ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে ‘শতাব্দীর সেরা থাপ্পড়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। রবিবার ফিলিস্তিনি শহর রামাল্লায় ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন’ (পিএলও) এর বৈঠকে এ কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে জেরুজালেম আমাদের রাজধানী; আমাদের ধর্মমতে এটি আমাদের রাজধানী; এমনকি ভৌগলিকভাবেও জেরুজালেম আমাদের রাজধানী।” তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্ত মি. ট্রাম্পের একটি টুইটের ফলে একে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা হয়।”
তিনি আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের পরিকল্পনা তারা মেনে নেবেন না। তিনি আরও বলেন, “জেরুজালেম আমাদের শাশ্বত রাজধানী। এর পরিবর্তে আবু দিসকে রাজধানী বানানোর যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা আমরা মেনে নেব না।”
তিনি ট্রাম্পের আপস-আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার হুমকিরও সমালোচনা করেছেন। পিএলও এর বৈঠকে জেরুজালেমের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সংক্রান্ত কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সরাসরি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব না পেলেও আলাপে অংশগ্রহণকারী সৌদিদের কাছে জানা যায়, ফিলিস্তিনিদের পশ্চিম তীরের একটি ক্ষুদ্রাংশ দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে, যা ইতোমধ্যে তাদের দখলেই আছে। আর ইসরায়েলকে সীমান্ত ও গাজার অংশের নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব করা হবে। এ ধরনের স্পর্শকাতর কূটনৈতিক বিষয়ে আলোচনার অনুমোদন না থাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই সৌদিদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা পোষণ করে।
গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিন ও সারা বিশ্বের মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে।
এ কারণে সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদরা ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানান, এ ধরনের সিদ্ধান্ত “সে অঞ্চলের শান্তির প্রত্যাশার ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘শান্তির প্রতি হুমকিস্বরূপ’ বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের প্রতি ট্রাম্পের এই কঠোর রাস্তা অবলম্বনকে স্বাগত জানান।
ফিচার ইমেজ: AFP