যৌনকেলেঙ্কারি ধামাচাপায় অর্থলেনদেনে জড়িত ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। নির্বাচনের আগে থেকেই বেশ কয়েকটি কারণে সমালোচনার মুখে ছিলেন ট্রাম্প। সেই স্রোতে এবার ঢেউ তুলেছে নতুন এক খবর। সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের ঠিক একমাস আগে এক পর্নোগ্রাফিক তারকাকে জনসম্মুখে ট্রাম্পের যৌনতা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ না করার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্পের উকিল। ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী মাইকেল কোহেন এই অর্থ বিনিময় করেছিলেন। প্রায় এক যুগ ধরে ট্রাম্পের হয়ে কাজ করছেন কোহেন।

ব্যাপারটি বেশ পুরনো। তবে ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাটি শেষমেশ আলোর মুখ দেখেছে। আর আলোচিত সেই পর্নোগ্রাফিক তারকার নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। নিজ জগতে স্টোর্মি ড্যানিয়েলস নামেই বেশি পরিচিত তিনি।

ট্রাম্প এবং স্টেফানি; Source: Bustle

২০০৫ সালে মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিয়ে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৬ সালে লেক তাহোর পাশে অনুষ্ঠিত তারকা গলফ টুর্নামেন্টে সাক্ষাৎ হয় স্টেফানি ও ট্রাম্পের। দুইপক্ষের সম্মতিতেই কাছাকাছি আসেন তারা।

হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্প এবং স্টেফানির ব্যাপারে  বলা হয়েছে, “এসব পুরনো খবর, এটা নির্বাচনের আগেও প্রকাশ পেয়েছিল এবং ভুল প্রমাণিত হয়েছে।”। এই পুরো ব্যাপারটি সম্পর্কে ট্রাম্পের মতামত বা টাকার বিনিময় সম্পর্কে তিন কতটা জানেন তা জানা সম্ভব হয়নি। এই সম্পর্কের ঘটনাটিকে ট্রাম্প ও স্টেফানি দুজনেই অস্বীকার করেছেন, এমনটি জানালেও টাকার বিনিময় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ট্রাম্পের উকিল মাইকেল কোহেন ।

২০১৬ সালে ৩৮ বছর বয়সী স্টেফানি, ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে গুড মর্নিং আমেরিকা‘তে কথা বলেন। তবে সেসব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। সেই সাক্ষাৎকারের জন্য টাকা প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে জানানো হয় যে, ফিটনেস নিয়ে লেখার জন্যেই টাকা দেওয়া হয়েছিল তারকাকে। শুধু তাই নয়, কোহেনের পাঠানো এক মেইলে স্টোর্মি ড্যানিয়েলস নামে কিছু কথায় সম্মতি স্বাক্ষর প্রদান করেন স্টেফানি। সেখানে তার বক্তব্য অনুসারে, ট্রাম্পের সাথে এমন কোন সম্পর্কে তিনি ছিলেন না। এমনকি কোন টাকাও তিনি পাননি। চুক্তিকালীন সময়ে স্টেফানির পক্ষ থেকে ছিলেন কেথ ডেভিডসন, যিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। স্টেফানির সাথে ট্রাম্পের এই ঘটনাটিকে ট্রাম্পের আরো অনেক যৌন সম্পর্কের একটি বলে মনে করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে ওয়াশিংটন পোস্ট ট্রাম্পের এই অন্ধকার দিক নিয়ে একটি ভিডিওটেপ তৈরি করলে সেট প্রকাশ পায়নি। তবে গুজব থেমে থাকেনি কখনোই। স্টেফানির এই খবরটি সেই গুজবকে আরো বেগবান করে তুলেছে।

ফিচার ইমেজ: People

Related Articles

Exit mobile version