স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক; উইন্ডিজ বোলিং কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশের কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুই ২০১৬ থেকে। সেটাও এই বাংলাদেশেই। জিম্বাবুইয়ান সাবেক কিংবদন্তি পেসার হিথ স্ট্রিক ছিলেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ। তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দায়িত্ব পান কোর্টনি ওয়ালশ। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের স্রেফ বোলিং কোচই ছিলেন ওয়ালশ। এবার হলেন হেড কোচ।
শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা লাভের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশকে নিয়ে মার্চে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে শ্রীলঙ্কা। নাম, নিদাহাস ট্রফি। সেই সফরে বাংলাদেশের হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়ালশকে। সেক্ষেত্রে নিজের পদ হারালেন খালেদ মাহমুদ সুজন। চান্দিকা হাতুরুসিংহের পদত্যাগের পর শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্ট, দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচের সিরিজে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো সুজনকে। কিন্তু ব্যর্থতাসহ আরও কিছু ‘ব্যাপার’ থাকায় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে ম্যানেজারের পদে রাখা হবে পারে বলে জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোচের অদলবদল প্রসঙ্গে পাপন বলেন, “আজকে আমাদের মেজর ইস্যু ছিল হেড কোচ। গত সিরিজে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকলেও হেড কোচ বলে কেউ ছিল না। তা না থাকাতে অনেকের ধারণা যে একটু অসুবিধা হয়েছে। আমরা হেড কোচের ব্যাপারটা ঠিক করেছি। শুধুমাত্র নিদাহাস ট্রফির জন্য। আমরা বাইরে থেকে একজন আনার চেষ্টা করছি, সেটা এই সিরিজের আগে সম্ভাবনা নাই। সেজন্য এখন আমরা হেড কোচ দেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ঠিক করেছি কোর্টনি ওয়ালশকে হেড কোচের দায়িত্ব দেব। তার অভিজ্ঞতা আছে। সকলেই তাকে অত্যন্ত সম্মান করে। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোনো কনফিউশন থাকার সুযোগ নাই।”
ওয়ালশকে কোচ করার সিদ্ধান্তটা হুট করে নেওয়া হয়নি বলে দাবি পাপনের। শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে বিসিবিকে। শুধু ওয়ালশ নয়, বিসিবির ভাবনায় অন্যরাও ছিলো বলে জানান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা।
তিনি বলেন, “ওয়ালশের সঙ্গে গেল সিরিজ নিয়ে আমি কথা বলেছিলাম। এই সিরিজ নিয়ে আমি সবার সাথেই আলাপ করেছিলাম। ওয়ালশ ছিল, তার সঙ্গে কথা বলেছি। সেইদিক থেকে সেদিনই বসে ঠিক করেছিলাম স্পেশাল পেস বোলিং ক্যাম্প আমরা করবো। কিছু ব্যাটসম্যান যাদের আমরা চাই ফর্ম ফিরে আসুক, আত্মবিশ্বাস বাড়ুক। তাদেরকেও নিয়ে ক্যাম্প চালু রেখেছি।”
গেল বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যর্থতার পর সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দায়িত্ব ছাড়েন লঙ্কান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। এরপর থেকেই হেড কোচ ছাড়া বাংলাদেশ দল। পরে সাবেক কোচ রিচার্ড পাইবাস ও সাবেক উইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্সের সাক্ষাৎকার নেয় বিসিবি। দুজনের ব্যাপারেই ইতিবাচক ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন পাপনরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকেই।
ফিচার ইমেজ- Getty Images