সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্যবাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১৯ ডিসেম্বর এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি জানান, ৩০ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত সকল সৈন্যকে।
আইসিসের বিপক্ষে যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করেছি। আমরা তাদেরকে হারিয়ে দিয়েছি। আমরা তাদেরকে খুব বাজেভাবে হারিয়ে দিয়েছি। আমরা ভূমি পূনর্দখল করেছি। এখন আমাদের সৈন্যদের ঘরে ফেরার পালা।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়ায় সৈন্য মোতায়েনের মূল লক্ষ্যই ছিল সেখানে জঙ্গিবাহিনী আইসিসের উত্থান দমন করা। সেই লক্ষ্য তারা বেশ ভালোভাবেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পেন্টাগন ইন্সপেক্টর জেনারেলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আইসিস সিরিয়ায় তাদের দখলকৃত ভূমির শতকরা ৯৯ ভাগ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় হুমকি হয়ে ওঠা আইসিস এখন পরিণত হয়েছে নখদন্তহীন বাঘে। ট্রাম্প তাই মনে করছেন, আইসিসের দ্বারা তার দেশের আর কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব
ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সেনাবাহিনীর অনেক শীর্ষ পদধারী কর্মকর্তাই মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস তো পদত্যাগই করে বসেছেন। জঙ্গিবাদবিরোধী বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এখনই মার্কিন সৈন্যরা সিরিয়া ছাড়লে পুনরুত্থান ঘটতে পারে ইসলামিক স্টেটের। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প তার শত্রুদেরকে ‘বড়দিনের উপহার’ দিলেন।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
নিজ দেশেই এমন চরম বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েও আত্মবিশ্বাস হারাননি ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, কারো সুবিধা করে দেননি তিনি। বরং তার এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়তে পারে অনেকেই। আইসিস যদি আবারও মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, তাদেরকে আবারো মাটিতে মিশিয়ে দেবেন তিনি!
যুক্তরাষ্ট্র কি মধ্যপ্রাচ্যের পুলিশম্যান হতে চায়? নিজেরা কোনো কিছু না পেয়েও মূল্যবান অসংখ্য জীবন ও ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে চায় তাদের রক্ষা করার জন্য, যারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাম্পের কোনো কাজকেই ভালো চোখে দেখে না? আমরা কি সেখানে (সিরিয়ায়) চিরকাল থাকতে চাই? এখন সময় এসেছে অন্যদেরও লড়াইয়ে সামিল হওয়ার…
“…রাশিয়া, ইরান, সিরিয়া এবং আরও অনেকেই খুশি নয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থানের ঘোষণায়। যদিও অনেক ভুয়া সংবাদে ভিন্ন কিছুর দেখা মিলছে। কারণ এখন আমাদেরকে ছাড়াই তাদেরকে আইসিসের মোকাবিলা করতে হবে। এদিকে আমি গড়ে তুলছি যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী। যদি আইসিস আমাদের আঘাত করে, তারা শেষ হয়ে যাবে!
টুইটারে এভাবেই নিজের অবস্থান জানান ট্রাম্প।
লাভ-ক্ষতির হিসাব
তবে ট্রাম্প যত যা-ই বলুন না কেন, তার ঘোষণার পরই চতুর্দিকে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কারা লাভবান হতে চলেছে, আর কারাই বা হতে যাচ্ছে ক্ষতির শিকার? চলুন আমরাও খুঁজি সেই প্রশ্নের সদুত্তর।
লাভবান যারা
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার সবচেয়ে বড় মিত্র রাশিয়া ও ইরান, সকলেই লাভবান হতে চলেছে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে। এছাড়াও লাভ হবে তুরস্ক ও ইসলামিক স্টেটেরও।
ইরান
সিরিয়ার সমর্থনে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে ইরান। সিরিয়ায় চলতি যুদ্ধে বহির্শক্তিগুলোর মধ্যে তাদের সম্পৃক্ততাই সর্বাধিক, আর তাই তাদের হারানোর ভয়ও অন্যদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সিরিয়ার জন্য তারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কৌশলগত মানচিত্রই নতুন করে অংকন করেছে। সিরিয়ায় তারা হাজার হাজার শিয়া বাহিনী প্রেরণ করেছে, যারা আসাদকে ক্ষমতায় রাখার জন্য স্থলে ও আকাশে, দুই ক্ষেত্রেই লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের লাভও হয়েছে। সিরিয়ার ভেতর দিয়ে তারা লেবাননে নিজেদের শিয়া মিত্রবাহিনী হিজবুল্লাহকে অস্ত্রের জোগান দিতে পারছে। ফলে চাপে রাখতে পারছে তাদের এবং হিজবুল্লাহর অভিন্ন শত্রু ইসরায়েলকে।
ইরান শিয়া যোদ্ধাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে শক্তিশালীও করেছে। এদিকে মজবুত করেছে ইরাক ও লেবাননে থাকা তাদের মিত্রবাহিনীগুলোর সাথেও। এর সবকিছুর মূলেই রয়েছে একটি মিত্রজোট গড়ে তোলার স্পৃহা, যারা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোণঠাসা করতে পারবে ইসরায়েলকে।
রাশিয়া
লাভবান হবে রাশিয়াও। ট্রাম্পের ঘোষণার একদিন পরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেটিকে স্বাগত জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডোনাল্ড সঠিক, আমি তার সাথে একমত।
আসাদের সরকারের ক্ষমতা সুসংহত করার লক্ষ্যে রাশিয়া সিরিয়ায় ৫,০০০ সৈন্য ও কয়েক ডজন যুদ্ধ বিমান প্রেরণ করেছে। এর মাধ্যমে তারা সিরিয়ার তারতাস বন্দর ও ভূমধ্যসাগরে নিজেদের নৌবহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এভাবে খুব সামান্য বিনিয়োগের মাধ্যমেই রাশিয়া সিরিয়ার সাথে বন্ধুত্ব সৃষ্টির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বাঙ্গণে তারা একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের ফলেই।
বাশার আল আসাদ
লাভের গুড় খাবেন আসাদও। মার্কিন সৈন্যবাহিনীর প্রস্থানে একদিকে যেমন তার একটি শত্রু কমলো, তেমনি শক্তি বাড়ল তার মিত্রদেরও। আর তাই তার ক্ষমতায় থাকার পথ আগের চেয়েও অনেক বেশি সুগম হলো। নিজ দেশে তার দুইটি শত্রুপক্ষ ছিল, একটি হলো তার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী দল ও অন্যটি ইসলামিক স্টেট। এদের মধ্যে মার্কিন সৈন্যদের সহায়তায় দ্বিতীয়টিকে তো ইতিমধ্যেই ঘায়েল করা সক্ষম হয়েছে। আর দীর্ঘদিনের ব্যর্থ বিদ্রোহের ফলে প্রথম দলটিও এখন অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।
তুরস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয়ই ন্যাটোর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, সিরিয়া সংকট প্রশ্নে তাদের মধ্যকার বিরোধ ক্রমশই চরমে পৌঁছাচ্ছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয়ই আসাদের বিরোধী, তারপরও তারা একে অপরের বিপক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছিল কুর্দি বাহিনীর কারণে। ইসলামিক স্টেটকে কাবু করতে যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সিরিয়ার এই কুর্দি বাহিনীর সাথেই যোগাযোগ রয়েছে তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিদের, যারা তুরস্কের অধীন থেকে বেরিয়ে নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। তাই সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর সাথে বন্ধুত্ব পরোক্ষভাবে তুরস্কের বিরোধিতারই সামিল।
সিরিয়ার কুর্দিদের পরাস্ত করার লক্ষ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান অনেকদিন ধরেই সিরিয়ায় সৈন্য প্রেরণ করে কুর্দিদের আক্রমণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু পারছিলেন না কেবল সিরিয়ার কুর্দির কাঁধে ওয়াশিংটনের হাত থাকায়। কিন্তু এবার যেহেতু সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার করছে, তাই কুর্দি বাহিনীর পাশে আর কেউ থাকছে না। তুরস্ক চাইলেই যখন তখন সিরিয়ায় ঢুকে কুর্দি বাহিনীর ডানা ছেঁটে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে আসাদ সরকার, রাশিয়া বা ইরানও তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। ফলে একাধারে তুরস্ক যেমন সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীকে থামিয়ে দিতে পারবে, তেমনি চিরতরে মুখ বন্ধ করে দিতে পারবে নিজ দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও।
ইসলামিক স্টেট
এ কথা সত্য যে, ইসলামিক স্টেট তাদের শতকরা ৯৯ ভাগ ভূমিই হারিয়েছে। ফলে তাদের পক্ষে আবারও শক্তি সঞ্চয় করে পুনরুত্থান ঘটানো কঠিনই বটে। কিন্তু যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ায় তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীকে ঘায়েল করে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে সিরিয়ায় আইসিস পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়ে যাবে। তখন তারা যে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের একটি শেষ চেষ্টা অবশ্যই করবে, সে ব্যাপারে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।
ক্ষতি হবে যাদের
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে নিঃসন্দেহে কুর্দি বাহিনীর। বিপাকে পড়বে ইসরায়েলও। আর সিরিয়ার সাধারণ মানুষ তো বরাবরই বলির পাঁঠা।
কুর্দি বাহিনী
ইসলামিক স্টেটের বিপক্ষে লড়াইয়ে কুর্দি বাহিনীর সবচেয়ে বড় ভরসার স্থল ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই যুক্তরাষ্ট্রই হুট করে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এ পর্যন্তও ঠিক ছিল। কিন্তু সমস্যা হলো, এখন কেবল আইসিসই কুর্দি বাহিনীর শত্রু নয়। বরং আরও বড় শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তুরস্ক, যাদের পক্ষে এবার সিরিয়ায় প্রবেশ করে তাদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়াও খুবই সম্ভব।
এদিকে কুর্দি বাহিনী সহায়তা পাবে না স্থানীয় সরকারের কাছ থেকেও। বরং সম্ভব হলে স্থানীয় সরকারও ছোবল মারতে ছাড়বে না তাদেরকে। সব মিলিয়ে কুর্দি বাহিনীর এখন দ্বিমুখী বিপদ। এই বিপদ কাটিয়ে তারা টিকে থাকতে পারবে, এতটা আশাবাদী হতে পারছে না কেউই। নিরুপায় কুর্দি বাহিনীর এখন কেবল যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারী আচরণে নিজেদের প্রতারিত বলে মনে হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
ইসরায়েল
সিরিয়া জুড়ে এখন ইরানের সৈন্যদের অবাধ বিচরণ। দেশটিকে তারা এখন অনেকটা নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবেই যেন ব্যবহার করছে। সেই সাথে তারা হিজবুল্লাহর সাথে ঐক্যও প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলছে। এমতাবস্থায় তারা যদি সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলের সৈন্যদের আক্রমণ করে বসে, শেষোক্তরা পালানোর পথ পাবে না। এতদিন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মার্কিন সৈন্যরা থাকায় ইসরায়েল কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিল। কিন্তু এখন তারা পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়বে। ইরানের কাছে পরাজয়টাই কেবল শেষ কথা নয়। ইরান ও রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিপত্তিশালী রাষ্ট্র হয়ে ওঠা মানে ইসরায়েল এই অঞ্চলে একেবারেই কোণঠাসা হয়ে পড়বে।
সাধারণ মানুষ
সিরিয়ার অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, যে পক্ষই লাভবান হোক না কেন, একটি পক্ষ নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সেই পক্ষটি হলো সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে, দেশের বাইরে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী হিসেবে বেঁচে আছে। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে যদি নতুন করে কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়, এর ফলে গোটা সিরিয়া জুড়েই আরও এক দফা মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি বেশ কয়েকবছর ধরেই সিরিয়ার কিছু অংশে ত্রাণকার্য চালিয়ে আসছে। তারা ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে যে, সিরিয়ায় যদি তুর্কি সৈন্যবাহিনী এসে আক্রমণ চালায়, এতে কুর্দি বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হোক বা না হোক, সাধারণ মানুষের অবস্থা হবে ভয়াবহ। একদিকে যেমন সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাবে কুর্দি সশস্ত্র বাহিনী, তেমনি ওই অঞ্চল ছেড়ে পালাতে হবে সাধারণ কুর্দি জনগণকে। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? জানে না কেউ। তবে একটি কথা সবারই জানা যে, আরও একটি মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দরজায় কড়া নাড়ছে।
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/