২০১৭ সালের ৪ঠা এপ্রিল নিজেদের মাঠ কলোম্বোতে দুই ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাত বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীর বাংলাদেশের কাছে ৪৫ রানে পরাজিত হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। ঐ ম্যাচের পর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে একটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে সাত উইকেটে পরাজিত হয়েছিলো তারা। পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে একাধারে আটটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে পরাজিত হয় শ্রীলঙ্কা। তাদের পরাজয়ের ধারা শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং সেটি শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়েই। একাধারে সবচেয়ে বেশি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ পরাজিত হওয়ার লজ্জার রেকর্ড জিম্বাবুয়ের দখলে। তারা টানা ১৬টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছিলো। এরপর টানা ১২টি পরাজয় নিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে। নয়টি পরাজয় নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত তৃতীয় স্থানে আছে।
গতকাল মিরপুরে রেকর্ড গড়েই হারের বৃত্তের বাইরে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২২ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের জয় পায় শ্রীলঙ্কা। টি-টুয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। পূর্বের রেকর্ড ছিলো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২০১৭ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আসেলা গুণারত্নের ৮৪* রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর শেষ বলে দুই উইকেটের জয় পেয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগের ২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই বল এবং ছয় উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পাওয়ার তালিকায় দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড দুবারের টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। তারা ২০১৫ সালে জোহানসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২৩২ রানের লক্ষ্য টপকে গিয়েছিল চার উইকেট এবং চার বল হাতে রেখে।
ফিচার ইমেজ – Associated Press