ভারত-পাকিস্তান সংকট: পরিস্থিতি পর্যালোচনা

পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এই এলাকায় বিস্তর প্রভাব ফেলে। দেশভাগের পর থেকে বেশ কয়েকবার এই দুটি দেশ একে অপরের সাথে সংঘর্ষ কিংবা যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ১৯৪৭, ১৯৬৫, ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৯৯ সালে কারগিলে। কারগিল হচ্ছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলের একটি জেলার শহর। এরকম আরো বহুবার ছোট-বড় রেষারেষি, সাংঘর্ষিক ঘটনা, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোন্দলে জর্জরিত হয়ে আছে দুটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক, যার মধ্যে বেশিরভাগই কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে হয়েছে।

সম্প্রতি একটি জঙ্গী হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতীয় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ৪০ জন সৈনিক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের জৈশ-ই-মোহম্মদ নামক এক জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আদিল আহমাদ দার নামে একজন স্থানীয় তরুণ এই হামলাটি করে এবং হামলার ধরন আত্মঘাতী হওয়ায় সে নিজেও মারা যায়।

ঘটনার পরপরই ভারত রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং পাকিস্তানকে দোষারোপ করে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে হামলার জবাব দেয়ার হুমকি জানায়। অন্যদিকে পাকিস্তান যেকোনো দায় অস্বীকার করে ভারতকে তদন্তে সাহায্য করার কথা জানায়। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তকেন্দ্রীক সংকট নতুন করে আবির্ভূত হয়, যার গতিরূপ অনুসারে একটি ভয়ংকর যুদ্ধের দিকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।

পুলওয়ামা হামলা; Image Source: indiatoday.in

পুলওয়ামা হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে দু’দেশের সামরিক বাহিনী সদা তৎপর যুদ্ধভাবাপন্ন অবস্থায় অবস্থান নিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি এবং পণ্য আনা-নেয়ায় কঠিনভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ওয়াগাহ আত্তারি সীমান্তে পাকিস্তানের প্রায় ৪৫০ ট্রাক বেশ কিছুদিন যাবৎ আটকা পড়েছিল এবং নিরাপত্তা কর্মীদের বাধার মুখে ভারতে প্রবেশ করতে পারছিলো না। অথচ সেই ট্রাকগুলোতে মোদি সরকারের ঘোষণা মতে কেরালা অঞ্চলে হওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সিমেন্ট ও অন্যান্য দ্রব্যাদি ছিল। তাছাড়া পাকিস্তানের সরকার সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য সীমান্তে ‘সংকট ব্যবস্থাপনা সেল’ স্থাপন করেছে।

২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিমান বাহিনী একটি মিশনে পাকিস্তানের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে বালাকোট নামক জায়গায় জৈশ-ই-মোহম্মদের ঘাটিতে আক্রমণ চালানোর দাবি করে। তাদের মতে, প্রায় ৩০০-৩৫০ জঙ্গিকে তারা নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করার জবাবে এর পরদিন পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর একটি সামরিক বিমান ভারতে প্রবেশ করে এবং সেখানে ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান সেটিকে ধাওয়া দেয়। এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের আঘাতে একটি ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের ভেতরে ভূপাতিত হয়। এতে একজন ভারতীয় পাইলটকে আটক করা হয়। বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন বিমানবন্দর ও বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। সীমান্ত এলাকায়, এমনকি ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ (LOC) সীমান্ত অতিক্রম করে এরকম সাংঘর্ষিক ও অতিমাত্রায় গম্ভীর ঘটনার সূত্রপাতে চারদিকে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।  

ভূপাতিত ভারতীয় বিমান; Image Source: bbc.co.uk

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব পিসের এশিয়া সেন্টারের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঈদ ইউসুফ বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তান সংকট তৈরির জন্য যথেষ্ট আলামত বর্তমান পরিস্থিতিতে রয়েছে।” নয়া দিল্লি যদি শাস্তিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে পাকিস্তানকে জবাব দেয়, তাহলে দুই ঐতিহাসিক শত্রুর মধ্যে পরিপূর্ণ সংকট তৈরি হয়ে যাবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি টুইট বার্তায় তো প্রতিজ্ঞা করেছেনই যে, এই সহিংসতার কড়া জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেছেন, “কোনো শক্তি ভারতের শান্তি, প্রগতি ও স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না।” দুই লাইনের বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটি কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ক্রমবর্ধমান কর্মকাণ্ডের সর্বদা নিন্দা জানিয়েছে এবং তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে “ভারত সরকার এবং মিডিয়া চ্যানেলগুলোর যেকোনো পরোক্ষ আক্রমণের উপাদানগুলোকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করবে” পাকিস্তান।

মোঈদ ইউসুফ আরো বলেছেন, “যদি মোদি পাকিস্তানকে হুমকি দেন, তাহলে এই একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ির কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।” বিজেপির সাংসদ সুব্রামানিয়ান স্বামী টুইটারে জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলতে হবে ভারতকে।” মোশাররফ জাইদি নামক একজন সাবেক উপদেষ্টা বলেছেন, ভারত যদি কোনো কিছু করে তাহলে পাকিস্তানও জবাব দিতে বাধ্য হবে। তিনি আরো বলেছেন, “উপরের সিড়ি খুবই খাড়া এবং ভয়ানক পরিণতির সম্ভাবনা আছে।” অন্যদিকে ১লা মার্চ আটককৃত ভারতীয় পাইলটকে শান্তির বার্তা হিসেবে পাকিস্তান থেকে ছেড়ে দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মোদি ও ইমরান খানের মধ্যে হয়তো সংলাপ হতে পারে, কিন্তু অনেকেই এর গতিরূপ  নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। 

পাইলট অভিনন্দনের মুক্তিতে আনন্দ; Image Source: independent.ie

পশ্চিমা কূটনীতিক এবং নয়া দিল্লি, ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন সরকারের সূত্রমতে, একটি পর্যায়ে গিয়ে পাকিস্তানের উপর অন্ততপক্ষে ৬টি মিসাইল আক্রমণ করার ব্যাপারে ভারত হুমকি দেয় এবং ইসলামাবাদ বলেছে যে, তারা জবাবে এর চাইতে তিনগুণ মিসাইল আক্রমণ করবে। এই তথ্যটি রয়টার্স সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তারা নিশ্চিত করেনি যে কারা হুমকিটি দিয়েছে এবং কারা হুমকি পেয়েছে, কিন্তু একজন মন্ত্রী বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা একে অপরের সাথে সংঘর্ষের সময়ে যোগাযোগও করছে এবং তা বজায় আছে। কূটনীতিবিদরা বলছেন, দু’দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সংকটটি ভুল সংকেত ও সম্পর্কের অদূরদর্শীতার অভাবে বাড়তে পারে।        

ভারত ও পাকিস্তান বর্তমানে কয়েক দশক ধরে তাদের সবচেয়ে গুরুতর সংকটের মধ্যে জড়িয়ে আছে। দুই পরমাণু শক্তিধর পক্ষের মধ্যে পারমাণবিক বোমার বিনিময়ের সম্ভাবনা কম হলেও একেবারে নেই যে তা বলা যায় না। এটি বলেছেন মাইকেল কুগেলম্যান, যিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলার্সে দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র সহযোগী এবং এশিয়া প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর।

ভারত ও পাকিস্তানের আনুমানিক ১৩০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যেগুলো সরবরাহ করার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় বিমান, মিসাইল এবং জাহাজ। ফলস্বরূপ, এই অঞ্চলটি বিপজ্জনকভাবে একটি পারমাণবিক যুদ্ধের কাছাকাছি অবস্থান করছে। যে লাইন অতিক্রম করা হলে ফলাফল হিসেবে অঞ্চলটি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সমগ্র বিশ্বের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সেটি। কোনো দেশের পারমাণবিক অস্ত্র থাকলে সাধারণত তা যুদ্ধে ব্যবহার করতে দেখা যায় না। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৪৫ সালের পর থেকে কোনো দেশ ব্যবহারও করেনি। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র আছে এমন রাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করতে পিছপা হয় না। এর মানে হলো- পারমাণবিক সংঘাত বিষয়ক বাস্তবতা কাছাকাছি না হলেও, খুব বেশি দূরেও নয়। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের সাথে এই বিষয়টি তুলনা করা যেতে পারে। কারণ তারা খুবই গুরুতর সংকটের মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা ফেলে দেয়া যায় না। যদি উত্তেজনা সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়- ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে, পাশাপাশি জাতিসংঘের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও উত্তেজনা দমন করতে হস্তক্ষেপ করবে।

পুলওয়ামা হামলার পর আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ; © Channi Anand

কিন্তু এসবের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কীরুপ এবং এ দেশের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে আসলে প্রত্যেক জনগণের মধ্যে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ে নানা কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ভাবছেন এবং বাংলাদেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় সবরকম ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। দুটি দেশের সাথে দু’রকম সম্পর্কের আবরণে বাংলাদেশের উপর আদৌ কোনো প্রভাব পড়বে কি না যদি ভারত-পাকিস্তানের মতো পারমাণবিক দিক দিয়ে শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত ও সংকট বিরাজমান থাকে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, অবশ্যই আমরা বিনিয়োগের কথা ভাবি, ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা ভাবি, বাইরে লোক পাঠানোর কথা বলি- এ বিষয়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কূটনৈতিকভাবে এটা একটা বড় জায়গা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের যেটির সঙ্গে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, সেটি হলো ভারত। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গবেষক অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন, আপাতত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু না হলেও সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে বাণিজ্যিক যেসব সুযোগ-সুবিধার পেতে পারতো সেটা এই চলমান উত্তেজনা একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করলো বাংলাদেশের জন্য। এই নতুন উত্তেজনার ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলো অর্থনৈতিক যে সুযোগ-সুবিধা অর্জন করতে পারতো, সেটাকে আরো পিছিয়ে দিল বা একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রোকসানা কিবরিয়া বলেন, চলমান উত্তেজনা, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের উপর কতটা প্রভাব পড়বে সেটা বোঝা যাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার অবস্থান এবং প্রতিক্রিয়া কী সেটা দেখা। পুলওয়ামা হামলায় বাংলাদেশে নিন্দা জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা হলো একটি নীতিগত অবস্থান জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তবে অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, একেবারে ক্ষতির দিক চিন্তা না করে এর উল্টোটাও হতে পারে। যদি উত্তেজনা বাড়তে থাকে তাহলে ভারত-পাকিস্তান যে পণ্যগুলো উভয় দেশ থেকে আমদানি করতো, সেসব পণ্য পাশের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নিতে পারে এমন সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে।

পুলওয়ামা হামলায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন মোদি; Image Source: businesstoday.in

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, “আমরা আশা করি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই সংযত নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করতে পারে, সংলাপের জন্য সহায়ক উদ্যোগ গ্রহণ করবে, এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাবে।” তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট কাভুসোগ্লু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই চাপের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমরা স্বাভাবিক চিন্তার জন্য এবং দলগুলোর মধ্যে শান্তির জন্য আহ্বান জানাতে চাই। যেসব বিষয় সমস্যাকে বাড়িয়ে দেবে এমন পদক্ষেপগুলো এড়াতে হবে।

আন্তর্জাতিক আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য উপদেশ দিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে উভয় দেশকে শান্ত থেকে নিজেদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, “আমরা উভয় দেশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানাই।” যুক্তরাজ্য পুরো বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদী বক্তব্যে জানিয়েছেন যে, তারা বিষয়টি সুরাহা করার জন্য উভয় দেশকে সাহায্য করছে এবং খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে।

This Bangla article is about the recent India-Pakistan tensions erupting after the Pulwama attack. Necessary references have been hyperlinked.

Feature Image: reuters.com

Related Articles

Exit mobile version