবস্থিত গান্ধী আশ্রম © লেখক

এতক্ষণ যে গান্ধী আশ্রমের কথা বললাম তা কিন্তু জাদুঘর এলাকায় প্রবেশের সময় হাতের বামদিকে বাঁশের তৈরি ঘরটিই। গান্ধীর অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৩৪ সালে কৃষক নেতা নাসির উদ্দিন সরকার বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন গান্ধী আশ্রমটি। আশ্রমের ভেতর মেঝেতে রাখা আছে একটি চরকা। ৪টি কাঠের জানালা ও একটি দরজার সমন্বয়ে গঠিত আশ্রমের দেয়ালে মহাত্মা গান্ধীর নানা ধরনের কাজকর্মের ছবি ঝুলানো রয়েছে। এছাড়াও সেখানে রয়েছে নাসির সরকার, মেয়ে ব্রিটিশ বিরোধী নেত্রী রাজিয়া খাতুন ও পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেনের ছবি। মেয়ে রাজিয়া খাতুনই ছিলেন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক।

আশ্রম থেকে খাদি কাপড় বোনা, শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠাগার, হস্ত-কারুশিল্প, শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যসেবা সহ স্বদেশের মঙ্গলে নানাবিধ কর্ম সম্পাদিত হতো। পাকিস্তানী শাসক চক্র ১৯৪৮ সালে হামলা চালিয়ে আশ্রমের বহু স্থাপনা ধ্বংস করে দিলেও এই অফিস ঘরটি টিকে থাকে। এই অঞ্চলের জনগণের উদ্যোগে ২০০৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে মানবকল্যাণে জামালপুরের গান্ধী আশ্রমটি পুনরায় সচল হয়ে ওঠে। বর্তমানে এর পাশেই রয়েছে আধুনিক সেলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কক্ষ ও নাসির উদ্দিন স্মৃতি পাঠাগার, যেখানে বহু মূল্যবান বইপত্র পড়ার সুযোগ রয়েছে।

জাদুঘরটিতে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি বাসযোগে জামালপুর সদর উপজেলায় আসতে হবে। এছাড়াও ঢাকা থেকে ট্রেনেও জামালপুর আসা যায়। জামালপুর সদর উপজেলার গেট পার থেকে অটোরিকশা দিয়ে যেতে হবে হাজীপুর বাজার অথবা সরাসরি জাদুঘরেও যেতে পারবেন। জামালপুর সদর উপজেলা থেকে কাপাসহাটিয়া যেতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা। রাস্তা সরু হওয়ায় মাইক্রোবাস নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও বড় বাস নিয়ে যাওয়া যাবে না।

জাদুঘর এলাকায় থাকার কোনো সুব্যবস্থা নেই। তাই ফিরে যেতে চাইলে পিংনা হয়ে টাঙ্গাইলের ভেতর দিয়ে ঢাকায় অথবা সরাসরি বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে গিয়েও ঢাকায় যেতে পারবেন। আর যদি জামালপুরে থাকতে চান তবে শহরে অনেক সুন্দর সুন্দর আবাসিক হোটেল রয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে স্বল্প খরচে রাত্রি যাপনের সুযোগ রয়েছে।

ফিচার ইমেজ – © লেখক

Related Articles