বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের কাছেই দুবাই এক স্বপ্নের শহর। না, নিছকই কোনো কথার কথা নয় এটি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যাতায়াত ব্যবস্থা, আকাশচুম্বী ভবন ও মল দিয়ে সমৃদ্ধ মধ্য প্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই শহরটি বাস্তবিকই পর্যটকদের কাছে অতি জনপ্রিয় এক গন্তব্য। মাস্টার কার্ড ২০১৮ এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে পর্যটকদের কাছে বিশ্বের চতুর্থ জনপ্রিয়তম শহর ছিল এটি। ব্যাংকক, লন্ডন ও প্যারিসের পরেই যার অবস্থান। ১৫.৭৯ মিলিয়ন বিদেশী পর্যটকের পা পড়েছিল এই শহরে।
দুবাই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্কে কিছু ধোঁয়াশা দূর করা দরকার। এটি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ, যা গড়ে উঠেছে সাতটি আমিরাতের সমন্বয়ে। এই আমিরাতগুলো ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত ‘ট্রুসিয়াল স্টেটস’ নামে। সমগ্র দেশটির রাজধানী হলো আবুধাবি। তবে বাকি আমিরাতগুলো, অর্থাৎ আজমান, ফুজাইরাহ, শারজাহ, দুবাই, উম্মুল কুয়াইন এবং রাআস আল খাইমাহের রয়েছে আলাদা আলাদা রাজধানী। তেমনই দুবাই আমিরাতের রাজধানী হলো দুবাই।
দুবাইয়ের অবস্থান আরব মরুভূমির মাঝে। আর এর উত্তর সীমান্তে রয়েছে আবুধাবি, দক্ষিণ-পশ্চিমে শারজাহ, পূর্বে আজমান, দক্ষিণে রাআস আল খাইমাহ, এবং উত্তর-পশ্চিমে ওমান।
দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ের বিশেষ খ্যাতি ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার এবং সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন পুলিশ কারের মালিক হিসেবে। তবে এখন আর এটুকুতেই সন্তুষ্ট নয় তারা। নিজেদের জন্য আরো বড় একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা। আর সেটি হলো ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট ও সুখী শহরে পরিণত হওয়া।
সুখ নির্ধারণে বাইরের কারো উপর নির্ভর করছে না তারা। বরং নিজেরাই গোটা শহরজুড়ে স্থাপন করেছে এক ধরনের ইন্টারঅ্যাকটিভ টাচপয়েন্ট, যার নাম হ্যাপিনেস মিটার্স।
প্রতিটি মিটারে রয়েছে তিন ধরনের ইমোজি- হ্যাপি ফেস, নিউট্রাল ফেস, এবং স্যাড ফেস। সাধারণ মানুষ এই ইমোজিগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, যা থেকে বোঝা যায় তারা আসলেই কতটুকু সন্তুষ্ট। যত বেশি মানুষ হ্যাপি ফেস প্রয়োগ করে, শহরের ‘হ্যাপিনেস স্কোর’ ততই বাড়তে থাকে।
এই মিটারগুলো স্থাপন ও শহরকে সুখী করে তোলার উদ্যোগটি মূলত ‘স্মার্ট দুবাই’-এর। এটি একটি সরকারি সংস্থা, যার লক্ষ্য হলো দুবাইকে একটি স্মার্ট শহরে রূপান্তরিত করা। তাদের মূল দর্শন হলো, সাধারণ মানুষ তখনই আরো সুখী জীবন কাটাতে শুরু করবে, যখন তাদের দৈনন্দিন কাজের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে আরো সহজ ও কার্যকরী। আর তা নিশ্চিত করতেই স্মার্ট দুবাই ঘটাচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার।
স্মার্ট দুবাইয়ের রয়েছে দুর্ধর্ষ ও চমকপ্রদ সব পরিকল্পনা, যেগুলোর বিবরণ এতদিন পৃথিবীবাসী কেবল কল্পবিজ্ঞানের পাতায়ই পড়ে এসেছে, কিংবা পর্দায় দেখেছে। স্মার্ট দুবাই নীলনকশা সাজিয়েছে তাদের আকাশে ফ্লাইং ট্যাক্সি উড়িয়ে বেড়ানোর, রাস্তায় রাস্তায় অন-ডিমান্ড অটোনোমাস যানবাহন ছড়িয়ে দেয়ার, এবং শহর প্রতিরক্ষায় রোবোকপ নিয়োগ দেয়ার। এছাড়াও তারা আশা করছে ২০২০ সালের মধ্যে যাবতীয় ভিসা আবেদন, লাইসেন্স নবায়ন, এবং বিল পরিশোধের কাজগুলো ডিজিটালি সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে। এর মাধ্যমে তারা প্রতি বছর ডিজিটালি সম্পন্ন করতে পারবে ১০০ মিলিয়ন কাগুজে দলিলের কাজ।
এভাবেই কাগজকে বিদায় করে দিয়ে এবং সরকার ব্যবস্থাকে ব্লকচেইনে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট দুবাই স্বপ্ন দেখছে শহরটিকে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট, পরিচ্ছন্ন ও সুখী দেশে পরিণত করার।
এ ধরনের প্রকল্প যে শুধু দুবাইতেই শুরু হয়েছে, তা কিন্তু নয়। বিশ্বের প্রায় সকল বড় শহরই এখন নিজেদেরকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আশির্বাদধন্য করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দুবাইয়ের বিশেষত্ব এই যে, তাদের চেষ্টা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তারা সফলতা লাভের পথে বেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
২০১৮ সালে বিশ্বের সাত শতাধিক শহর অংশ নিয়েছিল বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত স্মার্ট সিটি কংগ্রেস অ্যান্ড এক্সপোতে। এর মধ্যে দুবাই-ই ছিল একমাত্র শহর, যারা সত্যিকারের টেকসই ‘স্মার্ট সিটি ফিউচার’ গঠনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
এই অগ্রগতির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় দুবাইয়ের হ্যাপিনেস স্কোরেও। সেই ২০১৭ সালের প্রথমার্ধেই হ্যাপিনেস মিটারে প্রায় ৬ মিলিয়ন ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে শহরের নাগরিকদের গড় হ্যাপিনেস স্কোর ছিল ৯০ শতাংশ। স্মার্ট দুবাইয়ের লক্ষ্য হলো, ২০২১ সালের মধ্যে এই স্কোরকে ৯৫ শতাংশের বেশি করে তোলা, যাতে করে প্রমাণিত হবে যে সেখানকার প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ প্রকৃত অর্থেই সন্তুষ্ট করছে শহরের প্রায় সকল মানুষকেই।
দুবাইকে সমৃদ্ধির পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রকল্পগুলো শুরু হয়েছিল অর্ধযুগ আগেই, এবং অদূর ভবিষ্যতেই সেরকম কিছু রিয়েল এস্টেট প্রকল্প আলোর মুখ দেখতে চলেছে। এর মধ্যে প্রথমেই আসবে ব্লু ওয়াটার আইল্যান্ডের নাম, যেটির কাজ অনেকাংশেই শেষ হয়ে এসেছে, খুব শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এছাড়াও ২০২০ সালে মেদান ওয়ান এবং ২০২১ সালে দুবাই ক্রিক হারবার, দুবাই হারবার এবং মারসা আল আরবের মতো প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এগুলোর বাইরেও স্মার্ট দুবাই গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুবাই যে তিনটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, সেগুলো হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কাগজবিহীন সরকার এবং ব্লকচেইন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
মানবসভ্যতার ইতিহাসে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। তাই দুবাইও স্মার্ট হয়ে ওঠার পথে সবচেয়ে বড় সোপান হিসেবে বিবেচনা করছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেই। দুবাইয়ের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাব মনে করছে, মেশিন লার্নিংয়ে নিজেদেরকে আরো ঝালিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই তারা দুবাইয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করতে পারবে। বর্তমানে তাই দুবাইয়ের সরকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘটছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ।
দুবাই প্রশাসন গাঁটছড়া বেঁধেছে আইবিএম সহ বিশ্বের আরো বেশ কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে বিশেষায়িত কোম্পানির সাথে। সরকারি নানা প্রকল্পে তারা সাহায্য করছে তো বটেই, এছাড়া অংশগ্রহণ করছে ব্যক্তি মালিকানাধীন নানা প্রকল্পেও।
২০১৭ সালের অক্টোবরে দুবাই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘ডাটা-ড্রিভেন’ শহর হয়ে ওঠার পথে একটি বিশাল পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেটি হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খাতে একজন স্বতন্ত্র প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের মাধ্যমে। সে সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেছিলেন, “আমরা চাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য সবচেয়ে প্রস্তুত রাষ্ট্র হয়ে উঠতে।”
বর্তমানে রিয়েল লাইফ হাইপারলুপ, নবায়নযোগ্য শক্তি, ইলেকট্রিক যানবাহন, ফ্লাইং ট্যাক্সি, ফ্লাইং জেটপ্যাক প্রভৃতি সকল প্রকল্পেই ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। বলা ভালো, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর নির্ভর করেই এগিয়ে চলেছে এসব প্রকল্প। এছাড়া ফোর্বসের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মতে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানকার প্রায় সকল কার্যক্রমই পরিচালিত হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে, বিশ্বের অন্য কোনো বিমানবন্দর আজ পর্যন্ত শতভাগ সাফল্যের সাথে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি।
তবে আধুনিক নাগরিক জীবনধারাকে সাহায্যের চেয়েও বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগাতে চাইছে দুবাই। ২০৩০ সালের মধ্যেই দুবাইয়ের থাকবে বিশ্বের প্রথম স্মার্ট পুলিশ স্টেশন (এসপিএস), যার মোট কাজের ২৫ শতাংশই পরিচালিত হবে রোবোকপের মাধ্যমে। তাছাড়া সেই ২০১৭ সাল থেকেই দুবাইয়ের রাস্তাঘাট টহল দেয়ার কাজ শুরু করেছে তাদের প্রথম রোবট অফিসার।
এসপিএসে কাজ করবে যেসব রোবট, তারা হবে বহুভাষী, অর্থাৎ একাধিক ভাষায় যোগাযোগ করতে পারবে মানুষের সাথে। তারা রাস্তায় যেকোনো সময় আইন অমান্যকারীদের কাছ থেকে জরিমানার অর্থ গ্রহণ করতে পারবে। আবার তাদের বুকে বসানো স্ক্রিনে সামান্য কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ প্রতিবেদন করতে পারবে যেকোনো অপরাধের।
কাগজবিহীন সরকার ব্যবস্থা
২০২১ সাল নাগাদ দুবাই সরকার চিরতরে বিদায় জানাতে চলেছে কাগজকে। এর মাধ্যমে তারা প্রতিবছর সরকারি কাজে ব্যবহৃত হওয়া এক বিলিয়ন শিটেরও বেশি কাগজ বাঁচাতে সক্ষম হবে।
কাগজকে বিদায় বলার এই উদোগ স্মার্ট সিটি দুবাই ২০২১ প্রকল্পের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এর প্রভাবও হবে সুদূরপ্রসারী। কাগুজে দলিলের পরিবর্তে সবকিছু ডিজিটালি সম্পন্ন হওয়ার ফলে দুর্নীতি বা লোক ঠকানোর প্রবণতা কমে যাবে। তাছাড়া কাগুজে দলিলের সকল কাজের দীর্ঘসূত্রিতাও নিক্ষিপ্ত হবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে, কেননা প্রতি বছর এর মাধ্যমে বেঁচে যাবে অন্তত ২৫.১ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা। আর তাতে বছরে রক্ষা পাবে দেড় বিলিয়ন দিরহামেরও বেশি।
ব্লকচেইন
২০২০ সালের মধ্যে দুবাই হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্লকচেইন পরিচালিত শহর। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষে সহজ হবে নাগরিকদের গোপনীয় তথ্যাদি সুরক্ষিত রাখা, এবং পরিচয়-প্রতারণাকে রুখে দেয়া। মূলত ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেজ হিসেবে ব্যবহৃত এই ব্লকচেইন পারবে সকল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণের একটি চিরস্থায়ী, পাবলিক রেকর্ড হিসেবে কাজ করতে।
এছাড়া দুবাইয়ের রয়েছে ব্লকচেইন নিয়ে আরো উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি পরিকল্পনা: দুবাই ব্লকচেইন স্ট্র্যাটেজি (ডিবিএস)-এর মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে ব্লকচেইন ব্যবহার করা বিশ্বের প্রথম শহরে পরিণত হওয়া। এভাবে স্মার্ট দুবাইয়ের সামনে উন্মুক্ত হবে সম্ভাবনার আরো তিনটি নতুন দুয়ার: প্রশাসনিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নতুন শিল্প সৃষ্টি, এবং আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের উন্নয়ন।
ডিবিএস প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম তো বটেই, সেই সাথে ভিসা আবেদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু কিংবা শিশুদের স্কুল-কলেজে ভর্তির মতো সকল কাজেরই আগাগোড়া সবটা সম্পন্ন করা হবে ডিজিটালি। তাছাড়া দুবাইয়ের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি এমক্যাশও বাজারে রয়েছে প্রায় দুই বছর ধরে, যার ফলে নাগরিকরা সব ধরনের পরিষেবার খরচই মেটাতে পারছে ডিজিটাল ক্যাশের মাধ্যমে।
ব্লকচেইন প্রকল্পকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই দুবাই গঠন করেছে ৪৬ সদস্যবিশিষ্ট গ্লোবাল ব্লকচেইন কাউন্সিল, যেখানে সদস্য হিসেবে আইবিএম ছাড়াও রয়েছে মাইক্রোসফট ও সিস্কোর মতো কোম্পানিসমূগ।
পরিশিষ্ট
এভাবেই প্রাযুক্তিক সমৃদ্ধির পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দুবাই, এবং তাদের হাতে যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে তাদের উত্তরোত্তর উন্নতিই কেবল ঘটতে থাকবে। সব মিলিয়ে সেখানকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান এখন এতটাই উঁচুতে অবস্থান করছে যে, মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়াই শুধু নয়, এমনকি পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর কাছেও তা রীতিমতো ঈর্ষণীয় একটি বিষয়। ২০২১ সাল নাগাদ সত্যি সত্যিই দুবাইয়ের ‘স্মার্টেস্ট সিটি’ হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, এবং তখনই আমরা এটিও জেনে যাব যে, আসলেই প্রাযুক্তিক উৎকর্ষ মানুষের মনে প্রকৃত সুখ বয়ে আনতে পারে কি না।
বিশ্বের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/