মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১৩ মার্চ হঠাৎ করেই তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। একইসাথে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত করার ঘোষণা দেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পিওকে। আর সিআইএর নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেন বর্তমান উপ-পরিচালক মিস মিস জিনা হ্যাসপেলকে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করলেও টিলারসনকে বহিষ্কার করা ছিল ট্রাম্পের শাসনামলের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি। তাই গণমাধ্যমগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই এটিই থাকার কথা ছিল আলোচনার শীর্ষে। কিন্তু বাস্তবে এর পাশাপাশি প্রায় সমান আলোচনা হচ্ছে সিআইএ প্রধান হিসেবে জিনা হ্যাসপেলের নিয়োগ নিয়ে।
অনেকগুলো কারণে জিনা হ্যাসপেলের নিয়োগ আলোচিত হচ্ছে। প্রথমত, সিআইএর অধিকাংশ পরিচালকের মতো তাকে বাইরে থেকে এনে বসানো হয়নি, তিনি গত ১৮ বছর ধরে ধীরে ধীরে সিআইএর একেবারে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত উঠে এসেছেন। ফলে সিআইএ’র অভ্যন্তরে তার বেশ ভালো গ্রহণযোগ্যতা আছে। একইসাথে যদি এই নিয়োগ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তিনিই হতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের প্রথম নারী সিআইএ প্রধান।
তবে জিনা হ্যাসপেল সম্পর্কে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, তা হলো বুশ প্রশাসনের সময় তিনি ছিলেন সিআইএ কর্তৃক থাইল্যান্ডে পরিচালিত ব্ল্যাক সাইট বা গোপন বন্দীশালা ‘ক্যাট’স আই’ এর প্রধান। তার তত্ত্বাবধানে ২০০২ সালে ঐ ব্ল্যাক সাইটে সন্দেহভাজন আল-কায়েদা বন্দীদের উপর কঠোর নির্যাতন চালানো হতো। এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নির্যাতিত বন্দী ছিল আবু জুবায়দা, যাকে একমাসের মধ্যে ৮৩ বার ওয়াটারবোর্ডিং করা হয়।
জিনা হ্যাসপেল শুধুমাত্র তার অধীনে বন্দীদের উপর অমানবিক নির্যাচন চালানোরই ব্যবস্থা করেননি, পরবর্তীতে তদন্ত শুরু হলে তিনি নির্যাতনের ভিডিও নষ্ট করে ফেলার নির্দেশও দিয়েছিলেন। এসব কারণে সিআইএ প্রধান হিসেবে তার নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাজনৈতিকভাবে বিরোধী এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তো বটেই, রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন এবং র্যান্ড পলও তার নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন।
জিনা হ্যাসপেলের জন্ম ১৯৫৬ সালে। ১৯৮৫ সালে তিনি সিআইএতে যোগদান করেন। চাকরি জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি আন্ডারকভার এজেন্ট তথা গুপ্তচর হিসেবে অতিবাহিত করেছেন। তুরস্ক সহ এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তিনি সিআইএর স্টেশন চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ সালে তিনি থাইল্যান্ডে সিআইএর ব্ল্যাক সাইট পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, যেটি ছিল সিআইএ’র প্রথম ব্ল্যাক সাইটগুলোর মধ্যে একটি। থাইল্যান্ডে নির্যাতনের শিকারদের মধ্যে দুজনের ঘটনা বেশি আলোচিত। একজন আব্দুর রহিম আল-নাশিরি, যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০০০ সালে ইয়েমেনে মার্কিন রণতরী ইউএসএস কোলে বোমা হামলার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে। আর অন্যজন আবু জুবায়দা।
আবু জুবায়দা হলেন সৌদি আরবে জন্ম গ্রহণ করা ফিলিস্তিনী নাগরিক, যাকে আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পাকিস্তান থেকে ২০০২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোর অবস্থাতেই আবু জুবায়দা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বিরোধী সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে তরুণ আবু জুবায়দা আফগান গৃহযুদ্ধে মুজাহেদিনদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তিনি মুজাহেদিনদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
২০০১ সালের ৯/১১ এর আগে থেকেই আবু জুবায়দা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ২০০০ সাল থেকেই তাকে জ্যেষ্ঠ আল-কায়েদা নেতা, বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, মিসরীয় ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের সাবেক নেতা প্রভৃতি হিসেবে অভিযুক্ত করা হতে থাকে, যদিও শেষপর্যন্ত সেসব অভিযোগের অধিকাংশই প্রমাণিত হয়নি। ২০০০ সালে জর্ডানের একটি আদালত মার্কিন এবং ইসরায়েলি নাগরিকদের উপর বোমা হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে আবু জুবায়দাকে তার অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।
৯/১১ এর টুইন টাওয়ার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ জোরদার করে। ২০০২ সালে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় এফবিআই এবং সিআইএ কর্মকর্তারা আবু জুবায়দাকে তার ফয়সালাবাদের সেফ হাউজ থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় উরু, পাকস্থলী এবং অণ্ডকোষে একে-৪৭ রাইফেলের গুলি খেলেও প্রায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান আবু জুবায়দা। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে সিআইএ পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিল।
সে সময় সন্দেহভাজন আল-কায়েদা নেতাদের কাছ থেকে গোপন তথ্য বের করার জন্য বুশ প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের কৌশল অনুমোদন করতে শুরু করে, যাকে বলা হতো উন্নত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি তথা Enhanced Interrogation Method। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বন্দীদের উপর নির্যাতনে আইনী জটিলতা থাকায় সিআইএ এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গোপন আস্তানা চালু করতে থাকে, যেগুলোকে বলা হতো ব্ল্যাকসাইট। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদেরকে ঐসব দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে তাদের সহযোগিতায় নির্যাতন করে তথ্য আদায় করার চেষ্টা করা হতো।
গ্রেপ্তারের পর প্রথম কিছুদিন আবু জুবায়দাকে এফবিআইয়ের অধীনে রাখা হলেও শীঘ্রই সিআইএ তাকে নিজেদের অধীনে নিয়ে আসে এবং পরবর্তী চার বছর ধরে পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান, পোল্যান্ড এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ব্ল্যাক সাইটগুলোতে স্থানান্তর, জিজ্ঞাসাবাদ এবং নির্যাতন করতে থাকে। শেষপর্যন্ত ২০০৬ সালে তাকে কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সেখানেই আছেন।
সিআইএর ব্ল্যাক সাইটগুলোর মধ্যে আবু জুবায়দার উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করা হয় ২০০২ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে, থাইল্যান্ডের ‘ক্যাট’স আই’ (ভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘ডিটেনশন সাইট গ্রিন’) ব্ল্যাক সাইটে। গ্রেপ্তারের পর প্রথমে এফবিআইর হাতে বন্দী থাকা অবস্থাতেই আবু জুবায়দা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন। এবং সেগুলো তিনি দিয়েছিলেন কোনোরকম নির্যাতন ছাড়াই। কিন্তু তারপরেও তিনি হয়তো আরো তথ্য জানেন, এ অজুহাতে সিআইএ তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
‘ক্যাট’স আই’ ব্ল্যাক সাইটে আবু জুবায়দার উপর সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চলে ২০০২ সালের আগস্টের ৪ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত। দীর্ঘ ৪৭ দিন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখার পর এ ২০ দিন একটানা তার উপর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কৌশলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত ছিল ওয়াটারবোর্ডিং, যেখানে মুখের উপর তোয়ালে চেপে ধরে পানি ঢালা হতো। এই ২০ দিন সময়ের মধ্যে তাকে অন্তত ৮৩ বার ওয়াটারবোর্ডিং এর শিকার হতে হয়।
প্রতিবার ওয়াটারবোর্ডিং এর সময় আবু জুবায়দার পাকস্থলীসহ সারা শরীরে খিঁচুনি উঠত, এবং প্রায় সময়ই তিনি বমি করে দিতেন। এর মধ্যে একবার তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন এবং তার মুখ দিয়ে বুদবুদ ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ডাক্তাররা তার মুখ থেকে পানি বের করে তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। ওয়াটারবোর্ডিং এর সময় আবু জুবায়দা প্রায়ই কেঁদে ফেলতেন এবং আকুতি করতেন যেন ওয়াটারবোর্ডিং না করা হয়, কিন্তু তারপরেও তিনি সব সময়ই দাবি করতেন তার কাছে দেওয়ার মতো আর নতুন কোনো তথ্য নেই।
ওয়াটারবোর্ডিং ছাড়াও আবু জুবায়দাকে বাধ্যতামূলকভাবে নগ্ন করে রাখা হতো, গলার মধ্যে কাপড় পেঁচিয়ে কলারের মতো বানিয়ে সেটি টেনে হাঁটানো হতো এবং যখন খুশি তখন চড়, থাপড় ও দেয়ালের গায়ে মাথা ঠুকে দেওয়া হতো। এছাড়াও তাকে ঘুমাতে দেওয়া হতো না, তীব্র শব্দ শুনতে বাধ্য করা হতো এবং জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যবর্তী সময়গুলোতে অসুবিধাজনক স্থানে আটকে রাখা হতো।
‘ক্যাট’স আই’ এর ভেতর দুটি বক্স ছিল। এর মধ্যে বড়টির আকার ছিল প্রায় কফিনের আকারের সমান। আবু জুবায়দাকে সর্বমোট ২৬৬ ঘন্টা এ বক্সটিতে আটক করে রাখা হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত ছোট আরেকটি বাক্স ছিল, যার দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা ছিল মাত্র ৭৬ সেন্টিমিটার, আর প্রস্থ ছিল মাত্র ৫৩ সেন্টিমিটার। এই বক্সটিতে তাকে কাটাতে হয়েছিল মোট ২৯ ঘন্টা সময়।
ক্রমাগত নির্যাতনে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, আবু জুবায়দাকে ইশারা করামাত্রই তিনি নিজে থেকে ওয়াটারবোর্ডিং এর টেবিলে গিয়ে শুয়ে পড়তেন। কিন্তু তার পরেও সিআইএ তার মুখ থেকে নতুন কোনো তথ্য বের করতে পারেনি। ‘ক্যাট’স আই’ এর দায়িত্বে থাকা জিনা হ্যাসপেল সে সময় অন্তত একবার সরাসরি আবু জুবায়দাকে দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি যে, তার কাছে আর কোনো তথ্য নেই। তিনি আবু জুবায়দার শরীরে খিঁচুনি ওঠাকে অভিনয় হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন এবং নির্যাতন চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আবু জুবায়দাকে জিজ্ঞাসাদবাদ এবং তার উপর নির্যাতনের ঘটনাগুলো সে সময় ভিডিও করা হয়েছিল। ভিডিওগুলো ২০০৫ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সিআইএ স্টেশনের একটি সেফ হাউজে রাখা ছিল। কিন্তু ২০০৫ সালে সিনেটের ইন্টালিজেন্স কমিটি আইন বহির্ভূত নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করলে জিনা হ্যাসপেল ভিডিওগুলো নষ্ট করে ফেলার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সিনেট কমিটির ৬,৭০০ পৃষ্ঠার বিশাল রিপোর্টে আবু জুবায়দার উপর নির্যাতন এবং জিনা হ্যাসপেলের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত উঠে আসা। তদন্ত রিপোর্টে অবশ্য সরাসরি হ্যাসপেলের নাম উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু ভিন্ন প্রতিবেদন থেকে হ্যাসপেলের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়া যায়।
বন্দীদের উপর নির্যাতন ভালো ফলাফল দেয় কিনা, তা নিয়ে সবসময়ই বিতর্ক চলে এসেছে। অনেক রাজনীতিবিদ এর পক্ষে বক্তব্য দিলেও বাস্তবে অনেক সময়ই দেখা যায়, নির্যাতন বরং সন্ত্রাসবাদ আরো বৃদ্ধি করে এবং উস্কে দেয়। বুশ প্রশাসনের সময় চালু হওয়া বিভিন্ন নির্যাতন কৌশল পরবর্তীতে বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো তা আবারও ফিরিয়ে আনতে পারেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ওয়াটারবোর্ডিং সন্ত্রাস দমনে বেশ ভালো কাজ করে। তিনি আরো বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি ওয়াটারবোর্ডিং ফিরিয়ে আনবেন এবং এর চেয়েও আরো কঠোর নির্যাতনের পদ্ধতি চালু করবেন। সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পিওর মতামতও ট্রাম্পের মতোই। তিনি মনে করেন, ওয়াটারবোর্ডিং এবং অন্যান্য কঠোর পদ্ধতি টর্চারের পর্যায়েই পড়ে না। যারা আল-কায়েদার বিরুদ্ধে এ ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিল, তাদেরকে তিনি দেশপ্রেমিক বলেও দাবি করেন।
জিনা হ্যাসপেলের মতো ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে বন্দীদের উপর নির্যাতনের এবং আইন ভঙ্গ করে সে নির্যাতনের তথ্য গোপন করার প্রমাণ আছে, তাকে সিআইএর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়ে হয়তো ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিকেই যাত্রা শুরু করলেন। কিন্তু বিভিন্ন উচ্চপদস্থ মার্কিন সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক মেহদি হাসান তার ‘ব্লোব্যাক‘ নামক সিরিজে দেখিয়েছেন, কীভাবে টর্চারসহ বিভিন্ন আগ্রাসনমূলক ব্যবস্থা বাস্তবে সন্ত্রাসবাদকে আরো উস্কে দেয়, বিশ্বকে আরো অনিরাপদ করে তোলে। বুশ প্রশাসনের মতোই ট্রাম্পের হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত আবারো সেই পথেই হাঁটছে।
ফিচার ইমেজ- HRW