- ইরাকের হাওয়িজা শহরে শিয়া সেনাদের উপর আইএসের হামলায় ২৭ জন নিহত হয়।
- গত রবিবার হামলার এ ঘটনা ঘটে।
- নিহতরা হাশদ আল-শাবি বা পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমেফ) এর সদস্য।
রাষ্ট্রীয় বাহিনী গত অক্টোবর মাসে পিএমএফ এর থেকে হাওয়িজার দখল নেওয়ার পর এটিই তাদের উপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। কির্কুকের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশ কিছু আইএস সদস্য মহাসড়কের কাছে কতগুলো চেকপয়েন্টে হামলা চালায়। হতাহতের ঘটনাগুলোর কারণে ইরাকে আইএসের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে; কেননা গত ডিসেম্বরে বাগদাদ তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভের কথা ঘোষণা করে।
ইরাকের আধাসামরিক হল পিএমএফ জানায়, হামলাকারীরা ইরাকী সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ছিল এবং একটি ভুয়া চেকপয়েন্টে লোক সরবরাহ করছিল। প্রদেশটির একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বেশিরভাগ মৃতদেহেরই শিরশ্ছেদ করা ছিল।
পিএমএফ এর প্রায় ১১ হাজার সৈন্য ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একেবারে পুরোভাগেই ছিল। তারা জানায়, তারা ইরাকে পুরোপুরিভাবে আইএস নির্মূলের পরিকল্পনা করছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি অপরাধীদের শাস্তির আদেশ দেন। তার বক্তব্য সোমবারে প্রচার করা হয়।
ইরাক সরকার গত বছরই আইএসের বিরুদ্ধে জয়লাভের ঘোষণা দিলেও তারা এখনও দেশটিতে হামলা চালাতে সক্ষম। গত মাসেও আইএস ইরাকে প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে গত মাসের ১৫ তারিখের এক আত্মঘাতী হামলায় ২৭ জন নিহত হয় এবং প্রায় ১০০ জনের মতো আহত হয়।
গত বছর ইরাক আইএস এর কাছ থেকে মসুল, রামাদি ও ফাল্লুজাহসহ আরও বিশাল অংশ পুনর্দখল করে। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক দাতারা ৪ বছর ধরে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরে দেশটি পুনর্নির্মাণের কাজে ব্যাপক অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। পুরো দেশ জুড়েই বাড়িঘর, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশটি এই পরিকাঠামো ও অর্থনীতি পুনর্নির্মাণে হিমশিম খাচ্ছে।
ফিচার ইমেজ: vox