আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওডিআইতে কড়ায় গণ্ডায় হিসাব নিলো জিম্বাবুয়ে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর পাঁচ ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো জিম্বাবুয়ে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর গতকাল অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওডিআইতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কাকতালীয়ভাবে একই ব্যবধানে দ্বিতীয় ওডিআইতে আফগানিস্তানকে পরাজিত করেছে জিম্বাবুয়ে। শারজাহতে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান পাঁচ উইকেটে ৩৩৩ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে রশিদ খানের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। গতকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে পাঁচ উইকেটে ৩৩৩ রান করার পর আফগানিস্তানকে ১৭৯ রানের মধ্যে আটকে রেখে ১৫৪ রানের জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে, যাকে বলে কড়ায় গণ্ডায় হিসাব বুঝে নেওয়া।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সোলোমন মিরের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১০ রানের মাথায় নয় রান করে মুজিবের শিকারে পরিণত হন মিরে। তিনে ব্যাট করতে নেমে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর দলের হাল ধরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সাথে ৮৫ রান যোগ করেন। মাসাকাদজা ৪৮ রান করে রান আউট হন। টেইলর ওডিআই ক্যারিয়ারের ৯ম শতক হাঁকিয়ে ১২১ বলে পাঁচটি চার এবং আটটি ছয়ের মারে ১২৫ রান করে থামেন।

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার চার উইকেট শিকার করে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান ; Image Source – Skysports

ব্রেন্ডন টেইলরের ১২৫ রান এবং সিকান্দার রাজার ৭৪ বলে নয়টি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে ৯২ রানের ইনিংসের উপর ভর করে জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে পাঁচ উইকেটে ৩৩৩ রান সংগ্রহ করেন। জিম্বাবুয়ে তাদের ইনিংসে ১৪টি ছয় হাঁকিয়েছে। শেষ আট ওভারে ১০১ রান সংগ্রহ করেছিল জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তানের দুই স্পিনার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর কথা মাথায় রেখেই খেলেছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। তারা ২০ ওভারে মাত্র ৬৯ রান খরচ করে দুই উইকেট শিকার করেছিলো। আরেক স্পিনার মুজিবুর রহমান নিজের বোলিং কোটার ১০ ওভারে ৪৭ রান খরচায় এক উইকেট শিকার করেছিলেন। দুই পেসার দাওলাত জাদ্রান ও গুলবাদীন নাইব ছিলেন বেশ খরুচে। দাওলাত জাদ্রান নয় ওভারে ৯৬ রান এবং নাইব আট ওভারে ৮৫ রান দিয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৬ রানেই আফগানিস্তানের অর্ধেক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যায়। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নবী ও রহমত শাহ ৫৩ রান যোগ করে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। নবী ৩১ রান এবং রহমত শাহ ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রহমত শাহ যখন আউট হন তখন আফগানিস্তানের সংগ্রহ নয় উইকেটে ১১৫ রান। তখন আফগানিস্তানের সামনে ২০০-এর বেশি রানে পরাজয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো। দশ নাম্বারে নামা দাওলাত জাদ্রান ২৯ বলে দুটি চার এবং ছয়টি বিশাল ছয়ের সাহায্যে অপরাজিত ৪৭* রান করে আফগানিস্তানকে ১৭৯ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন। শেষ উইকেট জুটিতে মুজিবের সাথে ২৯ বলে ৬৪ রান যোগ করেন দাওলাত জাদ্রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে চাতারা তিনটি এবং ক্রেমার চার উইকেট শিকার করেন। একই ভেন্যুতে আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি সিরিজের তৃতীয় ওডিআই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

ফিচার ইমেজ- TimeSportsNews

Related Articles

Exit mobile version