নাইজেরিয়ায় ৯০ জনেরও বেশি স্কুলছাত্রী নিখোঁজের আশঙ্কা

  • নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব প্রদেশ ইয়োবি থেকে ৯০ জনেরও বেশি স্কুলছাত্রী নিখোঁজ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
  • বিদ্রোহী দল বোকো হারাম সে প্রদেশের একটি গ্রামে হামলা চালানোর পরে নিখোঁজের এ আশঙ্কার কথা সংবাদে প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

নিখোঁজের ব্যাপারটি নিশ্চিত হলে এটি ২০১৪ সালে বোকো হারাম কর্তৃক চিবোক শহরের ২৭০ জন স্কুলছাত্রী অপহরণের পরে বৃহত্তম সংখ্যা। সে ঘটনাটি ৯ বছরের অভ্যুত্থানকে বিশ্বের কাছে আলোচিত করে তোলে। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের নিকৃষ্টতম মানবিক সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করে।

মঙ্গলবার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৯১ জন ছাত্রী অনুপস্থিত। পার্শ্ববর্তী গ্রামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, “আমি তিনটি টাটা পরিবহনে মেয়েদেরকে কাঁদতে ও বিলাপ করতে দেখেছি। তারা সাহায্য চেয়ে কাঁদছিলো।” সেই প্রত্যক্ষদর্শীকে জোরপূর্বক বিদ্রোহীদলকে পালানোর পথ দেখাতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে রয়টার্স জানিয়েছে, বোকো হারাম সোমবার সন্ধ্যায় দাপচিতে হামলা চালিয়ে মেয়েদের অপহরণ করেছে- প্রত্যক্ষদর্শীটির এরকম তথ্য সত্য কিনা তা যাচাই করতে পারেনি। নাইজেরিয়ার পুলিশ ও প্রাদেশিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় অপহরণের কথা অস্বীকার করছে। কিন্তু অভিভাবক ও আরও কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, কিছু মেয়ে এখনও নিখোঁজ।

এর আগে অপহৃত হওয়া প্রায় ২০০ মেয়ের জন্য আন্দোলন; Source: USA Today

যে সকল অভিভাবক ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য দিয়েছেন, তারা তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়েছেন। কেননা নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা ও সরকারি কর্মকর্তারা তাদের অপহরণের কথা ব্যক্ত করতে নিষেধ করেছে। সাতজন পিতামাতা রয়টার্সকে জানিয়েছে তাদের মেয়েরা নিখোঁজ। একজন অভিভাবক বলেন,”আমি আশা করছি আমার মেয়ে সেই অপহৃত মেয়েদের মাঝে নেই, কেননা আমরা শুনেছি রেজিস্ট্রার বই দেখার পরে জানা যায় ৯০ জনের বেশি মেয়ে নিখোঁজ।” 

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানায়, বোকো হারামের সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাকে করে দাপচিতে পৌঁছায়। তাদের অনেকেই ভারি অস্ত্র ও সেনাদের ছদ্মবেশে ছিলো। তারা বিক্ষিপ্তভাবে গুলি চালাতে চালাতে সরাসরি স্কুলে প্রবেশ করে। এতে ছাত্রী ও শিক্ষকরা পালাতে থেকে। অনেকেই ঝোপঝাড়ে রাত কাটিয়ে পরবর্তীতে দাপচি ফিরে যায়।

এক ব্যক্তি জানায়, নাইজেরিয়ার নিরাপত্তাবাহিনী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ইয়োবি প্রদেশের পুলিশ কমিশনার সুমনু আবদুল মালিকি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, বোকো হারাম দাপচিতে কোনো মেয়েকে অপহরণ করেনি। তিনি বলেন,”তারা গুলিবর্ষণ এবং শহর ছেড়ে গাইদামের দিকে যায়, সেখানে রাতে তারা তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে।”   

ফিচার ইমেজ: Mashable

Related Articles

Exit mobile version