আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বিসিবি

  • বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের মতো এক সিরিজ কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
  • ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সের পাশাপাশি মাঠের পারফর্মেন্সও ছিলো আশাহত করার মতোই।
  • জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করে আইসিসি।
  • মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে দেওয়া আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে বিসিবি

ফেব্রুয়ারির আট তারিখে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শুরু হয়। মাত্র আড়াই দিন স্থায়ীত্ব লাভ করেছিল মিরপুর টেস্ট।

আড়াই দিনে দুই দল ৬৮১ রানের বিনিময়ে তাদের ৪০ উইকেট হারিয়েছিল। ম্যাচের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল রোশন সিলভার অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসটি।

মিরপুর টেস্টে ২১৫ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি আরও একটি দুঃসংবাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের দেওয়া প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয় আইসিসি।

ডেভিড বুন তার প্রতিবেদনে জানান, মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল ‘বিলো অ্যাভারেজ।’ টেস্টের প্রথম থেকেই উইকেটে অসম বাউন্স এবং বিষম টার্ন ছিল। তিনি আরও বলেন, এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ ছিল না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল শুধুমাত্র বোলারদের মধ্যে।

মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম; Source: Anisur Rahman

আইসিসির সংশোধিত উইকেট ও আউটফিল্ড নীতিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো ভেন্যুর নামের পাশে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হলে ঐ ভেন্যুকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। দশটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে ভেন্যুটিকে!

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গতকাল আপিল করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। বিসিবির করা আপিলের শুনানি হবে আগামী ১৪ই মার্চ।

আইসিসির ক্রিকেট বিষয়ক জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালার্ডাইচ এবং ক্রিকেট কমিটির চেয়ারপার্সন অনিল কুম্বলে বাংলাদেশের করা আপিলের রায় ঘোষণা করবেন রেফারির প্রতিবেদন, বিসিবির প্রতিবেদন, মিরপুর টেস্টের ভিডিও এবং বিসিবি স্বপক্ষে যেসব যুক্তি দাঁড় করিয়েছে সেসবের উপর নির্ভর করে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নামের পাশেও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করেনি বিসিবি।

ফিচার ইমেজ: Getty Images

Related Articles

Exit mobile version