- দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, তাহলে কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক তৎপরতা বন্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
- কিম জং উনের সাথে এ সপ্তাহে দেখা করার পরে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ আগামী বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে পিয়ংইয়ং এর পারমাণবিক তৎপরতা বন্ধ ও যুদ্ধ প্রতিরোধের আশ্বাস দিতে ওয়াশিংটন যাত্রা করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, যদি উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক তৎপরতা বন্ধের ব্যাপারে আলোচনায় বসে তাহলে তারা তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা থামিয়ে রাখার ব্যাপারে অকপট।
আগামী মাসে সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুঞ্জমে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের মাঝে ২০০৭ সালের পরে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধিদের প্রধান চাং ইউই-ইয়ং। বিশ্বনেতারা এই সাফল্যে আশাবাদী হলেও পিয়ংইয়ং এর পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি প্রতিরোধে পূর্বের আলোচনার ব্যর্থতার কথাও মনে রাখার মতো।জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বুধবারে জানান, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বন্ধের ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি ও কার্যক্রম দেখাচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অফিস প্রধান চাং ইউই-ইয়ং এবং ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিস এর প্রধান সুহ হুন এই বৃহস্পতিবারে ওয়াশিংটন যাত্রা করবেন। সুহ হুন উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ আপস-আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে চাংয়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। চাং জানান, কিম জং উনের পক্ষ থেকে তার কাছে একটি বার্তা আছে যা তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যক্ত করবেন। তবে তিনি ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা তা পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি।
ওয়াশিংটন থেকে ফিরে আসার পরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা বিভক্ত হয়ে চাং চীন ও রাশিয়া যাত্রা করবেন। অপরদিকে সুহ জাপান সফরে যাবেন। তারা এই দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের সাথে উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে কথা বলবেন।
ফিচার ইমেজ: Wall Street Journal