৮ বছর বয়সী একটা বাচ্চা যদি আপনাকে বলে যে সে সামনের বছর হাই স্কুল শেষ করতে চায়, তাহলে কেমন লাগবে আপনার? হাসবেন, নাকি উল্টোপাল্টা কিছু একটা বুঝিয়ে ঠান্ডা রাখবেন তাকে?
হ্যারিসবার্গের ডেভিড বালোগানের বেলায় কিন্তু মোটেও সেটা হয়নি। শৈশব থেকেই সে খুব দ্রুত যেকোনো কিছু শিখতে পারে। তাই মা-বাবা ভেবেছিলেন, এটাও ডেভিড করতেই পারবে, যদি তার ইচ্ছে থাকে। তাদের উৎসাহে ডেভিড শুরু করে তার পড়াশোনা।
৭ বছর বয়সে প্রথম ক্লাস থ্রি-তে ডেভিডকে ভর্তি করান মা রনিয়া বালোগান। মাত্র ৪ বছর বয়সেই সোলার সিস্টেম নিয়ে সবকিছু জানা হয়ে গিয়েছিল ডেভিডের। সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই মহাশূন্য আর মানবজাতি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতো। নতুন ভাষার কঠিন সব শব্দ শেখাও তার প্রিয় কাজ। সে যে খুব দ্রুত যেকোনো কিছু শিখে ফেলতে পারে তা-ও জানতেন মা রনিয়া। ২০২০ সালে বাবা হেনরি আর মা রনিয়া তাই ডেভিডকে ভর্তি করান রীচ সাইবার চার্টার স্কুল নামের একটি অনলাইনভিত্তিক কে-১২ একাডেমিতে।
তখন থেকেই ডেভিড জানতো যে সে ১০ বছর বয়সের মধ্যেই তার হাই স্কুল শেষ করতে চায়। বাকিদের আরো ৮ বছর বেশি লাগবে? তাতে কী! অনেক কিছু জানতে চায় ডেভিড আরো আগেই।
এক বছর আগেই ৮ম শ্রেণীর পড়াশোনা শেষ করে ফেলেছে সে। বসে থাকার তো কোনো মানে হয় না, তাই না? যে-ই ভাবা সেই কাজ! বাবা-মায়ের সমর্থন পেয়ে ঘরে বসেই ৮ বছর বয়সী ডেভিড শুরু করে হাই স্কুলের পড়াশোনা। আর সেখান থেকেই পরবর্তীতে এক বছর বাদে, ৯ বছর বয়সে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলো সে!
এখনই হাই স্কুল পাশ করা ছাত্র? এরপর কী হয়ে চায় ডেভিড? কী শিখতে চায়?
শিক্ষকতা, নভোচারী, প্রকৌশলী এবং প্রেসিডেন্ট- সব কিছুর স্বাদই চেখে দেখতে চায় এই বাচ্চা ছেলে। যদি সম্ভব হয়, তাহলে সব পেশার জন্যই পড়াশোনা করতে চায়। এটা অবশ্য তার এখনকার কথা না। ২০২১ সালে নিজের শিক্ষক কোডি ডেরকে অসম্ভব আত্মবিশ্বাসের সাথে এই কথাগুলো জানিয়েছিলো ডেভিড। আসলেই কি তেমনটা করে দেখাবে সে? জানতে হলে অবশ্য আপনাকে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতেই হবে!