- গাজা-ইজরায়েল সীমান্তে এক বিস্ফোরণে ৪ জন ইজরায়েলি সৈন্য আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।
- শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় খান ইউনিস শহরের পূর্বে এই বিস্ফোরণটি ঘটে।
- এর জবাবে ইজরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালালেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইজরায়েলের গণমাধ্যম একে ২০১৪ সালে ইজরায়েলের সাথে হামাস যোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ের পরে সীমান্তে ঘটা সবচেয়ে খারাপ ঘটনা বলে অভিহিত করেছে। এখনও কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সেনাবাহিনীর মতে, শুক্রবার এক প্রদর্শনীর সময় সেখানে বিস্ফোরক স্থাপন করা হয় এবং পতাকার সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। ইজরায়েলি বাহিনী ইজরায়েলের দিক থেকে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় যন্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জার্মানির মিউনিখে একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছেন। এ বিস্ফোরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “গাজা সীমান্তের ঘটনাটি খুব গুরুতর। আমরা এর উপযুক্ত জবাব দেব।”
ইজরায়েল সেনাবাহিনী জানায়, এর জবাবে যুদ্ধ বিমান দিয়ে হামাস যোদ্ধাদের ৬টি স্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এগুলোর মধ্যে জাইতুনের কাছে থেকে ইজরায়েলের দিকে খনন করা একটি সুড়ঙ্গ, দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসের প্রাঙ্গন অন্তর্ভুক্ত। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩টি হামাস প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এবং অপর একটি অন্য ছোট দলের ক্যাম্পে হামলা হলেও কেউ আহত হয়নি।
ইজরায়েলি গণমাধ্যম আরও জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় গাজা থেকে আসা একটি রকেট দেশটির দক্ষিণে একটি বাড়ির পাশে পতিত হয়। এতেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইজরায়েল সেই অঞ্চলের সকল রকেট ও কামানের বর্ষণের জন্য হামাসকে দায়ী করে। ২০০৮ সাল থেকে হামাস ইজরায়েলের সাথে ৩টি যুদ্ধ করেছে।
সীমান্ত অঞ্চল গত কয়েক বছর থেকে শান্ত থাকলেও গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে সহিংসতা বেড়ে যায়।
ইজরায়েল জেরুজালেমকে তার অবিচ্ছিন্ন রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। ১৯৬৭ সালে তারা অঞ্চলটি ফিলিস্তিন থেকে দখল করে নেয়।
ফিচার ইমেজ: Los Angeles Times