সৌদি আরব প্রবাসীদের জন্য ১২ ধরনের কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানিয়েছে জেদ্দা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সৌদি গেজেট। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম SPA (Saudi Press Agency) জানায়, আগামী নতুন হিজরি বর্ষ তথা সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
গত সোমবার সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী আলি বিন নাসের আল-গাফিস এ নির্দেশ জারি করেন। এ নির্দেশের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, সৌদি আরবের নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
12 activities off-limits for non-#Saudis — https://t.co/K8AhUFk5Pf #Expats #SaudiArabia @MLSD_SA pic.twitter.com/rVtVl1uBia
— Saudi Gazette (@Saudi_Gazette) January 29, 2018
সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খালিদ আবাল খালিল বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত কাজগুলো অধিকাংশই বিক্রয় সম্পর্কিত। এসব ক্ষেত্রে এখন থেকে বিদেশীরা কাজ করতে পারবে না। এগুলো শুধু সৌদি আরবের নারী এবং পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যারা এ নির্দেশ ভঙ্গ করবে, তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে বলেও উল্লেখ করেন আবাল খালিল।
বিদেশীদের পরিবর্তে সৌদি নারীরাও এসব দোকানে কাজ করার সুযোগ পাবেন, তবে নারীদেরকে কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের অনুপাত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবার মাস থেকে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির তৃতীয় ধাপের কর্মসূচী শুরু হয়। এর আওতায় নারীদের সুগন্ধি, জুতা, মোজা, ব্যাগ, তৈরি পোশাক প্রভৃতি দোকানে নারীদের কাজ করার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আবাল খালিল আরো জানান, বিষয়টি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির কাজ হবে কর্মক্ষেত্রগুলো সৌদিকরণ করার জন্য কর্মসূচী প্রণয়ন করা। এই কমিটিতে স্থান পাবে শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্যরা, যাদের দায়িত্ব হবে সম্পর্কিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যে ১২টি খাতে প্রবাসীরা কাজ করতে পারবে না, সেগুলো হলো:
- ঘড়ির দোকান
- চশমার দোকান
- মেডিকেল যন্ত্রাংশের দোকান
- ইলেক্ট্রিক্যাল সামগ্রী এবং ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান
- গাড়ির যন্ত্রাংশের দোকান
- ভবন নির্মাণ সামগ্রীর দোকান
- কার্পেটের দোকান
- গাড়ি এবং মোটর সাইকেলের শো-রুম
- গৃহস্থালি ও অফিস আদালতের আসবাবপত্রের দোকান
- তৈরি পোশাক এবং শিশু ও পুরুষদের টুকিটাকি জিনিসের দোকান
- গৃহস্থালি টুকাটাকি জিনিসের দোকান
- পেস্ট্রির দোকান
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের যে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক সৌদি আরবে আছেন, তাদের অনেকেই এ ধরনের দোকানপাটে চাকরি করতেন। এ সিদ্ধান্তের ফলে তাদের কর্মসংস্থানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
ফিচার ইমেজ- Reuters